উত্তর কোরিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, বিস্ফোরিত মাঝ-আকাশেই
সম্ভাব্য হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। তবে এ পরীক্ষায় সফল হতে পারেনি দেশটি। বুধবার (২৬ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এক কর্মকর্তা জানান, বুধবার একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে তা উৎক্ষেপণের পর মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোরের দিকে এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আহে দক্ষিণ সীমান্তের দিকে একটি ময়লাভর্তি বেলুন পাঠায় উত্তর কোরিয়া। এ ঘটনার জেরে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেয়ন বিমানবন্দর তিন ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়।  দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পিইংইয়ংয়ের কাছাকাছি  একটি এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিস্তারিত বিশ্লেষণ করছে।  দেশটির এক কর্মকর্তা বলেন, হাইপারসনিক বলে মনে হওয়া ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। তবে উৎক্ষেপণের পর এটি প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে।  জাপানের পক্ষ থেকেও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশটির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগরে আছড়ে পড়েছে। 
২৬ জুন, ২০২৪

সাবমেরিনে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করছে রাশিয়া
পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন সাবমেরিনে হাইপারসনিক জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র সংযুক্ত করার কথা জানিয়েছে রাশিয়া। এরই মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে দেশটি। আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন রাশিয়ার বৃহত্তম জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড শিপবিল্ডিং করপোরেশনের প্রধান আলেক্সি রাখমানভ। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিজেদের সামরিক শক্তি জোরদারে প্রতিরক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ করেছে রাশিয়া। সেনা, নৌ ও বিমানবাহনীকে নতুন নতুন যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। সবশেষ সাবমেরিনে হাইপারসনিক জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র সংযুক্ত করার কথা জানাল দেশটি। আলেক্সি রাখমানভ বলেন, ইয়াসেন-এম প্রকল্পের বহুমুখী পারমাণবিক সাবমেরিনে নিয়মিতভাবে জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হবে। এ লক্ষ্য এরই মধ্যে কাজ চলছে। ইয়াসেন শ্রেণির সাবমেরিনগুলো প্রজেক্ট ৮৮৫এম নামেও পরিচিত। সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে সোভিয়েত আমলের পুরোনো সাবমেরিনের পরিবর্তে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন এসব সাবমেরিন নির্মাণ করে রাশিয়া। আর জিরকন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শব্দের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি গতিতে ৯০০ কিলোমিটার দূরের শত্রুঘাঁটিতে আঘাত হানতে পারে। ফলে প্রচলিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা কঠিন। এর আগে গত বছর পরমাণু বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে ব্যাপক হারে জিরকন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ শুরুর কথা জানিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরই মধ্যে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ অ্যাডমিরাল গোর্শকভে  জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র সংযুক্ত করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে আটলান্টিক মহাসাগরে নিজেদের সক্ষমতার সফল পরীক্ষাও চালিয়েছে এই ‍যুদ্ধজাহাজ।    
১৪ আগস্ট, ২০২৩
X