মদ ও সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে আড্ডা হতো শাহীনের বাগানবাড়িতে
পরিকল্পনাকারী হিসেবে উঠে এসেছে তার দীর্ঘদিনের বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীনের নাম। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। কোটচাঁদপুরের নির্জন এলাকায় বিলাসবহুল একটি বাগানবাড়ি রয়েছে শাহীনের। সেখানে আনাগোনা ছিল অনেক প্রভাবশালীর। এ বাড়িতেই শাহীনের সঙ্গে একান্তে আলাপ করতেন এমপি আনার। দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেছেন শাহীন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে টেলিফোনে সাংবাদিকদের বলেছেন, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কোটচাঁদপুর শহর থেকে সাড়ে ৫ কিলোমিটার দূরে এলাঙ্গী গ্রামের নির্জন মাঠ। মাঠ পেরিয়ে চারপাশে জঙ্গল, কাঁটাতার ও ফুলেঘেরা বেড়া। ভেতরের আমবাগানের এক প্রান্তে বিলাসবহুল দ্বিতল বাড়ি, যা দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। বাড়ির দ্বিতীয় তলার বেশিরভাগই কাচঘেরা। ঝুলছে বড় বড় পর্দা। আরেক প্রান্তে দেখা যায়, একটি টিনশেড। যার সামনে ছাউনির নিচে রাখা আছে সাদা রঙের গাড়ি। চার বছর আগে ৩০ বিঘা জমিতে এই বাংলো বাড়িটি গড়ে তুলেছিলেন শাহীন। এলাকার মানুষ জানান, গত এক বছরের মধ্যে শাহীন ছয় মাস নিউইয়র্কে, আর ছয় মাস বাংলাদেশে ছিলেন। গ্রামে এলে তিনি বাগানবাড়িতেই থাকতেন। তবে বাড়ির ভেতরে কী হতো, সেটি কখনো দেখতে পারেনি তারা। তবে মাঝেমধ্যেই রাতের বেলায় বড় বড় গাড়ি ঢুকত সেখানে। বাগানবাড়ি থেকে বেজে উঠত গান। তবে থানা-পুলিশ কিংবা আইনের ভয়ে কেউই কখনো মুখ খোলেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাঙ্গী গ্রামের আসাদুজ্জামানের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে চতুর্থ সন্তান শাহীন। তার বাবা আড়তদারি ব্যবসা এবং কৃষিকাজ করতেন। তার বড় ছেলে সহিদুজ্জামান সেলিম থাকেন কোটচাঁদপুর শহরের বাজারপাড়ার বাড়িতে। তিনি কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র। ব্যবসা করেন। আরেক ছেলে মনিরুজ্জামান মনির ১৯৮৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট শহরে থাকেন, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। মেয়ে খুকু থাকেন কখনো কানাডায়, আবার কখনো ঢাকায়। ছোট ছেলে আক্তারুজ্জামান শাহীন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। আরেক মেয়ে এলিন থাকেন ঢাকায়। শাহীন কোটচাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং কেএমএইজ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনোর আগেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। কলেজে ভর্তির পর মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন। পরে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে লেখাপড়া শেষে জাহাজে চাকরি নেন। চাকরির দুই বছরের মাথায় ওপি-ওয়ান ভিসা পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ পান। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭৯ ইস্ট সেভেন্থ স্ট্রিট ব্রুকলিন এলাকায় শাহীনের বাড়ি রয়েছে, সেখানকার নাগরিকও তিনি। তবে তিনি কত সালে আমেরিকায় যান, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তার বড় ভাই সেলিম। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর থেকেই শাহীন নানা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হন। এলাকার মানুষ জানত, বাংলাদেশ, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করেন। এসব দেশে তার যাতায়াতও ছিল। গত পৌরসভা নির্বাচনের সময় ভাই সেলিমের পক্ষে বেশ সক্রিয় ছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধমকি ও হামলা করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন সেলিম। শাহীনের বাগানবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির খয়েরি রঙের গেটটি তালাবদ্ধ। ডানপাশে ওপরে লাগানো রয়েছে দুটি সিসি ক্যামেরা। এ ছাড়া বাগানবাড়ির চারপাশে অনেক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এই বাগানবাড়ির ভেতরে রয়েছে পুকুর, গরুর খামার। রিসোর্ট হিসেবেও এটিকে রূপান্তরের পরিকল্পনা ছিল তার। বাড়ির দারোয়ানকে পাওয়া না গেলেও সফি উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘যাওয়া-আসার পথে দেখি গেটে লেখা, কুকুর হইতে সাবধান। আর ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেয় না। তবে কিছু সময় লোকজন আসে, ভেতরে ঢোকে। মাঝে মাঝে রাতে গানবাজনা