ওমানে স্ট্রোক করে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু
ওমানে স্ট্রোক করে মো. রাসেল উল্যাহ (২৮) নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) দুপুরের দিকে ওমানের সালালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে নিহতের মরদেহ ওই দেশের সুলতান কাবুজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহত রাসেল নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাজাদপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে।   সিরাজপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান টিপু নিহতের ভাইয়ের বরাত দিয়ে জানান, ৩ বছর আগে জীবিকার তাগিদে ওমান পাড়ি জমান রাসেল। তিনি তার আরও দুই ভাইয়ের সঙ্গে সালালাতে বাগানে কাজ করতেন। বুধবার সকালে তিনি বাগানে কাজ করার সময় অসুস্থতা বোধ করলে তার ভাই আনিছ ও সবুজকে জানান তাকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে। এরপর তিনি রুমে গিয়ে নাস্তা করার সময় বমি করেন। পরে সেখানে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। পরে তার ভাই গিয়ে দেখেন তিনি ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। পরে নিহতের বড় ভাই তাকে স্থানীয় সুলতান কাবুজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।   সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবার মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
০৬ জুন, ২০২৪

তীব্র গরমে তিনজনের মৃত্যু
আবারও তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে। কমেছে শ্রমজীবী মানুষের আয়-রোজগার। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়েছে তাপপ্রবাহ। অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও পরিমাপযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী শনিবার পর্যন্ত সারা দেশেই বয়ে যেতে পারে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এরপর থেকে ফের ৫ থেকে ৬ দিন বৃষ্টি হতে পারে।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের সব বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।  এসময়ে উত্তরপূর্বাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।  শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।  আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন,সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে এ তাপপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হবে না। রংপুর, রাজশাহী বিভাগের সাথে সাথে যশোর, কুষ্টিয়া জেলার তাপমাত্রাও কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। তবে তা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ানোর শঙ্কা নেই। আগামী শনিবার থেকে তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হবে। এরপর কালবৈশাখী এবং বজ্রসহ বৃষ্টি সিলেট এবং ময়মনসিংহ বিভাগ দিয়ে শুরু হবে। আর সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রোববার। এ বৃষ্টি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাকতে পারে। এতে কমে আসবে গরমের তীব্রতা। আগামী ২২ বা ২৩ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। দেশে আবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে। সেদিন সাত জেলায় দাবদাহ ছিল; যা ক্রমেই নতুন নতুন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। বুধবার দেশের ৬০ জেলায় বয়ে চলা মাঝারি থেকে মৃদু তাপপ্রবাহের মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।  মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।বঙ্গোপসাগরে এক বা দুটি লঘুচাপ হতে পারে, যার মধ্যে একটি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। চলতি মাসে নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ থাকতে পারে। তবে উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। তীব্র গরমে তিনজনের মৃত্যু : সিরাজগঞ্জে ধান কাটতে গিয়ে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিষ্ণুপদ মজুমদার (৫১) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙালা ইউনিয়নের রহিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা। স্বজনরা জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে নিজের জমিতে ধান কাটছিলেন বিষ্ণুপদ। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। তবে হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে হিটস্ট্রোকে শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার নয়াগ্রামের আবু আহমদের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, শফিকুল ফুটপাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। জিন্দাবাজারে সিটি সেন্টারের সামনে আসামাত্র তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে নগরের শহীদ সামসুদ্দিন হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। শফিকুলের ভাই জহিরুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতো। সিটি সেন্টারে শেয়ার মার্কেটের অফিসে আসছিল। কিন্তু মার্কেটে প্রবেশের আগেই সে হিটস্ট্রোকে মারা যায়। অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় আবু তালেব (৫০) নামে এক আনসার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে তিনি স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আবু তালেব আনসারের প্লাটুন কমান্ডার। তার বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার চরপাড়া গ্রামে। শাহবাগ থানার অধীনস্থ এই আনসার কর্মকর্তা নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত ছিলেন। দোকান কর্মচারী মো. বেলাল জানান, নিউমার্কেট এলাকার চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি রাস্তায় পড়ে আছেন ওই ব্যক্তি। আর তাকে ঘিরে আছেন অনেক লোকজন এবং মাথায় পানি ঢালা হচ্ছে। তখন ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।  শ্রেণিকক্ষে ২৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষে ২৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার উপজেলার হোসেনপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।  অসুস্থ ২৫ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বলেন, ক্লাস করার সময় কয়েক শিক্ষার্থী হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পরে যায়। গরমে তাদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। আমরা তাদেরকে মাথায় পানি ঢালাসহ প্রাথমিক সেবা দেয়। অসুস্থ এক শিক্ষার্থী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে স্কুল ছুটি দেওয়া হয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য মণ্ডল বলেন, গরমে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এ ছাড়া আগে থেকেই কয়েকজনের জ্বর ছিল। কয়েকজন আতঙ্কিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকতে পারে।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানভীর হাসান জিকু বলেন, বিদ্যালয়টি ঘনবসতিপূর্ণ আবদ্ধ পরিবেশে অবস্থিত। গরমে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার পাশাপাশি কয়েকজন আতঙ্কিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।  
১৬ মে, ২০২৪

রেকর্ড তাপমাত্রার পর চুয়াডাঙ্গায় কিছুটা স্বস্তি
পরপর দুদিন সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রির পর এবার কমেছে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায়  সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৯ শতাংশ। তবে বাতাসের আদ্রর্তা বেশি অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর  রহমান বলেন, ‘এ জেলায় তীব্র তাপদাহ চলছে। তাপমাত্রা আজ সামান্য কমেছে। তবে আগামীতে বাড়তে পারে। মে মাসের কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’ চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। অতি তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণীকূল। সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অনাহারে দিন পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োাজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এত উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিটস্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এদিকে তীব্র দাবদাহের মধ্যে রোববার জেলার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগুলোতে পুরোদমে ক্লাস হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। চলমান তীব্র দাবদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জেলার অভিভাবকরা।  এদিকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (২৬) এপ্রিল ছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

স্বাস্থ্য / হিটস্ট্রোক ও সাধারণ স্ট্রোক
