ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিয়া মো. কাজল জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
পোস্টে সারজিস লিখেছেন, ‘আমরা আমাদের ভাই আবু সাঈদের কথা জানি। কিন্তু কাজল ভাইয়ের মতো এমন শত শত ভাইয়ের কথা আমরা এখনো জানি না। কাজল ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। ঢাকার ন্যাশনাল নিউরোসাইন্স ইনস্টিটিউটে তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বিয়ে হয়েছে মাত্র ১ বছর।
তিনি লিখেছেন, এনিভার্সারি উপলক্ষে যাত্রাবাড়ীতে আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিলেন কাজল ভাই। সেখানে থেকেও দেশের এ অবস্থায় সহধর্মিণীর কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন সেখান থেকেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ার। প্রিয় সহধর্মিণী না করতে পারেননি। এরপর একা থাকা নিরস্ত্র কাজল ভাইকে পুলিশ নামক কোনো এক নরপশু সরাসরি মাথায় শুট করে। আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এমন আরও ১০ জনের মতো ভাই রয়েছেন। কারো মাথার খুলি উড়ে গিয়েছে, কারো মগজ বের হয়ে গেছে। হাসপাতালে না গেলে কিংবা সরাসরি না দেখলে এই দৃশ্য আপনি কোনো দিন বুঝতে পারবেন না।
সারজিস আরও লিখেছেন, কাজল ভাইয়ের সহধর্মিণী আমাদের কাছে ২টি আবদার করেছেন, তা হলো- ১. আমরা সবাই যেন কাজল ভাইসহ সবার জন্য মন থেকে দোয়া করি। আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন। ২. যাত্রাবাড়ী থানার যারা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং ফ্যাসিস্ট কাঠামোর যে খুনিদের নির্দেশে এসব হয়েছে তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।
মন্তব্য করুন