বলিভিয়ায় অভ্যুত্থানের চেষ্টা, সেনাপ্রধান গ্রেপ্তার
বলিভিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল জুয়ান হোসে জুনিগাকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন, স্থানীয় সময়) দেশটির রাজধানী লাপাজে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান নিয়ে অভিযান চালায়। খবর বিবিসির। প্রতিবেদনে বলা হয়, লাপাজের ঐতিহাসিক প্লাজা মুরিলো স্কয়ারে জড়ো হতে থাকে সশস্ত্র সৈন্যরা। এ সময় তারা প্রেসিডেন্টের বাসভবনের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। এ ছাড়া সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোতে অবস্থান নেয়।  প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিদ্রোহী সামরিক অফিসার ইনচার্জ জেনারেল জুয়ান হোসে জুনিগা বলেছিলেন, যে তিনি ‘গণতন্ত্রের পুনর্গঠন’ করতে চান। এরপরই বলিভিয়ার পুলিশ এ অভ্যুত্থানচেষ্টার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।  এদিকে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর সৈন্যরা সেখান থেকে প্রত্যাহার শুরু করেছে। নতুন সেনাপ্রধান হোসে উইলসন সানচেজ বিদ্রোহী সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়া নির্দেশ দেন। তারপর থেকে মুরিলো স্কয়ার থেকে সৈন্যরা ট্যাংকগুলো সরিয়ে নেয়। সেনাবাহিনীর এ কার্যকলাপকে ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইস আর্চি।  প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ভেতর থেকেই টেলিভিশন বার্তায় তিনি জনগণকে গণতন্ত্রের পক্ষে সংগঠিত ও সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।  এর আগে গত সোমবার জুয়ান হোসে জুনিগা বলেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট মোরালেস যদি আবারও ২০২৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এ বক্তব্যের পর তাকে সেনাপ্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে এমন আলোচনা চলছিল।  উল্লেখ্য, বলিভিয়ার আদিবাসী সংখ্যাগরিষ্ঠ থেকে উঠে আসা প্রথম প্রেসিডেন্ট মোরালেস। বামপন্থি এই নেতা দেশটিতে একসময় জনপ্রিয় ছিলেন।  সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা লিখেছেন, ‌‘আমি গণতন্ত্র ভালোবাসি, আর চাই পুরো লাতিন আমেরিকায় গণতন্ত্র টিকে থাকুক। বলিভিয়ায় যেকোনও ধরনের অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।’ এক্সে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলিভিয়ার সব পক্ষকে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।  যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, বলিভিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে মার্কিন প্রশাসন। একই সঙ্গে দেশটিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।    
২৭ জুন, ২০২৪

রুশ সেনাপ্রধান ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইসিসির
রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল ভ্যালেরি ও সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।  আজ (মঙ্গলবার) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি বলেছে, শোইগু এবং গ্যারিসমভ দু’জনই যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী। বেসামরিক বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা পরিচালনা করে তারা সাধারণ মানুষের চরম ক্ষতি ডেকে এনেছেন।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে অন্তত ২০২৩ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামোতে রুশ সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য এই দু’জনকে দায়ী করার যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পেয়েছেন বিচারকরা। সের্গেই শোইগু ও ভ্যালেরি জেরাসিমোভসহ এ নিয়ে রাশিয়ার মোট আট জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আইসিসি। ইউক্রেনীয় শিশুদের রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধেও এর আগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক এই আদালত।   এদিকে, আইসিসির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অফিসের প্রধান আন্দ্রেই ইয়ারমাক বলেছেন, শোইগু এবং গেরাসিমভকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আইসিসির এই আদেশের বিষয়ে রাশিয়ার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দেশটি হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যও নয়। মস্কো বারবার বলেছে, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো তাদের বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তু হলেও বেসামরিক ইউক্রেনীয় এবং বেসামরিক অবকাঠামোকে তারা কখনোই লক্ষ্যবস্তু করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৮৫১ দিনের মতো চলছে দেশ দুটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু মানুষ হতাহত হলেও এখন পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। 
২৫ জুন, ২০২৪

সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ওয়াকার-উজ-জামান
সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। রোববার (২৩ জুন) দুপুরে সেনাসদর দপ্তরে বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদের কাছ থেকে তিনি দায়িত্ব বুঝে নেন। এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এ সময় বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদকে ফুল দিয়ে বিদায় জানান সেনাসদর দপ্তরের কর্মকর্তারা।  এর আগে, সকালে জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর সেখানে থাকা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি। তারপর সেনাকুঞ্জে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। পরে সেখানে গাছের চারা রোপণ করেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।  আইএসপিআর সূত্র জানায়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘মাস্টার্স অব আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ’ ডিগ্রি অর্জন করেন। সুদীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে ওয়াকার-উজ-জামান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার, সেনাসদরে সামরিক সচিব এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 
২৩ জুন, ২০২৪