ইদানীং গরমের কারণে শোনা যাচ্ছে হিটস্ট্রোকের কথা। এটি একটি জরুরি স্বাস্থ্যগত অবস্থা, যা যে কারও হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা নিলে মস্তিষ্কের ক্ষতি ও স্ট্রোকসংক্রান্ত অন্যান্য জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অন্যথায় রোগীর মৃত্যুও ঘটে। তবে সাধারণ স্ট্রোক বলতে যা বুঝি, সেটার সঙ্গে হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো হলো—মাথাব্যথা, বিভ্রান্তি, বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে, গরম লাগা, লাল, শুষ্ক বা স্যাঁতসেঁতে ত্বক, নাড়ির গতি বেড়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীরও গরম হয়ে যায়। এর ফলে রক্তনালিগুলো খুলে যায়। তখন রক্তচাপ কমে শরীরে রক্ত সঞ্চালন করা হৃৎপিণ্ডের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া প্রচুর ঘাম হওয়ার কারণে শরীরে তরল পদার্থ ও লবণের পরিমাণ কমে যায়। এমনিতে সাধারণ স্ট্রোক বলতে আমরা যে রোগটির কথা জানি, তা হলো মস্তিষ্কে হঠাৎ রক্ত প্রবাহের ঘাটতি। রক্তনালির ভেতরের অংশে কোলেস্টেরল, চর্বি, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি জমে রক্ত চলাচলের পথ সরু বা বন্ধ হয়ে গেলে মস্তিষ্কের যে কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। দেহের রক্তের মাত্র ২ শতাংশ মস্তিষ্ক ব্যবহার করে। মস্তিষ্কের কোষগুলো বেশ সংবেদনশীল। অক্সিজেন বা শর্করা সরবরাহে সমস্যা হলে দ্রুত কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এ রক্ত সরবরাহের সময় ব্যাঘাত ঘটলে নালিকাগুলো ফেটে গিয়ে স্ট্রোক হতে পারে। মূলত দুই ধরনের স্ট্রোক রয়েছে। ইসকেমিক স্ট্রোক, হেমোরেজিক স্ট্রোক। রক্তবাহী নালিকা জমে গিয়ে নালি সরু হয়ে যাওয়ার কারণে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। তখন ইসকেমিক স্ট্রোক হয়। আবার মস্তিষ্কের ভেতরে দুর্বল রক্তনালি ফেটে বা ছিদ্র হয়ে মস্তিষ্কের চারপাশে রক্তক্ষরণের কারণে হেমারেজিক স্ট্রোক হয়। ট্রানজিয়েন্ট ইসকেমিয়া অ্যাটাক হয়, যখন মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় এবং ২৪ ঘণ্টারও কম সময় স্থায়ী হয়, তখন সেটা ট্রানজিয়েন্ট ইসকেমিয়া অ্যাটাক। এতে মস্তিষ্কে কোনো স্থায়ী ক্ষতি না হলেও পরে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণ স্ট্রোকের উপসর্গ হঠাৎ মুখ, হাত অথবা পায়ের একপাশ দুর্বল হওয়া বা অবশ হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরানো, হাঁটতে ও ভারসাম্য রক্ষায় অসুবিধা হয়। এ ছাড়া চোখে ঘোলা লাগবে, অন্ধকার লাগা বা ডাবল দেখা যাবে। সেইসঙ্গে দেখা দিতে পারে মাথাব্যথা, খিঁচুনি, কথা বলতে ও বুঝতে অসুবিধা হওয়া। শনাক্তকরণ দ্রুত স্ট্রোক শনাক্ত করা যায় ফাস্ট পদ্ধতি। ফেস : লক্ষ করতে হবে রোগীর চোখ-মুখ ঝুলে গেছে কি না এবং মুখ বেঁকে গেছে কি না, হাসলে বেঁকে যাচ্ছে কি না? আর্মস : রোগী নিজে নিজে দুই হাত ওপরে তুলতে পারে কি না এবং কিছুক্ষণ ধরে রাখতে পারে কি না। স্পিচ : খেয়াল করতে হবে কথা বলতে গেলে জড়তা আসে কি না অথবা মুখের কথা এলোমেলো হয়ে যায় কি না। টাইম : যদি ওপরের তিনটি লক্ষণের যে কোনো একটি দেখা যায় তবে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। নিউরোলজির চিকিৎসা রয়েছে—এমন হাসপাতালে নিতে হয়। চিকিৎসা হিটস্ট্রোক হলে রোগীকে দ্রুত ছায়াযুক্ত, শীতল জায়গায় নিয়ে যান এবং পোশাক খুলে ফেলুন। ঠান্ডা পানি বা বরফ গোসলের ব্যবস্থা করুন। গোসল সম্ভব না হলে ভেজা কাপড় দিয়ে ত্বক ঘন ঘন মুছে দিন। মাথা, ঘাড়, বগল ও বিভিন্ন জয়েন্টে ঠান্ডা ভেজা কাপড় বা বরফ রাখুন। সাধারণ স্ট্রোকেরও কার্যকর চিকিৎসা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল লেভেল, ডায়াবেটিসের পরিমাণ, সিটি স্ক্যান, কারোটিড আলট্রাসনোগ্রাম, প্রয়োজনে এমআরআই, ইকো কার্ডিওগ্রাফি ইত্যাদি করে রোগীর সার্বিক অবস্থা দেখেন চিকিৎসকরা। ইসকেমিক স্ট্রোকের রোগীকে রক্ত জমাট বাঁধা বা মস্তিষ্কে দ্রুত রক্ত চলাচল চালুর জন্য জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ প্রয়োগ করে চিকিৎসকরা দ্রুত সারিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। আবার হেমোরেজিক স্ট্রোকের অপারেশনও করা হয়। প্রতিরোধে করণীয় হিটস্ট্রোকে প্রতিরোধে ঘরে বা ছায়ায় থাকাই প্রথম কাজ। পান করতে হবে প্রচুর পানীয়। এ সময় শিশুদের কোনো ঘরে বা গাড়িতে একা রেখে যাবেন না। সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকতে হবে। দিনে শরীরচর্চা বাদ দিন। কোথাও গেলে সঙ্গে করে পানি নিয়ে যাবেন। অন্যদিকে সাধারণ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, টেনশনমুক্ত জীবন, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এ ছাড়া কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, চর্বিজাতীয় খাবার বর্জন, মদ্যপান ও ধূমপান বাদ দিন।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

যেসব লক্ষণে বুঝবেন হিট স্ট্রোক হতে পারে আপনারও  
