হঠাৎ অসুস্থ ডেপুটি স্পিকার হেলিকপ্টারে ঢাকায়
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। জরুরি চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হয়। গতকাল বিকেলে বেড়া আব্দুল খালেক স্টেডিয়াম থেকে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারে রাজধানীতে নেওয়া হয় তাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বেড়া ইউএনও মোরশেদুল ইসলাম বলেন, দুপুরে একটি অনুষ্ঠান শেষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডেপুটি স্পিকার। এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন। তবে তার হার্টের অবস্থা ভালো নয়। সেজন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয়েছে। এর আগে সকাল ১১টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে বেড়া বিপিন বিহারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। বেড়া পৌরসভা ও আশনা এনজিওর সহযোগিতায় কর্মসূচির বাস্তবায়ন করছে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র। সেসময় হঠাৎ অসুস্থবোধ করেন‌ এবং হেলে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা তাকে নেওয়া হয়।
২৯ জুন, ২০২৪

ডেপুটি স্পিকার হঠাৎ অসুস্থ, হেলিকপ্টারে নেওয়া হলো ঢাকায়
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। জরুরি চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় বেড়া আব্দুল খালেক স্টেডিয়াম থেকে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে বেড়া বিপিন বিহারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধন শেষে নিজ বাড়ি সংলগ্ন নৌকা চত্বরে বৃক্ষরোপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থবোধ করেন এবং হেলে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কিছুটা সুস্থতাবোধ করায় তাকে নিজ বাসায় নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোরশেদুল ইসলাম বলেন, দুপুরে একটি অনুষ্ঠান শেষে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন কিন্তু উনার হার্টের অবস্থা ততটা ভালো নয়। এ জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হলো।
২৮ জুন, ২০২৪

ওম বিড়লা ফের লোকসভার স্পিকার
ভারতের অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল কণ্ঠভোটে স্পিকার নির্বাচিত হন বিজেপির ওম বিড়লা। সর্বশেষ লোকসভায়ও তিনি স্পিকার ছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরাও অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী তাকে স্পিকারের আসনে নিয়ে গিয়ে বসান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করমর্দন করেন রাহুল। এটি ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসে বেশ বিরল দৃশ্য। এতে করে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সম্প্রীতির একটা আবহ তৈরি হলেও সে ধারণা ভেঙে যেতে বেশি সময় লাগেনি। কারণ এরপরই নবনির্বাচিত স্পিকারের একটি বিবৃতি নিয়ে অধিবেশনে শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। মুলতবি ঘোষণা করা হয় অধিবেশন। খবর এনডিটিভির। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় লোকসভা অধিবেশনের শুরুতে কণ্ঠভোটে স্পিকার নির্বাচিত হন রাজস্থানের কোটা-বুন্দি কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিজেপি প্রার্থী ওম বিড়লা। সপ্তদশ লোকসভায়ও তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন সর্বসম্মতভাবে। এবার জিতলেন ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে। বিরোধী প্রার্থী কে সুরেশকে কণ্ঠভোটে হারান তিনি। প্রথা অনুযায়ী স্পিকার নির্বাচন এবার সর্বসম্মতভাবে হয়নি। ডেপুটি স্পিকারের পদ বিরোধীদের দেওয়া হবে—সরকার সেই আশ্বাস না দেওয়ায় বিরোধীরা এই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিলেন। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, কণ্ঠভোটের পর বিরোধীরা ‘ডিভিশন’ দাবি করেননি। অর্থাৎ কোন পক্ষে কতজনের সমর্থন রয়েছে, তা জানতে কাগজে ভোট দেওয়ার দাবি জানাননি। ফলে কণ্ঠভোটেই ওম বিড়লাকে জয়ী ঘোষণা করেন প্রোটেম স্পিকার মহতাব। এরপরই ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এক বিরল দৃশ্য দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীও ওম বিড়লাকে তার আসনে পৌঁছে দেন। সবাই সদ্য নির্বাচিত স্পিকারকে অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে করমর্দন করেন এবারের লোকসভায় বিরোধী নেতার দায়িত্ব নেওয়া রাহুল গান্ধী। লোকসভায় সম্প্রীতির এ দৃশ্য দেখে সবাই যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। কিন্তু সেই স্বস্তি উধাও হয়ে গেল কিছুক্ষণ পরই। অভিনন্দন পর্ব শেষ হওয়ার পর ওম বিড়লা ১৯৭৫ সালে জারি হওয়া জরুরি অবস্থার উল্লেখ করে এক দীর্ঘ বিবৃতি পাঠ করেন। তাতে কীভাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মানবাধিকার হরণ করেছিলেন, দেশকে জেলখানা বানিয়ে দিয়েছিলেন, বাবাসাহেব আম্বেদকরের তৈরি সংবিধান পদে পদে লঙ্ঘন করেছিলেন, সেসব বিস্তারিত উল্লেখ করে তাকে ‘স্বৈরাচারী’ আখ্যা দেন এবং ওই সময়কে দেশের ইতিহাসের ‘কালো অধ্যায়’ বলে বর্ণনা করেন। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে স্পিকার বলেন, সে সময় তারা জোর করে বন্ধ্যত্ব করিয়েছিল। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা যাতে আদালতে যেতে না পারেন, তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সংবাদপত্রের ওপর জারি করা হয়েছিল যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা। আট মিনিটের দীর্ঘ বিবৃতি পাঠ শেষে জরুরি অবস্থা জারির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের পর স্পিকার সেই সময় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দুই মিনিট নীরবতা পালনের ডাক দেন। তার পরই সারা দিনের মতো মুলতবি করে দেন লোকসভা। স্পিকার বিবৃতি পাঠ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা তীব্র প্রতিবাদ করতে থাকেন। শুরু হয় স্লোগান। স্পিকার ও সরকারের মনোভাবের কড়া নিন্দা করে কংগ্রেসসহ বিরোধী সদস্যরা বলতে থাকেন, ৫০ বছর আগের ঘটনা টেনে এই সরকার তাদের অঘোষিত জরুরি অবস্থা চাপা দিতে চাইছে। জরুরি অবস্থায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে নীরবতা পালনে সরকার পক্ষের সদস্যরা উঠে দাঁড়ালেও বিরোধীরা প্রতিবাদে মুখর থাকেন। ১৫ সেকেন্ড নীরবতা পালন করেই স্পিকার ওম বিড়লা সারা দিনের মতো অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন। স্পিকারের ওই বিবৃতির পর এটা স্পষ্ট যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবাইকে নিয়ে দেশ পরিচালনার যে বার্তা প্রথম দিন দিয়েছিলেন, তা মূলত কথার কথা। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার যে অনেক নমনীয় থাকবে, সে ধারণাও ভুল।
২৭ জুন, ২০২৪

ভারতে স্পিকার পদে প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে আজ
অষ্টাদশ লোকসভায় স্পিকার পদের জন্য ওম বিড়লাকে মনোনয়ন দিয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। গতবারও তিনি স্পিকার ছিলেন। তবে স্পিকার পদে পাল্টা প্রার্থী দিয়েছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটও। গতকাল মঙ্গলবার কংগ্রেসের কে সুরেশ বিরোধী জোটের স্পিকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কে সুরেশ যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন, তবে আজ বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় লোকসভার স্পিকার নির্বাচনের জন্য ভোট হবে। আর এরকমটা ঘটলে এটাই হবে ভারতের ইতিহাসে স্পিকার পদের জন্য প্রথম কোনো নির্বাচন। খবর এনডিটিভির। ভারতে স্পিকার পদে আজ পর্যন্ত কোনো দিন ভোটাভুটি হয়নি। স্বাধীনতার সময় থেকেই ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার স্পিকার সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে সমঝোতা না হলে আজ প্রথমবারের মতো স্পিকার নির্বাচিত হবেন ভোটাভুটির মাধ্যমে। তবে সমঝোতার আশা নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মঙ্গলবার স্পিকার পদে সরকারপক্ষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিজেপি সদস্য ওম বিড়লা। সপ্তদশ লোকসভাতেও তিনিই ছিলেন স্পিকার। ওম বিড়লার পাশাপাশি মনোনয়নপত্র জমা দেন কেরালা থেকে আটবার জয়ী কংগ্রেস সদস্য কে সুরেশ। প্রোটেম স্পিকার তারই হওয়ার কথা ছিল। যদিও বিজেপি তাকে সে দায়িত্ব না দিয়ে বেছে নেয় সাতবারের জয়ী ভর্তৃহরি মহতাবকে, যিনি এবার ভোটের আগে ওড়িশায় বিজু জনতা দল (বিজেডি) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে জয়ী হন। স্পিকার পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী কে সুরেশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা দলীয় সিদ্ধান্ত... আমার নয়। একটা কনভেনশন আছে... ডেপুটি স্পিকার হবেন বিরোধীদের পক্ষ থেকে; কিন্তু তারা (বিজেপি) এটা করতে রাজি নন। আমরা মঙ্গলবার সকার ১১টা ৫০ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।’ এর আগে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে স্পিকার পদে বিজেপি মনোনীত সুমিত্র মহাজন ও ওম বিড়লাকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়নি। দুজনই বিনা বাধায় স্পিকার নির্বাচিত হন। তবে এবারের লোকসভায় বিজেপি ২৪০ আসন পেয়েছে, যা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৩২ আসন থেকে কম। সরকার গঠনের জন্য নীতিশ কুমারের জেডিইউ ও চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপির ওপর নির্ভর করতে হয়েছে বিজেপিকে। বিরোধী দল বলেছে, ডেপুটি স্পিকারের পদটি তাদের ছেড়ে দেওয়া হলে তারা এনডিএর পছন্দের স্পিকারকে মেনে নেবেন। স্পিকার পদে সহমতের চেষ্টায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে। তারা গতকাল কথা বলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে। কংগ্রেস সভাপতি তাদের জানান, বিজেপি মনোনীত প্রার্থীকে মেনে নিতে তাদের আপত্তি নেই, যদি সংসদীয় রীতি মেনে ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধীদের ছাড়া হয়। খাড়গে তাদের বলেছিলেন, ‘ইন্ডিয়ার সব শরিক দলের নেতার সঙ্গে কথা বলে তিনি সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। খাড়গে অখিলেশ যাদব, এম কে স্ট্যালিন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। প্রত্যেকেই বলেন, ডেপুটি স্পিকার পদ পেলে স্পিকার পদে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন জানাবেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও ওই এক শর্ত দেন। কিন্তু এর পর রাজনাথ সিং আর খাড়গের সঙ্গে কথা বলেননি বলে জানান রাহুল। গতকাল দুপুর ১২টা নাগাদ রাজস্থানের কোটা-বুন্দি কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত ওম বিড়লা এনডিএর হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রায় একই সঙ্গে জমা পড়ে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে সুরেশের মনোনয়নপত্রও। রাহুল গান্ধী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখে সহমতের কথা বলেন, অথচ কাজের সময় ওই পথে হাঁটেন না। সোমবারই তিনি বলেছিলেন, বিরোধীদের উচিত সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক সহযোগিতা করা। বিরোধীরা তা করতে প্রস্তুত। তাই রাজনাথ সিংকে বলা হয়েছিল, রীতি অনুযায়ী সরকার ডেপুটি স্পিকার পদ বিরোধীদের ছেড়ে দিলে স্পিকার পদে সরকারি প্রার্থীকে মেনে নেওয়া হবে। রাজনাথ সিং বলেছিলেন, তিনি কংগ্রেস সভাপতিকে ফোন করবেন; কিন্তু তা করেননি। ফোন না করে সরকার খাড়গেজিকে অপমান করেছে।’ একই ধরনের মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈও। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথায় ও কাজে কোনো মিল নেই। সোমবার ঐকমত্যের কথা বললেন। অথচ মঙ্গলবার ডেপুটি স্পিকারের পদ বিরোধীদের ছেড়ে দিতে অস্বীকার করলেন। তিনি বলেন, ‘মোদিজির অহংকার যদি একই রকম থাকে, তাহলে বিরোধীরাও সংসদের গরিমা ও গণতন্ত্র রক্ষায় তার ভূমিকা পালন করে জনগণকে সজাগ রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
২৬ জুন, ২০২৪

অসংক্রামক ব্যাধি থেকে পরিত্রাণে সচেতনতা প্রয়োজন : স্পিকার
অসংক্রামক ব্যাধি থেকে পরিত্রাণে সচেতনতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।  সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে আইপিডিআই ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্টাডিজ (বিআইপিএস) আয়োজিত ওয়ার্কশপ অন এনসিডি অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড সিপিআর ট্রেনিং প্রোগ্রাম শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অসংক্রামক ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পেতে সচেতনতা প্রয়োজন। হৃদরোগের কারণে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলে কীভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রাণে বাঁচানো যায়, সে বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে হৃদরোগের মতো অসংক্রামক ব্যাধির প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। হৃদরোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাপক গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এই কর্মশালা সিপিআর শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে সক্ষম করবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, যে কোনো বিষয়ে সচেতনতাই হলো বড় প্রতিরোধ। দেশে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতনতা পৌঁছাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশেষ করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বিষয়ে সচেতনতায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।  