সেমিনারে তথ্য ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার ৪০ শতাংশ ভবন ধসে যাবে
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরে একটি ফল্ট রয়েছে। সেখানে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ আর সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ ভবন ধসে পড়বে। গতকাল শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আয়োজিত ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলা বিষয়ক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। সেমিনারে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী বলেন, ঢাকায় কাঁচা-পাকা মিলিয়ে ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৬টি ভবন আছে। এগুলোর মধ্যে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫০৭টি পাকা বা কংক্রিটের ভবন। আধাপাকা ভবন আছে ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৬২০টি। টাঙ্গাইলের মধুপুরে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় ৮ লাখ ৬৫ হাজার (৪০ দশমিক ৮ শতাংশ) ভবন ধসে পড়বে। দিনের বেলায় এই ভূমিকম্প হলে মারা যাবে ২ লাখ ১০ হাজার মানুষ, আহত হবে ২ লাখ ২৯ হাজার। ভূমিকম্পে আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার বা ২ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। ভূমিকম্পের পর ভবন মেরামত ও পুনর্নির্মাণে সরকারকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার বা ৪ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। আব্দুল লতিফ হেলালী বলেন, সিলেটের ডাউকি চ্যুতি রেখায় ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হলে ঢাকার কমপক্ষে ৪০ হাজার ৯৩৫টি (১ দশমিক ৯১ শতাংশ) ভবন ধসে পড়বে। দিনের বেলায় ভূমিকম্পটি হলে ১৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। আহত হবে ২৮ হাজার মানুষ। এই মাত্রার ভূমিকম্পে আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভূমিকম্পের পর ভবন মেরামত ও পুনর্নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা শহরে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, পুলিশ স্টেশনের ভবনগুলোর ওপর জরিপ চালানো হয়। এতে ৩ হাজার ২৫২টি ভবনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট করা হয়। এগুলোর মধ্যে ১৮৭টি ভবন পাওয়া যায়, যেগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও রেট্রোফিটিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ করা সম্ভব। আর ৪২টি ভবন এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, সেগুলো অপসারণ করার কথা বলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ঢাকার জন্য ভূমিকম্প সহনশীল টেকসই উন্নয়ন অনিবার্য এবং পরিকল্পিতভাবে ভবন কোড মেনে উন্নয়ন করতে হবে। অবকাঠামোগত কাজে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া প্রয়োজন, যা ভবিষ্যৎ সমাজ ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই অবকাঠামোর ব্যাপারে সরকার গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, নিরাপদ অবকাঠামো ঝুঁকি হ্রাস করে, সরকার সেদিকে নজর রাখছে। রাজউকের সঙ্গে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে শহরে ভূমিকম্প সহনশীলতার ব্যাপারেও কাজ চলবে। আমাদের লক্ষ্য উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করা। বর্তমানের পরিকল্পনাই ভবিষ্যতের ঢাকাকে গড়ে তুলবে। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, দ্রুত নগরায়ণ, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে। ভবনের তদারকির সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে জনগণের মাঝে ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সবাই একত্রে কাজ করেই রাজধানীকে ভূমিকম্প সহনশীল করতে হবে। রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম। এ ছাড়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি, আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
০২ জুন, ২০২৪

ঢাকায় ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪০ শতাংশ ভবন ধসে যাবে
রাজধানীর অদূরে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর ফল্টে যদি দিনের বেলায় ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তাহলে রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ আর সর্বোচ্চ ৬৫ শতাংশ ভবন ধসে পড়বে।  শনিবার (১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আয়োজিত ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলাবিষয়ক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।  সেমিনারে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী বলেন, ঢাকায় কাঁচা-পাকা মিলিয়ে ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৬টি ভবন আছে। এগুলোর মধ্যে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫০৭টি পাকা বা কংক্রিটের ভবন। আধা পাকা ভবন আছে ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৬২০টি। টাঙ্গাইলের মধুপুরে দিনের বেলা ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানীর ঢাকায় ৮ লাখ ৬৫ (৪০.