এক বছরে ১২ কোটি বাস্তুচ্যুতের রেকর্ড
বিশ্বে এক বছরে সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা রেকর্ড ছুয়েছে। গত এক বছরে যুদ্ধ সহিংসতা ও নির্যাতনের কারণে ১২ কোটি মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতিনিয়ত ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।  ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, গাজা, সুদান, মিয়ানমারসহ অনেক অঞ্চলে সংঘাত চলছে। ফলে এসব অঞ্চলের মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। এজন্য বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা নতুন রেকর্ড হয়েছে।  সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এখন জাপানের মানুষের সমান। সুদানের সংঘাতের বিষয়টি উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দেশটিতে চলা সংঘাতের কারণে ৭১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর আগে দেশটিতে আরও ১৯ লাখ বাস্তুচ্যুত ছিল। এ ছাড়া ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ সুদানে ১০ লাখ ৮০ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।  বার্তাসংস্থা এএফপির তথ্যমতে, গত বছর ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গো ও মিয়ানমারে ভয়াবহ লড়াইয়ের কারণে লাখ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, গাজায় মোট ১৭ লাখ বাসিন্দা রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ লোকে বিপর্যয়কর সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এদের অনেকে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।  ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাস্তুচ্যুত রয়েছেন সিরিয়ায়। দেশটিতে এবং দেশের বাইরে মোট এক কোটি ৩৮ লাখ বাস্তুচ্যুত রয়েছেন। 
১৩ জুন, ২০২৪

সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১২ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ডায়নামিক সান এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১২ কোটি ১৬ লাখ ডলারের ঋণ চুক্তি করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি জানায়, বৈশ্বিক অর্থায়নকারীদের সহায়তায় নির্মিত দেশের প্রথম বেসরকারি খাতের ইউটিলিটি পর্যায়ের সৌর সুবিধা এটি। এতে আরও বলা হয়, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ১২১.৫৫ মিলিয়ন বা ১২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ দেয়া হচ্ছে। প্রকল্পটির আওতায় প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে বাংলাদেশের পাবনায়। যেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ১০০ মেগাওয়াট। এতে বছরে কার্বন নিঃসরণ কমবে ৯৩ হাজার ৬৫৪ টন। ঋণ প্যাকেজটি সাজানো, কাঠামো প্রস্তুত এবং সিন্ডিকেট করার ক্ষেত্রে এডিবি কেবলমাত্র ম্যান্ডেটেড লিড অ্যারেঞ্জার এবং বুকরানার। এ অর্থায়ন প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে এডিবি থেকে ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ, আইএলএক্স ফান্ডের ১ থেকে ২ কোটি ৮০৫ লাখ ডলারের সিন্ডিকেটেড বি-ঋণ, আমস্টারডামভিত্তিক ইমার্জিং মার্কেট প্রাইভেট ক্রেডিট ফান্ড, যা রেকর্ড ঋণদাতা হিসেবে এডিবির সঙ্গে দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করবে এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারের সিন্ডিকেটেড সমান্তরাল ঋণ। এডিবির বেসরকারি খাত পরিচালনা বিভাগের মহাপরিচালক সুজান গ্যাবৌরি বলেন, এশিয়ার জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে এডিবি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা করার সুযোগকে স্বাগত জানায়, যেখানে এ ধরনের প্রকল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। এই অংশীদারত্ব ক্লিন এনার্জি সুবিধাগুলোর জন্য অর্থায়ন জোগাড় এবং যেখানে এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে আরও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে আমাদের নেতৃত্বের ভূমিকার উদাহরণ। সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বার্ষিক ১৯৩.৫ গিগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং বার্ষিক ৯৩ হাজার ৬৫৪ টন কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন এড়াবে। ডিএসই প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসির (পিটি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এডিবির নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সহায়তায় বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের অন্যতম বৃহৎ সৌর প্রকল্পে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এডিবির মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্ব এসডিজির প্রতি পিটির নিবেদনকে নিশ্চিত করে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে আমাদের যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে তুলে ধরে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