স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, জনসাধারণনের মধ্যে অনেকেই জানেন জ্বরের প্রথমিক চিকিৎসা প্যারাসিটামল। একইভাবে হৃদরোগের ক্ষেত্রে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে কেউ আক্রান্ত হলে কী করণীয় তা জানা থাকলে জীবনের ঝুঁকি অনেক কমে আসবে। অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ও আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের ওপর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজেসের অধ্যাপক ও আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন আহমেদ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।  মূল বক্তা অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর পেছনে সিপিআর-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। উন্নতবিশ্বে এই গুরুত্ব সঠিকভাবে উপলব্ধ হয়েছে বিধায় সেখানে সিপিআর প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সচেতনতা সহজেই প্রতীয়মান হয়। অন্যদিকে আমাদের দেশে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং সিপিআর সম্পর্কে জনসাধারণের ধারণা না থাকায় এ ধরনের কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয় না। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যেই হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে জীবন বাঁচায় সিপিআর, ঘরে ঘরে হোক এর ট্রেনিং সেন্টার- এই অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের আজকের এই কর্মশালার আয়োজন। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য স্কুল ও কলেজের পাঠ্যক্রমে বেসিক লাইফ সাপোর্ট ও সিপিআর অন্তর্ভুক্ত করা।   জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এমপি মো. আব্দুল আজিজ, মো. তৌহিদুজ্জামান, রেজিয়া ইসলাম, কোহেলী কুদ্দুস, দ্রোপদী দেবী আগরওয়ালা, মোছা. আশিকা সুলতানা, রুনু রেজা, জাতীয় সংসদ সদস্যদের ব্যক্তিগত সহকারী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের ব্যক্তিগত সহকারীসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সকল সংসদ সদস্য, সংসদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রায় ২০০ জনকে সিপিআর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
২৪ জুন, ২০২৪

লোকসভার স্পিকারের পদ বাগাতে চান নাইডু
ভারতের নির্বাচনের পর এখন সরকার গঠন জোটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু ও বিহারের জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডি-ইউ) কর্নধার নীতিশ কুমার। আলোচনার এ সুযোগ কাজে লাগাতে অংক কষছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। লোকসভার স্পিকারের পদ বাগিয়ে নিতে চাইছেন তিনি।  বুধবার (০৫ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম  ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারায় টিডিপির সহায়তার জোট গড়তে যাচ্ছে বিজেপি। এ জোটের দর কষাকষিতে নিজের জন্য স্পিকার পদের দাবি তুলতে পারেন চন্দ্রবাবু নাইডু।  ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, নাইডুর এমন সিদ্ধান্ত বিজেপির দর কষাকষিতে হজম করা বেশ কঠিন। তবে তাকে ছাড়া বিজেপির জোট গঠনও বেশ জটিল। এমন সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন নাইডু।  ভোটের পর বুধবার সরকার গঠন নিয়ে বৈঠকে বসেছে এনডিএ জোট। এ বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে অন্ধ্রপ্রদেশে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আমি বেশ অভিজ্ঞ। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আমি দেখেছি। আমি এনডিএতে আছি এবং দিল্লি যাচ্ছি।  তিন তিনবারের সাবেক এ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে উত্থান পতন স্বাভাবিক ঘটনা। ইতিহাসে অনেক রাজনৈতিক নেতা ও দলকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ভোটাররা বিদেশ থেকে দেশে এসে ভোট দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  এর আগে মঙ্গলবার (০৪ জুন) ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের মতো সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। তবে এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। ভারতের সংবিধান অনুসারে, দেশটিতে মোট ৫৪৫টি সংসদীয় আসন রয়েছে। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২ আসন। এ নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। এছাড়া তাদের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯২ আসন। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে বিজেপি ৩২ আসন কম পেয়েছে। এরমধ্যে টিডিপি আর জেডিইউর দখলে রয়েছে ২৮ আসন। ফলে সরকার গঠনে জোটের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন তারা। আসন সংখ্যার হিসাব অনুসারে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এনডিএ জোট সরকার গঠন করতে চলেছে। আর আবারও দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী শনিবারই তিনি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। ভারতে জওহরলাল নেহরুর পরে তিনিই দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে টানা তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন।