লোহাগড়ায় ট্রাস্ট ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ নড়াইলের লোহাগড়া বাজার এলাকায় ট্রাস্ট ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন করেছেন। শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে সেনাপ্রধান হেলিকপ্টারযোগে লোহাগড়া শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে (মোল্ল্যার মাঠ)  অবতরণ করেন।  পরে তিনি ঐতিহ্যবাহী লোহাগড়া বাজারে ট্রাস্ট ব্যাংকের শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে তিনি মধুমতী আর্মি ক্যাম্পে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্থানীয় জনগণদের মাঝে ‘ঈদ উপহার’ সামগ্রী বিতরণ করেন।  এ ছাড়া তিনি মধুমতী আর্মি ক্যাম্পে একটি বৃক্ষরোপণ ও মল্লিকপুর সরকারি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। এ সময় স্থানীয় সুধীজনসহ বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।  এ সময় মল্লিকপুর সরকারি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, ‘১৯৮১ সালে সেনাবাহিনীতে প্রবেশ করে সফলতার সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে অবস্থান করে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি। মানুষের দোয়া ও ভালোবাসার কারণে এই সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এ রকম প্রাপ্তি খুব কম মানুষের জীবনে আসে, এটা ভাগ্যের ব্যাপার।’ তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মুর্তজার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘ক্রীড়া অনুরাগী হিসেবে তিনি নড়াইলের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করেবেন।’ তিনি বলেন, ‘অবসরকালীন সময়ে তিনি জন্মভূমি নড়াইলের মধুমতী পাড়ের লোহাগড়ায় আসবেন এবং মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজ করবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’ পরিদর্শনকালে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের প্রধান মেজর জেনারেল মাহবুবুর রশিদ, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জহুরুল ইসলাম, লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ মাদারীপুর জেলার জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাস, বরিশাল শেখ হাসিনা সেনানিবাস পরিদর্শন করেন। পরে একটি নতুন ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।
১৫ জুন, ২০২৪

দেশে বহিঃশত্রুর আক্রমণ হলে আমরা প্রতিহত করব : সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনীর প্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশে যদি বহিঃশত্রু আক্রমণ করে সেটাকে আমরা প্রতিহত করব। বর্ডার ভায়োলেন্স হচ্ছে। তার জন্য বর্ডারগার্ড, কোস্টগার্ড আছে। তারা বিষয়টা তদারকি করছে। আমরা সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছি। এর চেয়ে লেভেল অন্যদিকে গেলে সমুচিত ব্যবস্থা আমরা নেব। শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে শেখ রাসেল সেনানিবাসে একটি ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বর্ডার উত্তেজনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ সাল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আধুনিকায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই প্রতিফলন ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রদত্ত দায়িত্ব দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। সেই কাজে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে বলে জানান সেনাপ্রধান।  তিনি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় প্রণীত হয় ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’। আজকের এই পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ এর আরেক ধাপ বাস্তবায়িত হলো। এর আগে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে সেনাবাহিনীর নতুন ইউনিটের সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ সময় তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং বীর শহিদদের যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা। পরে সেনাবাহিনীর প্রধান শেখ রাসেল সেনানিবাস চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ একেএম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ, পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলমসহ অনুষ্ঠানে সেনাসদরের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাগণসহ জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া, সেনাসদর ও সাভার এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণসহ অন্যান্য অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যবৃন্দ, অসামরিক কর্মচারীবৃন্দ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
১৫ জুন, ২০২৪

বগুড়ায় সেনাপ্রধানকে বিদায়ী সংবর্ধনা
সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানিয়েছে সেনাবাহিনীর আর্মার্ড কোর, ইঞ্জিনিয়ার্স কোর ও ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট। বুধবার (১২ জুন) বগুড়া সেনানিবাসের আর্মার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের প্যারেড গ্রাউন্ডে তিনটি কোরের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দলের বিদায়ী কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন সেনাপ্রধান। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আনুষ্ঠানিকতা শেষে জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে বিদায়ী বক্তব্য রাখেন। সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি আধুনিক এবং চৌকস বাহিনী হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এসময় জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ এর আলোকে একটি আধুনিক এবং যুগোপযোগী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে  অত্যাধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি। বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারসহ প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। বিদায়ী সেনাপ্রধান আশা করেন আর্মার্ড কোর, ইঞ্জিনিয়ার্স কোর ও ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে উন্নতি ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এর আগে সেনাপ্রধান বগুড়া সেনানিবাসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া। অনুষ্ঠানে সেনাসদর, আর্মার্ড কোর, ইঞ্জিনিয়ার্স কোর, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ ১১ পদাতিক ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  এর আগে তিনি ঘাটাইল সেনানিবাসে পৌঁছালে ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার ঘাটাইল এরিয়া তাকে স্বাগত জানান। পরে সেনাপ্রধান ঘাটাইল এরিয়ার সকল পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী দরবার গ্রহণ করেন এবং সকলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
১৩ জুন, ২০২৪

