দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুত আছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশের সকল সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের বিষ নিধনে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিভেনম মজুত রয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে এ কথা জানান তিনি। সামন্ত লাল সেন বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রবের বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের বিষ নিধনে অ্যান্টিভেনম মজুত আছে। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থান অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ ভালো। শিগগিরই এ হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার ব্যবস্থা করব। আগামী ১১ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতায় ৩৫টি রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের অংশগ্রহণে স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মসূচির ভ্যানু নির্বাচন ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে আসেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ মশিউর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান মাহমুদ রাসেল, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিমন সরকার, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আইভী ফেরদৌস, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালাউদ্দিন ভূঁইয়া, রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা প্রমুখ।
২৯ জুন, ২০২৪

দেশে অ্যান্টিভেনমের কোনো সংকট নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে সাপের বিষের প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনমের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।  বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীতে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের আয়োজিত এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এ তথ্য জানান তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে অ্যান্টিভেনম প্রচুর রয়েছে। না থাকলেও আমরা আনব, কিন্তু কোনোভাবেই সংকট হতে দেব না। সাপে কাটার পর দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে আনতে হবে। তাহলেই মৃত্যু এড়ানো যাবে। তিনি বলেন, সাপে কাটা ব্যক্তিদের তো আর চিকিৎসকরা হাসপাতালে আনতে পারবে না। তাই এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখতে হবে। যেভাবে চিকিৎসকরা কাজ করছেন, আশা করি রাসেলস ভাইপার আতংক কেটে যাবে। এ সংকট থেকে আমরা শিগগিরই উত্তীর্ণ হবো। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কাজী দীন নূরুল হক বলেন, মিডিয়ার বদৌলতে সাপ নিয়ে দেশের মানুষ অত্যন্ত আতঙ্কগ্রস্ত। আমার স্ত্রী আমাকে বলে বাথরুম ভালো করে দেখে নিতে। ওদিক দিয়ে না কি সাপ ওঠে।  তিনি বলেন, হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কপালে যদি সাপে কাটা থাকে, তাহলে কাটবেই। এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (প্রশাসন) অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, দেশে ৮০ প্রজাতির সাপ রয়েছে। এর মধ্যে ১২ প্রজাতির বিষধর। দংশনের ৩০ শতাংশের ক্ষেত্রে বিষ ঢালে সাপ। মিডিয়ার মাধ্যমে সাপের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটাতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছি আমরা। 
২৭ জুন, ২০২৪

নাগরিকদের ইউনিক হেলথ আইডি দেওয়া হবে : সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রত্যেক নাগরিককে ইউনিক হেলথ আইডি দেওয়ার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন, নির্দিষ্ট কিছু হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে ইউনিক হেলথ আইডি প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। এ পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের ফলাফলের ভিত্তিতে অতি শিগগিরই এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সংদস্য মাহমুদ হাসান রিপনের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। পরীক্ষামূলক ইউনিক হেলথ আইডি প্রদান কার্যক্রমের আওতায় এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ তিন হাজার ৮৮৯টি আইডি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ অপারেশন প্ল্যানের আওতায় বর্তমানে ৬৭টি হাসপাতালে অটোমেশন চালু করা হয়েছে। সব হাসপাতালে অটোমেশন চালু করার লক্ষ্যে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ডেঙ্গু রিপোর্টিং তৈরি হয়েছে। যার মাধ্যমে ল্যাবে পরীক্ষাকৃত ডেঙ্গু রোগীর পরীক্ষার ফলাফল সঙ্গে সঙ্গেই পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে একই রোগীর একাধিক রিপোর্ট রোধ করা সম্ভব হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালে ‘ডেঙ্গু ফোকাল পারসন’ নির্ধারণ করা হয়েছে, যাদের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে সারা দেশের ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় ডেঙ্গু টেস্ট কিট, আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন) এবং অন্যান্য লজিস্টিকের স্টক এবং চাহিদা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ৭২ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ছয় হাজার ৫৫৭টি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত ৫টি মেডিকেল কলেজের ২৬০টি আসনসহ। আইন ও নীতিমালা অনুসারে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় ৪টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত এবং ২টি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল রয়েছে। যাতে আসন ৫ হাজার ৩৮০টি। আর সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ১২৫টি। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা; ইউনিসেফ; ইউএনএইচসিআর; গ্লোবাল ফান্ড; ভাইটাল স্ট্রাটাজিজ; সেভ দ্য চিলড্রেন; এনএফএইচ; জাইকাসহ আরও বেশ কিছু বিদেশি সংস্থা কাজ করছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে এসব প্রতিষ্ঠান আর্থিক সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
২৫ জুন, ২০২৪

কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটিপূর্ণ চিকিৎসা চাই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে ধানমন্ডি ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার কাছে কোয়ান্টিটি নয় বরং কোয়ালিটি চিকিৎসাসেবাই মুখ্য। এক্ষেত্রে আমাদের কোয়ান্টিটি না বাড়িয়ে কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে। অ্যান্ডোসকপি, আলট্রাসনোগ্রাফিসহ এসব পরীক্ষা একসঙ্গে ৭০টা না করে, সংখ্যায় কম হলেও যেন মানসম্মতভাবে তা করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ঠিক করেছি সারাদেশের স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা নিজে সরেজমিনে দেখব। সেটার অংশ হিসেবে ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালে এসেছি। আজ সকালেও আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ পরিদর্শন করেছি। গতকালও আমি ৩টা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। ল্যাবএইডে যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। এক্ষেত্রে আমার যেটা পর্যবেক্ষণ সেটা হচ্ছে ওনাদের আরও যত্নশীল হতে হবে। মন্ত্রী বলেন, আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন হাসপাতালে পরিদর্শন করছি এবং প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলছি। গতকাল আমি এভারকেয়ার হাসপাতালে বলেছি, প্রতিটি বড় হাসপাতালে যেন গরিব রোগীদের একটা পার্সেন্টিজ থাকে। যাতে গরিব রোগীদের জন্য চিকিৎসাসেবা নেওয়াটা সম্ভব হয়। এক প্রশ্নের জবাবে সামন্ত লাল সেন বলেন, চিকিৎসায় কোনও নেগ্লেজেন্সি (অবহেলা) আমি মেনে নেব না। মানুষের জীবন কিন্তু একটাই। চলে গেলে আর আসে না। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ল্যাবএইড হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মেডিকেল চেকআপ রুম, এন্ডোসকপি ও কলোনস্কপি বিভাগ, সিসিইউ বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ সরজমিনে পরিদর্শন করেন। তাছাড়া রেডিওলজিস্টসহ মেডিকেল কনসালটেন্টদের সঙ্গে চিকিৎসাসেবা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। হাসপাতালে আসা রোগীদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। এরপর মন্ত্রী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে রোগী এবং ডাক্তারদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন এবং ডকুমেন্টেশন পদ্ধতি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না দেখতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করেন। বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডকুমেন্টেশন ব্যবস্থা ভালো হতে হবে। ঠিকমতো রোগীর ডকুমেন্টেশন নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটার সমাধান করা সহজ হয়। এখানকার ডকুমেন্টেশন ব্যবস্থা আমার কাছে ভালো মনে হয়নি। ওনাদের প্রতি আমার মেসেজ রোগীর প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে, বিলটাও যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই কথা কোয়ালিটি চিকিৎসা চাই। কোয়ান্টিটি না। এদিন সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ পরিদর্শন করেন ডা. সামন্ত লাল সেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন এবং চিকিৎসাসেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এনডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান প্রমুখ।
২০ জুন, ২০২৪

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশনা
ভারি বৃষ্টি এ উজানের ঢলে বন্যা দেখা দিয়েছে সিলেট বিভাগে। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বুধবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে ঈদপরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও বন্যাকবলিত এলাকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশের কয়েক জায়গায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় ডায়রিয়া এবং পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মুজত রাখতে হবে।   একই সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে, বন্যার সময় এবং বন্যা পরবর্তী রোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।  প্রসঙ্গত, ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেট। মহানগর ও জেলাজুড়ে প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে মহানগরে ১৫টি এলাকার ১০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বিদ্যুতের সাবস্টেশন। সুরমা নদী ছাপিয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এটি প্লাবিত হলে দক্ষিণ সুরমার প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেল থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। তাদের সহায়তা করছে সিলেট সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ। নদীর পাড়ে বালির বস্তা ফেলে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন তারা। গত ২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে জেলার সব উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হন। সেই বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই গত শনিবার ফের বন্যাকবলিত সিলেট।
১৯ জুন, ২০২৪

একজন ডাক্তার হিসেবে খুব লজ্জিত, বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে রাজধানীর কয়েকটি বড় হাসপাতাল ভিজিট করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় তিনি বলেন-একটি হাসপাতালের ইমাজেন্সিতে গিয়ে বোঝা যায় এই হাসপাতালের ভেতরের অবস্থা কী। এসব দেখে একজন ডাক্তার হিসেবে খুব লজ্জিত হই। এ সময় মন্ত্রী জানান, দেশের যে সমস্ত ক্লিনিকের অনুমোদন নেই বা চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো মানসম্পন্ন নয় সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।  মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের কারণে অনেক রোগী মারা গেছেন। বিষয়টি আমরা আমলে নিয়ে কাজ করছি। অ্যানেসথেসিয়া ড্রাগ হ্যালোজিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা যে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ব্যবহার করবে, যে ফার্মেসি বা দোকানে বেচাকেনা হবে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। এরই মধ্যে এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্থানীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা যদি উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নজর দেন তবে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হতে বাধ্য। প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। আমরা সেই আলোকেই কাজ করে যাচ্ছি। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোনারাগাঁ উপজেলা হাসপাতালে মুজিব কর্নার উদ্বোধন করেন। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার, সিভিল সার্জন মুশিয়ার রহমান স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা এবং সোনারগাঁ উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমসহ আ.লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১৮ জুন, ২০২৪

