প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কাব্য সংকলনের মোড়ক উন্মোচন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (১০ জুন) বিকেলে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রসেঁজে ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ কাব্য সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।  পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্ট আয়োজিত কথা-কবিতা-আবৃত্তি-সঙ্গীত ও নৃত্যে সাজানো এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযেগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান কবি শ্যাম সুন্দর সিকদার।  এতে সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালায়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা। পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আনিস মুহম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশিদ, কবি ও গবেষক আনিস আহামেদ, বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কবি কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক আনোয়ার ফরিদী, ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাহমুদ হাসান রুবেল, অধ্যক্ষ আকলিমা জাহান, পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্টের পরিচালক ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, মানবিধকার প্রতিষ্ঠা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি শ্যামসুন্দর সিকদার বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন। তিনি যদি না ফিরতেন তাহলে বাংলাদেশ এতোদিন ৭১'র পরাজিত শক্তি পাকিস্তানিদের দোসর স্বাধীনতাবিরোীদের হাতে চলে যেত। বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশ আজ ডিজিটাল ও স্মার্ট হয়েছে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল ও মেট্রোরেলের মতো মেগা প্রকল্প এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
১০ জুন, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কাব্য সংকলনের মোড়ক উন্মোচন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (১০ জুন) বিকেলে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ কাব্য সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্ট আয়োজিত কথা-কবিতা-আবৃত্তি-সংগীত ও নৃত্যে সাজানো এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযেগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান কবি শ্যাম সুন্দর সিকদার।  এতে সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা। পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আনিস মুহম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশিদ, কবি ও গবেষক আনিস আহামেদ, বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কবি কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক আনোয়ার ফরিদী, ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাহমুদ হাসান রুবেল, অধ্যক্ষ আকলিমা জাহান, পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্টের পরিচালক ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, মানবিধকার প্রতিষ্ঠা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি শ্যামসুন্দর সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন। তিনি যদি না ফিরতেন তাহলে বাংলাদেশ এতদিন ’৭১ এর পরাজিত শক্তি পাকিস্তানিদের দোসর স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে চলে যেত। বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশ আজ ডিজিটাল ও স্মার্ট হয়েছে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল ও মেট্রোরেলের মতো মেগা প্রকল্প এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে রূপ নিয়েছে। 
১০ জুন, ২০২৪

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও সমমনা সংগঠনগুলো এ দিনটি স্মরণ করে বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করে। এর মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ জীবন কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, প্রার্থনা, খাবার বিতরণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও রক্তদান। দীর্ঘ ছয় বছরের প্রবাসে নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তৎকালীন সামরিক শাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশ মাতৃকার টানে শেখ হাসিনা ফিরে আসেন স্বপ্নের স্বদেশে। এজন্য এই দিনটি আওয়ামী লীগের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবেই পালন করে আসছে দলটি। এদিন সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগ ছাড়াও সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটি অসহায়দের মধ্যে খাবার বিতরণ করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার রাজধানীর আজিমপুর সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডের এতিমখানা, সোবহানবাগ মসজিদ-সংলগ্ন এতিমখানা, বাড্ডা বেরাইদ রহিম উল্লাহ এতিমখানায় অসহায়দের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। একই সঙ্গে সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার-সংলগ্ন এতিমখানা এবং চট্টগ্রাম হজরত শাহ আমানতের (রহ.) মাজার-সংলগ্ন এতিমখানা ও গরিব উল্লাহ শাহর (রহ.) মাজার-সংলগ্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ করা হয়। এদিকে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে তেজগাঁও হলি রোজারিও চার্চে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করে। এদিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিশেষ প্রার্থনার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।
১৮ মে, ২০২৪

