বিন্নাকুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ঐতিহাসিক বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে জাতীয়করণ হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে একযোগে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রযাত্রার শুভ সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তাগাছার স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম। সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠিত হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতা ৭২ সালে দেশে ফিরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে ’৭৩ সালে একযোগে সারা দেশে প্রায় ৩৭ হাজার বিদ্যালয় সরকারি করেন। এর মধ্যে এই বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বঙ্গবন্ধুর হাতে জাতীয়করণ এই বিদ্যালয় অনেক কৃতি শিক্ষার্থী জন্ম দিয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ বলেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছি, এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে কাজ করে যাচ্ছি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম ও পুলিশের বিশেষ শাখার ইন্সপেক্টর আব্দুল জলিলসহ অন্যরা বক্তব্য দেন সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে। বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বকুল হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বিটুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার দিলু, দুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আলী, মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, শিক্ষক আব্দুল জলিল ও কামরুজ্জামান কামালসহ অন্যরা। ধন্যবাদ বক্তব্য দেন দৈনিক কালবেলার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে দেশের জনপ্রিয় গণমাধ্যম দৈনিক কালবেলা। আলোচনা সভা শেষে গুণীজন সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। ৩০০-এর বেশি প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মাগরিবের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় ফোক গায়িকা সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা।
২১ জুন, ২০২৪

স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ঐতিহাসিক বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে জাতীয়করণ হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে একযোগে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রযাত্রার শুভ সূচিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তাগাছার স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম। সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠিত হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতা ৭২ সালে দেশে ফিরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে ’৭৩ সালে একযোগে সারাদেশে প্রায় ৩৭ হাজার বিদ্যালয় সরকারি করেন। এর মধ্যে এই বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বঙ্গবন্ধুর হাতে জাতীয়করণ এই বিদ্যালয় অনেক কৃতি শিক্ষার্থী জন্ম দিয়েছে। এসময় তিনি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার কন্যা বাবার মতো দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প দেশের টাকায় বাস্তবায়ন করে সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি যা বলেন, তা করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ বলেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছি, এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, প্রত্যেক এলাকায় কিছু গুণীজন থাকে। দেশের কাজে, এলাকার উন্নয়নে এসব গুণী মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন কৃতি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম ও পুলিশের বিশেষ শাখার ইন্সপেক্টর আব্দুল জলিলসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে। বিন্নাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বকুল হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বিটুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার দিলু, দুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আলী, মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, শিক্ষক আব্দুল জলিল ও কামরুজ্জামান কামালসহ অন্যরা। ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন দৈনিক কালবেলার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে দেশের জনপ্রিয় গণমাধ্যম দৈনিক কালবেলা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক আরিফুল হক সরকার। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়, এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।  আলোচনা সভা শেষে গুণীজন সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। তিনশর বেশি প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে মাগরিবের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় ফোক গায়িকা সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা।