হয়, মাইক বাজে। প্রায়ই গাড়ি নিয়ে ভেতরে ঢোকে। দিনে ও রাতের বেলায় কেউ মোটরসাইকেল নিয়েও ঢোকে। মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল বলেন, আনার ও শাহীনের বন্ধুত্ব প্রায় ৩০ বছরের। পাশের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে শাহীনের ওই বাংলোয় প্রথমবার তিনি গিয়েছিলেন বছরখানেক আগে। তিন-চার মাস আগে শেষবার এমপি আনার তাকে ওই বাংলোয় নিয়ে গিয়েছিলেন। একদিন দর্শনা থেকে বাড়ি ফেরার পথে আনার তাকে বলেছিলেন, চলো বন্ধু শাহীনের সঙ্গে দেখা করে আসি। এরপর তারা দুজন ওই বাংলোয় যান। আনার একান্তে শাহীনের সঙ্গে কথা বলেন। তবে রসুল বাইরে বাংলোর মধ্যে একটি কক্ষে বসে অপেক্ষা করেছিলেন। রসুল বলেন, বাংলো দেখে তিনি হতবাক হন, এই গ্রামের মধ্যে এত ভিআইপি বাংলো। যেখানে বিদেশি কুকুর, অনেক কর্মচারী, ভিআইপি আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো। আনোয়ারুল তাকে বলেছিলেন, শাহীন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। এখানে বেড়াতে এলে এই বাংলোতে অবস্থান করেন। কোটচাঁদপুরের মানুষ শাহীনের অপকর্মের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে। এতদিন মানুষ তার নির্যাতন সহ্য করেছে। দেড় বছর আগে কোটচাঁদপুরে দুটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই শাহীন জড়িত বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এলাকাবাসী বলছেন, বাগানবাড়িতে বিভিন্ন সময় নামিদামি অনেক লোক আসা-যাওয়া করেন। রাতে সেখানে মদের আড্ডা আর সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে আমোদ-প্রমোদ করা হয়। শাহীন নিজেই এলাকায় সালিশ-দরবার করতেন। সেখানে তার রায়ই চূড়ান্ত হতো। কেউ বিরোধিতা করলে পুলিশ দিয়ে তাকে হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে। তবে শাহীন এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন, তার বিরুদ্ধে থানা-পুলিশে অভিযোগ দিয়ে লাভ হতো না। শাহীন গত দেড় দশকে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শাহীনের বড় ভাই পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, শাহীনের সঙ্গে সর্বশেষ ছয় দিন আগে কথা হয় হোয়াটসঅ্যাপে। তবে শাহীন তখন কোন দেশে ছিল জানি না। শাহীনের স্ত্রী-সন্তানরা মাঝেমধ্যে বেড়াতে আসে। শাহীন এলাঙ্গীতে বাগানবাড়ি করার পর আমার বাড়িতেও থাকে না। সর্বশেষ ছয় মাস আগে থেকেছে এক রাত। তিনি বলেন, শাহীন এত বড় একটি হত্যাকাণ্ড ঘটাবে এটা বিশ্বাস হয়নি আমাদের। তবে প্রশাসনের উচিত সঠিক তদন্ত করা। যদি ভাই দোষী হয় তাহলে প্রচলিত আইনে তাকে শাস্তি দেওয়া হোক—এটা আমরা চাই। এমপি আনারের সঙ্গে তার একটা পারিবারিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল, যেটা আমি জানতে পেরেছি গত ৫-৬ বছর আগে। তবে কী ব্যবসা ছিল, তা আমরা কখনো জানতে পারিনি। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন জানান, তিনি নিজেও শাহিনের বাগানবাড়িতে গেছেন, সেখানে সুইমিংপুল থেকে শুরু করে মাছের পুকুর, খেলার মাঠ, চা বাগান, ডুপ্লেক্স বাড়ি এবং বিদেশি কুকুর রয়েছে। সেখানে উঁচুতলার লোকরা আসা-যাওয়া করত বলে শুনেছি। অভিযুক্ত আক্তারুজ্জামান শাহীন দাবি করেন তাকে ফাঁসানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে টেলিফোনে সাংবাদিকদের জানান, ‘আনার হত্যার ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার সময় আমি ভারতে ছিলাম না। মানুষ দেশে অনেক কথাই বলে। যদি কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে দেখাক। আমার বন্ধু আনার ফ্ল্যাটের চাবি চেয়েছিল। সে আমার সঙ্গে কয়েকবার চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিল। একপর্যায়ে যখন বুঝেছি, বাংলাদেশের পুলিশ আমাকে নিয়ে কথা বলছে। আমার বন্ধু যখন রেসপন্স করছে না, তখন আমি চলে এসেছি যুক্তরাষ্ট্রে। এখন আমাকে বলা হচ্ছে মাস্টারমাইন্ড। বাংলাদেশ সরকার বা পুলিশের কাছে কোনো ডকুমেন্ট থাকলে তারা যুক্তরাষ্ট্রে দিক। এখানে প্রমাণ হলে সেটা হবে।’ ফ্ল্যাটের ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যদি ফ্ল্যাট ভাড়া নিই, আমি কী করেই আমার ফ্ল্যাটে এ ধরনের কাজ করব? আমার পাসপোর্ট রেকর্ড দেখলে দেখা যাবে, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এখন বলা হচ্ছে, আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কীভাবে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি? কোথা থেকে পেলাম আমি এত টাকা? এখন এগুলো মানুষ বললে আমার শোনা ছাড়া কী করার আছে?’