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (ইআরডিএফবি) আয়োজনে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন- যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন ‘এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)’ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সম্মানিত অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান।  এ ছাড়া আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান। আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইআরডিএফবির সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন। প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশ স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহল কর্তৃক ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। ছিনতাই হওয়া দেশকে উদ্ধারের লক্ষ্যেই সেদিন শেখ হাসিনার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল। শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে আমরা কোনোদিন ১৯৭১ এ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জিত এ বাংলাদেশ ফিরে পেতাম না। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার কর্তৃক তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত বাংলাদেশ ২০১৬ সালে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট কর্তৃক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ এতটা সহজ কোনো বিষয় ছিল না। বাংলাদেশের এমন অভাবনীয় উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং সুদক্ষ নেতৃত্বগুণে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি সেদিন ফিরে না আসলে বর্তমান বাংলাদেশের ইতিহাস হয়তো ভিন্নভাবে রচিত হতো। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এমন অভাবনীয় উন্নয়নের পেছনে একমাত্র চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন দর্শনের আলোকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের সমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যেই দেশে এত এত নদীপথ, সড়কপথ এবং রেলপথের বিস্তার ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় এমন উন্নয়নের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নতকরণ করেছে। অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নতুন মহাসড়ক নির্মাণ, পুরাতন রেলপথ সংস্কারসহ নতুন রেলপথ নির্মাণ, ১১৩১টি নতুন সেতু এবং ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৪টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষিত হলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার প্রায় ৬০টি জেলার মধ্যেই সরাসরি যোগাযোগ সম্পর্ক তৈরি হবে। এতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা নিঃসন্দেহে আরও বেশি বেগবান হবে। সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বিগত শিল্পবিপ্লবগুলোতে ১০০ বছর পিছিয়ে ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। এ অগ্রযাত্রায় শামিল হতে ছাত্রদের পড়াশোনা ও বিজ্ঞানচর্চায় আরও মনোযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।  তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সাফল্যের একটি অন্যতম খাত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর দেশের যোগাযোগ খাত আজ যখন উন্নয়নের শিখরে তখন ফিরে তাকিয়ে সর্বশেষ দশকটি দেখলে উন্নয়নের একটি ভিন্নধর্মী চিত্র দেখা যায়। গত দেড় দশকে স্থিতিশীল আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবস্থার তত্ত্বাবধানে দেশের অন্যান্য খাতের মতো যোগাযোগ খাত পেয়েছে উন্নয়নের ধনাত্মক মাত্রা। ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও বাণিজ্যিক খাতে সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে গত ১০ বছরে যোগাযোগ খাতে গ্রহণ করা হয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রজেক্ট। আর এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কল্যাণে । ইআরডিএফবির সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই মূলত বাঙালি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই স্বাধীনতাবিরোধী জোট সরকারের শাসনামলে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কুশাসনে অতিষ্ঠ বাঙালি জাতি আজ বিশ্বে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন এক জাতিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অকুতোভয় সাহসী নেতৃত্ব, সততা, মেধা ও প্রজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ আজ আলোকিত অভিযাত্রায় শামিল হয়েছে, এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। সেদিন তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই বারবার অন্ধকারে ডুবে যাওয়া বাংলাদেশ আলোর মিছিলে, কল্যাণের পথে, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।
১৭ মে, ২০২৪

ঝিনাইদহে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
ঝিনাইদহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।   শুক্রবার (১৭ মে) সকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলটির জেলা কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সেখান থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়।  র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেরণা একাত্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা।  সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পারভীন জামান কল্পনাসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।  বক্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে উন্নত দেশ গড়তে সবাইকে আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
১৭ মে, ২০২৪

বৌদ্ধ বিহারে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্রার্থনা
