সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
শিশুদের যৌন নিপীড়নে গ্রেপ্তার স্কুলশিক্ষক
রাজশাহীর কাটাখালীর একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক আব্দুল ওয়াকেল (৩৩)। তিনি মহান পেশায় থাকলেও ভয়ংকর অপকর্ম করে চলছিলেন। এই শিক্ষক ছেলেশিশুদের ওপর চালাতেন যৌন অনাচার। সেই দৃশ্য আবার ধারণ করে রাখতেন মোবাইল ফোনের ভিডিওতে। এই অপকর্মের জন্য কোচিং সেন্টারও খুলেছিলেন। তার টার্গেটে ছিল ১০ বছরের কম বয়সী শিশুরা। বেশ কয়েক বছর ধরে এমন অপকর্ম করে এলেও তা শিশুদের অভিভাবকরা জানতেন না, অবগত ছিলেন না স্কুলের অন্য শিক্ষকরাও। তবে ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেন (এনসিএমইসি)’ নামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থার কাছে ধরা পড়ে তার এই পৈশাচিকতা। সংস্থাটির কাছ থেকে তথ্য পেয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। গত শনিবার সিআইডির ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স টিমের সদস্যরা রাজশাহীর মতিহার থানার শ্যামপুর এলাকায় ওই অভিযান চালায়। গতকাল রোববার তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হলে তিনি দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। সিআইডি কর্মকর্তারা বলছেন, আবদুল ওয়াকেল অন্তত ৫০টি শিশুর ওপর পৈশাচিকতা চালিয়েছেন। কিন্তু শিশুরা ভয়ে তা অভিভাবকদের জানাত না। তিনি শিশুদের পাবজি, ফায়ারফক্সসহ নানা জনপ্রিয় গেমসের প্রলোভন দিতেন। তার কাছে গিয়ে শিশুরা এসব গেমে বুঁদ হয়ে থাকত। ওই সুযোগে পৈশাচিকতা চালাতেন তিনি। এর আগে চকলেট দিয়ে শিশুদের সঙ্গে সখ্য গড়তেন। সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ডিজম্যানেজমেন্ট বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ রেজাউল মাসুদ কালবেলাকে বলেন, এনসিএমইসিসহ শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বৈশ্বিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে সিআইডি। এরই ধারাবাহিকতায় সংস্থাটি শিশু নির্যাতনের একটি কনটেন্ট পাঠিয়ে তথ্য দেয় যে, গুগল ড্রাইভে শিশুদের পর্নো ভিডিও শনাক্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের অনুরোধ করা হলে সিআইডির ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স টিম তদন্তে নেমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পাশাপাশি ওই গুগল ড্রাইভের অবস্থান শনাক্ত করে শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। এই কর্মকর্তা বলেন, ওই শিক্ষকের কাছ থেকে ৭টি জি-মেইল অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এগুলোর ড্রাইভ ছাড়াও হার্ডডিস্কের ড্রাইভ ও পেনড্রাইভে তিনি অসংখ্য শিশুর আপত্তিকর ভিডিও রেখেছেন। যা কয়েকশ গিগাবাইট ছাড়িয়ে যাবে। সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ডিজম্যানেজমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত যেসব কনটেন্ট দেখা গেছে, তাতে ৩০ শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাতে একই শিশুর ওপর একাধিকবার পৈশাচিকতা চালাতে দেখা গেছে। আবার একটি কনটেন্টে দেখা গেছে, একসঙ্গে অন্তত তিন শিশুর সঙ্গে পাশবিকতা চালাচ্ছেন ওয়াকেল। ওই সময়ে শিশুদের কাউকে কাউকে মোবাইল গেমে বুঁদ হয়ে থাকতে দেখা গেছে। সিআইডি সূত্র জানায়, ওয়াকেল রাজশাহী কলেজে ব্যবস্থপনা বিভাগে অনার্স পড়ার সময়েই ছেলে বাচ্চাদের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার শুরু করেন। এরপর তার অপকর্ম চালাতে নিজেই ‘টিচ ইন’ নামে কোচিং সেন্টার খুলে বসেন। বর্তমানে স্কুলশিক্ষক হয়ে ওই স্কুলছাত্র ও এলাকার শিশুদের টার্গেট করেছিলেন তিনি। কোচিংয়ের শিক্ষকতা করার সময় থেকেই ওই কোচিংয়ের কোমলমতি ছাত্রদের টার্গেট করে চকলেট এবং মোবাইলে গেমস খেলার প্রলোভন দেখিয়ে সখ্যতা গড়ে তুলতেন তিনি। পরে তাদের ফুঁসলিয়ে তার কোচিং সেন্টারে, নিজ বাড়িতে এবং কখনো কখনো আশপাশের আম বা লিচু বাগানে নিয়ে যেতেন। ছাত্রদের চকলেট এবং পাবজি গেম ডাউনলোড করা মোবাইল ফোন হাতে দিয়ে পাবজি গেম খেলতে বলতেন। বাচ্চারা তখন জনপ্রিয় পাবজি গেম খেলা নিয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকত। এই সুযোগে তাদের সঙ্গে যৌনলালসা চরিতার্থ করতেন। সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে ওয়াকেল জানিয়েছেন, তিনি আগে থেকেই মোবাইল ফোনের ক্যামেরা সেট করে রাখতেন। ঘটনার সময় ভিডিও ধারণ করে তা সংরক্ষণ করে রাখতেন পরে দেখার জন্য। ছেলেশিশুরাই তার পছন্দ। এর কারণ হিসেবে বলেন, এতে কেউ তাকে সন্দেহ করত না। ছাত্র অবস্থায় এমন অপকর্ম করার পর তিনি ছেলেশিশুদের ওপর আসক্ত হয়ে পড়েন। তবে সিআইডি কর্মকর্তা রেজাউল মাসুদ কালবেলাকে বলেন, শিশুদের বিকৃত ছবি বা ভিডিও পর্নোগ্রাফির চাহিদা অন্ধকার জগতে রয়েছে। ওই শিক্ষক তা বিক্রির জন্য ভিডিও ও সংরক্ষণ করেছিলেন কি না, সেই তদন্ত শুরু হয়েছে। আগে শিশুরা অভিযোগ করেছিল কি না—এমন প্রশ্নে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, ওই শিক্ষক শিশুদের মোবাইল গেমে আসক্ত করে ফেলেছিলেন। শিক্ষকের কাছে গেলে শিশুরা গেম খেলতে পারবে, এমন চিন্তায় পরিবারের কাউকে কিছু জানাত না। তা ছাড়া ওয়াকেল সমাজে ভালো মানুষ ও ভালো শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সবাই জানতেন তিনি শিশুদের স্নেহ করেন, পড়ালেখায় সময় দেন। তা ছাড়া কোনো শিশু পরিবারে অভিযোগ করলেও হয়তো লোকলজ্জায় তারা তা চেপে যেতে পারেন। অবশ্য শুধু মেয়েশিশু নয়, ছেলেশিশুদের বিষয়েও অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে সিআইডির অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে তারা সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চালাবেন।
২০ মে, ২০২৪

স্বপ্নপূরণে ছেলেকে হেলিকপ্টারে বিয়ে করালেন স্কুলশিক্ষক বাবা
ছেলের শখ পূরণ করতে হেলিকপ্টার ভাড়া করে ছেলেকে বিয়ে করিয়েছেন সাবেক সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তফা মোল্লা। ঘটনাটি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা টেংগারচর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের। মোগরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক এ শিক্ষকের ছেলে আবু মুসা শুক্রবার (১৭ মে ) বিকেল সাড়ে ৪টায় বাগেরহাট উপজেলার মোড়লগঞ্জ থেকে হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভাটেরচর গ্রামে আসেন। স্থানীয়রা জানান, মো. মোস্তফা মোল্লা ছেলের স্বপ্নপূরণ করতেই হেলিকপ্টারে করে ছেলের বউ বাড়িতে আনার উদ্যোগ নেন। বাগেরহাট উপজেলার মোড়লগঞ্জের মোহাম্মদ ফিরোজ শিকদারে মেয়ে খাদিজা আক্তার ওরফে ময়নার সঙ্গে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছিল আজ। তাকে ঘরে তুলে আনতে ঢাকা থেকে ১ লাখ টাকায় হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়। ওই হেলিকপ্টারে কনের বাড়িতে যান বর আবু মুসা। বিকেলে বউ নিয়ে ফিরে আসেন বাড়িতে। ভাটেরচর গ্রামের যুবক জোবায়ের ও সায়মন শাহাদাত নামে দুই যুবক জানান, আমাদের গ্রামে তো দূরের কথা, আশপাশের কোনো গ্রামে কখনোই হেলিকপ্টারে চড়ে কেউ বিয়ে করতে যাননি। এ জন্য হেলিকপ্টারে বরযাত্রা দেখতে তারা এসেছেন। মাঠে হেলিকপ্টার নামার পর থেকে বড়ইকান্দি ভাটেরচর আশপাশের এলাকার অনেক মানুষ সেখানে জড়ো হয়। এ অঞ্চলে এমন বিয়ে এটাই প্রথম। এর আগে কেউ হেলিকপ্টারে বিয়ে করেনি। কনে খাদিজা আক্তার ময়না বলেন, সচরাচর হেলিকপ্টারে বিয়ে হয় না। বর আমাকে নিতে হেলিকপ্টার নিয়ে এসেছেন। এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। এজন্য আমার খুব ভালো লেগেছে।  কনের বাবা মো ফিরোজ শিকদার বলেন, মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের ইচ্ছাতে হেলিকপ্টারে বরযাত্রী এসেছে। আমরাও তাদের সাদরে গ্রহণ করেছি। খুব ভালো লাগছে। বরের ছোট ভাই ইসা বলেন, পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি আমারও খুব বেশি ইচ্ছা ছিল ভাইকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাব। সেই ইচ্ছাটা আজ পূরণ হলো। ওদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়, সবাই দোয়া করবেন। গজারিয়া থানা ওসি মো. রাজিব খান বলেন, একটি বিয়ের জন্য ভাটেরচর গ্রামে হেলিকপ্টার নামবে এমন একটি আবেদন আমরা পেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