২৪ মে, ২০২৪

মশার প্রজননক্ষেত্র শ্যামা সুন্দরী খাল
মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ রংপুরবাসী। দিনে-রাতে সমানভাবে কামড়াচ্ছে মশা। নগরবাসী বলছে, প্রজননস্থলগুলো পরিষ্কার না করাসহ নিয়মিত মশানিধন কার্যক্রম পরিচালনা না করায় বেড়েছে উৎপাত। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, শ্যামা সুন্দরী খাল সংস্কার না করায় এখন এটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে বেড়েছে মশার প্রজনন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দুই দফা খাল সংস্কারের নামে প্রায় ৯২ কোটি টাকা ব্যয় দেখালেও বাস্তবে এর কোনো সুফলই মেলেনি। দেশের প্রাচীনতম রংপুর পৌরসভাকে ২০১২ সালে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয়। আগের ১৫টি ওয়ার্ডের সঙ্গে নতুন করে ১৮টি ওয়ার্ড সংযুক্ত করা হয়। যার লোকসংখ্যা ১০ লাখ। নজরদারির অভাবে রংপুর নগরীর ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্যামা সুন্দরী খাল এখন ময়লা-আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। অথচ খাল সংস্কারে ২০১২ সালে ২৪ কোটি ৮০ লাখ টাক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর আগে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে আরও ১২ কোটি টাকা ব্যয় করা হয় খাল সংস্কারে। কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশনের পুরোনো ১৫টি ওয়ার্ড ঘনবসতি হওয়ায় ড্রেন, খাল এবং বসতবাড়ির আশপাশেই মশা বেশি জন্ম নিচ্ছে। তা ছাড়া মহানগরীর অনেক ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে মশার প্রজনন বেড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়ির আশপাশে ঝোপঝাড়ও পরিষ্কারও করা হচ্ছে না। যার কারণে দিনের পর দিন মশার উপদ্রব বেড়ে চলছে। নগীর গুপ্তপাড়ার ভুক্তভোগী জোহরা বেগম বলেন, শীতের পর গরমের মৌসুমেও মশার উৎপাত বেড়েছে। দিনে-রাতে সব সময়ই মশা কামড়ায়। কয়েল জ্বালিয়েও মশা থেকে নিস্তার মিলছে না। কামাল কাচনা এলাকার রত্মা বেগম বলেন, রান্না করব, ঘুমাব বা বসে গল্প করব কোথাও শান্তি নেই। মশার অত্যাচারের সঙ্গে যোগ হয়েছে লোডশেডিং। এতে অনেকেই অতিষ্ঠ। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই। শালবন এলাকার রুহিত জামান বলেন, রংপুর নগরীতে মশার যে উৎপাত বেড়েছে, তাতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মাঝেমধ্যে ফগার মেশিন দিয়ে মশা তাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাতেও কাজ হচ্ছে না। রংপুর সিটি কপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, শ্যামা সুন্দরীর ধ্বংসের দায় নগরবাসীর। কয়েকবার খালটি সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু নগরবাসীর অবৈধ দখল ও যত্রতত্র ময়লা ফেলে ভরাট করায় খালটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মশকনিধন কার্যক্রমও কাজে আসছে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে মশকনিধনের কিছু ওষুধ আসছে। আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডভিত্তিক স্প্রে এবং ফ্লাইং মশা মারার জন্য কার্যক্রম শুরু করব।
১১ মে, ২০২৪

শুধু সুন্দরী নারী নয়, মামুনের টার্গেট যুবকরাও
সুন্দরী নারীদের পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবকদের প্রতিও টার্গেট ছিল প্রবাসী আল মামুনের। প্রতিমাসে এক লাখ বা তারও বেশি টাকা বেতন দেওয়া হবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকে ৮-১০ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিতেন মামুন। একসময় নদীতে মাছ ধরা সেই মামুন আজ কোটিপতি। নানা প্রলোভন দেখিয়ে বেকার যুবকদের সৌদিতে নেওয়ার পরে কথা মতো কাজ দেওয়া হতো না তাদের। বেতনও দেওয়া হতো খুব সামান্য। যদি কেউ তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করে তার কপালেই নেমে আসে দুঃখ। টর্চার সেলে নিয়ে চালানো হয় আমানসিক নির্যাতন। অন্ধকার রুমে আটকে রেখে দেওয়া হয় মানসিক শাস্তিও। বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানি এলাকার প্রবাসী আল মামুনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। মামুনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অনেকেই পালিয়ে এসেছে দেশে। ধার করে ৮ লাখ টাকা দিয়ে প্রবাসে নিয়ে ৪ বছরেও দেনা পরিশোধ করতে পারেনি অনেকেই। এলাকার কয়েকশ বেকার যুবক তার এ প্রতারণার শিকার। তবে প্রবাসী আল মামুনকে দেশে বসে সহযোগিতা করার অভিযোগ আছে দক্ষিণ চরদুয়ানির ইউপি সদস্য ফোরকান মিয়ার বিরুদ্ধে। যার সঙ্গে প্রতিদিনই যোগাযোগ হয় মামুনের। তবে এ বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্য ফোরকান মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুকুনুজ্জামান খান জানান, এরই মধ্যে আল মামুনের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। কেউ অভিযোগ দিলে খোঁজখবর নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রবাসীদের সুন্দরী স্ত্রীদের টার্গেট করে প্রথমে তাদের স্বামীকে বিদেশ নেওয়ার ব্যবস্থা করেন মামুন। এরপর প্রবাসে স্বামীকে জিম্মি করে দেশে থাকা স্ত্রীকে ভিডিও কলে নগ্ন হতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে দেশে এসে স্ত্রীদের ধর্ষণ করেন। এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন। যখনই স্ত্রী বেঁকে বসে, তখনই বিদেশে স্বামীকে নির্যাতন করা হয়।
