দায়িত্ব নিলেন বিমানবাহিনী প্রধান হাসান মাহমুদ খান
নবনিযুক্ত বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান গতকাল মঙ্গলবার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। বাহিনীর সদর দপ্তরে দুপুরে বিমানবাহিনী প্রধানের কার্যালয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ ও হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এ সময় নবনিযুক্ত বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বিদায়ী বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিমান সদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খানকে এয়ার মার্শাল র্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দায়িত্বভার গ্রহণের পর নবনিযুক্ত বিমানবাহিনী প্রধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান। একই সঙ্গে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী মহিলা কল্যাণ সমিতির (বাফওয়া) সভানেত্রী সালেহা খান জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বিমানবাহিনী প্রধান শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে পৌঁছলে বিমানবাহিনীর একটি চৌকস কন্টিনজেন্ট তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। তিনি গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এ ছাড়া তিনি সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। এর আগে সকালে বিদায়ী বিমানবাহিনী প্রধান শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন এবং তার দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিমান সদর ত্যাগ করার আগে বিমান বাহিনীর একটি চৌকস কন্টিনজেন্ট বিদায়ী বিমানবাহিনী প্রধানকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। তিনি গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। সবশেষে বিদায়ী বিমানবাহিনী প্রধান বিমান সদর ত্যাগ করার সময় সহকর্মীরা তাকে বিদায় জানান।
১২ জুন, ২০২৪

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন / গভর্নরকে বর্জন করলেন সাংবাদিকরা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। যেখানে বাজেট নিয়ে কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।   এ সময় বাজেট নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করেছেন সাংবাদিকরা। যেসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টারা। শুধু চুপ করে বসে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। সংবাদ সম্মেলনে কোনো বক্তব্য দেননি গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। যদিও তার কোনো কথা শুনবে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন সাংবাদিকরা।   সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। সে জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা কেউ তার বক্তব্য শুনব না। তিনি যেন কোনো বক্তব্য না দেন, সে বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বক্তব্য দিলে আমরা তা বয়কট করব।’ এরপর পুরো সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেননি গভর্নর। ব্যাংক নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ অন্যরা।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ প্রমুখ। এর আগে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই বাজেট পেশ করেন। প্রস্তাবিত এই বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’ দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
০৭ জুন, ২০২৪

ব্যাংক ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই : অর্থমন্ত্রী
দেশি ও বিদেশি ব্যাংক ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ক্যাশলেস সোসাইটি আর ডিজিটাল কর ব্যবস্থা প্রত্যাবর্তনে গুরুত্ব অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আব্দুল গনি রোডের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার চেষ্টা করব, যেটা এখন চলতি অর্থবছরে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ হিসাবে প্রাক্কলন করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে ধরে রাখার চেষ্টা করব। দেশে মূল্যস্ফীতি এখনো ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। চলতি বছরের শেষদিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী।  মন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের জন্য মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশে রাখা সম্ভব হয়েছে। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি তার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান প্রমুখ, এনবিআরের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।  এর আগে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই বাজেট পেশ করেন। প্রস্তাবিত এই বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’ দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
০৭ জুন, ২০২৪

বছরের শেষদিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে : অর্থমন্ত্রী
দেশে মূল্যস্ফীতি এখনো ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। চলতি বছরের শেষদিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।  শুক্রবার (৭ জুন) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আব্দুল গনি রোডের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের জন্য মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশে রাখা সম্ভব হয়েছে। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি তার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।’ সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান প্রমুখ, এনবিআরের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।  এর আগে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই বাজেট পেশ করেন। প্রস্তাবিত এই বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’ দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
০৭ জুন, ২০২৪

ইসির জন্য বরাদ্দ ১২৩০ কোটি টাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য বরাদ্দ কমিয়েছে সরকার। বাজেটে এ বছর প্রায় ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৪০৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।  বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বাজেট প্রস্তাব করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য ১ হাজার ২২৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা প্রস্তাব করছি, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৪০৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। যদিও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৭৬৯ কোটি ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। আগামী অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, দুটি সিটি করপোরেশন, চারটি পৌরসভা, ১০টি উপজেলা, ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকারের উপনির্বাচন; কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ে জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন; ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম গ্রহণ; পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত, মুদ্রণ ও বিতরণ; স্মার্টকার্ড দেওয়া; শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়সের নিচে নাগরিক নিবন্ধন ও এনআইডি দেওয়া।
০৬ জুন, ২০২৪

দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘এআই’ ব্যবহারের পরিকল্পনা
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। নদীমাতৃক এ দেশের কৃষির উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় পানিসম্পদের যথাযথ ও সুচিন্তিত ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, উপকূলীয় এলাকার পোল্ডারসমূহে ‘এআই’-ভিত্তিক মনিটরিং ব্যবস্থার আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রস্তাবিত বাজেটে দুর্যোগ মোকাবিলার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাস উপযোগী পৃথিবী গড়ে তোলা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছি। বাজেট পরিকল্পনায় তিনি বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামোসমূহকে স্বয়ংক্রিয় করার কাজ চলমান রয়েছে এবং উপকূলীয় এলাকার পোল্ডারসমূহে এআইভিত্তিক মনিটরিং ব্যবস্থার আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং এবং ইন্টারনেট অফ থিংস ৪ বিগ ডাটা ব্যবহারের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত ও আন্তঃদেশীয় পানিপ্রবাহের তথ্যাদি সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ পদ্ধতির উন্নয়ন করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। মাহমুদ আলী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান (বিসিসিএসএপি), বাংলাদেশ ক্লাইমেট ফিসক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক মুজিব ক্লাইমেন্ট প্রোসপারেটি প্ল্যান, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ইত্যাদি প্রণয়ন করা হয়েছে। সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় নেওয়া প্রকল্পের সুষ্ঠু সমন্বয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্লাইমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থায়নসংক্রান্ত কৌশল অর্থাৎ ডিসাস্টার রিস্ক ফাইন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের গভীরতা ও ব্যাপ্তি বিবেচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের সক্ষমতা বাড়ানো এবং প্রভাব কমানো-সংক্রান্ত কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে এবারের বাজেটে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। অর্থমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসের লক্ষ্যে বায়ুদূষণ বিধিমালা ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে। বায়ুদূষণ মনিটরিং করার জন্য বিভাগীয় এবং শিল্পঘন শহরে স্থাপিত সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্র এবং কম্প্যাক্ট বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্র এর মাধ্যমে প্রাপ্ত বায়ুমান মনিটরিং উপাত্তসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরাসরি অনলাইনে বিশ্লেষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং একিউআই হিসেবে ক্যালকুলেশন করে রিয়েল টাইম এয়ার কোয়লিটি সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও নদীমাতৃক এ দেশের কৃষির উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় পানি সম্পদের যথাযথ ও সুচিন্তিত ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অপরিসীম। পানি সম্পদের দক্ষ ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদীভাঙন রোধ, নদী ড্রেজিং, সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও ভূমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে গৃহীত ১৮২টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে গত তিন বছরে ৯২টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
০৬ জুন, ২০২৪

১৪ বছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে দ্বিগুণ
প্রবাসী কর্মীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত ১৪ বছরে প্রবাসী আয় দ্বিগুণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কর্মীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ১০ লাখ ৮৫ হাজার ১১৭ জন নারী কর্মীসহ মোট ৯৭ লাখ ৭ হাজার ২৫০ জন কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ১০.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিগুণ হয়ে ২১.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাহমুদ আলী বলেন, বিশ্ব শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা উন্নয়ন লক্ষ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বৈদেশিক ভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের মাধ্যমে মোট ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৭০ জনকে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ৪৩টি টিটিসির মাধ্যমে জাপানি, ইংরেজি, কোরিয়ান ও চাইনিজ ভাষাসহ বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ভাষার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০৪টি টিটিসির পাশাপাশি আরও ৫০টি টিটিসি স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ‘দেশে- বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ বছরে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৪০০ জনকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশ ফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অনুকূলে সরকার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করেছে। মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১২ হাজার ৮৯ জন ঋণগ্রহীতাকে ২৯৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে প্রবাস ফেরত আহত ও অসুস্থ কর্মীর চিকিৎসার্থে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৮৫ জনকে ১৯ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং বৈধভাবে বিদেশ গমণকারী মৃত কর্মীর পরিবারকে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৪৩৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
০৬ জুন, ২০২৪

