আপেল চাষ করে তাক লাগালেন স্কুলশিক্ষিকা
দুই বছর আগে এক হাজার ৪০০ টাকায় চারটি আপেল গাছের চারা কিনে আনেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। পরীক্ষামূলকভাবে সেই চারা রোপণ করেন বাড়ির আঙিনায়। তাতেই সফলতা ধরা দেয় তার। পরীক্ষামূলক এ আপেল চাষ করেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সাহাবাজ গ্রামের সহকারী অধ্যাপক আবু রেজার স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। শিক্ষকতার পাশাপাশি বাড়িতে আপেল বাগানে সময় দেন তিনি। তার মতে, উপজেলায় এটিই প্রথম আপেলের বাগান। আপেল গাছ আলো, বাতাস পূর্ণ এবং উঁচু জমিতে ভালো হয়। বেলে দোআঁশ মাটি আদর্শ হলেও অন্য মাটিতেও এটি রোপণ করা যায়। তবে আপেল গাছ কোনোভাবেই জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। হামিদা খাতুন তাই প্রথমে নির্বাচন করেন উঁচু জায়গা। তারপর গর্ত করে কম্পোস্ট ও জৈবসার মেশানো হয়। এরপর মাটির সঙ্গে কিছু রাসায়নিক সার মিশিয়ে প্রস্তুত করেন চারা রোপণের জন্য। তারপর ভারতীয় হরিমন শর্মা ৯৯, ইসরেয়েলের আন্না, অস্ট্রেলি সুইট টপিক, যুক্তরাষ্ট্রে গোল্ডেন ডোরমেড জাতের এই ৪টি চারা সংগ্রহ করেন তিনি। চলতি মৌসুমেই চারা গাছে ফুল আসতে শুরু করে। গোল্ডেন ডোরমেড জাতের গাছটিতে মাত্র ২টি ফল ধরে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আপেল বাগানের কথা শুনে বাগান দেখতে আসেন অনেকেই। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন বলেন, সাধারণত আপেল শীতপ্রধান দেশে চাষ করা হয়। এ কারণে এ দেশ আপেল চাষের উপযোগী নয়। এর বিপরীতে স্কুলশিক্ষিকার এ সাফল্য হয়তো নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। হামিদা খাতুনের বাগানে আপেলের পাশাপাশি মালটা, ডালিম, বেদানা, লিচু, বড়ই, আম, আলু বোখারাসহ বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে।
১৩ জুন, ২০২৪

২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রীকে তালাক
রাজশাহীর তানোরে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিয়ের পাঁচ দিনের মাথায় স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রীকে তালাক দিলেন স্বামী। রোববার (১২ মে) স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রী মামলা করলে অভিযান চালিয়ে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার নাজির হোসেন তানোর উপজেলার কলমা ইউপির কলমা গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় নাজির হোসেনের। একসময় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুযোগে শিক্ষিকার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন প্রেমিক নাজির। পরে আবার ৩ মার্চ আবারও ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেন নাজির। গত ২০ এপ্রিল নাজির হোসেন সহকারী শিক্ষিকাকে তানোর পৌর সভার কাজী আব্দুল মতিন কাজীর কাছে নিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের শিক্ষিকা তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তিনি। বিয়ের পাঁচদিন পর ২৫ এপ্রিল ডিভোর্সের চিঠি শিক্ষিকার বাবার বাড়ি ও স্কুলের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয় নাজির। শনিবার (১১ মে) নাজির হোসেন তার বাড়ি কলমা গ্রামে গেলে উভয় পরিবারের সদস্যরা আটক রেখে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। উভয়পক্ষ ও স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধানে ব্যর্থ হন। রোববার তানোর ধানায় মামলা করলে পুলিশ নাজির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষিকা মামলা করেছে। এ মামলায় স্বামী নাজির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাজির হোসেন এর আগেও প্রতারণা করে দুটি বিয়ে করেছে। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে।
১৩ মে, ২০২৪

চাকরি বিধি লঙ্ঘন এমপি জাফরের হয়ে প্রচারে স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রী
বিধি লঙ্ঘন করে কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বামী জাফর আলমের পক্ষে প্রচারে নেমেছেন স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রী শাহেদা বেগম। তিনি চকরিয়া উপজেলার পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত অন্য শিক্ষকরাও। তবে এমপি পত্নী হওয়ায় সহজে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না। চাকরি বিধি লঙ্ঘন করলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তথ্যমতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হন বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি। স্বামীর বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছেন শিক্ষিকা শাহেদা বেগম। প্রতিদিন স্বামীর পক্ষে বিভিন্ন উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে তার বক্তব্যের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সরকারি চাকরিজীবী হয়ে প্রকাশ্যে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুরে জান্নাত মিলি মোবাইল ফোনে জানান, নির্বাচনে তিনি কী করবেন, না করবেন তা তার একান্ত নিজস্ব বিষয়। পরে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি এবং আমার কাছে এ-সংক্রান্ত তেমন কোনো তথ্যও নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শহীদুল আজম বলেন, বিষয়টি এখন নির্বাচন কমিশনের হাতে। কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, স্বামী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর স্কুলেও অনিয়মিত হয়ে পড়েন শাহেদা বেগম। পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে কোটি টাকার। তার অস্বাভাবিক সম্পদ বাড়ার বিষয়টি তদন্ত নেমেছে দুদক।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
X