০৭ মে, ২০২৪

সৌদি সুন্দরী প্রথমবার মিস ইউনিভার্সে
বিশ্বের অন্যতম বড় সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ইউনিভার্সে প্রথমবারের মতো নাম লেখাতে যাচ্ছে সৌদি আরব। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় দেশটি থেকে নাম লিখিয়েছেন সৌদি তরুণী রুমি আলকাহতানি। এর আগে কোনো সৌদি তরুণী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি। ২৭ বছর বয়সী রুমি আলকাহতানি পেশায় একজন মডেল। সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে বেশ জনপ্রিয় তিনি। তার ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে ফলোয়ার সংখ্যা ১০ লাখ। সোমবার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কথা জানান। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, তিনি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে প্রথম অংশগ্রহণকারী হবেন। দ্য খালিজ টাইমস এবং এবিসি নিউজ জানিয়েছে, মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে এবারই প্রথম অংশ নিতে যাচ্ছে। রুমি আলকাহতানি এর আগেও বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত মিস এবং মিসেস গ্লোবাল এশিয়ানে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
২৭ মার্চ, ২০২৪

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সৌদি সুন্দরী
বিশ্বের অন্যতম বড় সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ইউনিভার্সে প্রথমবারের মতো নাম লেখাতে যাচ্ছে সৌদি আরব। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সৌদি আরব থেকে নাম লিখিয়েছেন সৌদি তরুণী রুমি আলকাহতানি। এর আগে কোনো সৌদি তরুণী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেননি।  ২৭ বছর বয়সী রুমি আলকাহতানি পেশায় একজন মডেল। সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে বেশ জনপ্রিয় তিনি। তার ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে ফলোয়ার সংখ্যা ১০ লাখ। সোমবার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।  ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, তিনি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে প্রথম অংশগ্রহণকারী হবেন। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের এটাই প্রথম অংশগ্রহণ।  দ্য খালিজ টাইমস এবং এবিসি নিউজ জানিয়েছে, মিস ইউনিভার্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে এবারই প্রথম অংশ নিতে যাচ্ছে।  রুমি আলকাহতানি এর আগেও বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত মিস এবং মিসেস গ্লোবাল এশিয়ানে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। 
২৬ মার্চ, ২০২৪

ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতে যেভাবে ২০ জনকে হত্যা করেছিলেন ফুলন দেবী
ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুর; বেহমাই গ্রামে ১৯৮১ সালে হওয়া ওই হত্যাকাণ্ড এতটাই আলোড়ন তুলেছিল, ঘটনার পর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের শিশুদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে ‘দস্যুরানী’ ফুলন দেবীর নাম। ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতে ২২ জনকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিলেন তিনি। ফুলন দেবী জনমানুষের কাছে দেবীর মর্যাদা পান। বলা হতো, ফুলন দেবী তার লক্ষ্যে যতটা দৃঢ়, তার হৃদয় তার চেয়েও বেশি কঠোর। ফুলন দেবী ১৯৬৩ সালে ভারতের এক নিম্ন বর্ণের হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে বাবার বয়সী এক লোকের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। দারিদ্র্য এবং সামাজিক কারণে জীবনের শুরু থেকেই সংগ্রামের মুখোমুখি হন তিনি। স্বামীর কাছে ফুলন দেবী শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।  অত্যাচারের মুখে শিশু ফুলন দেবী বেশ কয়েকবার স্বামীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে এলেও সামাজিক চাপের মুখে বারবার তাকে স্বামীর বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। ১৯৭৯ সালে জমি দখল নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইকে পাথর ছুঁড়ে আহত করেন কিশোরী ফুলন দেবী। এই ঘটনার পর স্থানীয় থানা পুলিশ তাকে প্রায় এক মাসের জন্য হাজত খানায় আটক করে রাখে। কারাগারে পুলিশের হাতে ধর্ষনের শিকার হন ফুলন দেবী। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে পরিবার ও গ্রাম থেকে বহিষ্কার করা হয়।  ওই বছরের জুলাই মাসেই বাবার বাড়ি থেকে স্থানীয় এক ডাকাত দলের হাতে অপহৃত হন ফুলন দেবী। ফুলন দেবীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় ডাকাত সর্দার বাবু গুজ্জর। ফুলন দেবীর ভাষ্য অনুযায়ী, বাবু গুজ্জর তাকে টানা তিন দিন ধর্ষণ করে। তবে দলের আরেক ডাকাত বিক্রম মাল্লার সহায়তায় রক্ষা পান ফুলন দেবী। স্বজাতির ওপর বাবু গুজ্জরের এই নির্মমতা সহ্য করতে পারেননি বিক্রম মাল্লা।  ফুলন দেবীকে অপহরণের তিন দিনের মধ্যেই বাবু গুজ্জরকে খুন করে দলের নেতা হয় বিক্রম মাল্লা। বিক্রম ফুলন দেবীকেও অস্ত্র চালানো শেখায় এবং ডাকাত দলের সদস্য করে নেয়। বিক্রম মাল্লা ও ফুলন দেবী লুণ্ঠিত সম্পত্তি দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ চালু করেন। ভালোবেসে দুজন দুজনকে স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদা দেন।  পরের প্রায় এক বছর তাদের ডাকাত দল উত্তর প্রদেশের দেভারিয়া, কানপুর আর ওরাই অঞ্চলে ত্রাস সঞ্চার করে। ফুলন তার প্রথম স্বামী পুত্তিলালের বসবাসকৃত গ্রামে লুণ্ঠন করেন। তিনি পুত্তিলালকে টেনে নিয়ে এসে জনসমক্ষে শাস্তি দেন ও খচ্চরের পিঠে উল্টো করে বসিয়ে ব্যাপক মারধর করেন। প্রায় মৃত অবস্থায় পুত্তিলালকে ফেলে চলে যায় ডাকাত দল। যাওয়ার সময় কম বয়সের বালিকা মেয়ে বিবাহ করা পুরুষদের জন্য সাবধানবাণী স্বরূপ একটি পত্র রেখে যান ফুলন দেবী।  ফুলন উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশ বসবাসকারী উচ্চবর্ণের লোকদের গ্রামে লুণ্ঠন, ভূস্বামীদের অপহরণ, রেল ডাকাতি ইত্যাদি বিভিন্ন অভিযান চালিয়েছিলেন। সেসব এলাকার নিম্নবর্ণের ও দরিদ্র হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ফুলন দেবী। সেখানকার মানুষের মধ্যে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘দস্যু সুন্দরী’ হিসেবে। তবে ডাকাত দলের হাজতফেরত এক সদস্যের হাতে বিক্রম মাল্লার মৃত্যু ঘটলে ফুলন দেবীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় কানপুরের কাছে বেহমাই গ্রামে। তিন সপ্তাহের অধিক সময় গণধর্ষণসহ তার ওপর অমানুষিক অত্যাচার করা হয়। ফুলন দেবীর ওপর যারা নির্যাতন চালিয়েছিল তারা সকলেই ছিল উচ্চবর্ণের ঠাকুর গোত্রীয় ক্ষত্রিয় শ্রেণীর। ২৩ দিন পর ফুলন নিজেকে ঠাকুর সম্প্রদায়ের গ্রাম বেহমাই-এ নিজেকে আবিষ্কার করেন। অবশেষে এক ব্রাহ্মণ ব্যক্তির সাহায্যে ফুলন গরুর গাড়ি করে বেহমাই থেকে পালিয়ে যায়। বেহমাই থেকে পালিয়ে আরেক দস্যু মান সিংয়ের সঙ্গে ডাকাত দল তৈরি করেন ফুলন দেবী। এরপর ১৯৮১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দল নিয়ে বেহমাই গ্রামে ফিরে যান ফুলন দেবী। সেখানে গিয়ে তারা গ্রামবাসীকে বলেছিলেন শ্রীরামকে তার হাতে তুলে দিতে। কিন্তু পুরো গ্রামে শ্রীরামকে খুঁজে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ২২ জন ঠাকুর সম্প্রদায়ের পুরুষকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে ফুলন দেবীর দলের সদস্যরা। সেই ঘটনায় গোটা ভারতে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ভিপি সিং। হত্যাকাণ্ডের পর ফুলন দেবীর নাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। তাকে ভারতে অত্যাচারিত, দলিত, নিম্নবর্ণের ও আদিবাসীদের প্রতিবাদী মুখ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমনকি, তাকে নিয়ে তৈরি হয় চলচ্চিত্রও, যেটি পরিচালনা করেছিলেন শেখর কাপুর। তার জীবনী নিয়ে লেখা বইটির নাম ছিল ‘ইন্ডিয়াস ব্যান্ডিট কুইন : দ্য ট্রু স্টোরি অব ফুলন দেবী’। তারপর থেকে ফুলন দেবী ‘ব্যান্ডিট কুইন’ নামেও পরিচিত হয়েছিল। পরে একটি সাধারণ ক্ষমা প্রকল্পের অধীনে হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পর মধ্যপ্রদেশে আত্মসমর্পণ করেছিলেন ফুলন। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি কারাগারে ছিলেন। সে বছর সমাজবাদী পার্টির তৎকালীন প্রধান ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুলায়েম সিং যাদবের আদেশে ফুলন দেবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন এবং ১৯৯৬ সালের লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেন। কোনো ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না হলেও তিনি উত্তর প্রদেশের মির্জাপুরের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৯ সালে তিনি দ্বিতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচনে জেতেন।  