আকর্ষণীয় বেতনে রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট নেবে সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)  পদের নাম : রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট আবেদনের বয়সসীমা : নির্ধারিত নয় পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় কর্মস্থল : বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে বেতন : ৬১,৬০০ টাকা (মাসিক) অভিজ্ঞতা : প্রয়োজন নেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ০৪ জুলাই, ২০২৪ কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম কর্মক্ষেত্র : অফিস প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদনের শেষ তারিখ : ১৩ জুলাই, ২০২৪ শিক্ষাগত যোগ্যতা : অর্থনীতি বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, তবে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৬০ থাকতে হবে। অন্যান্য যোগ্যতা : স্ট্যাটিস্টিক্যাল ও ইকোনমেট্রিক্যাল অ্যানালাইসিসের জন্য এক্সেল, এসটিএটিএ, আর, পাইথন, ইভিউজ, টাবলিউ, পাওয়ারবিআই সফটওয়্যারের কাজ জানতে হবে। অন্যান্য সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হবে। বি.দ্র. শুধু সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের লিখিত, ভাইভা এবং কম্পিউটার সাক্ষরতা পরীক্ষার জন্য অবহিত করা হবে। যেভাবে আবেদন করবেন : যোগ্য প্রার্থীরা তাদের জীবনবৃত্তান্তসহ সাম্প্রতিক তোলা একটি ছবি প্রদত্ত ই-মেইল [email protected]এ পাঠাতে বলা হয়েছে অথবা আগ্রহীরা বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ঠিকানা : বাড়ি ৪০/সি, রোড নং ১১ (নতুন), ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯
০৬ জুলাই, ২০২৪

বাজেটে অর্থনৈতিক সূচকের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না : সিপিডি
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)  নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি গ্রোথ, বিনিয়োগের যেসব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা অতি উচ্চাভিলাষী ও বাস্তবসম্মত নয়। বাজেটে অর্থনৈতিক সূচকের অনেক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।  শুক্রবার (৭ জুন) প্রস্তাবিত বাজেটের পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। ফাহমিদা খাতুন বলেন, চলমান অর্থনৈতিক উদ্বেগ মোকাবিলায় যে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে নেয়া হয়নি। মূল্যস্ফীতি রোধ ও নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে বাজেটে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। এছাড়া বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত খাতের বিনিয়োগে অবাস্তব লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি গ্রোথ, বিনিয়োগের যেসব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা অতি উচ্চাভিলাষী ও বাস্তবসম্মত নয়। বাজেটে অর্থনৈতিক সূচকের অনেক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অনুধাবন করতে না পারায়, বাজেটে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা দুর্বল ও অপর্যাপ্ত। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটটি অসাধারণ সময়ে একটি সাধারণ বাজেট। ফাহমিদা খাতুন বলেন, মন্ত্রী এমপিদের করমুক্ত গাড়ি পাওয়ার যে আইন রয়েছে সে আইন পরিবর্তন করতে হবে। তাদের কিছু পরিমাণ হলেও কর দেওয়া উচিত।  সিপিডি নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে স্পষ্ট বলা হয়েছে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে থাকবে সরকার। কিন্তু বাজেটে কর ও ঋণ খেলাপিসহ দুষ্টচক্রকে মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের টাকা অর্থনীতিতে আনার প্রচেষ্টায় কর হার কমানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।  
০৭ জুন, ২০২৪

অর্থনীতি স্থিতিশীল করাই বাজেটের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত : সিপিডি
বেশকিছু চ্যালেঞ্জের কারণে দেশের অর্থনীতি বর্তমানে বেশ চাপে আছে। এ অবস্থায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারই বাজেটের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। সেইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা সরকারের বড় ব্যর্থতা উল্লেখ করে গবেষণা সংস্থাটি বলেছে, দাম এতটাই বেড়েছে যে, কম আয়ের মানুষের কাছে নিত্যপণ্যকে বিলাসবহুল মনে হচ্ছে। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং এর চাপ থেকে নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে বাজেটে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ থাকা দরকার। গতকাল রোববার ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৩-২৪ : তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের মূল উপস্থাপনায় গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, গত সাড়ে পাঁচ বছরে দেশে ধনীদের চেয়ে গরিবের চালের দাম বেশি বেড়েছে। এমনকি থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশে চালের দাম বেশি। এ সময় মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে যে মোটা চালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, গত মে মাসে তা বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকায়। একই সময়ে অপেক্ষাকৃত বেশি মূল্যের মিনিকেট ও পাইজাম চালের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১৭ ও ১৮ শতাংশ। এই দুটি চাল এখন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা ও ৫৫ টাকায়। একইভাবে মুসর ডাল ৯৫, আটা ৪০-৫৪, ময়দা ৬০, খোলা সয়াবিন ৮৪ ভাগ, বোতলজাত সয়াবিন ৫৬ ও পামঅয়েলে ১০৬ ভাগ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গরুর মাংসের দামও বেশি, ব্রয়লার মুরগি ৬০ ভাগ, চিনির দাম ১৫২ ভাগ, গুঁড়া দুধ ৪৬-৮০, পেঁয়াজ ১৬৪, রসুন ৩১০ ও শুকনা মরিচ ১০৫ ভাগ বেড়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে চিনির দাম প্রতি কেজি ৩৯ টাকা, যুক্তরাষ্ট্রে ৯৬ টাকা আর আন্তর্জাতিক বাজারে ৫০ টাকা, যা বাংলাদেশের বাজারে চিনির বর্তমান দামের তুলনায় কম। তিনি বলেন, নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার যেসব পণ্য ব্যবহার করে মুনাফাখোর সিন্ডিকেট সেগুলোতেই মুনাফা করছে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণেই এমনটা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার যেসব উদ্যোগ নিচ্ছে, তা অপর্যাপ্ত। বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে আরও বেশি আমদানিকারকদের বাজারে আনতে হবে। মূল উপস্থাপনায় বিশ্বের ১৭টি দেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু জিডিপি এবং খাবারে পেছনে মাথাপিছু খরচের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) ডলার অনুসারে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু জিডিপি সবচেয়ে কম, ৭ হাজার ৮০৫ ডলার। অথচ ওই ১৭ দেশের মধ্যে খাবারের জন্য সবচেয়ে মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি খরচ করতে হয় বাংলাদেশে। এর পরিমাণ ৯২৪ ডলার। তালিকার বাকি দেশগুলো হলো— ইরান, ভারত, লাওস, শ্রীলঙ্কা, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া, ভিয়েতনাম, তিউনিসিয়া, বলিভিয়া, মরক্কো, ইরাক, ইন্দোনেশিয়া, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, জর্ডান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘নিম্ন আয়ের দেশ হয়েও আমরা বিলাসী দেশে পরিণত হয়েছি। আমরা আয় করি কম, কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়। যার ভুক্তভোগী গরিব ও সাধারণ মানুষ। আমরা কোন অর্থনীতির দেশে রয়েছি?’ তিনি বলেন, ‘সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়ে পণ্যের দাম কমানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু সুফল মিলছে না। শুল্ক কমানোর সুফল কিছু আমদানিকারক ব্যবসায়ী নিয়ে যাচ্ছেন। কতিপয় ব্যবসায়ীর মর্জির ওপর বাজার চলতে পারে না।’ সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, ‘বাজারে খাদ্যপণ্যের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশ। ২০২৩ সালের আগস্টে তা ১৩ শতাংশে পৌঁছায়। গত ফেব্রুয়ারিতে তা ৯ শতাংশে নেমে আসে। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি আবার বেড়ে ১০ শতাংশে দাঁড়ায়। মূল্যস্ফীতিতে আমরা ৯ ও ১০ শতাংশে অবস্থান করছি। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি।’ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চলতি হিসাবে ইতিবাচক ধারা দেখা গেলেও আর্থিক হিসাবে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। এর মানেই হচ্ছে আমাদের দায় পরিশোধের বড় চাপ রয়েছে। এজন্য কাঙ্ক্ষিত রেমিট্যান্স না আসাই মূল কারণ। রেমিট্যান্স না আসার অন্যতম বাধা হুন্ডি। এ ছাড়া আন্ডার ইনভয়েসিং এবং ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে। সরকারের সংস্কার উদ্যোগ সম্পর্কে সিপিডির এই গবেষকের অভিমত, ‘তুকতাক দিয়ে বড় ধরনের সংস্কার করা সম্ভব নয়। আমাদের দেশে অর্থ পাচার প্রতিরোধে আইন আছে, প্রয়োগকারী সংস্থাও আছে। যেটা নেই সেটা হচ্ছে—উদ্যোগ, যা সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া সম্ভব নয়।’
০৩ জুন, ২০২৪

ব্যাংক খাতে অলিগার্ক সৃষ্টি হয়েছে : সিপিডি
