‘সুশান্ত পাল ফাঁস হওয়া প্রশ্নে প্রথম হয়েছে। আবেদ আলীর প্রশ্ন সরবরাহের ১০৫ জনের তালিকায় ১১ নম্বরে সুশান্ত পালের নাম।’ কালবেলার সূত্র উল্লেখ করে এমন একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে।
একই সঙ্গে কালবেলার লোগো সংবলিত একটি ফটো কার্ড ছড়ানো হয়েছে।
যেখানে লেখা হয়েছে, ‘প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হলেন সুশান্ত পাল’।
কিন্তু কালবেলা সুশান্ত পালকে নিয়ে এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি। কালবেলার লোগো সংবলিত যে ফটো কার্ড সামাজিকমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে সেটিও কালবেলার প্রকাশিত নয়।
মূলত কালবেলার অন্য কোনো সংবাদে প্রকাশিত ফটো কার্ড ডাউনলোড করে সেটিতে ছবি ও লেখা পরিবর্তন করা হয়েছে। যার সঙ্গে কালবেলার কোনো সম্পর্ক নেই।
সুশান্ত পালকে নিয়ে কালবেলা অনলাইনে ১৩ জুলাই বেলা ১২টা ১১ মিনিটে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার শিরোনাম ছিল ‘আমি আপনার ফরমায়েশের চাকর নই : সুশান্ত পাল’।
কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে নিজের কোনো বক্তব্য না দেওয়া নিয়ে সুশান্ত পাল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। কালবেলায় সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হয়।
শুক্রবার (১২ জুলাই) তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন-
‘কোটা এবং প্রশ্নফাঁস বিষয়ে কিছু না লিখলে যদি আপনাদের খারাপ লাগে, তাহলে এত কথা না বলে আমাকে আনফলো করে দিন। (আরও ভালো হয় ব্লক করে দিলে।) এসব নিয়ে আমি আপনার মনের মতো করে লিখব না। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এত বেশি বিরক্ত করবেন না। আমি আপনার ফরমায়েশের চাকর নই।’
পোস্টে তিনি বলেন, ‘এভাবে সহজ করে বুঝিয়ে বলার পরও যদি বিরক্ত করে যান, তাহলে বুঝব, আপনার কোনো লজ্জাশরম ও কাণ্ডজ্ঞান নেই। আপনি আমাকে ব্লক না করলে আমি আপনাকে ব্লক করব এবং অবশ্যই করব। এতে আপনার সম্মান বাড়বে না, কমবে। আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি নিজেও নিজের সম্মান বজায় রাখুন।’
পোস্টের শেষে সুশান্ত পাল বলেন, ‘আপনার হাতে কাজ নেই, আর আমার হাতে সময় নেই। এ কারণেই আমি চাইছি না, আপনি মনে এত কষ্ট নিয়েও আমাকে ফলো করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’
পোস্টের কমেন্ট বক্সে সুশান্ত পাল আবার লিখেছেন, ‘এখানে যারা উলটাপালটা কমেন্ট করছ এত সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার পরও, তোমাদের তো কোটা নিয়ে এত দুঃখ থাকার কথা নয়। তোমরা তো এমনিতেই চাকরি পাবে না—কোটা থাক না থাক; আরে ভাই, প্রিলিমিনারিই তো পাস করতে পারবে না! লজ্জাশরম ও পড়াশোনা থাকলে নিশ্চয়ই এখানে পড়ে থাকতে না।’
মন্তব্য করুন