সুদান গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে
ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সহিংসতা ও সংঘাতে বিধ্বস্ত সুদান পূর্ণমাত্রার গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। চলমান সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা অঞ্চলে। একটি আবাসিক এলাকায় বিমান হামলায় প্রায় দুই ডজন বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার পর স্থানীয় সময় গত রোববার এ সতর্কতা জানায় সংস্থাটি। খবর আরব নিউজ ও আলজাজিরার। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে বলেন, মহাসচিব ওমদুরমানে বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। ওই হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধ দেশটিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সংঘাত গোটা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। প্রসঙ্গত, ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল থেকে দেশটির সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
১১ জুলাই, ২০২৩

সুদান থেকে আরও ১৫০ বাংলাদেশি ফেরত আনা হচ্ছে
সংঘাতময় সুদান থেকে আরও ১৫০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। গত সোমবার পর্যন্ত নতুন করে ১২৮ বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছে। আগামী শুক্রবার থেকে তাদের দোহা রুটে দেশে ফেরত আনতে শুরু করবে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার সুদানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করার সময়ই কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন করে এক মাসের বেশি সময় আগে নতুন কেউ আগ্রহী না থাকার কারণে তা বন্ধ ঘোষণা করি। কিন্তু উদ্ধার ক্যাম্প বন্ধ করার পর পোর্ট সুদানে অনেক বাংলাদেশি জড়ো হতে শুরু করে। খার্তুমের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যে সংখ্যাটি ১০০ ছাড়িয়েছে। থাকার উপযুক্ত জায়গা না থাকায় তারা অনেক কষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন। লোহিত সাগরের তীরে তাদের রাত কাটে। আমরা তাদের ব্যবহারের জন্য শুধু ফ্লোর ম্যাট এবং কিছু জলের ট্যাঙ্ক সরবরাহ করতে পেরেছিলাম গত কয়েকদিনে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি। আমাদের কনসুলেট মন্ত্রণালয়কে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করে এবং আমরা তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুমোদন দিই। এখন জেদ্দার কোনো ফ্লাইট না থাকায় বদর এয়ারলাইনসে দোহা যাওয়ার নতুন রুট খুলেছে। আমরা আবার উদ্ধার ক্যাম্প খুলে রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছি। গত পরশু (রোববার) পর্যন্ত ১০৪ জন নাগরিক তাদের ফিরে যাওয়ার অভিপ্রায় নিবন্ধন করেছেন। আমরা নিবন্ধনের শেষ তারিখ হিসেবে ২৭ জুন ঘোষণা করেছি। আমরা আশা করছি যে, ১৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নিবন্ধন করবেন। শাহরিয়ার আলম জানান, ৮০ জন যাত্রী ৩০ জুন দোহায় প্রথম ফ্লাইট নেবেন এবং তারা বিমান বাংলাদেশের সামনের ফ্লাইটে উঠবেন ১ জুলাই, আরও ৮০ জন যাত্রী একই রুটে যাবেন। যদি আমাদের ১৬০ জনের বেশি যাত্রী থাকে, তারা ২ জুলাই ফ্লাইট নেবেন। আশা করি এই পরিবারগুলোর জন্য ঈদের আগে এই সংবাদ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে। উল্লেখ্য, সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল সংঘর্ষ শুরু হলে কয়েক দফায় সেদেশে অবস্থানরত প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশির মধ্যে ৯০০ জনকে দেশে ফেরত আনা হয়।
২৮ জুন, ২০২৩
X