২৮ শতাংশ) হাজার ভবন ধসে পড়বে। দিনের বেলায় এই ভূমিকম্প হলে মারা যাবে ২ লাখ ১০ হাজার মানুষ, আহত হবে ২ লাখ ২৯ হাজার। ভূমিকম্পে আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। ভূমিকম্পের পর ভবন মেরামত ও পুনর্নির্মাণে সরকারকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, সিলেটের ডাউকি চ্যুতি রেখায় ৭ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হলে ঢাকার কমপক্ষে ৪০ হাজার ৯৩৫টি (১.৯১ শতাংশ) ভবন ধসে পড়বে। দিনের বেলায় ভূমিকম্পটি হলে ১৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। আহত হবে ২৮ হাজার মানুষ। এই মাত্রার ভূমিকম্পে আর্থিক ক্ষতি হবে প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভূমিকম্পের পর ভবন মেরামত ও পুনর্নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।  হেলালী বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা শহরে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, পুলিশ স্টেশনের ভবনগুলোর ওপর জরিপ চালানো হয়। এতে ৩ হাজার ২৫২টি ভবনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট করা হয়। এগুলোর মধ্যে ১৮৭টি ভবন পাওয়া যায়, যেগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও রেট্রোফিটিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ করা সম্ভব। আর ৪২টি ভবন এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে সেগুলোকে অপসারণ করার কথা বলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ঢাকার জন্য ভূমিকম্প সহনশীল টেকসই উন্নয়ন অনিবার্য এবং পরিকল্পিতভাবে ভবন কোড মেনে উন্নয়ন করতে হবে। অবকাঠামোগত কাজে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া প্রয়োজন। যা ভবিষ্যৎ সমাজ ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই অবকাঠামোর ব্যাপারে সরকার গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, নিরাপদ অবকাঠামো ঝুঁকি হ্রাস করে, সরকার সেদিকে নজর রাখছে। রাজউকের সাথে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে শহরে ভূমিকম্প সহনশীলতার ব্যাপারেও কাজ চলবে। আমাদের লক্ষ্য উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করা। বর্তমানের পরিকল্পনাই ভবিষ্যতের ঢাকাকে গড়ে তুলবে। সালমান এফ রহমান বলেন, ১২৫ বছর ধরে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সহসাই একটি বড় ভূমিকম্প হতে পারে। তাই এ বিষয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছে সরকার। যত দ্রুত সম্ভব এ কাজটি করতে হবে। সরকার ভূমিকম্প সহনীয় ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও এলাকা চিহ্নিত করছে। ঢাকা শহরকে ভূমিকম্প সহনশীল করে তুলতেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, দ্রুত নগরায়ণ, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানসমূহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে। ভবনের তদারকির সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে জনগণের মাঝে ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সবাই একত্রে কাজ করেই রাজধানীকে ভূমিকম্প সহনশীল করতে হবে। রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম। এ ছাড়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি,  আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
০১ জুন, ২০২৪

সোলার সেচ পাম্পে ৪০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে : নসরুল হামিদ
দেশের সোলার সেচ পাম্পে ৪০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।  শুক্রবার (১০ মে) সকালে রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাস ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। নসরুল হামিদ বলেন, দেশের ১২ লাখ ডিজেলচালিত সেচ পাম্পগুলোকে সোলারে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোলার পাম্পের যে খরচ, আমরা ইতোমধ্যে আড়াই শতাধিক সোলার লাগাতে শুরু করেছি। সেগুলো আমরা মডেল হিসেবে দেখছি। এই মডেল যদি সফল হয়, তাহলে আমরা পরিধি বাড়াব। আমরা হিসাব করে দেখেছি, প্রায় ৪০ শতাংশ টাকা সরকার থেকে না দিলে তা কমার্শিয়ালি ফিজিবল করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, প্রায় দুই হাজার ডিজেলচালিত পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এর বিপরীতে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র এলে আরও উৎপাদন দক্ষতা তৈরি হবে। আমরা আশাবাদী ২০২৬-২৭ এর মধ্যে আমাদের আরও দুটি ভাসমান টার্মিনাল (ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট বা এফএসআরইউ) আসছে। সেই সময় আমাদের যে প্রকল্পগুলো হাতে আছে সেগুলো শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা এখন তিন হাজার ৭০০ মেগাওয়াট সোলার প্ল্যান্টের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছি। আমি আশাবাদী, অন্তত এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার যদি সিস্টেমে আসে, আমাদের জন্য ভালো হবে। আমরা আরও প্রায় ১২ হাজার মেগাওয়াট সোলার নিয়ে কাজ করছি।  এ সময় তেলের দাম সমন্বয় প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধরে নেই, ক্রুড অয়েলের দাম যদি আন্তর্জাতিক বাজারে ৮০ ডলার হয়, আমাদের এখানে কেন ১০০ ডলার? প্রশ্ন থাকে, যেটা আমাদের বিশেষজ্ঞরা বা রাজনীতিবিদরা করেন। আমাদের দেশে কি ৭০ ডলার হবে? ৮০ ডলার ওখানে (আন্তর্জাতিক বাজারে), সেটা আনতে খরচ আছে, সেই খরচটা হিসাব করে নাই। এখানে আমরা রিফাইন করব, সেটাও হিসাব করে না। আমি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে দিয়ে ডিস্ট্রিবিউট করব পদ্মা-মেঘনা-যমুনার মাধ্যমে, সেটাও হিসাব করে না। ট্রাকে করে তেল যে পেট্রল পাম্পে পৌঁছব, পেট্রল পাম্প মালিকদের কমিশন দেব, সেটাও কেউ হিসাব করে না। 