ছুটিতে জরুরি সেবা যাতে ব্যাহত না হয় সে নির্দেশনা দেওয়া আছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে ডাক্তার কম থাকে। তাই ছুটির এই সময়ে যাতে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত না হয় এবং রোগীরা যাতে সেবা পায় সে বিষয়ে সারা দেশে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানানস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আজ সোমবার (১৭ জুন) সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পুরোনো ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে কাটিং ইনজুরির রোগীই বেশি দেখতে পান। মাংস কাটাকাটি করতে গিয়েই এই ইনজুরি। এজন্য তিনি সকলকে সাবধানে মাংস কাটাকাটি করতে অনুরোধ করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঈদের ছুটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা যাতে ব্যাঘাত না ঘটে এবং ঈদের ছুটিকালীন সময়ে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত ও কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীরা যাতে খাবার বা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হন এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে যেতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে এই পরিদর্শন। সকালে সাড়ে ১০ টার দিকে সামন্ত লাল সেন প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি ইমার্জেন্সি ইউনিট, আইসিইউ, সার্জারি ওয়ার্ড, হাসপাতালের রান্না ঘর ঘুরে দেখেন। তিনি চিকিৎসাধীন রোগী, তাদের স্বজন ও কর্তব্যরত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে জরুরি বিভাগে আসা রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। এখানে গাইনি, সার্জারি ওয়ার্ডসহ বেশকিছু ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ ছাড়াও মন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

নিষিদ্ধ হ্যালোসিন নিয়ে যে হুঁশিয়ারি দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রোগীকে অচেতন করার জন্য ব্যবহৃত নিষিদ্ধ হ্যালোসিন পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, হ্যালোসিন বিক্রির অভিযোগে রাজধানী থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ এটির ব্যবহার সরকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিষিদ্ধ এই ওষুধের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি বন্ধে অধিদপ্তরের অভিযান চলমান থাকবে। এটি বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে। মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ এই চেতনানাশক ব্যবহার করা হলে ক্লিনিকগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা করা হবে। পরিপত্র জারি করে এই ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা যেখানেই পাব সেখানেই আইনগত ব্যবস্থা নেব, যোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ  প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ জুন, ২০২৪

স্বাস্থ্যসেবায় গাফিলতি পেলেই ব্যবস্থা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে হবে। এখানে কোনো রোগী সরকারিসেবা বঞ্চিত হলে এর দায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকেই নিতে হবে। কোনোরকম গাফিলতি থাকলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন।  বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান ও রোগীদের হালচাল পরিদর্শনে এসে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধের অভিযান আগের মতোই চলবে তাই অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে জীবন একটাই, এটা নিয়ে চিকিৎসার নামে কোনোপ্রকার হয়রানি মেনে নেওয়া হবে না।  হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে আরও সক্রিয় করতে সরকার কাজ করছে। তবে উপজেলা পর্যায়ে যতগুলো হাসপাতালে দেখলাম, তার মাঝে রূপগঞ্জের এ হাসপাতালটির সার্বিক পরিবেশ ভালো। রোগীরা যাতে সেবা বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দিচ্ছি।    রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আইভী ফেরদৌস সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার মাইনুল হাসান, হাসপাতাল পরিদর্শক ডাক্তার আবু হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. মশিউর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল, রূপগঞ্জ থানা ওসি দীপক চন্দ্রসাহাসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও কর্মচারীসহ আরও অনেকে। মতবিনিময় সভা শেষে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
০৬ জুন, ২০২৪

বাংলাদেশের চিকিৎসা সম্পর্কে বহির্বিশ্বে ভালো ধারণা আছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের চিকিৎসা সম্পর্কে বহির্বিশ্বে ভালো ধারণা আছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বুধবার (৫ জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেলে প্রথম বর্ষের এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের চিকিৎসা সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে। সেটি ধরে রাখতে হবে। এ জন্য নতুন শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হওয়ার পাশাপাশি ভালো চিকিৎসক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, বিএমডিসি ছাড়া কারো ভুল চিকিৎসা হয়েছে এ কথা বলার কারোর অধকিার নেই। ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকের ওপর যেভাবে আক্রমণ হয়, সেটা খুবই ন্যক্কারজনক। সামন্ত লাল বলেন, মারধরের যে কয়টি ঘটনা মন্ত্রী হওয়ার পরে শুনেছি, প্রত্যেকটি ঘটনাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছি। তাদের গ্রেপ্তার করতে বলেছি। কারণ এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না, একজন চিকিৎসককে ভুল চিকিৎসার নাম করে মারধর করবে।   অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৮১তম ব্যাচের ৩৬০ জন শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
০৫ জুন, ২০২৪
X