দেশে ফিরেছেন ৫৬ হাজার ৩৩১ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৬২
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৫৬ হাজার ৩৩১ হাজি। এবার বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ জনে। এর মধ্যে ৪৯ জন পুরুষ আর ১৩ জন নারী। সোমবার (৮ জুলাই) হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। সৌদি থেকে ১৪৪টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৬৬টি ফ্লাইটে ২৪ হাজার ১৪৪ জন, সৌদি এয়ারলাইনসের ৫২টি ফ্লাইটে ১৯ হাজার ৭০২ এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৬টি ফ্লাইটে ৯ হাজার ৭১৫ হাজি দেশে ফিরেছেন। অন্য এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ২হাজার ৮০০ জন হাজি। হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব। বিষয়টি নিশ্চিত করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, নির্ধারিত সংখ্যার মধ্যে কতজন সরকারি ব্যবস্থাপনায় আর কতজন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন তা বাংলাদেশ সরকার পরে নির্ধারণ করে দেবে।
২ ঘণ্টা আগে

৫৬ বাংলাদেশির মৃত্যু, ফিরেছেন ৩২ হাজার ৮৫৬ হাজি
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) হজ পোর্টালের বুলেটিনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সে দেশে দাফন করা হচ্ছে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৩ এবং মহিলা ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪৫ জন, মদিনায় ৪ জন, মিনায় ৬ জন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন।  বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ৮৫৬ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ৮৫টি ফিরতি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৩৪টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। গত ২০ জুন থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব। এদিকে চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু এক হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। সৌদিতে উষ্ণ আবহাওয়া ও প্রচণ্ড গরমের কারণে ওই হজযাত্রীরা মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সৌদি আরবে এ বছর তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই পবিত্র হজ পালিত হয়েছে। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হজের সময় মক্কার মসজিদুল হারামে তাপমাত্রা ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। অন্যদিকে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।‌ এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৩৯ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৪ জনের পরিচয় প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল। সর্বশেষ ২৯ জুন মক্কায় সৈয়দ লিয়াকত আলী নামে (৬৪) নামে একজন হাজি মারা গেছেন।
৩০ জুন, ২০২৪

এবার হজ করতে গিয়ে ৫৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৩ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) হজ পোর্টালের বুলেটিনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৩ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুুরুষ ৪০ এবং মহিলা ১৩ জন। হজ পালন শেষে দেশে ফিরতে শুরু করেছে হজযাত্রীরা। এখন পর্যন্ত ৬১টি ফ্লাইটে ২৬ হাজার ৯০৯ হাজি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১৭টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৪টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। গত ২০ জুন থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে। এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব। হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে জানান। 
২৮ জুন, ২০২৪

দেশে ফিরেছেন ১১ হাজার ৬৪০ হাজি, মৃত্যু ৪৪
পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ১১ হাজার ৬৪০ হাজি। হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ মে) রাতে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ৩০টি ফ্লাইটে সৌদি থেকে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ১০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে। এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৩৫ এবং মহিলা ৯ জন। মক্কায় ৩৩, মদিনায় ৪, মিনায় ৬, জেদ্দায় ১ এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব। হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নির্ধারিত সংখ্যার মধ্যে কতজন সরকারি ব্যবস্থাপনায় আর কতজন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন তা বাংলাদেশ সরকার পরে নির্ধারণ করে দেবে।
২৪ জুন, ২০২৪

