মায়ের কাছে চিঠি / ‘এমন বউ যেন কারও কপালে না জোটে’ লিখে স্ত্রীকে হত্যা
‘মা আমারে মাফ কইরা দিয়ো। অনেক স্বপ্ন ছিল তোমারে কোনোদিন কস্ট দিব না। কিন্তু এমন একজন মানুষ তুমি আমারে আইনা দিছ, যার অত্যাচার থেকে বাঁচতে এই সিদ্ধান্ত নিলাম। তিলে তিলে মরার চাইতে একবারে মরে গেলাম। সবাই আমারে মাফ কইরা দিয়ো। সে আমারে কয়েক মাসের মধ্যে মানসিক রোগী বানাইয়া ফেলছে। পরিশেষে সবার জন্য দোয়া করে গেলাম। এমন বউ জানি কারও কপালে না জোটে।’ বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে তিনতলা ভবনের একটি কক্ষ থেকে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে স্বামীর মায়ের কাছে লেখা একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বাকি টাকা পরিশোধের কথা জানিয়ে ওই চিঠিতে লেখা ছিল, ‘নিজে একাই মইরা যাইতাম। কিন্তু এরে যদি বাঁচাইয়া রাইখা যাই, এ আরও অনেক মানুষের জীবন নষ্ট করব, তাই মাইরা ফেললাম। অনেক স্বপ্ন ছিল রাসুলের সব সুন্নাহগুলো আমার জীবনে বাস্তবায়িত করমু, কিন্তু পারলাম না!’ তার মায়ের মোবাইল নম্বর ও নিহত মীমের নানার মোবাইল নম্বর লিখে দেওয়া হয়েছে ওই চিঠির শেষাংশে। শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের বাড়ির তিন তলার একটি কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে মীমের হত্যাকারী স্বামী আল আমিন না অন্য কেউ, তা উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। নিহত মীম সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার মুলকান্দি ছোট বেড়া খারুয়া ছোটপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে। সে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার কালাই গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২৪) এর স্ত্রী। আল আমিন শ্রীপুরের মাওনা গ্রামের স্বাদ গ্রুপের স্বাদ টেক্সটাইল মিলে সিনিয়র হেলপার পদে চাকরির সুবাদে স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন।  বাড়িটির তত্ত্বাবধায়ক মো. মোস্তাকিম জানান, ৩ মাস আগে মীম-আল আমিন দম্পতি ওই বাড়ির তিন তলার ৩৩ নম্বর রুমে ভাড়ায় উঠেন। বুধবার দুপুর ১টার দিকে আল আমিনের সহকর্মী আরিফ বাসায় এসে জানান, আল আমিন তার স্ত্রী মীমকে হত্যা করে কক্ষে তালা মেরে গিয়েছে। মীমকে হত্যার পর আল আমিন বিষয়টি কারখানায় গিয়ে সহকর্মী আরিফকে জানিয়েছেন। পরে তিনি বিষয়টি বাড়ির অন্যদের জানান, পাশাপাশি পুলিশে খবর দেন। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে আসেন নিহত মীমের খালা সালমা আক্তার। তিনি বলেন, ৬ মাস আগে আল আমিন ও মীমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ভালোই চলছিল তাদের সংসার। কিছু দিন আগে স্ত্রীকে নিয়ে মাওনা উত্তরপাড়ায় রুম ভাড়া নেন আল আমিন। তবে হত্যা কী কারণে হতে পারে তা তিনি জানাতে পারেননি। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার  ওসি আকবর আলী খান জানান, ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে স্বামী আল আমিনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। হত্যাকাণ্ড কে বা কারা ঘটাল তা উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৬ জুন, ২০২৪

স্ত্রীকে হত্যা করা মুয়াজ্জিন মসজিদ থেকে আটক
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যান মুয়াজ্জিন শিহাব উদ্দিন। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সুজন গ্রামে তার কর্মরত মসজিদের সিঁড়ির নিচ থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই তিনি সিঁড়ির নিচে আত্মগোপনে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে রামগতি থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় শিহাবকে আটক করা হয়েছে। তিনি থানায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটক শিহাব একই উপজেলার শ্যামল গ্রামের বাসিন্দা ও সুজন গ্রামের একটি মসজিদের মুয়াজ্জিনের চাকরি করতেন। সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার শিহাব ছাগলের মাংস কাটছিলেন। এর মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। শিহাব তার হাতে থাকা চুরি দিয়ে শাহনাজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
২২ জুন, ২০২৪