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার (১৭ মে) মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে এ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।   প্রার্থনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।  অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু। ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ধর্মমিত্র মহাথেরের পৌরহিত্যে এ প্রার্থনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি প্রকৌশলী দিবেন্দু বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় মহাথের। এ সময় ফেডারেশনের সহসভাপতি বুদ্ধানন্দ মহাথের, শাক্যপ্রিয় বড়ুয়া, রিপন কান্তি বড়ুয়া, মধুমিতা বড়ুয়া, শেলু বড়ুয়া, অর্পিতা বড়ুয়া, চারু উত্তম বড়ুয়া, রতন কুমার বড়ুয়া, অপু বড়ুয়াসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৭ মে, ২০২৪

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ (শুক্রবার)। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বিপথগামী একদল সেনা কর্মকর্তার বুলেটের আঘাতে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ওই সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। এর আগে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।  সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলের গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান,  ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছায় স্বাগতম’। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায় তখন সকল নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমান বন্দরের ভেতরে ঢুকে যায়। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। জনতা একেবারেই বিমানের কাছে চলে যায়। বহু চেষ্টার পর জনতার স্রোতকে কিছুটা সরিয়ে একটি ট্রাক ককপিটের দরজার একেবারে সামনে নেয়া হয়। এই সময়ে শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। বেলা ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা বিমান থেকে সিঁড়ি দিয়ে ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। এই সময় ঝড় বৃষ্টিতে নগর জীবন প্রায় বিপন্ন। রাস্তাঘাট স্বাভাবিক জীবন যখন ব্যাহত তখন সেখানে অপেক্ষা করে কয়েক লাখ মানুষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’   ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। জেল-জুলম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাকে তার পথ থেকে টলাতে পারেনি এক বিন্দু। শত প্রতিকূলতাতেও হতোদ্যম হননি কখনো। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বার বার স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন। আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে। আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর দীর্ঘ ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তালাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ ৪৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের এই পথচলা কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, ছিল কণ্ঠকাপূর্ণ ও বিপদসংকুল। গণমানুষের মুক্তির লক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করার অপরাধে তাকে বারবার ঘাতকদের হামলার শিকার ও কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে ছিলেন পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। জনগণের ভালবাসায় অভিষিক্ত হয়ে টানা তৃতীয় বারসহ চতুর্থ বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তখন এদেশের মাটি ও মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অগাধ প্রেম এবং অক্ষয় ভালোবাসাই হলো তার রাজনৈতিক শক্তি।
১৭ মে, ২০২৪

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ শুক্রবার। ১৯৮১ সালের আজকের এ দিনেই প্রবাসে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দেশে ফিরতে চাইলেও তৎকালীন সরকার অনুমতি দেওয়ার ছয় বছর পর এদিন বিকেলে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। বিকেল সাড়ে ৪টায় আকাশে যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখা যায়, তখন সব নিয়ন্ত্রণ আর অনুরোধ আবেদন অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরের ভেতর ঢুকে যায়। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। এ সময় শেখ হাসিনা ভেতর থেকে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। বিকেল ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা বিমান থেকে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে শেখ হাসিনার শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হন। ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। শত প্রতিকূলতায়ও হতোদ্যম হননি কখনো। আবির্ভূত হয়েছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা রূপে। জনগণের ভালোবাসায় অভিষিক্ত হয়ে টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে তিনি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। দিনটি পালন করতে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও সমমনা সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়। বিকেল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা। এ উপলক্ষে দেশব্যাপী মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুমার পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে। এক বিবৃতিতে দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এদিকে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এতিমখানাগুলোতে বিশেষ খাবার বিতরণ করা হবে।
