স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে বাউবি বদ্ধপরিকর
শতভাগ নাগরিককে শিক্ষার আওতায় এনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়-বাউবি। এ ছাড়াও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। গতকাল গাজীপুর কালিয়াকৈর ভৃঙ্গরাজ তালেবাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় বাউবির ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের নতুন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ও বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ভৃঙ্গরাজ তালেবাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. নাসিম বানু ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মাহবুবা নাসরীন, ওপেন স্কুলের ডিন ড. সাবিনা ইয়াসমিন ও স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক ড. আনিস রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এসএসসি প্রোগ্রামের ভর্তি কমিটির সভাপতি ও ওপেন স্কুলের শিক্ষক ড. মো. জাকিরুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিবুর রহমান এবং শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও ববিতা আক্তার। সে সময় উপস্থিত ছিলেন বাউবির তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. আ ফ ম মেজবাহউদ্দিন, এসএসসি প্রোগ্রামের ভর্তি কমিটির সদস্য ড. ইকবাল হুসাইন প্রমুখ।
৩ ঘণ্টা আগে

স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রধান পরামর্শক মোস্তাফিজ
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির প্রধান পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আইন অনুযায়ী তাকে তার অভোগকৃত অবসরোত্তর ছুটি এবং এ-সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে সরকারের জ্যেষ্ঠ সচিব পদমর্যাদার বেতন-ভাতা ও অন্য সুবিধাদিসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির ‘প্রধান পরামর্শক’ নিয়োগ দেওয়া হলো। এ পদে দায়িত্ব পালনে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্তি দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পিআরএলে যান মোস্তাফিজুর রহমান। অবসরে যাওয়ার এক দিন আগে তাকে সিনিয়র সচিব করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের দশম ব্যাচের কর্মকর্তা। জননিরাপত্তা বিভাগের আগে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
০৫ জুলাই, ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রধান পরামর্শক মোস্তাফিজুর
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির প্রধান পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসর উত্তর ছুটি (পিআরএল) ভোগরত সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।  তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। গত ২৪ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পিআরএলে যান মোস্তাফিজুর রহমান। অবসরে যাওয়ার একদিন আগে তাকে সিনিয়র সচিব করা হয়েছিল। মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান পরামর্শক নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী তাকে তার অভোগকৃত অবসরোত্তর ছুটি ও এ সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে সরকারের জ্যেষ্ঠ সচিব পদমর্যাদার বেতনভাতা ও অন্য সুবিধাদিসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির ‘প্রধান পরামর্শক’ নিয়োগ দেওয়া হলো। এ পদে দায়িত্ব পালনে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্তি দেওয়া হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০ম ব্যাচের কর্মকর্তা। জননিরাপত্তা বিভাগের আগে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
০৪ জুলাই, ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট শিশু গড়ে তুলতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ একটি প্রতিশ্রুতি যা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করার পরিকল্পনা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের গড়ে তুলতে হবে স্মার্ট শিশু যাদের জ্ঞান, বুদ্ধি এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে ‘ভিশন ২০৪১’ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে ঢাকার মহাখালীতে আইসিডিডিআরবি সাসাকাওয়া অডিটরিয়ামে আইসিডিডিআরবি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনারে ডা. সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আইসিডিডিআরবি আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংক্রান্ত এমন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা দেশের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, গবেষণা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে আইসিডিডিআরবি গবেষণা, প্রশিক্ষণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার, আইসিডিডিআরবি এর চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ইউনিট এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে একত্রিত