দ্রুত নির্বাচন দিলে সবার জন্যই মঙ্গলজনক হবে : রুমিন ফারহানা
বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, নানা মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বিঘ্নে দেশ পরিচালনা করার সুযোগ দিতে রাজি না। সেক্ষেত্রে নির্বাচিত সরকার যেভাবে দেশের সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে, সেটি অন্য কোনো সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে দ্রুত একটি নির্বাচন দিলে সবার জন্যই মঙ্গলজনক হবে।  মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।  তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বৃহৎ একটি অংশ চাইছে না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তারা বলছে, সব বিচার শেষ করে নির্বাচন হবে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগকে কি নির্বাচনে আনা হবে, আওয়ামী লীগ কি নির্বাচন করবে- এসব প্রশ্ন রয়েছে মানুষের মনে। রুমিন ফারহানা বলেন, আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে আসে তাহলে নির্বাচনের মাঠের পরিবেশ কেমন হবে সেসব প্রশ্ন সবার মনে থাকলেও কেউ আলোচনা করছে না। তবে আলোচনার মাধ্যমেই এসব প্রশ্নের সুরাহা হওয়া উচিত।  তিনি বলেন, দেশে অর্থনৈতিক স্থবিরতা চলছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সেভাবে হচ্ছে না। বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রয়োজন। সেদিক থেকে চিন্তা করলে অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটাতে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। তাই আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের একটি রোডম্যাপ দেবে যে কী কী সংস্কার কতদিনের মধ্যে সম্পন্ন করে মানুষের ক্ষমতা মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে। মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক এবং জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

‘অন্তর্বর্তী সরকার নিজেকে ব্যর্থ করলে বিএনপির কিছু করার নেই’
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণমানুষের সরকার। এই সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তবে সরকার যদি নিজেই নিজেকে ব্যর্থ করে, তাহলে আমাদের কিছুই করার নেই। শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানার এমপ্লয়িজ ক্লাবে আয়োজিত এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  রুমিন ফারহানা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশ সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে। সেজন্যই বিএনপি বারবার সরকারকে অনুরোধ করেছে অবাধ নির্বাচনের জন্য যেই পরিবেশ ও সংস্কার দরকার সেটি করার জন্য।  তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার অত্যাচার মানুষ ১৪ বছর সহ্য করেছে। এরপর যখন মানুষ ফুঁসে উঠেছে, তখন শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে এখনও তিনি পাশের দেশে বসে বসে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু যতই ষড়যন্ত্র করেন আর কিছুই করতে পারবেন না। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন। তারা নেতা নির্বাচনে ভুল করে না। আশুগঞ্জ সারকারখানা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসার ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
১০ নভেম্বর, ২০২৪

শুধু সরকার পরিবর্তনে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না : রুমিন ফারহানা
শুধু সরকার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তার মতে, এর জন্য রাজনীতির পরিবর্তন দরকার। বুধবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদ’ আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান- গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র : নাগরিক বিতর্ক’- শীর্ষক মতবিনিময় সভায় রুমিন ফারহানা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, রাজনীতির পরিবর্তন না হলে শুধু সরকার পতন কিংবা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। রাজনীতি যদি ঠিক না হয়- তাহলে একটা নির্বাচন, একটা শাসন পরিবর্তন কখনো মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারবে না। রুমিন ফারহানা বলেন, রাজনীতি পরিবর্তনের দায়িত্ব শুধু রাজনীতিবিদদের নয়, এখানে জনগণেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই রাজনীতিবিদদের দুর্বৃত্তায়িত হওয়ার কতটুকু স্বাধীনতা দেবেন, সেটা আপনারা জনগণই নির্ধারণ করবেন। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির জন্য জনগণকে এটির পরিবর্তন করতে হবে। তিনি বলেন, একটা মানুষের ৮০০ বাড়ি থাকে বিদেশে, ১৪ বিলিয়ন ডলার দেশ থেকে পাচার হয়ে যায়। এসব ঘটনা জেনে এত ঘৃণা লেগেছে, মানুষ এতটা লোভী হতে পারে। কতটা লোভী মানুষের কাছে আমরা আমাদের রাজনীতি নিয়ে গিয়েছি, ভাবতে অবাক লাগছে। এই রাজনীতির অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। বিএনপির এই নেত্রী বলেন, এটা গণঅভ্যুত্থান নাকি বিপ্লব- এই বিতর্ককে আমি সুস্থ বিতর্ক হিসেবে দেখি। এখানে একপক্ষ অন্যপক্ষকে আক্রমণ করার কোনো সুযোগ নেই। এই আন্দোলন শুধু পাঁচ বছর পর পর সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন নয়, এটি ভোটের আন্দোলন নয়, নিজের পছন্দের সরকারকে বসানোরও আন্দোলন নয়। তাই এটি গণঅভ্যুত্থান নাকি বিপ্লব, নির্বাচনের জন্য লড়াই নাকি রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনের লড়াই- সেটা জনগণ তার সঠিক পথ বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে নির্ধারণ করে দেবে। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ২০১৮ সালে একটা গ্রাফিতি ছিল দেয়ালে দেয়ালে, রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে। তাই জুলাইয়ের এই আন্দোলন হঠাৎ ঘটে যাওয়া কিছু নয়। অনেক আগে থেকে সমাজের একটা অংশ ফ্যাসিবাদের ‘টপ টু বটম’ পরিবর্তন চেয়েছে, রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তন চেয়েছে। তাই এটিকে শুধু দেড় মাসের আন্দোলন বলা যাবে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহ্বায়ক শেখ আব্দুর নূর এতে সভাপতিত্ব করেন।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ২৫০টির বেশি আসন পাবে বিএনপি : রুমিন ফারহানা
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি ২৫০টির বেশি আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার প্রাঙ্গণে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। রুমিন ফারহানা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোট পাগল। ৯০-১০০ বছর বয়সে নাতির কাঁধে চড়ে মানুষ ভোট দিতে যায়। বিএনপির এই নেত্রী বলেন, গত ২০ বছরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তারা উন্মুখ হয়ে আছে কবে একটা ভোট দিতে পারবে। মানুষকে তার পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ করে দিন। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সংবিধান, আইন ও বিচার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু সংস্কার সবচেয়ে বেশি ন্যায্য হয়, যদি সেটি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হয়। তাই আমি আহ্বান জানাব যত দ্রুত সম্ভব যৌক্তিক সময়ের মধ্যে মানুষকে তার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।  এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সকল শহীদদের স্মরণে ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আলোচনা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি নেতা কাজী নাজমুল হোসেন তাপসের সভাপতিত্বে আলোচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আ.লীগের দুঃশাসনের সমুচিত জবাব দিয়েছে জনগণ : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনা মনে করেছিল কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে কিন্তু তাকে বিদায় নিতে হয়েছে এক কাপড়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়ে হিসাব রাখত। মূলত বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সমুচিত জবাব দিয়েছে জনগণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।    শনিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দেশে বন্যায় দুর্গতদের জন্য আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।  তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৭৬ বছর বয়সে বাড়িছাড়া করে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করেছিল। তাই বাংলাদেশের মাটিতে শেখ হাসিনার আর কোনো জায়গা হবে না। রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি গত ১৫ বছর ধরে ধৈর্য ধরেছে এবং আগামীতে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে। তারেক রহমান রাজার বেশে দেশে আসবেন।  তিনি বলেন, দেশ গঠনে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের পথ অনুসরণ না করে হিংসা, গুম, খুন, চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্ব মুক্ত দেশ গঠনে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল মিয়া খাদেমের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যবিরোধী : রুমিন ফারহানা
