দেশে বিচারাধীন মামলা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার
সারা দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ২৩৫টি। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪টি দেওয়ানি এবং ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৪টি ফৌজদারি মামলা। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় এমপি এ কে আবদুল মোমেনের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান। গতকাল স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। সরকারদলীয় এমপি মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের ১০ জুন থেকে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৮টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। সরকারদলীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানানÑ ৪০, ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসের মাধ্যমে নন-ক্যাডার (৯ম-১২তম গ্রেড) পদে সাত হাজার ৪৪৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪

কাজেই আসছে না টাঙ্গাইলে ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু 
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে একটি ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতু। যার দুপাশে নেই কোনো সংযোগ সড়ক। এমনকী নেই কোনো বসতি। এ ছাড়া সেতুটির প্রায় ১০০ ফুট অদূরে রয়েছে রেললাইন। ফলে সেতু মানুষের কোনো কাজেই আসছে না। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে চরম হতাশা বিরাজ করছে। জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের মোহাইল গ্রামের গরিল্ল্যা বিলের মাঝ দিয়ে রাস্তায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-জামালপুর রেললাইনের পাশে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মোহাইল গ্রামের গরিল্ল্যা বিলের খালের রাস্তায় যে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে তার এক পাশে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। অপর পাশে সেতুটি ওঠার জন্য কিছু মাটি ফেলা আছে। দুপাশে বিল। তার ১০০ ফুট দূরে জামালপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেললাইন। অথচ সেতুর আশপাশে কোনো বসতি নেই। মোহাইল গ্রামের মো. মহসিন নামে এক ব্যবসায়ীসহ অনেকে বলেন, কয়েক বছর আগে এলাকাবাসীর জনস্বার্থে সেতুটি নির্মাণ করা খালের মধ্যে এ সেতুটি আমাদের কোনো প্রয়োজনে আসে না এবং এদিকে কোনো মানুষের যাতায়াতও নেই। সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের ওপর অযথা সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আল মাসুম বলেন, মাসখানেক আগে সেতুটি পরিদর্শন করেছি। বন্যার কারণে কয়েক মাস ধরে সংযোগ সড়ক তলিয়ে আছে। আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে শুকনো মৌসুমে দ্রুতই সংযোগ সড়ক মেরামত করে মানুষের যাতায়াতের জন্য উপযোগী করে তোলা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসফিয়া সিরাত বলেন, উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের মোহাইল গ্রামের গরিল্ল্যা বিলে যে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে সে সেতুটির দু’পাশে যদি কোনো সংযোগ সড়ক না থাকে তাহলে সেতুটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক বলেন, খালের ওপর ওই সেতুটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে করা। সেতুটি আমি দেখেছি। এলাকাবাসী জানায়, এ সেতুটি তাদের কোনো প্রয়োজনে আসে না। স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিপ্তর সেতুটি কেনো করেছে বিষয়টি আমি অবগত নই।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩

৩৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় কাঠের সাঁকো দিয়ে
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে নেই মাটি। ফলে সেতুতে চলাচলের জন্য আলাদাভাবে সংযোগ করা হয়েছে কাঠের সাঁকো।  ২০১০ সালে ইউএসএ আইডির অর্থায়নে ও কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগিতায় চরাঞ্চলে প্রান্তিক জনগণের সহযোগিতায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বালাপাড়া ইউনিয়নে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতুটি নির্মাণের প্রায় ৫ বছর পরে বন্যার পানির স্রোতে দুই পাড়ের মাটি সরে গিয়ে সেতুটির এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থাতে ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন। এমন অবস্থায় সেতু পার হতে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো ব্যবহার করছেন স্থানীয় লোকজন। ওই সেতু পার হয়ে প্রতিদিন স্থানীয় গোপীডাঙ্গা, আরাজী খোর্দ্দ ভূতছাড়া, মৌলভীবাজার ও লালমনিরহাটের রাজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। তিস্তা নদীর বন্যার পানির স্রোতে সেতুর দুই পাড়ের মাটি সরে গিয়ে সেতু হেলে পড়েছিল। তাই সেতুতে চলাচল করতে উভয় প্রান্তে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো তৈরি করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু দিয়ে লোকজন যাতে চলাচল করতে পারে, এর জন্য কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে। কোনো প্রতিকার মেলেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের সময় ভোটের লোভে সড়ক ও সেতু সংস্কার করার আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু নির্বাচনের পর আর কেউ খোঁজ রাখেন না। সাধারণ মানুষ উন্নয়নের আশায় বুক বেঁধে এমপি নির্বাচিত করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশিকে। তিনি পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলার তিনবারের এমপি ও বর্তমানে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় মানুষের বুক ভরে গেছিল। কিন্তু তিনি চরাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য তেমন কোনো প্রকল্পই গ্রহণ করেন নাই ।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমী জানান, সেতুটির বিষয়ে আমরা এরই মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। যত দ্রুত সম্ভব অর্থ বারদ্দ সাপেক্ষে সেতুটির কাজ করা হবে।
১৪ অক্টোবর, ২০২৩

মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৮ দিনে ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের ১৮তম দিনে আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযানে ১৮ দিনে ২০২ মামলায় জরিমানা ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লটে মশকবিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি ভবনের মালিককে ৪ মামলায় মোট ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম। অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন রায়ের বাজার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে দুটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।  এ ছাড়া অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন কল্যাণপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ১০৫টি বাসাবাড়ি, ভবন, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। একটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে।  অঞ্চল-২ এর আওতাধীন ৭ নং ওয়ার্ডের মিরপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. এ কে এম শফিকুর রহমান।    ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ৩টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।  অঞ্চল-০৯ এর আওতাধীন সাঈদনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ১টি গ্যারেজে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও ডিএনসিসির সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রসঙ্গত, মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সকল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দশটি টিম গঠন করা হয়েছে। দশটি টিম প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে।  
২৭ জুলাই, ২০২৩
X