সিগন্যাল ত্রুটি, লাকসামে দাঁড়িয়ে গেল বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস
সিগন্যাল ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন লাকসামে অযাচিতভাবে যাত্রা বিরতি করেছে। সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় লাকসাম জংশনের আউটার পৌর শহরের উত্তর লাকসাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, লাকসাম জংশনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি নেই। কিন্তু জংশন স্টেশনে প্রবেশ মূখের সিগন্যাল পয়েন্টে লালবাতি জ্বলতে থাকায় ট্রেনটি আউটারে দাঁড়িয়ে যায়। পরে সবুজ সংকেত দেখালে ১০ মিনিট বিলম্বে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ সময় ট্রেনের যাত্রীদের মাঝে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। ট্রেনটি লাকসাম-গৈয়ারভাঙ্গা রোডের লেভেলক্রসিংয়ে অবস্থান করায় ওই সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। তারা বলেন, এ সময় চট্টগ্রাম থেকে অন্য কোন ট্রেন এসে পড়লে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশংকা ছিল। এ ঘটনায় লাকসাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।  এ বিষয়ে সিগন্যাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা কেবিন মাষ্টার ইকবাল হোসেন বলেন, সিগন্যাল কন্ট্রোল বোর্ড কাজ না করায় এ ঘটনা ঘটে। বোর্ডটি ডার্ক হয়েছিল। পরে সিগন্যাল বোর্ড ঠিক হলে সবুজ সংকেত দেখালে ট্রেনটি ১০ মিনিট পর ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। উল্লেখ্য, একই ধরনের সিগন্যাল ত্রুটির কারণে গত বছরের ১৬ এপ্রিল লাকসাম চট্টগ্রাম রুটের হাসানপুর রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনের সাথে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কা লেগে অর্ধশত যাত্রী আহত হয়।  
০২ জুলাই, ২০২৪

সোনার বাংলা এক্সপ্রেস বিকল : যাত্রী ভোগান্তিতে
লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ট্রেনটি সচল করতে পারছিলেন না প্রকৌশলী-টেকনিশিয়ানরা। বুধবার (০৩ জানুয়ারি) রাত ৮টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমূখী বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি (আপ ৭৮৭) যান্ত্রীক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় লাকসাম জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। যাত্রাবিরতি শেষে চালক বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও চালু করতে পারছিলেন না ট্রেনটি। এতে সাত শতাধিক যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। পরে রাত দশটায় ট্রেনটি সচল হলে দুই ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ দিকে, রাত সোয়া আটটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর অভিমূখী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন লাকসাম জংশন স্টেশনে প্রবেশ করে। ইঞ্জিনের দিক পরিবর্তন করতে ট্রেনটি প্রায় ৩০ মিনিট সময় নেয়। তিন নম্বর প্লাট ফরমে প্রবেশ করানো হয় এ ট্রেনটিকে। এর আগে থেকেই দুই নম্বর প্লাটফরমে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় মেঘনা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা স্টেশনে নামতে ভোগান্তিতে পড়ে। এক নম্বর প্লাটফরম খালি থাকলেও অজ্ঞাত কারণে মেঘনা ট্রেনটি বিপরীত পাশে তিন নম্বর প্লাটফরমে যাত্রাবিরতি দেওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যাত্রীরা অভিযোগ তুলে জানান, তিন নম্বর প্লাটফরমের কয়েকটি দোকানের বিক্রি বাড়ানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে ট্রেনটি এক নম্বর প্লাটফরমে প্রবেশ করানো হয়নি। লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, ট্রেনটি সচল করতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে ইঞ্জিনিয়ার-টেকনেশিয়ানদের। রাত দশটায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪
X