হয়ে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল (৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীকে বলছিলাম, আমি শুধু সোমবার আর মঙ্গলবার ঢাকা থাকবো আর বাকী কয়দিন সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করব। আমি যদি উপজেলা, জেলা কমিউনিটি ক্লিনিক, হাসপাতাল এগুলোকে উন্নত করতে পারি। আমার রোগীর ওখানে যথাযথ চিকিৎসা হয় তাহলে ঢাকা শহরে রোগীদের ভিড় হবে না। সাধারণ মানুষের যাতে উপকার হয় সে লক্ষে কাজ করতে হবে। আইসিডিডিআরবি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তারা প্রশংসনীয়ভাবে গ্রামেগঞ্জে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী আরও বলেন, শিশুদের বিকাশ, স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আরও সুন্দর করে আমরা যদি তাদেরকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা এগিয়ে যাবো। আইসিডিডিআরবির প্রধান নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
০৪ জুলাই, ২০২৪

বিএনপির দল সমন্বয় ও আ.লীগের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ
বিএনপিতে দ্বৈতশাসন প্রক্রিয়া নতুন কিছু নয়। খালেদা জিয়া যতদিন সক্রিয় ছিলেন রাজনীতি ও জেলের বাইরে ছিলেন, তখন প্রকাশ্যে এই বিষয়গুলো নিয়ে কেউ কিছু বলেননি বা কেউ কিছু বলার হয়ত বা সাহস করেননি। এখন দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। একসময় সবাই খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত মানতেন। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় যেদিন থেকে দলে দ্বৈতশাসন শুরু হলো, সেদিন থেকে সবার মাঝে এমনকি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অস্বস্তি বাড়তে শুরু করল। দ্বৈত শাসন প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপির নেতাদের অনেকেই বলছেন বা বলার চেষ্টা করছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণেই বিএনপি নেতৃত্বের বিভিন্ন পর্যায়ে এই রদবদল আনা হয়েছে। তবে সেই পরিবর্তন তো দিনের বেলায় হতে পারত। অনেকে প্রশ্ন তোলেন যে আন্দোলনের ব্যর্থতার দায় তো নেতাদের নিতে হবে বা সেই দায় সর্বোচ্চ নেতৃত্বের ওপরই পড়ে। আন্দোলন সফল হলেও কৃতিত্ব যেমন দলের নেতাকর্মী সবার আবার আন্দোলন সংগ্রাম ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলেও সে দায়িত্ব নেতাকর্মী সবার। নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতৃত্ব আন্দোলন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো বিকল্প রাখেননি। তারা এক দফাকে সামনে রেখে আন্দোলন করেছেন। নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই এক দফার আন্দোলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুবার জয়ী হয়েছেন। বিএনপি নেতারা ভেবেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারলে তারা কেন পারবেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগ জনগণের দল, যেভাবে জনগণকে বিএনপির বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলকে একত্র করতে পেরেছিল, বিএনপি সেটা করতে পেরেছে? এক কথায় পারেনি। আওয়ামী লীগ এ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে, দেশকে স্বাধীন করেছে, দেশকে সমৃদ্ধি দিয়েছে, তাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা খুব সহজ বিষয় নয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেন, ‘তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি, দুর্নীতিবাজ, খুন, সন্ত্রাস, অস্ত্র চোরাকারবারি, অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, মানি লন্ডারিং এসব কারণে সাজাপ্রাপ্ত। এই সাজাপ্রাপ্ত আসামি দলের ওপর ভর করে তার দলের ক্ষতি করছে। তারেক রহমান দুর্নীতি সন্ত্রাস বোমা হামলাকারী, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত ওইসব আসামিদেরই দলে ভেড়াচ্ছে যা সাধারণ মানুষ কোনো দিন গ্রহণ করবে না। বাংলাদেশের দুর্নীতিতে, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে, নারী কেলেঙ্কারি, শিক্ষায় এবং সর্বক্ষেত্রে দুর্বৃত্তায়নে চ্যাম্পিয়ন তারেক রহমান। বিএনপির টপ টু বটম সবাই দুর্নীতিবাজ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অস্ত্র ও দুর্নীতির মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়েছে। এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি ভোগের ব্যবস্থা করতে হবে, প্রধানমন্ত্রী সে কথাই বলেছেন।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে এই বর্ণচোরারা দেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার আদর্শ মানে না। এরা গণতন্ত্রকে গিলে খেয়ে লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে উদ্ধার করেছেন। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা, অর্থনীতির অগ্রযাত্রা, মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা চেতনা বিকাশের অগ্রযাত্রার সাফল্য ফিরিয়ে এনেছেন। ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ কেমন ছিল? বাংলাদেশের অর্থনীতি কেমন ছিল? আর ১৫ বছর পরের বাংলাদেশ কেমন হয়েছে? আমাদের ভুলত্রুটি আছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অতীতের ভুলত্রুটি থেকে আমরা শিক্ষা নেব’। যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে জানুয়ারি মাসে, বিএনপির অনেক নেতা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এই সরকার তিন মাস টিকবে না, এখন মাঝরাতের তাদের বড় রদবদল কী প্রমাণ করে সে জন্য সবাইকে আরও একটু সময় দিতে হবে। এটা কী তাদের দলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ঘুরে দাঁড়ানো, না বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি নিয়ে বিএনপিতে কোন্দল হানাহানি শুরু হয়েছিল সেটি সমাধানের একটি সাময়িক সমাধান?  একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের সরকারের যেমন সদিচ্ছা ছিল, তার প্রতি জনগণের সমর্থন ছিল, হয়েছেও তাই। নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হওয়ার বড় প্রমাণ ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী পাস করেছেন। যাদের অনেকে নৌকার মাঝিদের হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু বিএনপি কোন দাবি পূরণ করতে রাস্তায় নেমেছে জনগণ সেটা বুঝতে পারেনি। নির্বাচন নিয়ে তাদের বিস্তারিত পরিকল্পনা জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারেনি। বিএনপি নেতাদের একাংশ ভেবেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এসে নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন করে দিয়ে যাবে। মার্কিন কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের কথাবার্তা তাদের অতিমাত্রায় আশাবাদী করে তুলেছিল বলেই পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। বিএনপির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া দেখে জনগণের মনে হয় দেশের ভেতরের সমস্যা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা কম, বেশি সমস্যা বিদেশবিষয়ক কমিটি নিয়ে। বিশাল আকারে দুটি কমিটি করা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি এবং স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি। প্রথমটি তারেক রহমানসহ ১১ জন এবং দ্বিতীয়টি ১৮ জনকে নিয়ে। বলা হয়, বিদেশবিষয়ক আগের কমিটি বৃহৎ দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারেনি বলেই এই পুনর্গঠন।  নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতারা বলতেন সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না। তার আগেই সরকারের পতন হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে বিএনপির বিরোধিতা সত্ত্বেও সরকার নির্বাচন করেছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হতেই হতো। বিএনপির নেতারা যে বিদেশি শক্তির সহায়তায় রাজনীতির গতিপথ বদলের চিন্তা করেছিলেন, তারা এসে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে নতুন হিসাব-নিকাশে বসে। বিএনপির কমিটির এই ভাঙাগড়া ও নেতাদের দায়িত্ব বদল স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, না ঝড়ের পূর্বাভাস? বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা উল্লেখ করছেন, এটা দলের নেতৃত্বের সমন্বয়। বিএনপির নেতৃত্বের এই সমন্বয় দলকে কতটা সংহত ও আন্দোলনমুখী করবে তার জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।  বিএনপির শক্তি কোথায়? নেতৃত্বে নয়, তৃণমূলের নেতাকর্মীতে নয়? তাহলে ভরসাটা কোথায়। দলটি ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে। বিএনপির নেতারা মনে করেন, বৈরী পরিবেশে তারা দলের সম্মেলন করতে পারছেন না, শেষ সম্মেলন হয় ২০১৬ সালে। বিএনপির দলের ভেতরে গণতন্ত্র আছে? এই প্রশ্ন সব রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের। এখানে যোগ্য নেতাদের উপেক্ষার কথা শোনা যায়, পর্যবেক্ষকরাও মনে করেন আগে দলের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা জরুরি। কিন্তু দ্বৈতশাসন প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্র দলে কতটুকু জায়গা করে নিতে পারবে সেটা সময় বলে দেবে। একসময় নির্দিষ্ট সময় পার হলেই সম্মেলন হতো, তখনো কি কাউন্সিলরদের ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচিত হতো? হতো না। সবকিছু হয় ওপরের নির্দেশে। নেতাদের পকেটে কমিটি থাকে। একসময় ছাত্রদল ও যুবদল বিএনপির মূল শক্তি ছিল। বিশেষ করে এরশাদের সামরিক শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের প্রাধান্য ছিল। ডাকসুতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে জিততে হয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয় ছাত্রলীগ ও জাসদ ছাত্রলীগের সহায়তায় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে। ছাত্রদল এককভাবে জয়ী হয়েছে। অথচ ২০১৯ সালে যে ডাকসুর নির্বাচন হয়েছিল, তাতে ছাত্রদলের অবস্থান ছিল অনেক পেছনে। এর কারণ আসলে কী? ছাত্রদল নতুনদের বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বেশি আকৃষ্ট করতে পারছে না। অনেক সময় গণমাধ্যমের খবরে দেখা যায় বুড়ো খোকা বা বিবাহিতদের নিয়ে