সংসদ সদস্য থাকা অবস্থাতেই ২০০১ সালের ২৫ জুলাই তার দিল্লির বাসভবনের সামনে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে শের সিং রানা নামের এক যুবক। ধর্ষণের বদলা নিতে ২০ জনকে খুন করেছিল ডাকাতরানি ফুলন দেবী এবং তার দলের সদস্যরা। সেই হত্যাকাণ্ডের ৪৩ বছর পর বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করল উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি আদালত। ২০ জনকে হত্যার ঘটনায় ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তবে বিচার চলাকালীন অভিযুক্তদের মধ্যে ৩২ জনই মারা গিয়েছেন। বেঁচে থাকা দুজনের মধ্যে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া, প্রমাণের অভাবে অন্যজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। 
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিহঙ্গকথা / মহাবিপন্ন সুন্দরী হাঁসের সংরক্ষণ
সুন্দরবনের গহিনে হাঁসের মতো দেখতে কিন্তু হাঁস নয় এমন একটি অতি বিরল ও মহাবিপন্ন রহস্যময় পাখির বাস। বর্তমানে পাখিটি বাঘের থেকেও বেশি বিরল ও বিপন্ন। এর খোঁজে ২৭ বছর ধরে সুন্দরবন যাচ্ছি; কিন্তু দেখা পেয়েছি মাত্র এক সফরে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, সাত সাতটি এবং একবার-দুবার নয়, চার চারবার ওদের দেখেছি ২০১৮ সালের ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি, দুই দিনে। সূত্রমতে, বিশ্বব্যাপী গোলবনের রহস্যময় পাখিটির মাত্র ৩০০টির মতো সদস্য বেঁচে আছে, যার মধ্যে প্রায় শ-দুয়েক আমাদের সুন্দরবনে থাকতে পারে। রহস্যময় পাখিটির সন্ধানে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে সাতজনের টিমে সুন্দরবন রওনা হলাম। বাঘের বৈঠকখানাখ্যাত কচিখালী পৌঁছলাম পরের দিন সন্ধ্যায়। পরদিন সকালটা কচিখালীতে কাটিয়ে ১০টা নাগাদ বাঘের বাড়িখ্যাত কটকার পথে রওনা হলাম। অভিজ্ঞ সারেং সগির ও মাঝি গাউসের পরামর্শে বড় কটকা খাল দিয়ে না গিয়ে ছোট একটি খাল, যার নাম ছুটা কটকা খাল, দিয়ে এগোতে থাকলাম। কারণ এখানে রহস্যময় ও বিরল পাখিটির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন ভাটা চলছে। কাজেই ক্যামেরা হাতে আমরা সাতজন টান টান হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। খালের দুপাশে গোলগাছের সারি, দৃষ্টি সবার এই গোলবনের পলিময় কাদার দিকেই। কিন্তু এভাবে ভারী ক্যামেরা তাক করে আর কতক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায়? পরিশ্রান্ত সবাই কিছুক্ষণের জন্য আনমনা হয়ে গেল; কিন্তু আমার দৃষ্টি গোলবনের কাদার দিকেই থাকল। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্যামেরার ভিউ ফাইন্ডারে হাঁসের মতো কিন্তু অদ্ভুত একটি পাখির চেহারা ভেসে উঠল। ওর ঠোঁটটি হাঁসের মতো চ্যাপ্টা নয় বরং চোখা। পায়ের পাতাও কেমন যেন অন্যরকম, পায়ের আঙুলের সঙ্গে যুক্ত নয়। বিচিত্র এক পাখি! মন্ত্রমুগ্ধের মতো একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম। আর আমার আঙুল অজান্তেই শাটারে ক্লিক করে গেল। হঠাৎই বলে উঠলাম হাঁসপাখি! হাঁসপাখি!! পাখিটি দ্রুত গোলবনের কাদাময় পাড় থেকে পানিতে নেমে গেল। আমি ও অন্য এক আলোকচিত্রী ছাড়া কেউ ওর ছবি তুলতে পারল না। রহস্যময় পাখিটির আবিষ্কারে মনপ্রাণ আনন্দে ভরে উঠল। খানিক পর এই খালেই আরও দুটি হাঁসপাখির দেখা পেলাম। পরদিন ভোরে কটকার কাছে সুন্দরী বা হোমরা খালে আরও চারটি একই পাখির দেখা পেলাম, যার মধ্যে একটি স্ত্রী পাখিও ছিল। এক যাত্রার সাতটি হাঁসপাখির দেখা পাওয়া বিরল দৃষ্টান্ত ও মহাভাগ্যের ব্যাপার। তবে এরপর আরও অনেকবার সুন্দরবন গেছি; কিন্তু পলিমাটিতে পায়ের ছাপ দেখলেও হাঁসপাখির দেখা পাইনি। মনে মনে বলি, ওটাই কি ছিল আমার প্রথম ও শেষ সুন্দরী হাঁস দেখা? কারণ গত পাঁচ বছরে এতবার সুন্দরবন গিয়েও কেন ওদের একটিরও দেখা পেলাম না। তবে ভরসা একটাই যে, পায়ের ছাপ তো পেয়েছি। তার অর্থ তারা আছে। বাঘের থেকেও বিরল গোলবনের রহস্যময় পাখিটি আর কেউ নয়, এদেশের বিরল ও মহাবিপন্ন এক পাখি সুন্দরী বা গেইলো হাঁস। অন্তত সুন্দরবনের জেলে-বাওয়ালি-মৌয়াল-জোংরাখুটাদের কাছে ওরা এই নামেই পরিচিত। অবশ্য অনেকে এদের গোলবনের হাঁসপাখি বা বাইলা হাঁসপাখি নামেও ডাকে। তবে নাম হাঁসপাখি হলেও আদতে হাঁস-রাজহাঁস অর্থাৎ হংস (Anseriformes) বর্গের ধারেকাছের পাখিও নয় এটি। বরং ক্রৌঞ্চ বা গ্রুইফরমেস (Gruiformes) বর্গের পাখি। এরা জলমুরগি, যেমন—রাঙা হালতি (Slaty-legged Crake), ডুংকর (Common Moorhen), ডাহুক (White-breasted Waterhen) এবং সারস ক্রেন (Saurus Crane) পাখিদের নিকটাত্মীয়। পাখিটির ইংরেজি নাম Masked Finfoot বা Asian Finfoot। হ্যালিওরনিথিডি (Helornithidae) গোত্রের পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Heliopais personata (হেলিওপাইস পারসোন্যাটা)। অতি লাজুক ও