প্রচণ্ড গরমে দেশব্যাপী জারি রয়েছে তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট। দাবদাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। বাইরে বেশিক্ষণ টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে তাপের কারণে। এর মধ্যে তীব্র দাবদাহের কারণে হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। একদিনে দেশের জেলায় হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন দুজন।  হিটস্ট্রোকের কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো জানা থাকলে নিজে যেমন সচেতন থাকা যায়, অন্যদের দিকেও খেয়াল রাখা যায়। এক নজরে দেখে নিন লক্ষণগুলো :  প্রচণ্ড মাথাব্যথা : হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। এ ছাড়া গরমে মানুষের মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। এটি হিটস্ট্রোকের অন্যতম একটি লক্ষণ হতে পারে। বেশি তৃষ্ণা অনুভব ও অতিরিক্ত ঘামানো :  হিট স্ট্রোকের আগে অনেক বেশি তৃষ্ণা অনুভব হবে, সেইসঙ্গে ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব হতে পারে। শরীর নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য অতিরিক্ত ঘাম তৈরি করতে পারে। হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে। শ্বাসকষ্ট : হিটস্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী শ্বাস-প্রশ্বাসও। দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া : তীব্র গরমের কারণে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। এতে শরীরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এগুলো হিটস্ট্রোকের লক্ষণ। পেশিতে ব্যথা : হিটস্ট্রোকের আগ মুহূর্তে পেশিতে ব্যথা অনুভব হতে পারে। যদিও  সাধারণ ব্যথা ভেবে অনেকে এটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। বমি বমি ভাব : মাথাব্যথা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের অভাব ইত্যাদির কারণে হিটস্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব হতে পারে। কথা জড়িয়ে যাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তারমধ্যে একটি হলো কথা জড়িয়ে যাওয়া। ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করতে পারে। বিরক্তি-বিভ্রান্তি : মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোকের আগে মানুষ বিরক্ত বোধ করতে পারে, রাগান্বিত হতে পারে, অযৌক্তিক কথা বলতে পারে এবং এমনকি প্রলাপ বকতে করতে পারে। ঘাম না হওয়া : হিটস্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ হলো প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া। সাধারণত এর মানে  হচ্ছে, শরীরে ঘাম হওয়ার মতো পানি আর নেই বা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল প্রক্রিয়াটি কাজ করছে না। চিকিৎসকদের মতে, হিটস্ট্রোক এড়াতে শরীর হাইড্রেট রাখার কোনো বিকল্প নেই। তাপমাত্রা বেশি হলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পরে ঘরের বাইরে যেতে হবে। সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করা। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। তবে কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় হিটস্ট্রোকে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি মারা যান। হিটস্ট্রোকে মৃত ওই বৃদ্ধের নাম শাহজাদা ছালেহ আহমদ শাহ (৭০)। তিনি উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়া এলাকার হযরত আহমদ হাসান শাহ (র.) এর বড় ছেলে। পরিবারে তার স্ত্রী, চার ছেলে ও ছয় মেয়ে রয়েছেন।   তার ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আনোয়ারা হলি হেলথের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই ছালেহ আহমদের মৃত্যু হয়েছে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। এদিকে শাহজাদা ছালেহ আহমদ শাহর মৃত্যুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান গভীর শোক প্রকাশ করেন।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

স্ট্রোক হয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর সব ভুয়া খবর! জানালেন পুত্রবধূ
বেশ কয়েক দিন ধরেই কলকাতায় রয়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এই সময়টা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কাটছে তার। কখনও তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত, কখনও আবার ছবির শুটিং নিয়ে। শনিবার (১০ ফেব্রয়ারি) সকালে এক খবরে জানা গেছে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী অসুস্থ। শুটিং ফ্লোরেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। দ্রুত তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই খবরে আরও জানা যায়, স্ট্রোক হয়েছে অভিনেতার। এর মাঝেই মুখ খুললেন অভিনেতা পুত্রবধূ মাদলসা শর্মা। এই সব খবরকেই ভুয়া বলে উড়িয়ে দেন তিনি। -খবর আনন্দবাজার ২০১৮ সালে মিঠুনের ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছেন মাদালসা। শনিবার সকাল থেকে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে অভিনেতার অসুস্থ হওয়ার খবর। ‘শাস্ত্রী’ ছবির শুটিং চলাকালীন অসুস্থ বোধ করেন তিনি। ছবির প্রযোজক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী তাকে নিয়ে যান হাসপাতালে। জানা যায়, এমআরআই করা হয় অভিনেতার সেখানেই ধরা পড়ে স্ট্রোকের খবর। যদিও এ সব ভুয়া খবর বলেই দাবি করেছেন মাদালসা। তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা— এ সব ভুল কথা, রুটিন-চেকআপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে নেওয়া হয়েছে তাকে।’ যদিও এই মুহূর্তে হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন অভিনেতা। সূত্রের খবর, প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে, আপাতত অভিনেতার অবস্থা স্থিতিশীল।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি মিঠুন চক্রবর্তী
সিনেমার শুটিং চলাকালীন ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কলকাতায় মিঠুন তার আগামী ছবি ‘শাস্ত্রী’-এর শুটিং করছিলেন। শুটিং চলাকালে সকাল ১০টা নাগাদ তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। এসময় তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে এমআরআই করা হয়। বয়সজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন এই তারকা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মিঠুনের সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা তথা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। পথিকৃৎ বসু পরিচালিত ‘শাস্ত্রী’ ছবিটি জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর। এই ছবির মূল চরিত্রে মিঠুনের সঙ্গে আছেন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। দীর্ঘ ১৬ বছর পর তারা একসঙ্গে পর্দায় আসতে চলেছেন। ‘শাস্ত্রী’ ছবির প্রযোজনা করছেন সোহম চক্রবর্তী। গত বছর পশ্চিমবাংলায় মিঠুন অভিনীত ‘কাবুলিওয়ালা’ ছবি মুক্তি পেয়েছে। সেই ছবিতে মিঠুনের অভিনয় প্রশংসা কুড়ায় দর্শক মহলে। অনেকে বলেছেন, শাহরুখের ‘ডানকি’-এর দাপটেও কমেনি মিঠুনের ‘কাবুলিওয়ালা’-এর জনপ্রিয়তা। এর আগে, গত ডিসেম্বরে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন শিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান। শিল্পীকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে শেষমেশ ৯ জানুয়ারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় রাশিদের।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কক্সবাজারে স্ট্রোক করে শিক্ষকের মৃত্যু
কক্সবাজারে খাইরুল ইসলাম নামে এক সহকারী মাদ্রাসা শিক্ষক মতিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন গত ৩১ জানুয়ারি। ওইদিন রাতে স্ট্রোক করলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জানা যায়, খাইরুলের বাড়ি দিনাজপুরে। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। সহকর্মীরা জানান, স্ত্রী-সন্তানদের ছেড়ে বাড়ি থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে চাকরির কারণে হতাশা ভর করে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি না থাকায় সে হতাশা বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। খায়রুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাতুন নিসা কালবেলাকে বলেন, বিভিন্ন সময় কর্মস্থলের লোকজন ও সেখানকার খাবারের মান নিয়ে আক্ষেপের কথা বলতেন। সে কারণেই বদলি হয়ে নিজ এলাকা বা তার আশপাশে যেতে চাইতেন। সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়ার পরও সেটি থমকে যায়। সে কারণে হতাশ হয়ে পড়েন। তিনি আরও জানান, হতাশাগ্রস্ত হয়ে কয়েক মাস মাদ্রাসায় অনুপস্থিতও ছিলেন। তারপরও মাদ্রাসা থেকে বেতন দেওয়ার কথা বলেছিল। পরে যখন বেতন আনতে যান, বলা হয়, ওই সময়ে তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। এ কারণে আরও বেশি অস্থির হয়ে পড়েন। শেষমেশ স্ট্রোক করে চিরদিনের মতো চলেই গেলেন। বাল্যবন্ধু মাসুম আহমেদ জানান, অনেকদিন ধরে বদলির জন্য চেষ্টা করছিল খাইরুল। সন্তানদের ছেড়ে কক্সবাজারে চাকরি করতে তার কষ্টের কথাও জানিয়েছিলেন। বদলি নিয়ে সরকারের মধ্যে আলোচনা হওয়ায় আশার আলোও দেখেছিলেন। তবে বারবার সে সভা স্থগিত হওয়ায় দিন দিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তিনি আরও জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর সবশেষ সভা হয়। চলতি বছর জানুয়ারির শুরুতে সভার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। পরে গত ৩০ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারিত হওয়ার পর সেটিও স্থগিত হয়। খবর পেয়ে পরদিন রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বদলিপ্রত্যাশী অন্য শিক্ষকরা জানান, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা পদ্ধতিতে বদলি না থাকায় দূর-দূরান্তে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা অসহায় জীবনযাপন করছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশকৃত শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পান। তবে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশকৃত শিক্ষকরা সে সুযোগ পাননি। দ্রুত বদলি চালু করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস / স্ট্রোক প্রতিরোধে কর্মঠ হোন