১৭ মে, ২০২৪

হজ পালন করতে হেঁটে রওনা দিলেন স্কুলশিক্ষক জামিল
পবিত্র হজ পালন করতে হেঁটে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন কক্সবাজারের সীমান্ত শহর টেকনাফ উপজেলার ৪৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ জামিল। তিনি টেকনাফ আইডিয়াল পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কায়ুকখালী পাড়ায় তার বাড়ি। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় টেকনাফ পৌরসভার জিরো পয়েন্ট থেকে থেকে হেঁটে তিনি রওনা দেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এহতেশামুল হক। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বেনাপোল হয়ে ভারতে প্রবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাড়বেন তিনি। কাউন্সিলর এহতেশামুল হক বলেন, জামিলের হজযাত্রার জন্য পৌরসভা থেকে তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর সকালে টেকনাফ জিরো পয়েন্ট অলিয়াবাদ জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের পর মা–বাবার কবর জিয়ারত শেষে জামিল রওনা হয়েছেন। হেঁটে হজে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জামিল বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল হেঁটে সৌদি আরব যাব। এ জন্য কয়েক বছর ধরে দৈনিক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১৫-২০ কিলোমিটার হাঁটাহাঁটি করেছি। কোন পথে কীভাবে সৌদি আরব যাবেন, জানতে চাইলে জামিল বলেন, দিনে কমপক্ষে ৩৫-৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছা আছে। আমি পারব, এটুকু মনোবল রয়েছে। প্রথমে ঢাকা থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাব। ভারত থেকে পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, কুয়েত হয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করব। পুরো পথ পাড়ি দিতে আমাকে প্রায় আট হাজার কিলোমিটার হাঁটতে হবে। আমি এটুকু পথ পাড়ি দিয়ে পবিত্র মক্কা নগরীতে প্রবেশ করব। মোহাম্মদ জামিল আরও বলেন, মক্কায় যাওয়া পর্যন্ত পুরো খরচ তিনি নিজে চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ভারতীয় ভিসা পেয়েছেন। ভারতে যাওয়ার পর পাকিস্তানে যাওয়ার ভিসা নেবেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে সৌদি আরবে যাবেন। ভিসা পেতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রশাসন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চান মোহাম্মদ জামিল। তিনি জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্সের জন্য তিনি আবেদন করবেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর দূতাবাস থেকেও ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার আবেদন করবেন।
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