টানা ৮ বছর বসন্তে পালিত হবে হজ, এরপর শীতেও
তীব্র গরমে এবার পবিত্র হজ পালিত হয়েছে। তবে গরমের তীব্রতায় রেকর্ডসংখ্যক হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সৌদি আরব জানিয়েছে, আগামী বছর গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিত হবে সর্বশেষ হজ। এরপর বসন্ত ও শীতে হজ পালিত হবে। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের সদস্য ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক গবেষক ড. মনসুর আল মাজরু জানান, ২০২৫ সালে গ্রীষ্মে হজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২০২৬ সাল থেকে হজ বসন্তকালে অনুষ্ঠিত হবে। টানা আট বছর বসন্তে পালিত হবে হজের যাবতীয় কার্যক্রম। এরপর শীতেও হজ অনুষ্ঠিত হবে। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এমনটি ঘটবে।  তিনি বলেন, আগামী মৌসুমে গ্রীষ্মে হজ হবে। এরপর আট বছর বসন্তে চলে যাবে হজের কার্যক্রম। তারপর শীতকালে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।  গালফ নিউজ জানিয়েছে, সারাবিশ্বের মুসল্লিরা আগামী বছর গ্রীষ্মে শেষ হজ পালন কররেন। এরপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বসন্তকালে অনুষ্ঠিত হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।  সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেটকে দেশটির আবহাওয়া কেন্দ্রের মুখপাত্র হুসেইন আল কাহতানি বলেন, আমরা আগামী ১৭ বছর গ্রীষ্মকালে হজ প্রত্যক্ষ করব না। অর্থাৎ আগামী ১৭ বছর অন্য ঋতুতে হজের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।  এমন ঘটার কারণ  হজের কার্যক্রম আরবি চন্দ্রমাস অনুসারে পালিত হয়। এ কারণে চন্দ্রমাসের হিসাব অনুসারে বসন্ত ও শীতকালে চলে যাবে হজের কার্যক্রম।  আবহাওয়া কেন্দ্রের মুখপাত্র হুসেইন আল কাহতানির বরাতে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ঋতুকালীন সময় উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তনের ফলে চন্দ্রমাসের ক্যালেন্ডার প্রতিবছর ১০ দিন পিছিয়ে যায়। ফলে প্রতিবছর হজের তারিখও ১০ দিন পিছিয়ে যায়। হজযাত্রার সময় পরিবর্তন হলে এটি হজযাত্রীদের তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দেবে বলেও জানান তিনি।  এবার হজে যত হাজির মৃত্যু  চলতি বছর হজের মৌসুমে তীব্র গরমে সৌদিতে এক হাজারের বেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মারা যাওয়া এসব হজযাত্রীদের বেশিরভাগ নিবন্ধিত ছিলেন না। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর পবিত্র মক্কা নগরীতে তাপমাত্রা প্রায় ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। চলতি হজের মৌসুমে তীব্র গরমে এক হাজারের বেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। তাদের অর্ধেকের বেশি ছিলেন অনিবন্ধিত হাজি। একটি কূটনীতিক সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর হজের মৌসুমে ৬৫৮ জন মিসরীয় হাজি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৬৩০ জনই ছিলেন অনিবন্ধিত। এছাড়া এ বছর প্রায় ১০টি দেশ এক হাজার ৮১ জন হজযাত্রীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক আরব কূটনীতিক জানান, আরাফার দিবসের আগে নিরাপত্তা বাহিনী তাড়া করলে অনিবন্ধিত হাজিরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তীব্র গরমে তারা নিস্তেজ হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, এসব হজযাত্রীর মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল উচ্চ তাপমাত্রা। যা উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা তৈরি করে। হজে গিয়ে নাগরিকদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মালয়েশিয়া, ভারত, জর্ডান, ইরান, সেনেগাল, তিউনিসিয়া, সুদান এবং ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানও। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এসব দেশ মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করেনি।
২৩ জুন, ২০২৪

৪১৯ হাজি নিয়ে ফিরল প্রথম হজ ফ্লাইট
পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে ফিরতি ফ্লাইট। গতকাল শুক্রবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪১৯ হাজিকে নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ফ্লাইট (বিজি ৩৩২) অবতরণ করে। ধর্ম মন্ত্রণালয়, সিভিল এভিয়েশন ও বিমানের কর্মকর্তারা হাজিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। আগত হজযাত্রীরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সার্বিক সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। ঢাকার উদ্দেশে প্রথম ফ্লাইটটি সৌদির কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর ছাড়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায়। গত কয়েক বছরের মতো এবারও ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে হাজিদের মধ্যে জমজমের পানি বিতরণ করা হয়। গতকাল প্রথম ফ্লাইটে আগত হাজিদের জমজমের পানি বিতরণে স্থাপিত বিমানের বুথ থেকে জমজমের পানি বিতরণ করা হয়। এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. আল মাসুদ খান জানিয়েছেন, শুক্রবারের ফ্লাইটের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পোস্ট ফ্লাইট অপারেশনসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি জানান, এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১০৭টি ফ্লাইটের মাধ্যমে ৪০ হাজার ৯৬৭ হজযাত্রীকে সৌদি আরব পৌঁছে দেয়। ১২৫টি ফ্লাইটের মাধ্যমে হাজিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে, যা ২২ জুলাই পর্যন্ত চলবে। ফিরতি ফ্লাইটের মধ্যে মদিনা থেকে ৩৪টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে, যার মধ্যে মদিনা-চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা-সিলেট রুটে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। জেদ্দা থেকে ৯১টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে, এর মধ্যে জেদ্দা-চট্টগ্রাম-ঢাকা ১২টি ফ্লাইট এবং জেদ্দা-সিলেট-ঢাকা পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। প্রথম ফ্লাইটে দেশে ফেরা হাজিদের স্বাগত জানাতে গতকাল বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমানের পরিচালক (গ্রাহকসেবা) হায়াত-উদ-দৌলা খান এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামসহ বেবিচক ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা।
২২ জুন, ২০২৪