স্ত্রীকে হত্যা করে মসজিদের সিঁড়ির নিচে লুকানো মুয়াজ্জিন আটক
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় মুয়াজ্জিন শিহাব উদ্দিন। ঘটনার পরপরই সিঁড়ির নিচে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সুজন গ্রামে তার কর্মরত মসজিদের সিঁড়ির নিচ থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। রাত ১১টার দিকে রামগতি থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় শিহাবকে আটক করা হয়েছে। তিনি থানায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।  আটক শিহাব একই উপজেলার শ্যামল গ্রামের বাসিন্দা ও সুজন গ্রামের একটি মসজিদের মুয়াজ্জিনের চাকরি করতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মুয়াজ্জিনের চাকরি করায় শিহাব তার স্ত্রী শাহনাজকে নিয়ে সুজন গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় থাকত। বৃহস্পতিবার সকালে শিহাব ছাগলের মাংস কাটছিলেন। এর মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। পরে শিহাব তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে শাহনাজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই শাহনাজের মৃত্যু হয়। একপর্যায়ে মরদেহ ঘরে রেখে শিহাব পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
২১ জুন, ২০২৪

কংক্রিটের খুঁটিতে মাথা ঠুকিয়ে স্ত্রীকে হত্যা
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘরের কংক্রিটের খুঁটিতে মাথা ঠুকিয়ে রশিদা বেগম নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে স্বামী। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  রবিবার (৯ জুন) বিকালে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের আছিয়ার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত গৃহবধূ রশিদা বেগম আছিয়ার বাজার এলাকার রাজমিস্ত্রি রহিমুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।  স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রহিমুল ইসলাম স্ত্রী রশিদা বেগমের চুল ধরে ঘরের কংক্রিটের খুঁটির সঙ্গে মাথা ঠুকতে থাকেন। এতে রশিদার কপাল ও মুখ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মারা যান তিনি। ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হুমায়রা বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে আনা হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটা জানি না।  ফুলবাড়ী থানার প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে নিহতের স্বামী রহিমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সোমবার (১০ মে) আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
১০ জুন, ২০২৪

রাস্তায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী
পাবনার ঈশ্বরদীতে স্বামীর ছুরিকাঘাতে রিনা আক্তার নামে এক গার্মেন্টসকর্মী নিহত হয়েছেন। রোববার (২ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় ঈশ্বরদী ইপিজেড গেট এলাকার সড়কে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত রিনা আক্তার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক সিংগীপাড়া গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে। স্বামী মিলন হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, রিনা আক্তার ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসাঁ বারিন্দ লিমিটেড নামক গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সকালে গার্মেন্টসে যাওয়ার সময় সড়কে স্বামী মিলন তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। ছুরিকাঘাতে পর নিহতের স্বামী মিলনকে আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। ইপিজেড এলাকায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে গার্মেন্টসকর্মী নিহতের ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম কালবেলাকে ব্ষিয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছুরিকাঘাতে নিহতের খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আলাদা বসবাস করতেন। নিহতের স্বামী মাদকাসক্ত। তিনি বলেন, স্বামী মিলনকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০২ জুন, ২০২৪

পারিবারিক কলহের জেরে বালিশচাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পারিবারিক কলহের জেরে সুরভী খাতুন নামে এক গৃহবধূকে বালিশচাপায় হত্যা করেছে স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান। ঘটনার পর থেকে স্বামী মোস্তাফিজ পলাতক রয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) রাতে গোদাগাড়ী পৌর সদরের গোদাগাড়ী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সদরের মেডিকেল মোড় এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় সুরভীর। মোস্তাফিজুর রহমান বেকার থাকায় প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। বুধবার (১৫ মে) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিয়োগের এমসিকিউ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।  এ পরীক্ষায় সুরভী খাতুন উত্তীর্ণ হন। এ খবর শুনে স্ত্রী সুরভী খাতুন মায়ের বাড়িতে থাকায় রাতে সেখানে যান মোস্তাফিজুর রহমান। অপরদিকে স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান একই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ঝগড়া হয়। দীর্ঘদিন থেকে কর্মহীন থাকায় মোস্তাফিজুর রহমানের শাশুড়িও মেয়ের জামাইকে বকাঝকা করেন। এরপর রাতে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সুরভির মা তাদের ডাকতে গেলে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন মেয়ের নীথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে। জামাই মোস্তাফিজুর রহমান ঘরে নেই। তড়িঘড়ি করে সুরভীর মরদেহ গোদাগাড়ীর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুরভীকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর খবর পেয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। গোদাগাড়ী সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল রানা কালবেলাকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহত গৃহবধূর গলায় হালকা দাগ দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে তাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নিহত গৃহবধূর মা জোছনা আক্তার বাদী হয়ে নিহতের স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। তবে আসামি পলাতক থাকায় সে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তবে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
১৬ মে, ২০২৪