১০ মে, ২০২৪

শিশু সুরক্ষায় বেড়েছে ৪০ শতাংশ সমাজকর্মী
বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম শক্তিশালী করতে সরকার ইউনিসেফের সহায়তায় ৪০ শতাংশ সমাজকর্মীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের জন্য ১ হাজার ২০০ জনের বেশি নতুন সমাজকর্মী নিয়োগ করেছে। যার ফলে শিশু সুরক্ষায় নিয়োজিত সমাজকর্মীর মোট সংখ্যা ৪ হাজারে উন্নীত হয়েছে। শিশু সুরক্ষা সামাজিক সেবায় (চাইল্ড প্রোটেকশন সোশ্যাল সার্ভিসেস) অন্তর্ভুক্তির প্রথম ধাপ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ঢাকায়, সমাজসেবা অধিদপ্তর ও ইউনিসেফ যৌথভাবে সমাজকর্মীদের জন্য তিন দিনব্যাপী ‘প্রশিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ’ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার শিশুদের সব ধরনের ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন এই সমাজকর্মীদের নিয়োগ দেশের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে আমাদের অঙ্গীকারের একটি নজির। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি বলেন, সমাজকর্মীদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশু সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকারের এই প্রয়াসকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাধুবাদ জানায়। আমাদের এই সমন্বিত প্রয়াসে আমরা সত্যিই গর্বিত।       বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, শিশুদের সুরক্ষায় নিয়োজিত সমাজকর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো যেমন গুরুত্বপূর্ণ, সমান গুরুত্বপূর্ণ তাদের মাঝে সঠিক তথ্য ও জ্ঞানের সন্নিবেশ ঘটানো। কেননা, শিশু ও তাদের পরিবার যখন কোনো সহিংসতার শিকার হয়, তখন এই সমাজকর্মীরাই তাদের পাশে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা নিয়ে দাঁড়ায়।  
১৪ মার্চ, ২০২৪

রমজান উপলক্ষে খেজুরের দাম ৪০ শতাংশ কমাল আরব আমিরাত
রমজানের আগেই স্বস্তির খবর দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে খেজুরের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে। রোজাকে সামনে রেখে অতীব প্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম কমিয়েছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সংবাদমাধ্যমটি শারজার ওয়াটারফ্রন্ট ও জুবাইল মার্কেট সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এ সময় বাজারে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক অনেক কম দামে খেজুর বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন, জর্দান ও সৌদি আরবের মাজদুল খেজুর বর্তমানে ২০ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে। যা স্বাভাবিক সময়ে ৩০ দিরহামে বিক্রি হয়ে থাকে। একইভাবে রুটাব খেজুর তিন কেজি স্বাভাবিক সময়ে ৬০ দিরহামে বিক্রি হলেও তা এখন ৪৫ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে।  এ ছাড়া বহুল পরিচিত আজওয়া খেজুর বর্তমানে প্রতিকেজি ৩৫ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে। যা স্বাভাবিক সময়ে ৪৫ দিরহামে বিক্রি হয়ে থাকে। এ ছাড়া বাজেট সচেতন মানুষের জন্য বাজারে রয়েছে ইরানের জায়দি খেজুর। এটি প্রতিকেজি পাঁচ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে।  ওয়াটারফ্রন্টের একটি স্টলের বিক্রেতা মোহাম্মদ রাইস বলেন, শুকনো ফলমূল ছাড়মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে মাজদুল খেজুরের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কম রয়েছে। এটি প্রতিদিন এখন ১০০ কেজির বেশি বিক্রি হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চাহিদা বেড়ে ৫০০ কেজির বেশি হতে পারে বলেও জানান তিনি।  তিনি বলেন, সব বিক্রেতারা বর্তমানে এ শক্তিবর্ধক ফলটি কম মূল্যে বিক্রি করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে এ অফারের সুবিধা নিচ্ছেন। রমজানের আগে এখন কম দামে খেজুর কিনে উল্লেখযোগ্য সেভিংস করতে পারেন স্থানীয়রা।  ওয়াটারফ্রন্টের আরেক বিক্রেতা আনজিল এস বলেন, বর্তমানে আমাদের কাছে ৩০ প্রজাতির খেজুর রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এর আরও ধরন আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে চাহিদা আরও বাড়বে। ফলে খেজুরের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। 