প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরলেন ৪১৭ যাত্রী
হজ শেষে প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৪১৭ জন যাত্রী। শুক্রবার (২১ জুন) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে হাজিদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে হাজিদের স্বাগত জানাতে স্বজনদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বেবিচক চেয়ারম্যান, বিমানের এমডিসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  বিমানের এমডি জানান, ফিরতি হজ ফ্লাইট ভোগান্তিহীন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। এদিকে সৌদি আরবে গতকাল বৃহস্পতিবার আরও একজন হাজি মারা গেছেন। তার নাম মো. ইদিস খান (৬৬), পাসপোর্ট নম্বর ইএফ০৫৯৪০৮৪। এ পর্যন্ত মোট ৩১ জন হজযাত্রী মারা গেছেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি হজযাত্রীর কোটা ছিল ৪ হাজার ৫৬২ ও বেসরকারি হজযাত্রীর কোটা ৮০ হাজার ৬৯৫।  বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, হাজিদের যাওয়া-আসার পথে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছেন। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে, হজ ব্যবস্থাপনা আরও সুচারুভাবে হবে। ৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ২১৮টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১০৬টি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট ৭৫টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট ৩৭টি। এসব ফ্লাইটে সর্বমোট ৮৫ হাজার ২২৫ হজযাত্রী সৌদি আরবে যান।    
২১ জুন, ২০২৪

আজ দেশে ফিরবেন ৮৩৯ হাজি
হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন), যা শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। প্রথমদিনে ৮৩৯ জন হাজির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গত শনিবার (১৫ জুন) চলতি বছরের হজ অনুষ্ঠিত হয়। ১২ জিলহজ জামারায় পাথর নিক্ষেপ করার শেষ দিন, হাজিরা পর্যায়ক্রমে ছোট, মধ্যম এবং বড় জামারায় পাথর নিক্ষেপ করার মধ্য দিয়ে শেষ করেন হজের আনুষ্ঠানিকতা। এবার ৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ২১৮টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১০৬টি, সৌদি এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৭৫টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৩৭টি। এসব ফ্লাইটে সর্বমোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। দেশে ফেরার সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস অর্ধেক হজযাত্রী পরিবহন করবে। বাকি অর্ধেক পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইনস ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস। অপরদিকে চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মোট ২১ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। হজ পোর্টালের হেল্পডেস্কের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে মোট ২১ বাংলাদেশি মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ হজযাত্রী ১৮ জন, নারী হজযাত্রী ৩ জন। মক্কায় ১৬ জন, মদিনায় চারজন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন।
২০ জুন, ২০২৪

হজে ২১ বাংলাদেশির মৃত্যু, ফিরতি ফ্লাইট শুরু বৃহস্পতিবার
চলতি বছরে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। এখন হাজিদের নিজ নিজ দেশে ফেরার পালা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ জুন) থেকে বাংলাদেশি হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় হাজিদের নিয়ে মদিনা থেকে ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। আগামী ২২ জুলাই ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে। এদিকে হজ পালনে গিয়ে ২১ বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, নারী ৩ জন। মক্কায় ১৬ জন, মদিনায় ৪ জন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যান। চলতি বছর তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই শুরু হয় হজ। ফলে এ বছর হজের সময় অন্তত সাড়ে ৫০০ হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে। এর মধ্যে ৩২৩ জন মিসরের নাগরিক, যাদের বেশির ভাগ তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। অপরদিকে জর্ডানের অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কূটনীতিকরা বলছেন, আম্মান কর্তৃক মঙ্গলবারের আগে দেওয়া এ সংখ্যা ছিল ৪১। এএফপির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত একাধিক দেশ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে হজযাত্রী মৃতের সংখ্যা ৫৭৭। আল-মুয়াইসেমের মর্গে ৫৫০ জনের মরদেহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কূটনীতিকরা। এদিকে সৌদি কর্তৃপক্ষ হজযাত্রী মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গরমে অসুস্থ হয়ে ২ হাজারজনের বেশি হজযাত্রীর চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে। গত বছর বিভিন্ন দেশের অন্তত ২৪০ হজযাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। যাদের অধিকাংশই ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষ হজ করতে সৌদি আরব যান। চলতি বছর সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশ মিলিয়ে হজে অংশ নিয়েছেন মোট ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৪ জন। এর মধ্যে বিদেশি রয়েছেন ১৬ লাখ ১১ হাজার ৩১০ জন এবং সৌদি নাগরিক ও দেশটিতে অবস্থানকারী প্রবাসী মিলিয়ে হজে অংশ নিয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৮৫৪ জন। সৌদি আরবের সরকারি পরিসংখ্যান অফিস ‘জেনারেল অথরিটি ফর স্ট্যাটিস্টিকস’ (জিএএসটিএটি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাতে সৌদি গেজেট হজে অংশগ্রহণকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে। জিএএসটিএটি বলছে, স্থানীয় ও বিদেশি মিলিয়ে এবার ৯ লাখ ৫৮ হাজার ১৩৭ জন পুরুষ হজে অংশ নিয়েছেন; নারী রয়েছেন ৮ লাখ ৭৫ হাজার ২৭ জন। মোট অংশগ্রহণকারীর মধ্যে আরব দেশগুলো থেকে গেছেন ২২ দশমিক ৩ শতাংশ। এশিয়ার ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ, আফ্রিকার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের হজযাত্রী রয়েছেন ৩ দশমিক ২ শতাংশ। এর মধ্যে সৌদি আরবে উড়োজাহাজে করে গেছেন ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৪৫ জন, স্থলপথে ৬০ হাজার ২৫১ জন এবং সমুদ্রবন্দর হয়ে হজে গেছেন ৪ হাজার ৭১৪ জন। এবার বাংলাদেশ থেকে হজ করতে সৌদি আরব গেছেন ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ।
১৯ জুন, ২০২৪