স্ট্রোক নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য—নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কোনো কারণে বাধাপ্রাপ্ত হলে স্ট্রোক হয়। বিশেষ করে রক্তনালি বন্ধ হয়ে কিংবা রক্তনালি ছিঁড়ে এ সমস্যা হয়। রক্তে থাকে অক্সিজেন আর পুষ্টিগুণ। ফলে স্ট্রোক হলে অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো মারা যেতে থাকে। সারা বিশ্বে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক। স্ট্রোক দুই ধরনের— ইসকেমিক স্ট্রোক : এ ধরনের স্ট্রোকে রক্তনালির পথে ক্লট বা রক্তপিণ্ড জমে রক্ত চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। ৮৭ শতাংশ স্ট্রোক হলো ইসকেমিক স্ট্রোক। হেমারেজিক স্ট্রোক : মগজে রক্ত পৌঁছে দেয় এমন রক্তনালি দুর্বল হয়ে ফেটে বা ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ হলে সেটা হেমারেজিক স্ট্রোক ঘটায়। এর মূল কারণ উচ্চ রক্তচাপ। এ ছাড়া মিনি স্ট্রোক হয় অনেক সময়। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ট্রানজিয়েন্ট ইসকেমিক অ্যাটাক। এতে মগজে সাময়িকভাবে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বছরে প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে প্রায় ৫০ লাখই মারা যায়। উন্নত বিশ্বের তুলনায় নিম্ন আয়ের দেশে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। ২০১৭ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি ১ হাজারের মধ্যে প্রায় ১১ দশমিক ৩৯ জনের স্ট্রোক হচ্ছে এবং নারীদের তুলনায় পুরুষ রোগী প্রায় দ্বিগুণ। স্ট্রোক হওয়ার প্রথম সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আসতে পারলে বিশেষ কিছু চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। কিন্তু সময় পার হয়ে গেলে মস্তিষ্কের কোষগুলো স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এতে আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ এমনকি রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। কারণ n রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল। n উচ্চ রক্তচাপ ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ। n মানসিক চাপ, অতিরিক্ত টেনশন, অবসাদ। n সারা দিন শুয়ে বসে কাটানো ও কায়িক পরিশ্রম না করা। n অস্বাভাবিক ওজন। n অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। বিশেষত অতিরিক্ত তেল ও চিনিযুক্ত, ভাজাপোড়া খাবার ও পানীয় পান। ধূমপান, তামাক-জর্দা, মদ বা অন্যান্য মাদক সেবন। লক্ষণ স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে হলে লক্ষণও জানা চাই। লক্ষণগুলোকে সংক্ষেপে বলা হয় FAST। F = Face = মুখ বেঁকে যাওয়া, A = Arm = হাত দুর্বল অথবা অবশ হয়ে আসা, S = Speech = কথা জড়িয়ে যাওয়া এবং T = Time তথা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে আগে থেকেই খোঁজ নিয়ে রাখতে হবে কোন হাসপাতালে স্ট্রোকের ভালো চিকিৎসা রয়েছে এবং কোন নম্বরে ফোন করলে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাবে। FAST ছাড়াও আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে— n দেহের একদিকে মুখ, বাহু বা পা অবশ বা বেঁকে যাওয়া। n হতবিহ্বল হওয়া বা কারও কথা বুঝতে সমস্যা হওয়া। n এক চোখে দেখতে অসুবিধা হওয়া, হাঁটতে অসুবিধা হওয়া বা মাথা ঝিমঝিম করে ওঠা। প্রতিকার n উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সর্বোপরি স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন। n অতিরিক্ত তেলচর্বি ও চিনি-লবণযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড এড়িয়ে পুষ্টিকর ডায়েট মেনে চলুন। n মাদককে না বলে দিন। n প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম। n শরীরচর্চা বা নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করা। n ছয় মাস অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা। লেখক : প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
২৯ অক্টোবর, ২০২৩
X