১৭ মে, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাবিতে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) 'তুমি দেশের, তুমি দশের' শীর্ষক একটি আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত এই শোভাযাত্রার আয়োজন করে সংগঠনটি। এরপর সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য প্রদানকালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, শেখ হাসিনার গাড়ি যখন স্বৈরাচারী পুলিশ টেনে নিয়ে গিয়েছিল নিজে পায়ে হেঁটে মিছিল করেছিলেন। সেই মিছিলের অনুপ্রেরণা থেকেই আজকে আমরা হয়তো এই দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা হত্যা ও রাজাকারদের বিচার কার্যসম্পন্ন করতে পেরেছি। শোষিতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এগিয়ে নিতে রাজপথে শেখ হাসিনা মুক্তির কাজ করেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশের মানুষ শোষণ-নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেয়েছে।  প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে আমরা বলতে চাই, আপনি ফিরেছিলেন বলেই বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা জয় হয়েছে, আপনি ফিরেছিলেন বলেই আজ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে, বাংলার মানুষের ইলেকট্রিক ভেহিকেলের যুগে পা বাড়ানোর স্বপ্নপূরণ হয়েছে, যার বাস্তব প্রতিফলন হচ্ছে আমাদের মেট্রোরেল। বঙ্গবন্ধু কন্যা, আপনি ফিরেছিলেন বলেই আমাদের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের আজ জীবনের আরাধ্য স্বপ্ন পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়েছে, চট্টগ্রামে নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল বাস্তবায়িত হয়েছে, এ দেশের মানুষ দিন বদলের কাণ্ডারি খুঁজে পেয়েছে, আপনি ফিরেছিলেন বলেই আজ আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান হয়েছে।  শেখ ইনান আরও বলেন, নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে এদেশের জন্য, আমাদের জন্য, মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া দুঃখী ও নিপীড়িত মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কাজ করেছেন, তার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ হলেও আমরা শপথ করতে চাই যে, আমরা শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলব।  এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সামরিক স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, বুলেট গ্রেনেড মোকাবিলা করেছেন, মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন, সাংবিধানিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, কল্যাণধর্মী রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রবর্তন করেছেন, প্রত্যেকটি মানুষের নাগরিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। সামরিক স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। এই প্রত্যাবর্তনই বাংলাদেশে বিজয়ের গল্প রচনা করেছে, বাংলাদেশের পরিবর্তনের সূচনা করেছে।  তিনি বলেন, এমন সময়ে দেশরত্ম শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন করেছেন, যখন এই বাংলাদেশে ছিল কার্ফিউ গণতন্ত্র, যখন মিলিটারি ডিক্টেটররা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করত, যখন সামরিক স্বৈরশাসকরা টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনে দল পরিচালনা করত, যখন কোনো ভোটের অধিকার ছিল না। এ দেশের সাধারণ মানুষের জীবন জয়, মানুষের জীবন বদলে যাওয়া, সবকিছুর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সম্পৃক্ত। আমাদের এক সময় বিদ্যুতের জন্য হাহাকার ছিল, সেই অন্ধকারের যুগ থেকে দেশকে বঙ্গবন্ধুকন্যা আলোর যুগে ফিরিয়ে এনেছেন। এ ছাড়া, সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন। কর্মসূচিতে রাজধানীর বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা অংশ নেন। 
১৬ মে, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
আগামী ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছর নানা কর্মসূচি হাতে নেয় ছাত্রলীগ। এবার এদিন বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ‘তুমি দেশের, তুমি দশের’ শীর্ষক শোভাযাত্রা করবে সংগঠনটি।  মঙ্গলবার (১৪ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।  এতে বলা হয়, দেশরত্ন শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে সেদিন সমগ্র জাতি অপার আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিল, রাজধানী ঢাকা পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। রাষ্ট্রক্ষমতার অবৈধ দখলদার সামরিক শক্তির বহুমুখী বাধা ও প্রাকৃতিক বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই’ স্লোগানে সেদিন গোটা নগরীকে প্রকম্পিত করে এক বিশাল জনসমুদ্র দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে স্বদেশে স্বাগত জানায়। স্বজনহারা শেখ হাসিনার স্বজন হয়ে ওঠে সমগ্র জাতি। নেতৃদ্বয় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন, জাতির পিতা হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিতে তার দৃঢ় অঙ্গীকার বাঙালির প্রাণে সেদিন নতুন সাহসের সঞ্চার ঘটায়, মহান মুক্তিসংগ্রামে পরাজিত অপশক্তির রাহুগ্রাসে জীর্ণপ্রায় বাংলার বুকে আবার আঠারো নেমে আসে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হতে আজ অবধি অসংখ্যবার মৃত্যুকে জয় করে শেখ হাসিনা মহান মুক্তিসংগ্রামের চেতনা সমুন্নত রাখার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তার সাহসী নেতৃত্বে দুঃসহ স্বৈরশাসনের অবসান, মৌলিক মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাঙালির জীবনযাত্রায় অভূতপূর্ব মানোন্নয়ন, ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ একটি আত্মমর্যাদাশীল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপন আলোয় আলোকিত নিরন্তন যাত্রায় জয়রথ ছুটিয়ে বিশ্বসভায় চিরপ্রাসঙ্গিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলার ইতিহাসে দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
১৪ মে, ২০২৪
X