চিকিৎসার অর্থ নেই, আইসিইউ রুমে ঢুকে স্ত্রীকে হত্যা করলেন স্বামী
চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য এবং হাসপাতালের বিল দেওয়ার অর্থ না থাকায় নিজের স্ত্রীকে হত্যা করেছেন এক স্বামী। গত শুক্রবার (৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্টারপয়েন্ট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের কাছে ঐ ব্যক্তি নিজেই স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।  হাসপাতালের কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছে, ঐ ব্যক্তি নিজেই তার অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা অবস্থায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর তিনি “আমি তাকে হত্যা করেছি। আমি তার শ্বাসরোধ করেছি” বলে চিৎকার করতে থাকেন।  হাসপাতাল কর্মীরা আরও জানিয়েছে, ওই নারী আইসিইউতে ছিলেন এবং তার ডায়ালাইসিস চলছিল। পুলিশ ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, লোকটির নাম রনি উইগস। তিনি হাসপাতালের বেডে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করেন। এছাড়া তার নাক ও মুখও চেপে ধরেন যেন তিনি চিৎকার করতে না পারেন। হাসপাতালের কর্মীদের ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং দেখে ওই নারীর নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।  ওই স্বামী পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি আর্থিক ও মানসিক দুরবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। আর এ কারণে স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।  
০৭ মে, ২০২৪

দুই যুগ আগে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করেছিলেন তিনি
নারায়ণগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. এবাদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি তার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১১-এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া। রূপগঞ্জের টাওড়া এলাকার মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে এবাদুল্লাহ (৪৩)। রূপগঞ্জ থানার গাউছিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালত নারায়ণগঞ্জ আদালতের বিচারক মো. আমিনুল হক তাকে দোষী সাব্যস্থ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। ওই মামলায় এবাদুল্লাহই একমাত্র আসামি। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০০ সালের ৫ জুলাই এবাদুল্লাহ স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে আসামি তার স্ত্রী লিপি আক্তারকে মারধর করেন। একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মো. নজুম উদ্দিন বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে রূগগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে জামিনে বের হয়ে পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‍্যাব।
০৭ মার্চ, ২০২৪

প্রেমের বিয়ে, স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা!
নোয়াখালী সদর উপজেলায় এক গৃহবধূর গলা কাটা লাশ এবং তার পাশ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভোরে পৌরসভার বসুন্ধরা কলোনির কচি ডাক্তারের বাসার দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তামান্না ইসলাম পিনু (১৬) ও মেহেদী হাসান শুভ (২২) সম্পর্কে খালাতো ভাইবোন। প্রেম করে এক বছর আগে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনিতে শাশুড়ির বাসায় থাকতেন শুভ। ওই বাসায় নিহত তামান্নার মা ও ভাইও থাকতেন। সোমবার সকালে ঘর থেকে শুভ ও তামান্নার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন তামান্নার ভাই হোসেন আহমেদ নোমান। খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানা-পুলিশ তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।  সুধারম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী শুভ প্রথমে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করেন পরে নিজে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তদন্ত করে পরে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রেম করে বিয়ে, স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভোরে নোয়াখালী পৌরসভার বসুন্ধরা কলোনী কচি ডাক্তারের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি। নিহত মেহেদী হাসান শুভ (২০) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার ছেলে ও তামান্না ইসলাম পিনু (১৬) পৌর এলাকার লিটনের মেয়ে। স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াও সম্পর্কে তারা খালাতো ভাই-বোন ছিলেন।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খালাতো ভাই-বোন প্রেম করে গত এক বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনীতে শাশুড়ির বাসায় থাকতেন শুভ। ওই বাসায় নিহত তামান্নার মা ও ভাই থাকতেন। সোমবার সকালে তাদের কক্ষ থেকে শুভ ও তামান্নার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন তামান্নার ভাই হোসেন আহমেদ নোমান। খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। সুধারম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী শুভ প্রথমে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করেন, পরে নিজে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪
X