চীনে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১২ কোটি মানুষ
ভারী বর্ষণের পর ভয়াবহ বন্যার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে চীনে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে গুয়াংডং প্রদেশের প্রধান নদী, জলপথ এবং জলাধারগুলো পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে প্রশাসন। এ অবস্থায় মারাত্বক ঝুঁকির মুখে পড়েছে ১২ কোটি ৭ লাখ মানুষ।   চীনা সরকারি সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গুয়াংডং প্রদেশের প্রধান নদী, জলপথ এবং জলাধারগুলো বিপজ্জনক বন্যার হুমকি দিচ্ছে। প্রদেশের ১২ কোটিরও বেশি মানুষকে রক্ষা করার জন্য জরুরি প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা দিয়ে স্থানীয় আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিজিয়াং ও বেইজিয়াং নদীর অববাহিকায় পানির স্তর বেড়ছে।  বৃহস্পতিবার থেকে গুয়াংডং প্রদেশের বিভিন্ন অংশজুড়ে মুষলধারে বর্ষণের কারণে নদীগুলোর পানি বেড়েছে এবং পাহাড়ী এলাকায় বন্যা শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে উত্তর গুয়াংডং শহরের জিয়াংওয়ানের ছয়টি গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে মানুষ আটকা পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি এবং আটকে পড়া মানুষের মোট সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে সিসিটিভি জানিয়েছে, ভূমিধসে ‘আহত’ ছয়জনকে নিকটবর্তী শহর শাওগুয়ানে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) চীনের সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শিজিয়াং এবং বেইজিয়াং নদীর পানি অনেক বেড়ে গেছে। যে কোনো সময় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। যা গত ৫০ বছরের ইতিহাসকে ভেঙে দিতে পারে।   চুচিয়াং নদীর ব-দ্বীপ অববাহিকা চীনের সবচেয়ে জনবহুল একটি অঞ্চল। এখানে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ বসবাস করেন। তবে ওই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর শোনা যায়নি। এছাড়া সাধারণ মানুষকে গণহারে সরিয়ে নেওয়ার কোনো প্রক্রিয়াও চোখে পড়েনি। আগাম বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি নির্দেশনা প্রদান করেছে চীনের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।  গুয়াংডং কর্তৃপক্ষ আগাম বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে খাবার, পানি এবং জামা কাপড় প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া পানিতে যেসব অঞ্চল ডুবে যাবে সে সব অঞ্চলের বাসিন্দাদের অন্যত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।  
২১ এপ্রিল, ২০২৪

দেশে ভোটার এখন ১২ কোটি সাড়ে ১৮ লাখ
দেশে এখন মোট ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৯৩২ জন। ভোটার তালিকা হালনাগাদে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ ভোটার বেড়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ তথ্য জানান। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এবার ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে যথাসময়ে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। খসড়া তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন ছিল। ইসির ঘোষিত সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হলেও সারা বছর সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৭৪১ এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন।
০৩ মার্চ, ২০২৪

মোট ভোটার ১২ কোটি ১৭ লাখ
হালনাগাদকৃত তালিকা অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটার এখন ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন। গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ২০ লাখ ৮৬ হাজার ১৬১ জন। গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর। ইসি জানায়, দেশের প্রতিটি উপজেলা ও থানা নির্বাচন কার্যালয়ে এ তালিকা থাকবে। খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি জানানোর শেষ সময় ৫ ফেব্রুয়ারি। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ সময় ১১ ফেব্রুয়ারি, দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত তালিকায় সন্নিবেশ করার শেষ সময় ১৮ ফেব্রুয়ারি। সবশেষে ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর এ তালিকা ধরেই হবে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী কর্মযজ্ঞের কারণে ২ তারিখে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। নতুন খসড়া তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ১৩৭, নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৯ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯২৪ জন। ইসির তথ্যানুযায়ী, গত বছরের ২ মার্চ দেশের মোট ভোটার ছিলে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এরপর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী দেশে ভোটার ছিলেন ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিলেন ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪, নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ৮৩৭ জন।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

পাঁচ লাখ তরুণ যুক্ত হয়ে ভোটার প্রায় ১২ কোটি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন সামনে রেখে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ভোটার বেড়েছে ৫ লাখ ৪০ হাজার ১৯৩ জন। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত তালিকায় ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। এ তালিকা অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আসনভিত্তিক এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। চূড়ান্ত তালিকায় পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯, নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন। ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবির জানান, এটি নির্বাচনের আগে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। এর বাইরে নির্বাচন কমিশন যদি আর কাউকে অনুমোদন দেয়, তাহলে তার নামও ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে। এর আগে গত মার্চে হালনাগাদ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছিলেন, দেশের মোট ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এরপর সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ দিয়েছিল ইসি। এতে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ১৯৩ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। সে হিসাবে পাঁচ বছরে ভোটার বেড়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৬ জন।
০৩ নভেম্বর, ২০২৩

১২ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি
পার্বত্য চট্টগ্রামে (সিএইচটি) প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য ১২ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩২৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১০.৩০ টাকা)। ২ শতাংশ সুদে ‘ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট লাইভলিহুড অ্যান্ড ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট ইন চিটাগং হিল ট্র্যাক সেক্টর’ প্রকল্পে এ ঋণ দেবে সংস্থাটি। গতকাল বুধবার এডিবির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব শরিফা খান ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং চুক্তি সই করেন। ইআরডি জানায়, প্রকল্পটির মাধ্যমে পার্বত্য এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ ওই এলাকায় বসবাসরত পিছিয়ে পড়া জনগণের কৃষি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে অংশগ্রহণ বাড়ানো হবে। এর মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে নতুন কর্মসংস্থান ও আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে। এডিবির এ ঋণের সুদহার হবে ২ শতাংশ। এ ছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ২০৩১ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর কৃষি জমিতে ফসলের তীব্রতা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ৫৭ হাজার পরিবারের মহিলাদের পানীয় জল আনতে গড় সময় ৫০ শতাংশ কমানো এবং ২০২৩ সালের বেসলাইন বছরের তুলনায় বাস, গাড়ি এবং ট্রাকের জন্য প্রকল্প-সমর্থিত রাস্তাগুলোতে গড় ভ্রমণের সময় ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেবে।
০৫ অক্টোবর, ২০২৩