ওয়াকার-উজ-জামান নতুন সেনাপ্রধান
আগামী তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি এর আগে চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে ২৩ জুন দুপুর থেকে তাকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগের তথ্য জানানো হয়েছে। ওয়াকার-উজ-জামান বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ২০২১ সালের ২৪ জুন থেকে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আছেন শফিউদ্দিন আহমেদ। আইএসপিআর জানিয়েছে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্য হিসেবে ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। সামরিক জীবনের শুরু থেকেই বিভিন্ন কোর্সে ভালো ফলের ক্রমধারায় তিনি মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড ও স্টাফ কলেজ থেকে সাফল্যের সঙ্গে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকেও গ্র্যাজুয়েট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় প্রথম শ্রেণিতে মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ সম্পন্ন করেন এবং যুক্তরাজ্যর কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে মাস্টার্স অব আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ ডিগ্রি অর্জন করেন। তার সুদীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবন কমান্ড, স্টাফ ও প্রশিক্ষকের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। তিনি ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ৮ জুন পর্যন্ত ১৭ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি বিডিআর বিদ্রোহ দমনে নিষ্ঠা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। পরে তিনি ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। তিনি জিওসি হিসেবে ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নবম পদাতিক ডিভিশন কমান্ড করেন। এরিয়া কমান্ডার, সাভার এরিয়া ও জিওসি, নবম পদাতিক ডিভিশন হিসেবে তিনি টানা তিন বছর অত্যন্ত সফলভাবে বিজয় দিবস প্যারেড-২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ এর প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। এই বিরল কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘সেনা গৌরব পদক’ এ ভূষিত হন। স্টাফ হিসেবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত একটি ব্রিগেড, স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস এবং সেনা সদরে বিভিন্ন পদবি ও নিয়োগে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি প্রশিক্ষক হিসেবে জেসিও এনসিও একাডেমি (জেএনএ), স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে (বিপসট) সব পদবির দেশি-বিদেশি সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। সেনা সদর সামরিক সচিবের শাখায় তিনি সহকারী সামরিক সচিব, উপ-সামরিক সচিব এবং সামরিক সচিব হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদে দীর্ঘদিন কর্তব্যরত ছিলেন। চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে কর্মরত ছিলেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতিসংঘের ব্যানারে মিলিটারি অবজার্ভার হিসেবে এংগোলাতে এবং সিনিয়র অপারেশন অফিসার হিসেবে লাইবেরিয়ায় দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনীতে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি ‘অসামান্য সেবা পদক’-এ ভূষিত হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এবং সারাহনাজ কমলিকা জামান দুই কন্যা সন্তানের (সামিহা রাইসা জামান এবং শাইরা ইবনাত জামান) গর্বিত জনক-জননী।
১২ জুন, ২০২৪

নতুন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
নতুন সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আগামী ২৩ জুন থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে। মঙ্গলবার (১১ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘আগামী ২৩ জুন অপরাহ্ন থেকে বিএ-২৯০২ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস)-কে জেনারেল পদবিতে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক উক্ত তারিখ অপরাহ্ন থেকে ৩ বছরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ‘বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের নিয়োগের মেয়াদ আগামী ২৩ জুন অপরাহ্নে পূর্ণ হবে বিধায় প্রতিরক্ষা-বাহিনীসমূহের প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা) আইন, ২০১৮ অনুসারে উক্ত তারিখ অপরাহ্ন থেকে ছুটি পাওনা সাপেক্ষে তার অনুকূলে ১ (এক) বৎসরের অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটি (এলপিআর) মঞ্জুর এবং উক্ত ছুটি শেষে অবসর সংক্রান্ত আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।’ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত ওয়াকার-উজ-জামান ২০ ডিসেম্বর ১৯৮৫ সালে, ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘মাস্টার্স অব আর্টস’ ইন ডিফেন্স স্টাডিজ ডিগ্রি অর্জন করেন। তার সুদীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার, সেনাসদরে সামরিক সচিব এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১১ জুন, ২০২৪

সিঙ্গাপুর সফর শেষে ফিরলেন সেনাপ্রধান
সিঙ্গাপুরে সরকারি সফর শেষে রোববার দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সফরকালে সেনাপ্রধান সিঙ্গাপুরে ৩১ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ শাংরি-লা ডায়লগ ২১তম এশিয়া সিকিউরিটি সামিটে’ অংশ নেন। এ ছাড়া জার্মানির স্টেট মিনিস্টার অব ডিফেন্স এবং বিভিন্ন দেশের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন তিনি। সরকারি সফরে সেনাপ্রধান ৩০ মে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন।
০৪ জুন, ২০২৪

সিঙ্গাপুর সফরে গেলেন সেনাপ্রধান
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সরকারি সফরে গতকাল বুধবার রাতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সফরকালে তিনি আগামীকাল শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠেয় ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ শাংরি-লা ডায়ালগ ২১তম এশিয়া সিকিউরিটি সামিটে’ অংশ নেবেন। পাশাপাশি সিঙ্গাপুর সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান) এবং বিভিন্ন দেশের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সামরিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় যৌথ কর্মপন্থা নির্ধারণ এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। সম্মেলন শেষে সেনাপ্রধান রোববার দেশে ফিরবেন।
৩০ মে, ২০২৪
X