০৫ জুন, ২০২৪

দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে ইউসেপ বাংলাদেশ : স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে ইউসেপ বাংলাদেশ।  ইউসেপ’র সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কারিগরি শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউসেপ নামক ‘কর্মজীবী বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও বিকাশের পাশাপাশি মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। যুবসমাজকে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান সুযোগ দিতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে ইউসেপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অসচ্ছল পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আজ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন- এটাই ইউসেপের সফলতা। ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মো. আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ড. মো. আব্দুল করিম। ইউসেপ বোর্ড অব গভর্নরসের সাবেক চেয়ারম্যান পারভীন মাহমুদ, ইউসেপ অ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত সদস্য জেবা রশীদ চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমসহ সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, ভিটেমাটি বিক্রি করে কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ না করে যারা বিদেশে যান, তারা শূন্য হাতে দেশে ফিরে আসেন। তাদেরকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে চাকরি দিয়ে পাঠান। এর ফলে তারা প্রতারণার শিকার হবে না। ড. মো. আব্দুল করিমের মতে, কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষাটাও গুরুত্বপূর্ণ। ড. মো. আলাউদ্দিন বলেন, জীবন বদলানোর কাজ করে ইউসেপ। অদক্ষ যুবকদের দক্ষ করে তুলে যুবশক্তি তৈরি করার মন্ত্রে আমরা বিশ্বাস করি।  এরপর ‘ইমপ্যাক্ট অব গভর্মেন্ট সাপোর্টেড প্রজেক্টস অন স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা সেশন ১ অনুষ্ঠিত হয়। মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আশিক। আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিকেএমই’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চক্রবর্তী।
২২ মে, ২০২৪

জনসচেতনতাই টেকসই উন্নয়নের পথকে সুগম করতে পারে : স্পিকার
জনসচেতনতাই টেকসই উন্নয়নের পথকে সুগম করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। জনসংখ্যার অনুপাতে জমির পরিমাণ কম হওয়া সত্ত্বেও কৃষিতে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, কৃষি ও জলবায়ু পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। জলবায়ুর নিরপেক্ষ টেকসই কৃষি ব্যবস্থা প্রচলনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ড. শিরীন শারমিন বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ১০টাকায় ব্যাংক একাউন্ট চালু করেছে। কৃষকদের অর্থনীতিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধিসহ কৃষিপণ্য বিপণন ও বাজারজাতকরণে যুগান্তকারী সাফল্য এসেছে। আধুনিক কৃষিতে পোকামাকড় নিধনসহ বিষমুক্ত বিভিন্ন সবজি ও ফল উৎপাদনে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। স্পিকার বলেন, কৃষি পণ্যের সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও যথাযথ মূল্য নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত হিমাগার নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আবহাওয়া ও জলবায়ু উপযোগী ফসলের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষিতে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা সম্ভব। এজন্য গবেষক থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমাতে নদী দূষণ প্রতিরোধ ও পরিকল্পিত বনায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন স্পিকার। এসময় পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং রায়পুর ইউনিয়ন, পীরগঞ্জ পৌরসভা ও ৯নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নের মোট ৩৪৫০ জন প্রান্তিক কৃষককে ৫ কেজি ব্রি ধান-৯৮ সহ অন্যান্য আউশ ধানের বীজ, ১০ কেজি মিউরেট অব পটাশ এবং ১০ কেজি ডায়ামোনিয়াম ফসফেট সার বিনামূল্যে প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে পীরগঞ্জ পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান এবং রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ নূর মোহাম্মদ মন্ডল, ইউএনও মো. ইকবাল হাসান, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রাজা, রংপুর জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি প্রমুখ।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

কৃষকরাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি : স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। কৃষকরাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় প্রন্তিক কৃষকদের জন্য স্প্রে মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পীরগঞ্জ উপজেলার ৯নং পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের অর্থায়নে এ স্প্রে মেশিন বিতরণ করা হয়। পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান। স্পিকার বলেন, আধুনিক কৃষির বিস্তারে কৃষকদের মাঝে সঠিক পরামর্শ প্রদানে উপজেলা কৃষি অফিস সর্বদা নিয়োজিত আছে। এ সময় তিনি নিয়মিত প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে কৃষকদের মাঝে ১৫০টি স্প্রে মেশিন বিতরণ করেন। এরপর তিনি পীরগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদ এবং লালদিঘী হাবিবিয়া কাদেরীয়া সিদ্দিকিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিদর্শন করেন। তিনি মডেল মসজিদের সামনে একটি দৃষ্টিনন্দন বাগান স্থাপনের জন্য পরামর্শ প্রদান করেন এবং প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদানে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান। পরে তিনি জয় সদন সংলগ্ন ফতেপুর মিয়াপাড়ার রাস্তাটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন এবং তার রূহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এরপর তিনি সেখানে পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। স্পিকার এ সময় ইউনিয়নভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনের আওতায় ৯নং পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ জনগণের দাবিদাওয়ার কথা শুনে সেগুলো সমাধানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলোর দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। মিঠিপুর ইউনিয়ন ও কাবিলপুর ইউনিয়নের রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সুপেয় পানির সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ইউনিয়নগুলোতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ৪১টি প্রকল্পের মধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে ২৮টি প্রকল্পের কাজ চলমান। নদীতে বাঁধ নির্মাণসহ ব্লক তৈরি ও স্লুইসগেট নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। এ সময় তিনি  নির্মাণাধীন ভেন্ডাবাড়ি মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে নারীদের বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণের আওতায় স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ অনুষ্ঠানে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এএসএম তাজিমুল ইসলাম শামীম, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রাজা, রংপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান সিদ্দিকী রনি, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মসজিদের খতিবসহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

স্পিকারের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ম্যান্টিটস্কি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) এ সাক্ষাতে তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাংলাদেশের সংসদীয় কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’। বাংলাদেশ বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বন্ধুত্বকেই উৎসাহিত করে। স্পিকার বলেন, ১৯৭১ সাল থেকেই রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক বিরাজমান। দ্বিপাক্ষিক স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, যা সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ম্যান্টিটস্কি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী। এসময় তিনি স্পিকারকে এবছর সুবিধাজনক সময়ে রাশিয়া সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। এসময় বাংলাদেশে রাশিয়া দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর একাতেরিনা সেমেনোভাসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০১ এপ্রিল, ২০২৪
X