পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনার বার পাচার অতঃপর...
পায়ুপথে ৭০০ গ্রাম ওজনের ছয়টি সোনার বার পাচারের সময় মনোর উদ্দিন (৩১) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী মসজিদবাড়ী বিজিবি চেকপোস্টের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ২১ ব্যাটালিয়নের বিজিবি। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আটক করার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পায়ুপথে লুকানো অবস্থায় সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়। বিজিবি জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, পাচারকারীরা সোনার একটি চালান ভারতে পাচার করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে। একপর্যায়ে রাতে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইজিবাইক চালিয়ে সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। আরও জানা যায়, সময় তিনি সোনা পাচারের কথা অস্বীকার করলে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় এবং তার পায়ুপথে সোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পায়ুপথে লুকিয়ে রাখা ছয়টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। সোনাসহ একজন পাচারকারী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার বলেন, উদ্ধার সোনার চালানটি যশোর ট্রেজারিতে এবং আসামিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
২৯ মার্চ, ২০২৪

নকল সোনার বার দেখিয়ে টাকা ও গহনা লুট
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নকল সোনার বার দেখিয়ে এক নারীর কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে প্রতারক। রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার চাতরী চৌমহনী বাজারের দক্ষিণে টানেল সংযোগ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। প্রতারণার শিকার হওয়া ওই নারীর নাম জেসমিন আক্তার (২৭)। তিনি বারখাইন ইউনিয়নের উত্তর হাজিগাঁও এলাকার মফজুল ইসলামের স্ত্রী। জেসমিন আক্তার ও তার ছোট ভাই মানিকুর রহমান (১৪) চাতরী চৌমহনী বাজার থেকে নিজ বাড়ি হাজিগাঁও যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি বলে জানায় পুলিশ। জেসমিন আক্তারের ভাই মানিকুর রহমান বলেন, বিকেলে আমার বড় বোনসহ চাতরী চৌমহনী বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠি। তখন অপরিচিত আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী দুই যুবক যাত্রী হিসেবে বসে ছিল। একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু টানেল চত্বরে এলে গাড়ির সামনে একটি ব্যাগ দেখতে পেয়ে চালকের সামনে বসা যুবক ওই ব্যাগটি নেন। ব্যাগ খুলতেই ব্যাগের মধ্যে একটি সিরিকোটে ‘২২ ক্যারেট পাঁচ ভরি ওজনের গোল্ড’ লেখা স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। তারা এসব বের করে  আমার বোনের হাতে দেন। একটি টিস্যু বের করে আমি ও আমার বোনের নাকে দেওয়ার পর আমরা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এ সময় তারা আমার বোনের দুই কানের দুল ও নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আমাদের কালাবিবির দিঘির মোড় এলাকায় নিয়ে নামিয়ে দিয়ে তারা বাঁশখালী সড়ক দিয়ে চলে গেছে। আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ বলেন, সোনার বার দিয়ে প্রতারণার কোনো অভিযোগ এখনো থানায় কেউ করেনি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
২৪ মার্চ, ২০২৪