২০ জুন, ২০২৪

টাইনি টটস্ এবং সামারফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী পালিত
টাইনি টটস্ এবং সামারফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এক আনন্দ র‍্যালির আয়োজন করা হয়। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) মহানগরের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এ র‍্যালির আয়োজন করা হয়।  র‍্যালিতে স্কুলের সাবেক ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন। র‌্যালিটি সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে। র‌্যালির প্রধান আকর্ষণ, ঘোড়ার গাড়ি ও সুসজ্জিত ট্রাকে চড়ে শিক্ষার্থীরা গানের সঙ্গে আনন্দ-উল্লাসে মুখরিত ছিল। আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন স্কুলের প্রিন্সিপাল আনজুম হোসেন। তিনি স্কুলের ৫০ বছরের পথ চলায় সহযোগিতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থতি ছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ অন্যরা। স্বাধীন দেশে তার মা মিসেস ফাইজি চৌধুরীর হাত ধরে এই স্কুলের যাত্রা শুরু হয়।  আনজুম হোসেন শিক্ষার্থীদের বলেন, প্রযুক্তি সমৃদ্ধ শিক্ষা গ্রহণ করে একটি স্মার্ট বাংলাদশে প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে হবে। টাইনি টটস্ এবং সামারফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের গৌরবময় ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। টাইনি টটস্ এবং সামারফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল শিক্ষায় শ্রেষ্ঠত্বের ৫০ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে। সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে এক মিলন মেলা ও আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজন সকাল ৭টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। এতে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে অংশ নেবেন স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা-কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাবেক ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা। অনুষ্ঠানমালা ১. হাজার কণ্ঠ : একতা আর সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা গাইবে হাজার কণ্ঠে সমবেত সংগীত। ২. ফুড অ্যান্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল : এতে ভোজন রসিকদের জন্য থাকবে মুখরোচক খাবারের নানা সম্ভার এবং শিল্পীরা পরিবেশন করবেন গান। ৩. শিশুদের কার্নিভ্যাল : স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে বিশেষ খেলাধুলার আয়োজন। ৪. ট্যালেন্ট শো : শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৫. ড্রিল শো : থাকবে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে ড্রিল ডিসপ্লে। ৬. থিয়েটার : মঞ্চায়ন হবে মনোমুগ্ধকর নাটক। ১৯৭৪ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরা হবে। ৭. লেজার শো : রাতে লেজার শোর মাধ্যমে স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহ্যবাহী আয়োজনকে স্মরণীয় করা হবে। ৮. ডকুমেন্টারি : স্কুলের পথ চলার গৌরবময় অর্জন তুলে ধরা হবে এই ডকুমেন্টারিতে। ৯. লাইভ কনসার্ট : রাতের আয়োজনে আছে বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান- গাইবেন হাবিব ওয়াহিদ, প্রীতম হাসান। থাকবে নেমেসিস ব্যান্ডের হাই ভোল্টেজ পরিবেশনা। টাইনি টটস্ এবং সামারফিল্ড স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তীর এই আয়োজন সবার অংশগ্রহণে আনন্দঘন হয়ে উঠবে এটাই প্রত্যাশা।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

মীরসরাইয়ে ওচমানপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত
‘হৃদয়ের টানে প্রিয় বিদ্যাঙ্গনে’ এ প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ওচমানপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্ণ্যাঢ্য আয়োজনে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত সুবর্ণজয়ন্তীতে সাবেক ছাত্রছাত্রীদের মিলনমেলায় মুখরিত হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে বর্তমান ও প্রাক্তনদের বিভিন্ন ব্যাচের বন্ধুদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে উপজেলার ওচমানপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে প্রাক্তনরা মেতে উঠেছিলেন আনন্দে, যেন খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেদের শৈশব। পুরোনো বন্ধুদের আবার একসঙ্গে পেয়ে যেন কর্মজীবনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছিল তাদের। পুরোনো সতীর্থদের নিয়ে নতুন করে স্মৃতি জমাতে ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে ছিল অনেক কসরত। মধুর মিলনে সতীর্থরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলির মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন বন্ধন তৈরি করেন। সব ভেদাভেদ ভুলে  নবীন প্রবীণ সবাই বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র থেকে এসে স্কুল প্রাঙ্গণে মিলিত হন। সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে বাড়তি আনন্দ যোগ দিয়েছে স্মারক গ্রন্থ স্পন্দন। সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন, ১০টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন, প্রাক্তনদের অংশগ্রহণে র‌্যালি, ফটোসেশন, উপহার ব্যাগ প্রদান, প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের স্মৃতিচারণ, দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজে ছিল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান। সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক লায়ন মোহাম্মদ ইলিয়াছ সিরাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির পক্ষে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব রহমান রুহেল। প্রধান সমন্বয়কারী উপপরিষদের সদস্য রাহাত মোর্শেদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ ইসমাঈল খাঁন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডা. লুৎফুল আহসান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ আশফাক হাসান, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার জহুরুল হক, ওচমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন ছাত্র মফিজুল হক, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শাহ আলম। আয়োজকরা জানান, সুবর্ণজয়ন্তীতে স্কুলের শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে একটি মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। ৫০ বছরের এ স্কুলের  সফলতা অনেক। স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা অনেকেই দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত। সুবর্ণজয়ন্তীর একদিনের এ উৎসবে একে অপরকে পেয়ে গল্প, আড্ডা, সেলফি তোলা,  স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ, বর্তমান ব্যস্ততার মধ্যে সংসার জীবনের বাইরে এসে সব মিলিয়ে একটা প্রাণবন্ত উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই। সবার গায়ে ছিল একই রঙের টি-শার্ট। ছিল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং অনুষ্ঠানের শেষে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রাক্তন ছাত্র রাহাত মোর্শেদ বলেন, সুর্বণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের মধ্যে নতুন করে মেলবন্ধন রচিত হয়। সুখ-দুঃখের স্মৃতি রোমন্থন করার সুযোগ ঘটে। স্কুলের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়। এ সময় ডিজিটাল প্লাটফর্মে মাধ্যমে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকে স্মৃতিচারণ করেন রেজাউল করিম চৌধুরী, মো. ফিরোজ কবির, আলাউদ্দিন মেম্বার, মো. মোশারফ হোসেন, ফরিদুল আলম স্বপন, শাহাদাত হোসেন, মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম সুমন, মাজহারুল ইসলাম রনি, নাসরিন আক্তার রুমা, মেজবাউল আলম ছাত্তার ও মেহেদুল ইসলাম রাফিসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, উদযাপন কমিটির বিভিন্ন উপপরিষদের আহ্বায়ক-সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  
০৫ নভেম্বর, ২০২৩

ক্যাম্পাস সংবাদ / চবি দর্শন বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী
মাথার ওপর কার্তিকের শুভ্র মেঘের আড়াল থেকে সূর্যটা ক্ষণে ক্ষণে প্রখরতা জানান দিচ্ছিল। তবে সেটা উপেক্ষা করে গত ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর আনাগোনায় ক্যাম্পাস তখন মুখর। কলা অনুষদ মেতেছে রং ও আলোর সাজে। ঘড়ির কাঁটা তখন সকাল ৯টার ঘরে। একদল প্রাণোচ্ছল তারুণ্যের কলরবে প্রাণ ফিরে পেয়েছে জিরো পয়েন্ট। শাড়ি-পাঞ্জাবি দেখেই বোঝা যায় আজ একটা বিশেষ দিন। অনেকের হাতে রঙিন বেলুন। কেউ কেউ সেটা উড়িয়েও দিল। এরপর শুরু হলো শোভাযাত্রা। চবির দর্শন বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তীতে যোগ দিতে এসেছিলেন সাবেকরাও। লেটস সেলিব্রেট হাফসেঞ্চুরি অব ফিলোসফিক্যাল উইসডম অ্যান্ড ইন্সপাইরেশন স্লোগান নিয়ে হয়ে যায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। রঙিন বেলুন, প্ল্যাকার্ড ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে জিরো পয়েন্ট থেকে জারুলতলা অভিমুখে এগিয়ে চলে যাত্রাটি। অগ্রভাগ অলংকৃত করছিল সুবিশাল জাতীয় পতাকা। কাটা পাহাড়, শহীদ মিনার, জয় বাংলা চত্বর ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ঘুরে মানব ঢেউ থামে জারুলতলায়। এরপর সকালের নাশতা পরিবেশন। শেষ হতেই শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। একে একে মঞ্চে আসেন অতিথিরা। বক্তব্যে উঠে আসে