সোনাতলা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন ওয়াছিয়া আক্তার
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. ওয়াছিয়া আক্তার রুনা। সেলাই মেশিন প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮০৬টি। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যার পর উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী ৬ হাজার ২৬৬ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়াছিয়া আক্তার। উপজেলাটিতে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লিটন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ৪৮৩। এদিকে উপজেলা ভোট শেষে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, প্রথম ধাপের এই ভোটে ৩০-৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। এর আগে সকাল ৮টায় প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। জানা গেছে, প্রথম ধাপের এই নির্বাচনে ১৩৯ উপজেলার ২২টিতে ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তথ্য অনুযায়ী- ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
০৮ মে, ২০২৪

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান লিটনকে শোকজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা) আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিনহাদুজ্জামান লিটনকে শোকজ করা হয়েছে।  রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে স্বশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  বগুড়া-১ আসন (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) এলাকার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান বগুড়ার ১ম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ শাহনাজ পারভীন গত ২৮ ডিসেম্বর এই আদেশ দেন। লিটন সোনাতলা উপজেলার আগুনিয়া তাইড় (দক্ষিণ) এলাকার সাহাদাত জামানের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী নৌকা প্রতীকের সাহাদারা মান্নান এমপির ছোট ভাই।  উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয় বগুড়ার জুডিশিয়াল মুন্সিখানার স্মারক নং ১৬৬৭ মূলে মেজবাউল করিম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বগুড়া ও ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কর্তৃক স্বাক্ষরিত মো. মিহাদুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে সমাজিক যোগযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে ঈগল মার্কার প্রার্থী এ এস এম মোস্তাফিজুর রহমানের জনৈক কর্মীকে হুমকি প্রদান করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।  অভিযোগটি পাওয়ার পর সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা-৩৬, বগুড়া-১ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীন অভিযোগটি পর্যালোচনা করেন। এতে ঈগল মার্কার প্রার্থী এএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের জনৈক কর্মীকে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও উশৃঙ্খল আচরণ করেছেন এবং ওই আচরণ দ্বারা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখা প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করেন।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
X