ঝিনাইদহে আবারও ৫ কোটি টাকার সোনার বার জব্দ
ঝিনাইদহের মহেশপুরের মাটিলা সীমান্ত সোনা চোরাচালান ও ধুড় পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্থানীয় চোরাকারবারিরা মাটিলা সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন দ্রব্য পাচার করছে বলে অভিযোগ। এ অবস্থায় ৪৪ দিনের ব্যবধানে শনিবার (২ মার্চ) আবারও সোনার বার ধরা পড়েছে ওই সীমান্তে।  এ সময় উদ্ধার হয়েছে চার কোটি ৩৫ লাখ টাকা মূল্যোর ৫ কেজি সোনার বার। এই নিয়ে চলতি বছরের দুই দিনে সাড়ে ৯ কেজি সোনার বার জব্দ করল মহেশপুরের ৫৮ বিজিবি।  মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) কর্তৃক নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাটিলা এলাকা দিয়ে সোনা পাচারের তথ্য জানতে পারে। এমন খবর পেয়ে বিজিবি অধিনায়কের নেতৃত্বে মাটিলা বিওপির একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত পিলার ৫১ হতে ২৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থান গ্রহণ করেন।  তিনি জানান, শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চোরাকারবারি সীমান্ত সংলগ্ন কৃষিজমিতে কাজ করার বাহানায় সোনার চালানটি ভারতে নেওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় চোরাকারবারিরা সোনার বারের প্যাকেটটি ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। টহলদল ঘটনাস্থল থেকে সাদা প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় প্রতিটি এক কেজি ওজনের পাঁচটি বার জব্দ করে। জব্দ সোনার বারের সিজার মূল্য ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৯৪৫ টাকা। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। চোরাকারবারিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।  উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি মাটিলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় সাড়ে চার কোজি ওজনের সোনার বার জব্দ করে বিজিবি। এ সময় মহেশপুর উপজেলার মাটিলা বাগান পাড়ার হযরত আলীর ছেলে রিমন হোসেনকে (২০) আটক করা হয়। এ ছাড়া গত ১৮ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি মাটিলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এক ভারতীয়সহ ৫৬ জনকে আটক করে বিজিবি।
০২ মার্চ, ২০২৪

বিমানের টয়লেটে মিলল ৪০টি সোনার বার
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটের টয়লেট থেকে ৪০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য সাড়ে চার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালের দিকে এসব সোনার বার উদ্ধার করে ঢাকার কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ টিম। ঢাকা কাস্টম হাউস সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিমানের ওমানের মাসকাট থেকে আসা বিজি-১২২ ফ্লাইটে অবৈধভাবে চোরাচালানকৃত সোনা বহনের খবর পেয়ে প্রিভেন্টিভ টিম বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে অবস্থান নেয়। ফ্লাইটটি অবতরণের পর কাস্টম কর্মকর্তারা বিমানের টয়লেটের ছাদে বিশেষ কায়দায় লুকানো ৪০টি সোনার বার পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাহসাব হোসাইন রনি সাংবাদিকদের জানান, উদ্ধার এসব সোনার বারের ওজন প্রায় সাড়ে চার কেজি; যার আনুমানিক বাজারমূল্য সাড়ে চার কোটি টাকা। তিনি বলেন, সোনার বারগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় সীমান্তে সোনার বার জব্দ
পাচারকালে চুয়াডাঙ্গার সুলতানপুর সীমান্তে ২ কেজি ৩৮৪ গ্রাম ওজনের ছোট বড় ৫টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিজিবি (৬ব্যাটালিয়ন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দুপুরে চোরাকারবারীরা চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার সুলতানপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের মধ্যে দিয়ে স্বর্ণ পাচার করবে। এমন খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসির সার্বিক দিক নির্দেশনায় সুলতানপুর বিওপির টহল কমান্ডার নায়েক মো. রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত মেইন পিলার ৭৯ হতে আনুমানিক ২ কিমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঝাঝাডাঙ্গা ঈদগাহ সংলগ্ন কবরস্থানের পশ্চিম পার্শ্বে আম বাগানের মধ্যে এ্যাম্বুশের জন্য অবস্থান করে।  দুপুর ১২ টার দিকে সন্দেহজনকভাবে ওই এলাকা দিয়ে একজন ব্যক্তিকে সীমান্তের শূণ্য লাইনের দিকে যেতে দেখলে বিজিবি টহল দল তাকে ধাওয়া করে। তবে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ব্যক্তি হাতে থাকা সাদা রংয়ের একটি শপিং ব্যাগ ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর জব্দকৃত সাদা রংয়ের শপিং ব্যাগটি তল্লাশি করে স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ৩টি প্যাকেট হতে ২ কেজি ৩৮৪ গ্রাম (২০৪ দশমিক ৩৯ ভরি) ওজনের ছোট বড় ৫টি স্বর্ণের বার জব্দ করতে সক্ষম হয়।  এ ব্যপারে নায়েক মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা একটি মামলা করেছে। জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩
X