নিয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়। পারিবারিক কারণে যারা ছাত্রদল করে এসেছেন তাদের নিয়েই কমিটি গঠিত হয় বা নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সামনে নিয়ে আসা হয়। ছাত্রদলের দুরবস্থার কারণে যুবদলও সাংগঠনিকভাবে শক্ত অবস্থানে আসতে পারেনি। আমাদের দেশে একসময় পেশাজীবী সংগঠনগুলো স্বকীয়তা নিয়ে চলত। যে রাজনীতির প্রতিই সমর্থন থাকুক না কেন, পেশাজীবীরা পেশাগত বিষয়টিই অগ্রাধিকার দিতেন। দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করতেন। কিন্তু এখন পেশাজীবী সংগঠনগুলো পেশাগত বিষয়ের চেয়ে দলীয় রাজনীতিকে মুখ্যভাবে দেখা হয়। রাজনৈতিক কারণে অধিকাংশ পেশাজীবী সংগঠন ভাগ হয়ে যায় যেমন সাংবাদিক ইউনিয়ন। সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে পূর্বসূরিরা এই সংগঠন গড়ে তোলেন। এরশাদের শাসনামল পর্যন্ত সব সাংবাদিক এক সংগঠনের ব্যানারে কাজ করতেন। কিন্তু নব্বই-পরবর্তী তারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শিবিরে ভাগ হয়ে যান। একইভাবে শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসাবিদ, কৃষিবিদ ও প্রকৌশলীদের সংগঠনও হয় বিভক্ত হয়ে যায় অথবা মূল সংগঠনের চেয়ে দলীয় ফোরাম অধিক গুরুত্ব পায়। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনই বারবার প্রমাণ করেছে তারা দেশের জনগণের জন্য নয়, রাজনীতি করেন ক্ষমতার লোভে। তাদের শাসনামলে তারেকের কারণে দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চায় দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, সন্ত্রাসের দেশ এমন বাংলাদেশ সাধারণ জনগণ আর চায় না। এখন বাংলাদেশের জনগণ স্মার্ট বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ নামে নতুন একটি রূপকল্পের কথা সামনে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা এই শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত, কেননা উন্নত বিশ্বের দেশগুলো তো এরই মধ্যে স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত হয়েছে, এমনকি অনেক উন্নয়নশীল দেশও স্মার্ট দেশে রূপান্তরের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে, তাই দেশের উন্নতি এবং অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে হবে।  আগামীতে যেসব দেশ প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে থাকবে তারাই— ব্যাবসা-বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক লেনদেন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় তৈরি করতে পারবে। দেড় যুগ আগে বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের মতোই ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল, যার শতভাগ সফলতা এখন দৃশ্যমান। গণমাধ্যমের খবরে জানা যায় দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার হটাতে। তাই গত কয়েক মাস ধরে দেশের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে। দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে আঘাত হানার চেষ্টা করছে একটি চক্র। যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিদেশে পলাতক নেতারা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিএনপিপন্থি একটি চক্রকে নিয়োগ করা হয়েছে বৈধপথে রেমিট্যান্স আসা ঠেকাতে।  কমিশনের বিনিময়ে হুন্ডি সেলও গঠন করেছে দলটি গণমাধ্যমের খবরে বিষয়টি উঠে এসেছে। মূলত বিদেশ থেকে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় বাধা হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। যে হুন্ডি ব্যবসার মূল নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপির বিদেশে পলাতক নেতারা। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ বেশ কিছু দেশে আধিপত্য বিরাজ করছে এই সিন্ডিকেট। জানা গেছে, সাধারণ প্রবাসীদের নানা গুজব ও ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে উৎসাহ প্রদান করে ওই সেলের সদস্যরা। বড় অঙ্কের কমিশনও দেওয়া হয় দল থেকে। এদিকে লন্ডন বিএনপির নেতারা ইউরোপকেন্দ্রিক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। আর মালয়েশিয়া বিএনপি নেতাদের হাতে রয়েছে হুন্ডির বিশাল সিন্ডিকেট। সিঙ্গাপুরে রয়েছে বিএনপি নেতাদের একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান। সিঙ্গাপুরের ওই অফিসে বিএনপি নেতারা কেউ কেউ সেখানে যান হুন্ডির কমিশন আনতে। আর সৌদি-দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে স্বাধীনতাবিরোধী ক্যাডারদের আধিপত্য রয়েছে। বিশিষ্টজনরা বলছেন, হুন্ডি একটি দেশের অর্থনীতির অনেক ক্ষতি করতে পারে। তাই যতদ্রুত সম্ভব ওই প্রক্রিয়া থেকে দেশের রেমিট্যান্স প্রক্রিয়াকে মুক্ত করতে হবে। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বৈধ পথে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে হবে। প্রবাসীদের উদ্দেশে তারা বলেন, সরকারি প্রণোদনা ও সুবিধা পেতে এবং নিজের অর্থের সুষ্ঠু বণ্টনে অবশ্যই বৈধপথে টাকা লেনদেন করতে হবে সবাইকে। মাদক থেকে দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়।  আমাদের সমাজ এর থেকে মুক্তি লাভ করুক। আমরা চাই জনপ্রতিনিধিরা জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ যত্নবান হবেন। লেখক : প্রাবন্ধিক, গবেষক ও কলামিস্ট