শোক দিবসে সাঈদীর নামে দোয়া করলেন স্কুলশিক্ষক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ও তার পরিবারের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামে দোয়া করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনা মহেশচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে অত্র বিদ্যালয়ের ধর্মীয় সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল আজিজ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য দোয়া করেন। পরে দোয়া শেষে এ বিষয়টি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সবাইকে বাইরে আলোচনা করতে নিষেধ করেন। কিন্তু এলাকার রাজনৈতিক নেতারা বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে চাপ সৃষ্টি করেন এবং বিদ্যালয়ে দেড় ঘণ্টা পাঠদান বন্ধ রাখেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহীদের প্রতি আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এমন সময় সহকারী শিক্ষক মাওলানা আব্দুল আজিজ হক দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামে দোয়া করেন। এ বিষয়টি নিয়ে তাকে চাপ সৃষ্টি করলে তিনি ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ফজলুল হক কালবেলাকে জানান, গতকাল বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকীতে স্কুলের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেই দোয়া মাহফিলে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামে দোয়া করা হয়। এ বিষয়টি আমি জানতাম না, আজকে জেনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং ঘৃণিত একটি কর্ম। তাই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা আব্দুল আজিজ হক মুঠোফোনে জানান, গত ২০০৪ সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর হাত থেকে একটি পুরস্কার গ্রহণ করেন। সে কথাটি তার দোয়ার মধ্যে মনে পড়ে যায়, তাই তিনি তার জন্য দোয়া করেন। এ বিষয়টি তার ভুল হয়েছে বলে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান শিক্ষকের কাছে। এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুল আজিজ প্রধান শিক্ষকের আস্কারা পেয়েই এমন মহতী একটি অনুষ্ঠানে তিনি স্বাধীনতাবিরোধী, মানবতাবিরোধী ও আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামে দোয়া করেছেন। আমরা এই দুই শিক্ষকের বহিষ্কারসহ আইনানুগ বিচার চাই।
১৬ আগস্ট, ২০২৩

ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ায় স্কুলশিক্ষক আটক
রাজশাহীর পুঠিয়ায় ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ায় সারোয়ার জানাহান মানিক নামের এক শিক্ষককে আটক করেছে বেলপুকুর থানা পুলিশ। সোমবার (১৪ আগস্ট) উপজেলার বেলপুকুর ধাদাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের বদ্ধ কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক শিক্ষক মানিক ওই স্কুলের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক।  এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সারোয়ার জাহান মানিক ইংরেজির সহকারী শিক্ষক হওয়ায় বিদ্যালয় ছুটির পর বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে ইংরেজি পড়াতেন। সেই সুবাদে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সোমবার বিদ্যালয় ছুটি হলে প্রাইভেট পড়ানোর পর সবাই চলে গেলে মানিক সেই ছাত্রীকে নির্জন একটি কক্ষে নিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। এসময় শিক্ষকের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শিক্ষক জোর জবরদস্তি শুরু করলে ভুক্তেভোগী ছাত্রী চিৎকার শুরু করে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে স্কুলশিক্ষক মানিককে একটি কক্ষে আটকে রাখে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের এলাকাবাসী ও অভিভবকরা শিক্ষক মানিকের শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হয়। পরে বেলপুকুর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ মানিককে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। ওইদিন রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে বেলপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।  বেলপকুর থানার ওসি এস এম মাসুদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগীর ভাইয়ের অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১৬ আগস্ট, ২০২৩
X