এক মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রচারে ব্যয় ১২ কোটি টাকা!
নিজেদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করতে চায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। উন্নয়ন প্রচারের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘উন্নয়নের মহাসড়কে জয়রথে বিজয়ের জয়ধ্বনি’। প্রকল্পটি এরই মধ্যে অনুমোদনও পেয়েছে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সমাজসেবা অধিদপ্তর। উন্নয়ন প্রচারে খরচ হবে প্রায় ১২ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে, অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে উন্নয়ন প্রচারে এত বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিকল্পনা কমিশন এবং সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের অবদানগুলো গণমাধ্যম এবং সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উন্নয়নের মহাসড়কে জয়রথে বিজয়ের জয়ধ্বনি শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনে। দুই বছর মেয়াদি এ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয় ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৪ হাজার টাকা। সম্প্রতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর প্রস্তাব করা হলেও সম্প্রতি প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এখনো প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ হয়নি। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার পর বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হবে। বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত। যেহেতু অনুমোদন পেতে দেরি হয়েছে, তাই বাস্তবায়ন শুরুর পর মেয়াদ বাড়ানো হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল কালবেলাকে বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও জনবান্ধব উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো গণমাধ্যম এবং সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা ও তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন করা হবে। উন্নয়ন প্রচারে ১২ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়ার যৌক্তিকতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পের যৌক্তিকতা এবং প্রকল্প প্রস্তাবনায় পরিকল্পনা কমিশন সন্তুষ্ট হয়েছে বলেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমান অর্থনৈকিত সংকটের সময়ে শুধু উন্নয়ন প্রচার-প্রচারণায় এত বড় অঙ্কের টাকা ব্যয়ের প্রকল্প নেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল বিশেষজ্ঞরা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, জনগণের টাকায় জনগণের জন্য উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানান অধিকার তাদের আছে। তবে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলা হচ্ছে। অথচ শুধু উন্নয়ন প্রচার-প্রচারণার জন্য এ ধরনের প্রকল্প নেওয়া কতটুকু যৌক্তিক—সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কারণ, ১২ কোটির মতো বিশাল অঙ্কের টাকায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য আলাদা একটা প্রকল্প নেওয়া যেত। তিনি বলেন, এ অর্থ প্রচারের কাজে ব্যয় না করে সরাসরি জনস্বার্থে ব্যয়িত হলে আরও বেশি সময়োপযোগী এবং জনস্বার্থে উপকার হতো। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাজই হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উপকারে কাজ করা। এ ধরনের মন্ত্রণালয়ের জন্য উন্নয়ন প্রচারের চেয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়ন প্রচারে নেওয়া প্রকল্পে বিভিন্ন খাতে ব্যয় নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এ প্রকল্পে মূল উদ্দেশ্য প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অথচ প্রচার কাজে ব্যবহারের জন্য যানবাহন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনাকাটায় ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, অডিও-ভিডিও বা চলচ্চিত্র নির্মাণে ২ কোটি, প্রশিক্ষণে ৫০ লাখ, পরামর্শক খাতে ৫০ লাখ, সম্মানী ২০ লাখ, সেমিনার, অনুষ্ঠানাদি খাতে ৫৫ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন খাত মিলিয়ে মোট ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৪ হাজার টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ ধরনের প্রকল্পে মূল উদ্দেশ্যের তুলনায় আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় হয় বেশি। কাজেই জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠে আসে। এ ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের সুবিধা অর্জনের দিকে বেশি মনোযোগী হন। বিশেষ করে আর্থিক সংকটের মুখোমুখিতে কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলা হচ্ছে, সে সময়ে এ ধরনের প্রকল্প কতটা যৌক্তিক, সেটা বিবেচনা করা উচিত। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের অবদানগুলো গণমাধ্যম তথা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা, বিভিন্ন নীতি, আইন, বিধিমালা, কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে উপকারভোগী এবং সম্ভাব্য উপকারপ্রার্থী জনগণকে অবহিতকরণের মাধ্যমে উন্নয়নের শ্রোতধারায় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে নানা প্রচারণা ও উদ্দীপনামূলক কার্যক্রম এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে ডিএএস ব্র্যান্ডিং ও এ-সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
০৩ আগস্ট, ২০২৩
X