৩০ জুন, ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একসঙ্গে কাজ করতে হবে
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মচারীদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। যৌথ প্রচেষ্টার পাশাপাশি তাদের মধ্যে থাকতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। গতকাল শনিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন, ঢাকা আয়োজিত ঢাকা জেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মচারী সবাই এদেশের নাগরিক। সবাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোনো বাধাই সামনে দাঁড়াতে পারবে না। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে দুপক্ষকেই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল বলেন, ঢাকা জেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রম স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি মাইলফলক। ক্যাশলেসের কারণে রাজস্ব সংগ্রহ বহুগুণ বাড়বে। এই সেবা শুধু ঢাকা জেলা নয়, সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রম চালু করতে হবে। তিনি আরও বলেন, শুধু রাজস্ব আদায় নয়, স্মার্ট ক্যাশলেস সেবার কারণে জনগণের ভোগান্তিও কমবে। আগে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে যে কোনো ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে হতো। এতে এসব কাজে অনীহা দেখা যেত। এখন ক্যাশলেস স্মার্ট সেবার মাধ্যমে জনগণ বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারবেন। ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি, ঢাকা-২০ আসনের এমপি বেনজির আহমদ, জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ আনার কলি পুতুল প্রমুখ।
৩০ জুন, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব : নাছিম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আওয়ামী লীগ হলো ফিনিক্স পাখি। আঘাত এলে আমরা পাল্টা আঘাত দিতে পারি। আমাদের ধ্বংস করা সহজ নয়।  শনিবার (২৯ জুন) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ উপমহাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগে যদি কোনো আবর্জনা-আগাছা হাজির হয়, তবে তা আমরা উপড়ে ফেলব। আগাছামুক্ত আওয়ামী লীগ গড়ব। তিনি বলেন, সভায় বারবার ব্যানার নামাতে বললেও অনেকেই ব্যানার নামাচ্ছে না। এ শৃঙ্খলা দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবিলা করতে পারবেন? দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপির দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান লন্ডনে বসে বাংলাদেশে অরাজকতা করছে। দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচার হবে। দুর্নীতির বরপুত্ররা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। আমরা দুর্নীতিবাজদের কখনোই আশ্রয়-প্রশ্রয় দিইনি, কখনোই দেব না। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা বিকেল ৩টায় গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুরু হয়। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় দুপুরের পর থেকেই নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা কমিটির নেতারা খণ্ড খণ্ড মিছিলে আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছেন। এ সময় নেতারা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,’ ‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা,’ ‘শেখ হাসিনা সরকার, বারবার দরকার,’ ‘উন্নয়নের সরকার, বারবার দরকার’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
২৯ জুন, ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ করতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে ‘ইতিহাসের গতিধারায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শিরোনামে প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা হয়। এতে প্রতিমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জুন বাঙালি জাতি ও আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এই মাসেই ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা’ বাঙালির মুক্তির সনদ ঘোষণা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
২৬ জুন, ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় ও নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম প্রাপ্তি হচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সপ্তাহব্যাপী ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন শেষে মেলার স্টল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আহম্মেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ঘশ চৌধুরী সৈয়দ ও জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল। স্বাগত বক্তব্য দেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান।
০৯ জুন, ২০২৪
X