রহস্যময় পাখিটিকে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, চীন, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ায় দেখা যায়। সুন্দরী হাঁসের দেহের দৈর্ঘ্য ৫৬ সেন্টিমিটার। দেহের পালকের মূল রং গাঢ় বাদামি। লম্বা গলাটি হালকা বাদামি। পিঠ জলপাই-বাদামি। ডানার প্রাথমিক পালক কালচে জলপাই-বাদামি। বুক-পেট-লেজতল হালকা বাদামি। চোখের পেছন থেকে ঘাড়ের পার্শ্বদিক পর্যন্ত সাদা ডোরা রয়েছে। হলুদ চঞ্চুটি লম্বা ও ড্যাগারের মতো চোখা। পায়ের আঙুলে পর্দা থাকলেও তা হাঁসের মতো পায়ের পাতায় যুক্ত থাকে না। বরং দেখতে অনেকটা মাছের পাখনার মতো। পায়ের রং সবুজাভ-হলুদ। স্ত্রী-পুরুষের চেহারায় অল্পবিস্তর পার্থক্য রয়েছে। পুরুষের ঘাড়, গলার সম্মুখভাগ ও চিবুক কালো, স্ত্রীটির ক্ষেত্রে যা সাদা। পুরুষের চোখ গাঢ় বাদামি ও চঞ্চুর গোড়ায় শিংজাতীয় পদার্থ থাকে। অন্যদিকে, স্ত্রীর চোখ হলুদ ও চঞ্চুর গোড়ায় শিং থাকে না। অপ্রাপ্তবয়ষ্ক পাখির কপালের ধূসর ও চঞ্চুর ক্রিম-হলুদ রং ছাড়া বাকি সবই দেখতে স্ত্রী পাখির মতো। আগেই বলেছি, সুন্দরী হাঁস বিরল আবাসিক পাখি, বর্তমানে মহাবিপন্ন হিসেবে বিবেচিত। একমাত্র সুন্দরবনেই দেখা যায়। অতি লাজুক এই পাখিটি একাকী, জোড়ায় বা ছোট পারিবারিক দলে বিচরণ করে। অল্প পানিতে সাঁতার কেটে বা কাদায় হেঁটে চিংড়ি, ছোট মাছ, কাঁকড়া, ব্যাঙাচি, শামুক, জলজ কীটপতঙ্গ ইত্যাদি খায়। ভয় পেলে বা বিপদ দেখলে চঞ্চুসমেত মাথা পানিতে ভাসিয়ে ডুবে থাকে বা দ্রুত দৌড়ে পালায়। এরা হাঁসের মতোই উচ্চস্বরে ‘প্যাক-প্যাক...’ শব্দে ডাকে। জুলাই থেকে আগস্ট প্রজননকাল। এ সময় মাটি বা পানি থেকে ১ থেকে ৩ মিটার ওপরে গাছের বড় শাখায় ঘন পাতার আড়ালে কাঠিকুটি ও শিকড়-বাকড় দিয়ে স্তূপের মতো গোলাকার বাসা বানায়। ডিম পাড়ে ৪ থেকে ৮টি। লম্বাটে ডিমগুলো ধূসরাভ সাদা, যাতে থাকে গাঢ় ছিটছোপ। সদ্যফোটা ছানার কোমল পালক ধূসর ও চঞ্চুর ওপর সাদা ফোটা থাকে। আয়ুষ্কাল ১০ বছরের বেশি। অত্যন্ত শঙ্কার কথা হলো, গোলবনের রহস্যময় সুন্দরী হাঁসদের সংখ্যা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। বছর দেড়েক আগেও এটি বিপন্ন পাখির তালিকায় ছিল; কিন্তু ২০২২ সালের এপ্রিলে এটি আরও এক ধাপ ওপরে উঠে মহাবিপন্নের তালিকায় নাম লেখায়। বিভিন্ন কারণের মধ্যে মাংসের জন্য সুন্দরবনের জেলে ও অন্যদের হাতে ওদের ডিম ও বড় পাখি শিকার অন্যতম। এ ছাড়া বনে মানুষের অতিরিক্ত আনাগোনা এবং অন্যান্য কারণও রয়েছে। বাঘ সংরক্ষণে এদেশে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বহু গবেষণা ও সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অথচ সে তুলনায় বাঘের চেয়ে বেশি বিপন্ন এই পাখিটির সংরক্ষণে কোনো গবেষণা ও সংরক্ষণ কার্যক্রম নেই। বর্তমানে পাখিটির যে নাজুক অবস্থা, তাতে অতিদ্রুত বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে পাখিটি রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। যেহেতু বিশ্বের মোট দুই-তৃতীয়াংশ হাঁসপাখির বাস এদেশে, তাই ধরে নেওয়া যায় এদেশ থেকে এটি বিলুপ্ত হয়ে গেলে পুরো বিশ্ব থেকেই বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিশ্বের অন্যান্য প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও ডোনার এজেন্সিরও উচিত দ্রুত পাখিটিকে সংরক্ষণে এগিয়ে আসা। গবেষণা ও সংরক্ষণ কার্যক্রমের জন্য অর্থের জোগান দেওয়া। কামনা করি অতি বিরল, মহাবিপন্ন ও আমাদের সুন্দরবনের অলংকার গোলবনের রহস্যময় সুন্দরী হাঁস বেঁচে থাকুক অনন্তকাল। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন ওদের স্বচক্ষে দেখতে পারে। লেখক: পাখি ও বন্যপ্রাণী প্রজনন এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক, বশেমুরকৃবি, সালনা, গাজীপুর
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অনন্যা
জাপান পৌঁছেছেন মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৩-এ বাংলাদেশের প্রতিযোগী মডেল ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৩’-এর মুকুট লাভ করেছেন তিনি। জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হবে ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল’-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। বৈশ্বিক এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার ৬১তম আসর বসছে এবার। তাতে বিভিন্ন দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে লড়বেন অনন্যা। ২০২০ সালে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে মডেলিংয়ে যাত্রা শুরু অনন্যার। প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন তিনি। পরে বেশকিছু নামি ব্র্যান্ডের মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। জাপান যাওয়ার আগে বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি খুবই এক্সসাইটেড। সেখানে আমাকে আমার নাম ধরে কেউ ডাকবে না। সবাই আমাকে বাংলাদেশ বলেই ডাকবে। দেশের পতাকা নিয়ে এ দারুণ জার্নি আমার। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং ভোট করবেন। আমি যেন দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।’ অনন্যা আরও বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় আমি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সর্বোচ্চভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব। বিশ্বের ৮০টি দেশের প্রতিযোগী নিজ নিজ সংস্কৃতি উপস্থাপন করবেন। আমিও তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখব। আমার বিশ্বাস, আমার প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতায় ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারব। আমি জানি, এটি একটি কঠিন কাজ, তবে আমি আমার সেরাটা দেব।’
১১ অক্টোবর, ২০২৩

সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে জাপানে অনন্যা
জাপান পৌঁছেছেন মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৩-এ বাংলাদেশের প্রতিযোগী মডেল ফারজানা ইয়াসমিন অনন্যা। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৩’-এর মুকুট লাভ করেছেন তিনি। জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হবে ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল’-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। বৈশ্বিক এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার ৬১তম আসর বসছে এবার। তাতে বিভিন্ন দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে লড়বেন অনন্যা। ২০২০ সালে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে মডেলিংয়ে যাত্রা শুরু অনন্যার। প্রথম রানার আপ হয়েছিলেন তিনি। পরে বেশকিছু নামি ব্র্যান্ডের মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। জাপান যাওয়ার আগে বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি খুবই এক্সাইটেড। সেখানে আমাকে কিন্তু আমার নাম ধরে কেউ ডাকবে না। সবাই আমাকে বাংলাদেশ বলেই ডাকবে। দেশের পতাকা নিয়ে এ দারুণ জার্নি আমার। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং ভোট করবেন। আমি যেন দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।’ অনন্যা আরও বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় আমি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সর্বোচ্চভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব। বিশ্বের ৮০টি দেশের প্রতিযোগী নিজ নিজ সংস্কৃতি উপস্থাপন করবেন। আমিও তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখব। আমার বিশ্বাস—আমার প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতায় ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারব। আমি জানি, এটি একটি কঠিন কাজ, তবে আমি আমার সেরাটা দেব’।   
১০ অক্টোবর, ২০২৩

সুন্দরী নারীদের প্রেমের ফাঁদ, ডেকে নিয়ে অপহরণ!
প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব-৩ সিনিয়র সহকারী পরিচালক স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) মো. আরিফুর রহমান বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে র‌্যাব-৩ যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আটককৃতরা হলেন- মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতা মো. শামীম হোসেন নাঈম (২১), মো. শান্ত মিয়া (৩৫), মো. সাইদুল ইসলাম (১৮), মো. দুলাল হোসেন (৩৫), রাকিব ইসলাম (২৩), সুমন সরকার (২৭), মিঠুন মিয়া (২৩), মো. সাইফুল ইসলাম মুন্না (২৬) ও মো. লিটন মিয়া ওরফে আকাশ (৩৬)। র‌্যাব জানায়, তাদের কাছ থেকে নগদ ৫৬ হাজার ৩৬ টাকা, ৬টি স্মার্ট ফোন, ২টি বাটন ফোন, ২টা রুপার চেইন ও রুপার ১টি ব্রেসলেট জব্দ করা হয়। তাদের বাড়ি মাগুরা, ময়মনসিংহ, সিলেট, মুন্সীগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা জেলায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা র‌্যাবকে জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ ও কৌশলে মোবাইলের মাধ্যমে নারীদের সাথে যৌন কাজে লিপ্ত করার কথা বলে পূর্বপরিকল্পিত স্থানে বা ভবনে নিয়ে যায়। এরপর ভুক্তভোগীদের একটি কক্ষে প্রবেশ করিয়ে তার অশ্লীল চিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করার হুমকিসহ আটক, নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল।  র‌্যাব-৩ সিনিয়র সহকারী পরিচালক স্টাফ অফিসার আরিফুর রহমান বলেন, তাদের নামে ডিএমপির রামপুরা থানার পেনাল কোড আইনে অপহরণ মামলা রয়েছে। তারা ওই মামলার পলাতক আসামি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিএমপির রামপুরা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
০২ অক্টোবর, ২০২৩
X