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহান বলেছেন, কোনো ধরনের বৈষম্য স্বাধীন বাংলাদেশে থাকবে না। আমরা একটা বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যবিরোধী। সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর লালবাগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন। এসময় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সিনিয়র সহসভাপতি অপর্ণা রায় দাস উপস্থিত ছিলেন। রুমিন ফারহানা বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আসিনি। বাংলাদেশে আজকাল যা ঘটছে তা নতুন নয়। যখনই কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরি হয় সুযোগ সন্ধানী গোষ্ঠী এর অপব্যবহার করে। তারা দুষ্ট চক্র। কেউ খুব দ্রুত লুটপাট করে অর্থ-সম্পদের লোভে। আরেকটা গ্রুপ মনে করে এখনই লুটপাট করলে হয়তো পরে অন্যের ওপর দোষ চাপানো যাবে। তারা অতীতেও এমনটি করেছে। এবারের গণঅভুত্থান কিন্তু ’৯০-এর গণঅভুত্থানের মতো নয়। আমরা কিন্তু এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। কার কত বয়স সেটি কথা নয়। আমরা কে কোন ধর্মের লোক সেটা বড় কথা নয়। আমার একমাত্র পরিচয় বাংলাদেশ ও আমরা বাংলাদেশি। আইডেন্টিটির রাজনীতি কখনো সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে না। এটা শুধু মানুষের মাঝে বিচ্ছিন্নতা নিয়ে আসে। রুমিন ফারহানা বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয় ভোটের রাজনৈতিক কারণে। সম্পত্তির লোভে। কিন্তু এটা ভাবে না যে আমরা একই সূতোয় গাঁথা। এখানে রাজনীতি খুব বেশি কাজ করে। লোভ কাজ করে। এই জায়গায় আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে যেন আমার ন্যায্য হিস্যা কেউ নিতে না পারে। এবার কিন্তু স্লোগান উঠেছে, আমি হিন্দু, তুমি হিন্দু দেশ ছেড়ে যাব না। এটা খুবই ইতিবাচক দিক। তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ হবে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ। সেটি ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিবেচনায় হবে না। অথচ একটা গোষ্ঠী বলে হিন্দুরা তাদের ভোট ব্যাংক। ওনাদের (হিন্দু) ভোট আমরা পাব। আর যদি ভোটের কালচার না থাকে তাহলে ওনারা চলে গেলেই বাঁচি। আমরা সম্পত্তি পাব। কিন্তু কাউকে আপন করে নিতে পারে না। ভোটের রাজনীতি বড় ভয়ংকর। রুমিন আরও বলেন, আজকে বলা হয় গোপালগঞ্জ না কি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। তাহলে ওখানে হিন্দুদের জমি কীভাবে দখল করেছে একজন প্রভাবশালী। তাহলে প্রভাব বা লোভটাই হলো আসল। দিনশেষে আমি কতটুকু লুট করতে পারছি সেটাই মুখ্য। এই জায়গাটাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মানুষ কাকে বেছে নেবে এটা তার দায়িত্ব। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও অতীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা নির্যাতনের কোনো বিচার না করায় কঠোর সমালোচনা করেন রুমিন ফারহানা। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা বলেন, বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানাকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমাদের কষ্টের সময় আপনি এসেছেন। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেব নাথ বলেন, আমরা সবসময় ব্যবহৃত হই। ধর্মকে ও মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতিতে ব্যবহার করি। ভারত আর হিন্দু কিন্তু এক নয়। আমরা এই দেশেই (বাংলাদেশ) থাকব। থাকতে চাই। আমরা হিন্দু মুসলমান একই সংস্কৃতিতে বড় হয়েছি। সবাইকে বলব- আসুন নিজেরা নিজেদের পরিশীলিত করি। সত্যিকারের মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি। আমরা সবাই মিলে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। চলমান পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই। কারণ বাংলাদেশের মানচিত্র আমাদের সবার। যদি তা না করি তাহলে শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বে কেয়ামত হয়ে যাবে। সংবিধান হতে হবে সবার জন্য। ধর্ম এবং রাষ্ট্র যেন আলাদা থাকে। তিনি বলেন, ছাত্রসমাজের মাঝে একটা জোয়ার এসেছে। আমাদের হিন্দুরাও কিন্তু বলছে তারা দেশ ছেড়ে যাবে না। এটাই হলো সম্প্রীতি। বৈষম্যবিরোধী সমাজ মানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। এজন্যই সবাই মিলে মিশে এক হয়ে থাকতে হবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির সভাপতি দীপেন চ্যাটার্জি বলেন, আমরা কারও কৃপায় নয়, মিলে-মিশে মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশে বসবাস করতে চাই। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, বারবার কেনো আমরা টার্গেটের শিকার হবো? আমরা সবার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে মিলে-মিশে বসবাস করতে চাই। বিএনপির কাছে আমাদের প্রত্যাশা সম্প্রীতি রক্ষায় আপনারা একটা সুন্দর উদ্যোগ নেবেন। আমরা দেশটাকে ভালোবাসি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন সাহা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি জে এল ভৌমিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ বিপ্লব দে, যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমুল সাহা, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি কুশল বরণ চক্রবর্তী প্রমুখ।
১২ আগস্ট, ২০২৪

রুমিন ফারহানার বাসায়, আরেক নেতার রেস্তোরাঁয় হামলা
রাজধানীতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাসায় হামলা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে রুমিন ফারহানা তার ফেসবুক পেজে লাইভে এসে অভিযোগ করেন, একদল ছেলে লাঠি হাতে তার বাসার সামনে এসে গালাগাল করে ভাঙচুর করে গেল। তারা বাসার গেট ভাঙচুর করে। রুমিন ফারহানা তার মাকে নিয়ে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় থাকেন। এ ছাড়া রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাসায় গিয়ে একদল দুর্বৃত্ত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে কিছু লোক তার খোঁজ করে। তবে তিনি ধানমন্ডির ওই বাসায় ছিলেন না বলে জানান মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, তিনি নিজে ওই বাসায় না থাকলেও প্রায়ই কিছু লোকজন এসে তার বাসার কেয়ারটেকারকে গালাগাল করে। এ ছাড়া মিরপুর-১-এ অবস্থিত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘নিউ ক্যাফে ধানসিঁড়ি’ রেস্তোরাঁয় ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়। রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন আমিনুলের বড় ভাই। তিনি বলেন, পুরো হোটেল ভাঙচুর, স্টাফদের মারধর, ক্যাশ লুট করা হয়েছে।
০৪ আগস্ট, ২০২৪

দুই মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে রুমিন ফারহানার বৈঠক
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল চিফ শ্রেয়ান সি. ফিজারল্ড ও পলিটিক্যাল সেক্রেটারি ম্যাথিও বে'র সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন‌ ফারহানা।  বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত গুলশানস্থ সিক্স সিজন্স হোটেলের ১৩তলায় একটি রেস্টুরেন্টে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে রুমিন ফারহানা একাই অংশ নেন।  দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল বাতিল এবং সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপি যখন হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিতে রয়েছে, তখন ঢাকাস্থ দুই মার্কিন কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করলেন রুমিন।  বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে রুমিন ফারহানা কালবেলাকে বলেন, এটি ছিল একটি রুটিন বৈঠক। যেহেতু আমি বিএনপির ফরেন উইংয়ের সঙ্গে সংযুক্ত, সে কারণে মাঝে মাঝে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়। এটি ছিল তেমনই একটি বৈঠক।
২২ নভেম্বর, ২০২৩

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক। তিনি রাজনীতিক বিতার্কিক হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। সংসদ সদস্য থাকাকালে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে আলোচিত হন। দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন ও সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি সমসাময়িক ইস্যুতে বেশ সরব তিনি। সবশেষ সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন রুমিন ফরহানা। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে তিনি ২০১৯ সালের ২৮ মে জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ৫০নং আসনে নির্বাচিত হন তিনি।  রুমিন ফারহানার জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরে জন্মগ্রহণ করেন রুমিন। তার বাবা অলি আহাদ প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী ভাষাসৈনিক। তার দাদা আবদুল ওহাব ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রার।  রুমিন ফারহানার শিক্ষা জীবন রুমিন ফারহানা হলিক্রস স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের লিংকনস্‌ ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। রুমিন ফারহানার রাজনীতির হাতেখড়ি পরিবার থেকেই রাজনৈতিক দীক্ষা পান রুমিন ফারহানা। বাবা অলি আহাদ ছিলেন ভাষা আন্দোলনে জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গের নায়ক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। যে ভূমিকার জন্য তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। অলি আহাদ তার জীবনের দীর্ঘ ১৯ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। রাজনীতি করেছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন রুমিন।  রুমিন ফারহানার রাজনৈতিক জীবন রুমিন ফরহানা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক। এ ছাড়া ব্যারিস্টার হিসেবে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে আইনি পেশায় কাজ করেন তিনি। ২০১৯ সালের ২৮ মে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংরক্ষিত নারী আসন-৫০  থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির একমাত্র নারী সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। পরে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগে আয়োজিত বিএনপির গণসমাবেশে সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।  রুমিন ফারহানা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য। আইন ও রাজনীতির পাশাপাশি লেখালেখিও করেন তিনি।  
১৯ নভেম্বর, ২০২৩
X