হজ শেষে কোরবানির লাখো পশুর মাংস কী করে সৌদি আরব?
প্রতি বছর আরাফাতের ময়দানে হাজির হন বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেখানে দেওয়া হয় পশু কোরবানি। ২০ লাখেরও বেশি মানুষ হজ পালন শেষে কোরবানি দিয়ে থাকেন। এ লাখো পশুর বিপুল মাংস নিজেরা আর কতটাই বা ভোগ করেন। বিদেশে দেওয়ার মতো আত্মীয়স্বজনও নেই। দুস্থ মিসকিনও নেই বললেই চলে। তাহলে এই বিপুল মাংসের কী হয় সেখানে? একটা সময় ছিল হাজিদের অনেকেই কোরবানির মাংসগুলো শুকিয়ে সংরক্ষণ করতেন। কেউ  আবার নিরুপায় হয়ে মাংস রাস্তায় ফেলে দিতেন। অনেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের বিড়ম্বনায় মাংস মাটিতেই পুঁতে ফেলতেন, যা শুধু অপচয়ই না, পরিবেশেরও ক্ষতি করত। ১৯৮৩ সালে প্রথম মক্কা মিনা ও আশপাশের এলাকার পরিবেশ রক্ষার্থে কোরবানির মাংস কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। যে উদ্যোগে শুধু পরিবেশই রক্ষা হয়নি মুসলিম বিশ্বের ২৭ দেশের তিন কোটিরও বেশি মানুষের খাবারের সংস্থান করা গেছে। ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা আইডিবি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২৫ বছর আগে ওয়াইসেমে একটি স্বয়ংক্রিয় কসাইখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।   পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কসাই ও প্রশাসকসহ ৪০ হাজারের বেশি কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় এখানে। হজের সময় জবাই করা লাখ লাখ ভেড়া, গরু ও উটের মাংস এখানে প্রসেস করা হয়। শুধু মাংসই নয়, দিনে ৫০০ টন ময়লা প্রসেস করতে পারে এমন প্ল্যান্টও সেখানে স্থাপন করা হয়। এই প্ল্যান্ট ময়লাগুলোকে সারে রূপান্তরিত করে।   কোরবানির মাংসও নিয়ম মেনে বণ্টন করা হয় এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। পাশাপাশি মসজিদুল হারামের আশপাশে দরিদ্রদের মধ্যে মাংস বিতরণ শুরু হয়। মুসলিম দেশগুলোতে সেই মাংস পাঠানো হয় মহরম মাসের প্রথম দিন। ২৫০টি দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে সৌদি আরবের মধ্যেও মাংস বিতরণ করা হয়।   প্রকল্পটি মোট ১০টি সরকারি সংস্থা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়। হাজিরা চার উপায়ে পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। তবে হাজিদের বড় একটি অংশ আইডিবির ওপর কোরবানির দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এতে সময় ও ঝঞ্ঝাট  থেকে বাঁচা যায়, আবার প্রতারিত হওয়ার শঙ্কাও থাকে না।  কোরবানির জন্য একজন হাজিকে ৮০০ রিয়েলের মতো জমা দিতে হয়। পশুর দাম, কসাই খানার খরচ ,মাংস সংরক্ষণ ও দেশে দেশে গরিব মুসলিমদের মধ্যে মাংস বিতরণের খরচও এর মধ্যে সামিল থাকে। আইডিবির সেই প্রকল্পের অংস হিসেবে প্রতি বছর বাংলাদেশেও আসে দুম্বার মাংস। সেই মাংস দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এরই মধ্যে প্রকল্পটি বিশ্বব্যাপী বিপুলসংখ্যক দরিদ্র মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে। এখন বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি ঘরে এই মাংস বিতরণ করা হয়।
১৯ জুন, ২০২৪
X