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রাবিতে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী জন্ডিস আক্রান্ত, নির্বিকার প্রশাসন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত এক মাস ধরে জন্ডিসের প্রকোপ বেড়েছে। গত তিন সপ্তাহে ৩২৪ জন শিক্ষার্থী জন্ডিস পরীক্ষা করেছেন। এদের মধ্যে অন্তত ১৩১ শিক্ষার্থীর দেহে জন্ডিস ধরা পড়েছে। যা মোট পরীক্ষার ৪০ শতাংশের বেশি। ও আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে সুপেয় পানির অভাব এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনের কারণে এমনটা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।  এদিকে জন্ডিসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে একদিন মনিটরিং ছাড়া কার্যত কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা খাবার এবং পানি নিয়ে অভিযোগ করলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কয়েক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে জন্ডিসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলেও কর্তৃপক্ষ নীরব। পরিচিতদের অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। কেউ কেউ বাড়ি চলে গেছে। এই পরিস্থিতিতে খুবই আতঙ্ক কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের তথ্য অনুয়ায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে হঠাৎ জন্ডিসে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসের ১৫ তারিখ থেকে জন্ডিসে আক্রান্ত শিক্ষার্থী ও অসুস্থ হয়ে জন্ডিস পরীক্ষা করা রোগীর সংখ্যা লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। গত ২১ দিনে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত জন্ডিস পরীক্ষা করেছেন ৩২৪ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ১৩১ জন শিক্ষার্থীর দেহে জন্ডিস শনাক্ত হয়েছে। এ হিসেবে গড়ে প্রতিদিন ৬ জন শিক্ষার্থী এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ডিসে আক্রান্ত শিক্ষার্থী শামিম হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে অধিক সময় থাকার কারণে প্রতিনিয়ত বাইরেই খাওয়া হয়। খাবারের দোকানগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পানি ও খাবার পরিবেশন করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন এসব খাবার খেয়েই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছি। এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও পানি পান করতে বলেছেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক মো. তবিবুর রহমান শেখ বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে জন্ডিসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। মূলত অস্বাস্থ্যকর পানি ও খাবারের কারণে জন্ডিস দেখা দেয়। হেপাটাইসিস ‘এ’ ভাইরাসে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। অস্বাস্থ্যকর পানি ও খাবার খাওয়ার কারণেই  শিক্ষার্থীরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে মনে করেন এই চিকিৎসক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, দোকানি ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একদিন ক্যাম্পেইন করা হয়েছে। তাছাড়া ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে যেন সাবমারসিবল পাম্পের পানি পরিবেশন করা হয় সেবিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। যদি কেউ সাপ্লাইয়ের পানি সরবরাহ করে সেক্ষেত্রে তাকে জরিমানা করা হবে। পুরো ক্যাম্পাসে সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিতে চারটি সাবমারসিবল পাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ছাড়া ক্যাম্পাসজুড়ে আজ থেকে জন্ডিস বিষয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হবে।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

৪০ শতাংশ চাকরি কেড়ে নেবে এআই: আইএমএফ
বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরিতে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভাগ বসাবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। একই সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্ভবত সামগ্রিক বৈষম্যের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিলিনা জর্জিয়েভার মতে, বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে এআই চাকরির এ বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তিনি নীতিনির্ধারকদের এই প্রবণতা মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোতে এআই প্রায় ৬০ শতাংশ চাকরির ওপর প্রভাব ফেলবে বলে অনুমান করছে আইএমএফ। হচ্ছে। এর মধ্যে অর্ধেক ক্ষেত্রে কর্মীরা এআইর ইন্টিগ্রেশন থেকে উপকৃত হওয়ার আশা করতে পারেন, যা তাদের উৎপাদনশীলতা আরও বাড়াবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে এআই বর্তমানে মানুষের দ্বারা সম্পাদিত মূল কাজগুলো সম্পাদনের ক্ষমতা রাখবে। এটি শ্রমের চাহিদা কমাতে পারে, মজুরিতে প্রভাব ফেলতে পারে, এমনকি চাকরির বাজারও ধ্বংস করতে পারে। তবে আইএমএফ বলছে, এআই নিম্ন আয়ের দেশগুলোর ২৬ শতাংশের চাকরির ওপর প্রভাব ফেলবে। জর্জিয়েভা বলেন, ‘এআইর সুবিধা কাজে লাগানোর মতো অবকাঠামো বা দক্ষ জনবল অনেক নিম্ন আয়ের দেশের নেই, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তোলার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।’ জর্জিয়েভা বলেন, ‘দেশগুলোর জন্য ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি এবং ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমিকদের জন্য পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রদানের মাধ্যমে আমরা এআই রূপান্তরকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে পারি, জীবিকা রক্ষা করতে পারি এবং বৈষম্য রোধ করতে পারি।’
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