ব্যাংক খাতে অলিগার্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ফাহমিদা খাতুন বলেন, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো মালিকানা পরিবর্তনের পর দুর্বল হয়েছে। সেখানে গোষ্ঠীগত দুঃশাসন চলছে। নিজেদের স্বার্থেই সেখানে অলিগার্ক তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১২ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ বেড়েছে। ২০২২ সালে ডিসেম্বর প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী ব্যাংক থেকে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। ওই সময়ে অবলোকনকৃত ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। আর কোনো পুনঃতপশিলকৃত ঋণ ২ লাখ ১২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ রয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। এর বাইরেও মামলায় আটকে থাকা এক লাখ ৭৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা ফেরত আশা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ফাহমিদা খাতুন বলেন, সম্প্রতি ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফা দেখিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির কারণে ব্যাংক খাতের বিনিয়োগ কমেছে। এ জন্য তারা সরকারি বিভিন্ন বিলবন্ডে বিনিয়োগ করে মুনাফা দেখাচ্ছে। ব্যাংক যদি খেলাপি ঋণ তুলতে না পারে তখন তারা লোকসানে পড়ে। ওই সময় যদি সুদের হার বাড়তে থাকে তাহলে ব্যাংকগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। এতে ব্যাংকগুলো বিপাকে পড়ে। সিপিডির এই শীর্ষ কর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ঠিকই কিন্তু তাদের ক্যাশ হোল্ডিংস কমেছে। এ জন্য ব্যাংকগুলো টাকা সংকটে ভুগছে। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে ক্রমান্বয়ে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এর পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সুশাসন জবাবদিহিতার অভাব। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের স্বাধীন সত্তা হারিয়েছে। এ কারণে ব্যাংক হাত ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমাদের আগের অর্থমন্ত্রী হঠাৎ করেই সরকারি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত ছিল দুর্বল ও ত্রুটিপূর্ণ। এখনো অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, সরকারি অ্যাসিড ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গড়ে তোলা হবে। এসব কোম্পানিকে আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার। এরপর ব্যাঙ্গালোর খারাপ দিনগুলো কিনে নেবে এ কোম্পানি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ওই কোম্পানি যে ভালো হবে তার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা? ওই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির অর্থ তো জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেওয়া হবে। যদি ব্যাংকগুলো দেখে খারাপ ঋণগুলো এভাবে বিক্রি করে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাহলে তারাও এই সুযোগ নিতে চাইবে। এটা একটা সাইকেল তৈরি হবে।   তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বেও এ সেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি রয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অর্থের জোগান নেয় বন্ড মার্কেট থেকে। কিন্তু আমাদের এখানে তো বন্ড মার্কেটই নেই।
২৩ মে, ২০২৪

মালিকানা বদলের পর সংকটে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো : সিপিডি
মালিকানা বদলের পর থেকে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো আর্থিক সংকটে রয়েছে। এ ধারার ব্যাংকগুলোয় নানা অনিয়মের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘What lies ahead for banking sector in bangladesh?’ শীর্ষক এক সেমিনারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ কথা জানান। ফাহমিদা খাতুন বলেন, বেশিরভাগ ব্যাংক তথ্য প্রকাশ করে না। যেসব তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে তা কতটুকু সত্য তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোয় ব্যাপক অনিয়মের কারণে সব সূচকে অবনতি হয়েছে। মালিকানা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্যাংককে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার বছরের পর বছর টাকা দিয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি সরকারি ব্যাংকগুলোকেও ব্যাপক সহযোগিতা দিয়েছে সরকার। এরপরেও ব্যাংকগুলো তাদের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে পারছে না, আরও খারাপ হচ্ছে। বিকল্প না থাকায় সাধারণ মানুষ ব্যাংক খাতের ওপর আস্থা রাখছে। তবে আর্থিক অবস্থা ব্যাপকভাবে খারাপ হওয়ায় খাতটির ওপর গ্রাহকদের আস্থা কমছে বলেও মনে করছে সিপিডি। তিনি বলেন, ২০১২ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খাতে ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ বেড়েছে। ২০২২ সালে ডিসেম্বর প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী ব্যাংক থেকে খেলা দিন ছিল এক লাখ ২০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। ওই সময়ে অবলোকনকৃত ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। আর কোনো তপশিলিকৃত ঋণ ২ লাখ ১২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ রয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। এর বাইরেও মামলায় আটকে থাকা এক লাখ ৭৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা ফেরত আশা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ফাহমিদা খাতুন বলেন, সম্প্রতি ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফা দেখিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির কারণে ব্যাংক হাতের বিনিয়োগ কমেছে। এ জন্য তারা সরকারি বিভিন্ন বিলবন্ডে বিনিয়োগ করে মুনাফা দেখাচ্ছে। ব্যাংক যদি খেলাপি ঋণ তুলতে না পারে তখন তারা লোকসানে পড়ে। ওই সময় যদি সুদের হার বাড়তে থাকে তাহলে ব্যাংকগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। এতে ব্যাংকগুলো বিপাকে পড়ে।  সিপিডির এই শীর্ষ কর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ঠিকই কিন্তু তাদের ক্যাশ হোল্ডিংস কমেছে। এ জন্য ব্যাংকগুলো টাকা সংকটে ভুগছে।  তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে ক্রমান্বয়ে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সুশাসন জবাবদিহির অভাব। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের স্বাধীন সত্তা হারিয়েছে। এ কারণে ব্যাংক হাত ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই উদ্যোগ যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করে নেওয়া হয়েছে কিনা? সেটিও দেখার বিষয়। ব্যাংক একীভূতকরণ চাপিয়ে দেওয়ার কোনো বিষয় না। সবার আগে ব্যাংকগুলোর সঠিক আর্থিক অবস্থা নির্ধারণ করতে হবে। এরপর সেই দুর্বল ব্যাংক কেউ কিনবে কিনা সেটা দেখা উচিত। খারাপ ব্যাংকের পরিচালকেরা ৫ বছর পর আবার ফিরতে পারবে। তাদের শাস্তি দেওয়ার পরবর্তীতে পুরস্কার দেওয়ার নিয়ম হয়ে গেল।
২৩ মে, ২০২৪

চামড়াশিল্পে ২২,৭৭৬ টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করেছে সিপিডি
দেশের ট্যানারি বা চামড়াশিল্প খাতের শ্রমিকদের জন্য ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, মূল্যস্ফীতিসহ নানা কারণে বর্তমানে এ খাতের শ্রমিকদের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের জন্য নতুন এই মজুরি প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি। তবে ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সিপিডির প্রস্তাবের বিষয়ে ট্যানারি শিল্পের মালিকরা বলছেন, এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।  শনিবার (৪ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিং ও আলোচনা অনুষ্ঠানে ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম এ মজুরি প্রস্তাব করা হয়েছে। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক, অশি ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ প্রমুখ।  অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ। এতে তিনি জানান, সিপিডির পক্ষ থেকে  অ্যাংকর মেথডে ৩৫টি ট্যানারির ওপর গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ট্যানারি শিল্পের জন্য আলাদা ন্যূনতম মজুরি নেই। ওই সব দেশে সকল শিল্পের একই হারে ন্যূনতম মজুরি রয়েছে। তবে ভারতে রাজ্যভিত্তিতে ন্যূনতম মজুরি রয়েছে। ভারতের কেরালায় ১৪৬, তামিলনাডুতে ১৩৮, উত্তর প্রদেশে ১২৩ ও পশ্চিম বঙ্গে ১১৭ মার্কিন ডলার ন্যূনতম মজুরি রয়েছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামে ১৭১, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে ১৮৬ ও ২৫৫ মার্কিন ডলার। সেখানে বাংলাদেশে ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ১২৩ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যের মূল্য হিসেবে অনেক কম।  তিনি বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ট্যানারি বা চামড়াখাতের একজন শ্রমিকের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের খরচ মাসে ২০ হাজার ৫৬৪ টাকা। আর খাদ্যবহির্ভূত খরচ ১২ হাজার ৯১৪ টাকা। প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারের গড়ে সদস্যসংখ্যা ৪ দশমিক ৬ জন। এর মধ্যে উপার্জনক্ষম সদস্য ১ দশমিক ৫ জন। সেই হিসাবে শ্রমিকের মাসিক ন্যূনতম মজুরি হওয়া ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা হওয়া উচিত। সিপিডির প্রস্তাবনায় ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য মোট পাঁচটি গ্রেডে মজুরি প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চম গ্রেডের জন্য ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা এবং প্রথম গ্রেডের জন্য ৩৯ হাজার ২৭০ টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি। গবেষণায় বলা হয়েছে, গড়ে প্রতিটি ট্যানারিতে ২১ জনের মতো শ্রমিক কাজ করে। যার মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম। শ্রমিকরা অনেকেই তাদের ন্যূনতম মজুরি সম্পর্কে জানেন না। ৬৫ শতাংশ মজুরি সময়মতো দেওয়া হয় না। অন্যদিকে শ্রমঘণ্টা অনেক বেশি।  অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশের রপ্তানি আয়ের বিবেচনায় পোশাকশিল্পের পরে যে শিল্পটি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে চামড়া বা চামড়াজাত পণ্য। ট্যানার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে, ২০০ এর মতো ট্যানারি শিল্প রয়েছে। সাভারের ট্যানারি শিল্পে ১২৭টি প্লটে বিভিন্ন রকমের ট্যানারি প্রতিষ্ঠান সক্রিয় রয়েছে। ২০২৩ সালের চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। যার ভিতরে ট্যানারি শিল্প থেকে এসেছে ১২৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খুঁজছে সে হিসাবে চামড়াজাত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, চামড়াজাত নিয়ে আলোচনা আসলে সবচেয়ে বেশি পরিবেশগত বিষয়টি আলোকপাত করা হয়। অর্থাৎ সবসময়ে চামড়া খাতের পরিবেশ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এ খাতের মজুরি নিয়ে আলোচনা খুব একটা হয় না। সেই বিবেচনায় মজুরি বাড়লে এই খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন তিনি। ট্যানারি শিল্পের ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে হয়ত বোর্ড মজুরি সুপারিশ করবে। ট্যানারি খাতে ন্যূনতম মজুরি অন্যান্য খাতের তুলনায় অনেক বেশি রয়েছে। তার মানে এই নয় যে, ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দরকার নেই। এজন্য সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে এই শিল্পে শ্রমিক ইউনিয়ন অত্যন্ত শক্তিশালী পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের গবেষণায় এই খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব এসেছে, আমরা জানি শ্রমিকদের দাবি ২৫ হাজার টাকা আর মালিকদের প্রস্তাবনা ১৫-১৬ হাজার টাকা। আমি আশা করছি, মজুরি বোর্ড সকল পক্ষে প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সিপিডির প্রস্তাবের বিষয়ে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক বলেন, সিপিডির প্রস্তাবটি তাদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মেলেনি। তবু সংস্থাটির প্রতিবেদনে এ খাতের সার্বিক অবস্থা ওঠে এসেছে। আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি মালিকপক্ষ ও মজুরি বোর্ডের কাছে দেওয়া হয়েছে।  বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, চামড়া খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে সিপিডির এমন প্রস্তাবনা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। কারণ, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আগের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বিপরীতে রপ্তানিতে চামড়ার ইউনিট মূল্য কমেছে। তবে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য একটি মজুরি নির্ধারণ করা হলে সেটি বিবেচনায় নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।  ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, বোর্ডে আলোচনা করে দেখা হবে মজুরি কতটা বাড়ানো সম্ভব। যাতে শিল্প টিকে এবং শ্রমিকেরাও বেঁচে থাকেন সেটি বিবেচনায় রেখে বাস্তবায়নযোগ্য একটি বেতন কাঠামো দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
০৪ মে, ২০২৪

৬১,৬০০ টাকা বেতনে চাকরি দেবে সিপিডি
জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সংস্থাটি ‘এক্সিকিউটিভ অ্যাসোসিয়েট’ পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীদের ই-মেইলে সিভি পাঠাতে হবে। পদের নাম : এক্সিকিউটিভ অ্যাসোসিয়েট পদসংখ্যা : অনির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। ন্যূনতম সিজিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে চাকরির অভিজ্ঞতা বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় সাবলীল হতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানতে হবে। ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হতে হবে। বেতন : মাসিক ৬১,৬০০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীদের [email protected] ঠিকানায় সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ সিভি ই-মেইল করতে হবে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন। বি.দ্র.  শুধু বাছাই করা প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও কম্পিউটার পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। আবেদনের শেষ তারিখ : ৭ মে, ২০২৪
০২ মে, ২০২৪

ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ভ্যাট প্রত্যাহার চায় সিপিডি
ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ করহার ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব গবেষণা সংস্থাটির। গতকাল রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব দেয় সিপিডি। সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। আলোচনায় অংশ নেয় এসএমই ফাউন্ডেশন, পিডব্লিউসি, এসএমএসি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেড, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্স। প্রাক-বাজেট আলোচনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাখার প্রস্তাব দেয় সিপিডি। বর্তমান আইনে করদাতার আয় সাড়ে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার মধ্যে হলে ৫ শতাংশ কর দিতে হয়। এ আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। অর্থাৎ কোনো করদাতার আয় সাড়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হলেও ৫ শতাংশই কর দেবে। অন্যদিকে ব্যক্তি করদাতার সর্বোচ্চ কর হার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া পলিথিন, সিগারেট ও কার্বোনেটেড পানীয়ে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি। অর্থনীতি সমিতি রাজস্ব আয়ের ২৭টি উৎসের কথা জানিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিদেশি পরামর্শক ফি, বিউটি পার্লার, রয়্যালটি বা সম্পদ থেকে রাজস্ব আদায়ের পরামর্শ দিয়েছে অর্থনীতি সমিতি। এ ছাড়া কালো টাকা ও পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে এনবিআরকে জোর দেওয়ার প্রস্তাব জানায়। এ ছাড়া স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় তামাকজাত ও চিনি যুক্ত বেভারেজ পণ্যের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্স। আর এসএমএসি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেড এলটিইউতে ভ্যাট ও ট্যাক্স একত্রীকরণ, রিটার্ন দাখিল বৃদ্ধিতে সচেতনতা সৃষ্টি, বিভিন্ন খাতে কর অব্যাহতির প্রভাব মূল্যায়ন ও রিসাইকেলড ফাইবার শিল্পে কর অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছে। আলোচনায় এসএমই ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সালাহউদ্দিন মাহমুদ ব্যক্তি পর্যায়ের পুরুষ এমএমইদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে সাড়ে ৪ লাখ এবং নারী এসএমইদের জন্য ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ের এসএমইদের করযোগ্য আয়ের ওপর কর রেয়াত বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়। সরকারি সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সীমা ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন। রপ্তানির বিপরীতে প্রাপ্ত ক্যাশ ইনসেনটিভের ওপরও উৎসে কর কর্তনের হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এমএমইকে খাতের ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছি। এসএমইর জায়গাটা বিগ প্লেয়াররা নিয়ে নিছে। এই খাত নিয়ে ভালো করে কাজ করা দরকার। সমস্যার গভীরে যাওয়া জরুরি। এনবিআরের তরফ থেকে এত কিছু করার পরও কেন এসএমই ফ্লারিশ করছে না, সেটা দেখা দরকার।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ভ্যাট প্রত্যাহার চায় সিপিডি
ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ করহার ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব গবেষণা সংস্থাটির। গতকাল রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব দেয় সিপিডি। সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। আলোচনায় অংশ নেয় এসএমই ফাউন্ডেশন, পিডব্লিউসি, এসএমএসি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেড, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্স। প্রাক-বাজেট আলোচনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যক্তি পর্যায়ে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাখার প্রস্তাব দেয় সিপিডি। বর্তমান আইনে করদাতার আয় সাড়ে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার মধ্যে হলে ৫ শতাংশ কর দিতে হয়। এ আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। অর্থাৎ কোনো করদাতার আয় সাড়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হলেও ৫ শতাংশই কর দেবে। অন্যদিকে ব্যক্তি করদাতার সর্বোচ্চ কর হার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া পলিথিন, সিগারেট ও কার্বোনেটেড পানীয়ে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি। অর্থনীতি সমিতি রাজস্ব আয়ের ২৭টি উৎসের কথা জানিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিদেশি পরামর্শক ফি, বিউটি পার্লার, রয়্যালটি বা সম্পদ থেকে রাজস্ব আদায়ের পরামর্শ দিয়েছে অর্থনীতি সমিতি। এ ছাড়া কালো টাকা ও পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে এনবিআরকে জোর দেওয়ার প্রস্তাব জানায়। এ ছাড়া স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় তামাকজাত ও চিনি যুক্ত বেভারেজ পণ্যের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্স। আর এসএমএসি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেড এলটিইউতে ভ্যাট ও ট্যাক্স একত্রীকরণ, রিটার্ন দাখিল বৃদ্ধিতে সচেতনতা সৃষ্টি, বিভিন্ন খাতে কর অব্যাহতির প্রভাব মূল্যায়ন ও রিসাইকেলড ফাইবার শিল্পে কর অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছে। আলোচনায় এসএমই ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সালাহউদ্দিন মাহমুদ ব্যক্তি পর্যায়ের পুরুষ এমএমইদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে সাড়ে ৪ লাখ এবং নারী এসএমইদের জন্য ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ের এসএমইদের করযোগ্য আয়ের ওপর কর রেয়াত বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়। সরকারি সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সীমা ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন। রপ্তানির বিপরীতে প্রাপ্ত ক্যাশ ইনসেনটিভের ওপরও উৎসে কর কর্তনের হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এমএমইকে খাতের ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছি। এসএমইর জায়গাটা বিগ প্লেয়াররা নিয়ে নিছে। এই খাত নিয়ে ভালো করে কাজ করা দরকার। সমস্যার গভীরে যাওয়া জরুরি। এনবিআরের তরফ থেকে এত কিছু করার পরও কেন এসএমই ফ্লারিশ করছে না, সেটা দেখা দরকার।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ চায় সিপিডি
বিদ্যুৎ খাতে সরকারকে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, তার মূলে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণে এ খাতের বিপুল ভর্তুকির দায় মেটাতে হচ্ছে জনগণকেই। তাই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র ফেইজ আউট বা বন্ধের তাগিদ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। গতকাল বুধবার মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে বাংলাদেশে জ্বালানি পরিবর্তনের জন্য চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ: একটি নাগরিক ইশতেহার শীর্ষক সভায় এ প্রস্তাব দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। জ্বালানি রূপান্তরে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সিপিডির স্বল্পমেয়াদি বা জুনের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—জ্বালানির চাহিদা পূর্বাভাস সংশোধন, জ্বালানির মূল্য পরিশোধ স্থানীয় মুদ্রায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান, সোলার সামগ্রীতে শুল্ক কমানো, বায়োগ্যাসের ব্যবহার ইত্যাদি। মধ্যমেয়াদি বা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য এমন প্রস্তাবের মধ্যে আছে, যেসব কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বিদ্যমান তালিকায় নেই, সেগুলো অনতিবিলম্বে ফেজ আউট করা। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে অন্তর্ভুক্তি, অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রাসহ সমন্বিত জ্বালানি নীতি গ্রহণ, প্রকৌশলীদের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে জাতীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু, পাওয়ার প্লান্ট ইনডেমনিটি অ্যাক্ট বাতিল করা ইত্যাদি। এ ছাড়া আর জ্বালানির জন্য আলাদা সেল, স্রেডা ও বিইআরসিকে শক্তিশালী করাসহ একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি। জ্বালানির রূপান্তরে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি, নির্বাচনী ও নাগরিক সমাজের ইশতেহার শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। সে সময় তিনি বলেন, নির্বাচনে জ্বালানির গুরুত্ব আগেও ছিল, আগামীতেও থাকবে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনের ইশতেহার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দলগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জ্বালানি আমাদানিতে মনোযোগী; কিন্তু নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে মনোযোগ কম। বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি সমন্বয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে কাজ করছে সরকার। এ খাতের ভর্তুকি সমন্বয় করা হচ্ছে ভোক্তার ওপর দায় চাপিয়ে। এখানে জবাবদিহির কোনো সুযোগ থাকছে না। সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে বিদ্যুৎ জেনারেশন বৃদ্ধি, ট্রান্সমিশন লাইন বৃদ্ধি ও পিপিপির মাধ্যমে জ্বালানির প্রকল্পের কথা বললেও সেদিকে অগ্রগতি নেই। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তিগুলো আরও স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে করা উচিত। সরকারের রাজনৈতিক লক্ষ্য, ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি আহরণ করা। সেক্ষেত্রে উদ্যোগ থাকলেও বাস্তবায়ন পর্যায়ে যথেষ্ট ঘাটতি আছে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রতিটি খাতের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে বিদ্যুৎ খাতের ওপর। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এ বিষয়ে সরকারকে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এম তামিম প্রমুখ।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X