নানা অর্জন ও স্বপ্নের কথা। কেউ কেউ হয়েছিলেন স্মৃতিকাতর, বিভাগ নিয়ে গল্পগাথাও বলেন অনেকে। শুক্রবার হওয়ায় সাড়ে ১২টা বাজতেই বিরতি ও মধ্যাহ্নভোজ পর্ব শুরু হয়। এরপর মূল মঞ্চে শুরু হয় প্রতিটি ব্যাচের ফটোসেশন। বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের আনন্দে ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে বিভিন্ন স্টলে চা, কফি ও বিস্কুটের ব্যবস্থা ছিল। তারপর বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের যৌথ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুরু হয়। এরপর ফের প্রীতিভোজ। বিভাগের সাবেক ও বর্তমানদের সম্মিলিত ভোজন। সবাই বেশ আবেগাপ্লুত। মূল আকর্ষণ হিসেবে হাজির হয় শিরোনামহীন ব্যান্ড। বেড়ে যায় জটলা। শিক্ষার্থীরাও গানে গলা মেলাতে মেলাতে হারিয়ে যেতে থাকে স্মৃতির আঙিনায়। ‘ক্যাফেটেরিয়া’, ‘বন্ধ জানালা’, ‘হাসিমুখ’, ‘এই অবেলায়’ যেন বদলে দেয় আবহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৩

স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী অ্যাওয়ার্ড পেল ৯ প্রতিষ্ঠান
দেশের পুঁজিবাজারে ৯ বাজারমধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার, ২০২২ পেয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত বছরের পারফরম্যান্স বিচার করে ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মধ্য থেকে ৯ প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দিয়েছে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ব্রোকারেজ হাউস ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ইবিএল সিকিউরিটিজ। এই ক্যাটাগরিতে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ ও ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ। তৃতীয় হয়েছে শেলটেক ব্রোকারেজ ও এমিন্যান্ট সিকিউরিটিজ। মার্চেন্ট ব্যাংক ক্যাটাগরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছে যথাক্রমে গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল এবং এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। অ্যাসেট ম্যানেজার ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। এই ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় হয়েছে লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
২৭ জুলাই, ২০২৩

ঢাকা থিয়েটারের সুবর্ণজয়ন্তী
যুদ্ধ ফেরত কয়েকজন তরুণ ১৯৭৩ সালের ২৯ জুলাই প্রতিষ্ঠা করেন ‘ঢাকা থিয়েটার’। তাদের মধ্যে অন্যতম নাসিরউদ্দিন ইউসুফ। সময়ের হাত ধরে ঢাকা থিয়েটার এখন দেশের অন্যতম প্রধান নাটকের দল। ১৯৭৩ সালে যুগল নাটকের প্রদর্শনীর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছিল এই নাট্যদল। নাটক দুটি হচ্ছে—নাসির উদ্দীন ইউসুফ নির্দেশিত ‘সংবাদ কার্টুন’ এবং হাবিবুল হাসান নির্দেশিত ‘সম্রাট ও প্রতিদ্বন্দ্বীগণ’। দলের নাটকের প্রথম প্রদর্শনীর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল ২৯ জুলাই; কিন্তু সেদিন তুমুল বৃষ্টিতে পানি উঠে গিয়েছিল ঢাকা জেলা ক্রীড়া সমিতি মিলনায়তনে। ফলে মঞ্চায়ন সম্ভব হয়নি। পরে নভেম্বরে ২ টাকা দর্শনীর বিনিময়ে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা থিয়েটারের নাটকের প্রথম প্রদর্শনী। তবে দলটি ২৯ জুলাইকে তাদের প্রতিষ্ঠার দিন বিবেচনা করে। সেই হিসেবে আগামী ২৯ জুলাই ঢাকা থিয়েটারের ৫০ বছরপূর্তি হচ্ছে। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ঢাকা থিয়েটার। এই আয়োজনের সূচনা হবে আগামী শুক্রবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলের সামনের লবিতে। সুবর্ণজয়ন্তীর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ, ম হামিদ ও সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী। এরপর বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে থাকবে ‘প্রাচ্য ও দ্বৈতাদ্বৈতবাদ’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী। ২৮ ও ২৯ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে সেলিম আল দীনের নাটক ‘প্রাচ্য’। এক সময় এ নাটকে অভিনয় করেছেন শিমূল ইউসুফ, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজি সিদ্দিকী প্রমুখ। ঢাকা থিয়েটারের দলপ্রধান নাসির উদ্দীন ইউসুফ বললেন, ‘দীর্ঘ অর্ধশত বছরের পথযাত্রায় ঐতিহ্যাশ্রয়ী এমন এক আঙ্গিক নির্মাণে তৎপর ছিল ঢাকা থিয়েটার, যা হবে যুগপৎ দেশজ ও আন্তর্জাতিক। এই কঠিন কাজ সম্ভব হয়েছে দর্শকের অকুণ্ঠ ভালোবাসার কারণে।’ বছরব্যাপী আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগস্ট মাসের ১৮, ১৯ তারিখে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সম্মেলন করা হবে। এরপর লোকনাট্য উৎসব হবে। সেলিম আল দীনের জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন থাকবে। সেপ্টেম্বর মাসে বিশেষ সেমিনার হবে। অক্টোবর মাসে আবার একটা নাট্যোৎসব করব। নভেম্বর পর্যন্ত এভাবেই চলবে।’’
২৬ জুলাই, ২০২৩
X