সারা দেশে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ : সিইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ সময়ে সারা দেশে গড়ে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রোববার বিকেলে আগারগাওঁয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়ে বলে জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তার আগে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় গড়ে ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট পড়ে। বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ২৮টি দল। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন আর স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন। একনজরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন- ভোটগ্রহণ : সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা। আসন : ভোট ২৯৯ আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে পরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটার : মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ আর ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ : ৪২ হাজার ১০৩টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোটের পদ্ধতি : সব আসনেই ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হবে।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ৪০ শতাংশ গাজাবাসী
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রবেশ করছে না। ফলে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিন শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। খবর আলজাজিরার। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) গাজার ইউএনআরডব্লিউএ বিষয়ক পরিচালক বলেছেন, গাজাবাসী চরম ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করছেন। প্রতিটা দিন তাদের বেঁচে থাকতে, খাবার ও পানির জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। বাস্তবতা হলো আমাদের আরও ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আমাদের সর্বশেষ আশা হলো মানবিক যুদ্ধবিরতি। ৭ অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় পূর্ণ অবরোধ আর করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ কারণে গাজার ফিলিস্তিনিরা খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও ওষুধ পাচ্ছেন না। অবশ্য মিসর হয়ে রাফাহ সীমান্তপথ দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে শুরু করলে বিপর্যয়কর মানবিক সংকটের কিছুটা লাঘব হয়। তবে তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। গত সপ্তাহে গাজায় ত্রাণ সহায়তা বাড়াতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়। তবে এই প্রস্তাবকে ‘অপর্যাপ্ত ও প্রায় অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন দাতব্য ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এর আগে গাজাবাসীকে ভয়ানক জখম, তীব্র ক্ষুধা ও অসুখ-বিসুখের ঝুঁকিসহ গুরুতর বিপদ থেকে রক্ষা করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করা বলা হয়েছে, গাজার ২৩ লাখ মানুষ চরম ক্ষুধার মধ্যে থেকে দিন পার করছেন। এদের মধ্যে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ না খেয়ে থাকার মতো অবস্থায় রয়েছেন।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঢাকা-ভাঙ্গা ট্রেনভাড়া ৪০ শতাংশ কমানোর দাবি জাতীয় কমিটির
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের ফলে রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। তবে ঢাকা-ভাঙ্গা প্রস্তাবিত ট্রেনভাড়া অন্তত ৪০ শতাংশ কমানোর দাবিও জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি।  মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজি মো. শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এই দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা-ভাঙ্গা প্রস্তাবিত ট্রেনভাড়া বিদ্যমান বাসভাড়ার চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। ফলে সাধারণ যাত্রীরা ব্যয় সংকোচনের জন্য বাসকেই প্রাধান্য দেবে এবং প্রত্যাশার তুলনায় ট্রেনযাত্রী অনেক কম হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন। ১ নভেম্বর থেকে এ পথে শুরু হবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। রেলকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা সংস্থা উল্লেখ করে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ট্রেন সেবার মান বৃদ্ধি ও জনগণের ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য এ খাতে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। প্রয়োজন হলে সরকার ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথেও ভর্তুকি দিয়ে কম ভাড়া নির্ধারণ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।   বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের এ সংক্রান্ত কমিটি ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের জন্য আন্তনগর ট্রেনে (নন-এসি) জনপ্রতি ৩৫০ টাকা এবং এসি চেয়ারে ৬৬৭ টাকা ভাড়া প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। তবে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নন-এসি ও এসি বাসের ভাড়া জনপ্রতি যথাক্রমে ২৫০ টাকা ও ৫০০ টাকা।
১০ অক্টোবর, ২০২৩
X