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় কত বরাদ্দ বাড়ছে?
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়াচ্ছে সরকার। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় ১১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।  ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ বাড়ছে ১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা।  বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই বরাদ্দের কথা জানান অর্থমন্ত্রী। এদিকে, এই অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ বাড়ছে ৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। এর আগে প্রস্তাবিত এ বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’ দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে- অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.nbr.gov.bd- এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পড়তে পারবেন এবং ডাউনলোডও করা যাবে। এ ছাড়া দেশ ও দেশের বাইরে থেকে [email protected]–এ ইমেইলের মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
০৬ জুন, ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে ৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় বরাদ্দ বাড়াচ্ছে সরকার। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।  ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ বাড়ছে ৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই বরাদ্দের কথা জানান অর্থমন্ত্রী। এর আগে প্রস্তাবিত এ বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’ দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে- অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.nbr.gov.bd- এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পড়তে পারবেন এবং ডাউনলোডও করা যাবে। এ ছাড়া দেশ ও দেশের বাইরে থেকে [email protected]–এ ইমেইলের মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
০৬ জুন, ২০২৪

৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই বাজেট পেশ করেন।  এর আগে প্রস্তাবিত এই বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’ দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে- অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.nbr.gov.bd- এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পড়তে পারবেন এবং ডাউনলোডও করা যাবে। এ ছাড়া দেশ ও দেশের বাইরে থেকে [email protected]–এ ইমেইলের মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ পাঠাতে পারবেন। কমতে পারে যেসব পণ্যের দাম- এবারের বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমবে বলে জানা যায়, তার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা, সব ধরনের ফলসহ ৩০টি পণ্যে করছাড় দেওয়া হচ্ছে। ৩০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর কর কমানোর পাশাপাশি শিশুখাদ্যেও কমছে করভার। বর্তমানে আড়াই কেজি ওজন পর্যন্ত গুঁড়া দুধের ওপর করভার ৮৯.৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫৮.৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। বর্তমানে গুঁড়া দুধের বাল্ক আমদানিকারকদের জন্য মোট করভার ৩৭ শতাংশ। দেশীয় শিল্পের বিকাশে ২০২৩-২৪ বাজেটে ল্যাপটপ-কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। ফলে আমদানিকারকদের বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কসহ বর্তমানে ল্যাপটপে আমদানি মোট ৩১ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। তবে নতুন ২০২৪-২৫ বাজেটে এ পণ্যটিতে শুল্ককর ১০ শতাংশ কমিয়ে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। কৃষিজাত পণ্য বিশেষ করে পোলট্রি, গবাদিপশু ও মাছের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকি, প্রণোদনা এবং আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ককর ও ভ্যাট ছাড় দেওয়া হবে। সার, বীজ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং আরও কতিপয় শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্কহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হতে পারে। তৈরি পোশাক, ক্ষুদ্রঋণ, রেমিট্যান্স, পোলট্রি ও ফিশারি খাতেও করছাড় কমানো হতে পারে বলেও জানা যায় বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম- এবারের বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়বে বলে জানা যায়, তার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিকস খাতে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটহার বাড়িয়ে রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনসহ ইলেকট্রনিকস পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। রেফ্রিজারেটরের ভ্যাটহার ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ এবং এয়ারকন্ডিশনে নতুন করে বসছে ৫ থেকে ১০ শতাংশ। একইভাবে রাইড শেয়ারে আরোপিত সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে এবার ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। এতে রাইডে চড়ার খরচ বাড়তে পারে। বাড়ছে মোবাইল ফোনের কল খরচ, বর্তমানে গ্রাহকেরা ১০০ টাকা দিয়ে মোবাইল রিচার্জ করলে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ কেটে নেওয়ার পর ৭৩ টাকার কথা বলতে পারেন। আবারও সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানো হলে গ্রাহকেরা ১০০ টাকার মধ্যে ৬৯ টাকা ৩৫ পয়সার কথা বলতে পারবেন। গাড়ি আমদানিতে শুল্ক দিতে হবে সংসদ সদস্যদের, বর্তমানে সংসদ সদস্যরা বিনা শুল্কে গাড়ি আমদানি করতে পারেন। তবে বৈষম্য কমাতে এ সুবিধা বাতিল করতে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি হাইটেক পার্কের জন্য আমদানি করা যেসব গাড়ি আগে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেত, সেসব গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে। ব্যাগেজ নিয়ম অপরিবর্তিত থাকছে, বর্তমান নিয়মানুযায়ী একজন যাত্রী ৪ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করে ১১৭ গ্রাম স্বর্ণ আনতে পারেন। এনবিআর এটি বছরে একবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব করেছিল, তবে প্রধানমন্ত্রী এতে ভেটো দেন। প্রতিবার স্বর্ণ আনার সময় কর আদায় করা হবে, এমনকি বছরে একবারের সীমা পার করলেও। রাজস্ব আদায় বাড়াতে বিত্তবানদের ওপর বাড়তি কর আরোপের পরিকল্পনা করছে এনবিআর। ১৬ লাখ টাকার বেশি বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায়ের করহার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন খাতে কর অব্যাহতি হ্রাস এবং শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ থেকে মূলধনি আয়ের ওপর কর ছাড় প্রত্যাহারের পরিকল্পনাও রয়েছে। ম্যাঙ্গো বার ও জুস, তেঁতুলের জুস, পেয়ারার জুস, আনারসের জুস ইত্যাদি উৎপাদনে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরে বাসাবাড়ি, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন খাতে নিরাপত্তাসেবা প্রায় অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এখন এ ধরনের নিরাপত্তাসেবা নিলে ১০ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট দিতে হয়। আগামী বাজেটে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা করছে এনবিআর। মোবাইল কোর্টসহ যেসব খাতে সরকার জরিমানা ও দণ্ড আরোপ করে, সেগুলোর পরিমাণও বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। এ ছাড়া উড়ালসড়ক, এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন সেতু পারাপারের টোল, সেবা ও প্রশাসনিক মাশুল বাড়ানো হতে পারে। শূন্য শুল্কের অর্ধশতাধিক পণ্যে আগামী অর্থবছর থেকে ১ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক আরোপ হতে পারে। বর্তমানে আমদানিতে কোনো শুল্ক নেই– এমন পণ্যের সংখ্যা ৩২৯টি। এ তালিকায় আছে খাদ্যপণ্য, সার, গ্যাস, ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল, কৃষি উপকরণ ইত্যাদি। যেসব পণ্যে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানোর চিন্তা করা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে– গম, ভুট্টা, সরিষা বীজ, তুলা বীজ, বিভিন্ন শাকসবজির বীজ, কয়লা, জিপসাম, ভিটামিন, পেনিসিলিন, ইনসুলিন, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক, প্লাস্টিক কয়েল, পেপার বোর্ড, স্টিল জাতীয় পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি-যন্ত্রাংশ ইত্যাদি। শুল্ক আরোপের ফলে এসব পণ্যের জন্য মানুষকে বর্তমানের চেয়ে বাড়তি খরচ করতে হতে পারে। এসি ও ফ্রিজ উৎপাদনে ব্যয় বাড়বে বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের ইলেকট্রনিকস পণ্য খাতকে সরকার ভ্যাট অব্যাহতি দিয়ে আসছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এসি উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে। এর মেয়াদ আর না বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরে ৫ শতাংশ ভ্যাট বসতে পারে। ফ্রিজ উৎপাদনে ভ্যাটের হার বিদ্যমান ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এলইডি বাল্ব, টিউবলাইট, তরল পেট্রোলিয়ম (এলপি) গ্যাস সিলিন্ডারের মতো পণ্যেও বাড়তে পারে ভ্যাট। এসব খাতের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এর ফলে তাদের পরিচালন ব্যয় বাড়বে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়ে বাড়তি ব্যয়ের ভার ভোক্তাদের ওপরই চাপবে। হাসপাতালের সরঞ্জাম আমদানির ব্যয় বাড়বে কিছু শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে রেফারেল বা বিশেষায়িত হাসপাতাল শুল্কছাড় সুবিধায় ১ শতাংশ শুল্কে মেডিকেল যন্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানির সুযোগ রয়েছে। আগামী বাজেটে ২০০টিরও বেশি মেডিকেল যন্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে, যা গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়কে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
০৬ জুন, ২০২৪
X