সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সাহায্য চাইলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান
সড়কে প্রতিদিন ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না। তাই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল। গতকাল মঙ্গলবার বনানীর বিআরটিএ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের সদস্যদের সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যেহেতু রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সংস্থা দীর্ঘদিন নিরাপদ সড়ক নিয়ে কাজ করছে, তাই কোয়ালিশনের সহযোগিতা নিয়ে ভবিষ্যতে নিরাপদ সড়ক কার্যক্রম আরও জোরদার হবে। এ সময় রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের সদস্য সংস্থার পক্ষে ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন রোড সেফটি প্রকল্প সমন্বয়ক শারমিন রহমান, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) রোড সেফটি প্রজেক্ট ম্যানেজার কাজী বোরহান উদ্দিন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক বজলুর রহমান, স্টেপস্ টুয়ার্ডস্ ডেভেলপমেন্টের (স্টেপস) কো-অর্ডিনেটর চন্দন লাহিড়ী, ব্র্যাক রোড সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাঈনুল ইসলাম, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের রোড সেফটি প্রজেক্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ ওয়ালী নোমান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রজেক্ট অফিসার শারাফাত-ই-আলম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট অফিসার সিফাত-ই-রাব্বানী প্রমুখ।
০৩ জুলাই, ২০২৪

আফগান নারীদের আইসিসির সাহায্য প্রার্থনা
বর্তমানে ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় দলের একটি আফগানিস্তান। তালেবান শাসিত দেশটি সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো খেলেছে সেমিফাইনালও। এতো গেল পুরুষ ক্রিকেট দলের কথা, কি অবস্থা দেশটির নারী ক্রিকেট দলের? রশিদ-নবীরা ক্রিকেটে ভালো করলেও দেশটিতে নারীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করে রেখেছে তালেবানরা। তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে আইসিসির সাহায্য চেয়েছে আফগান নারীরা। ২০২০ সালে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) দ্বারা ১৭ জন নারী ক্রিকেটার চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। পূর্বে চুক্তিবদ্ধ হওয়া এই ১৭ জন মহিলা ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে আবেদন করেছেন অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী দল গঠনের সহায়তার জন্য। তালেবান শাসনের অধীনে কঠোর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন এই খেলোয়াড়রা আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলেকে তাদের আবেদন জানিয়ে ‘সহায়তা এবং দিকনির্দেশনা’ চেয়েছেন যাতে তারা এসিবির আওতার বাইরে একটি দল গঠন করতে পারেন। তালেবান নীতিমালা মেনে এসিবি এবং আইসিসি তাদেরকে আফগান জাতীয় দল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অক্ষম হওয়ায়, এই মহিলারা ইস্ট এশিয়ান ক্রিকেট অফিসের অধীনে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাথে পরিচালিত হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই ব্যবস্থাপনায়য় তারা আফগান মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন যারা ক্রিকেট খেলতে চায় কিন্তু আফগানিস্তানে যেটি তারা করতে পারছে না। পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগান দলের অসাধারণ সাফল্যের পটভূমিতে তাদের আবেদন আসে, যেখানে মহিলারা তাদের নিজেদের খেলার সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেছেন। ‘আমরা, আফগানিস্তানের মহিলা দলের প্রাক্তন চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়রা, আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সাফল্যে গর্বিত এবং উচ্ছ্বসিত,” চিঠিতে লেখা হয়েছে। ‘একটি গভীর দুঃখ রয়ে গেছে যে আমরা, মহিলারা, পুরুষ ক্রিকেটারদের মতো আমাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি না।’ ২০২০ সালে, এসিবি কাবুলে একটি মহিলাদের ক্রিকেট ট্রায়াল আয়োজন করে এবং ২৫ জন খেলোয়াড়ের সাথে চুক্তি করে, ধীরে ধীরে উন্নয়নের লক্ষ্যে। তবে, ২০২১ সালের আগস্টে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর এই পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে যায়। তালেবানরা মহিলাদের অধিকাংশ জনসাধারণের কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছে যার মধ্যে ক্রীড়াও অন্তর্ভুক্ত। অনেক মহিলা অ্যাথলেট বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা এখন অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় বসবাস করছেন এবং স্থানীয় ক্লাবে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। মহিলাদের চিঠিতে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে যে তারা ক্রিকেট ভালোবাসা নারীদের এবং মহিলাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিতে চান, তাদের প্রতিভা প্রদর্শন করতে এবং আফগান মহিলাদের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলোর দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করতে চান। সদস্য বোর্ডের উপর দল স্বীকৃতির নির্ভরশীলতার কারণে আইসিসি এখনও প্রস্তাবিত শরণার্থী দলকে অফিসিয়াল মর্যাদা দিতে পারেনি। এই প্রস্তাবের বিষয়ে আইসিসির মন্তব্যের জন্য ইএসপিন যোগাযোগ করেছে তবে এখন পর্যন্ত কোন উত্তর পায়নি।
০২ জুলাই, ২০২৪

দেশ ছাড়তে সরকারই সাহায্য করেছে : ফখরুল
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে দেশ ছাড়তে সরকারই সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, পুলিশপ্রধান বেনজীর হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে দেশ ছেড়ে পালানোর সময় জামাই আদরে সহযোগিতা করেন আর বিএনপির নেতাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন। এই সরকার চোরের রাজা, বাটপাড়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার বিকেলে গাজীপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। একই উপলক্ষে গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) আলোচনা সভায় যোগ দেন মির্জা ফখরুল। সেখানে বক্তব্যে সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে সরকারের বক্তব্যকে লোক দেখানো বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম, বেনজীর চলে গেছে—হি লেফট দ্য কান্ট্রি। মে মাসের ৪ তারিখে সপরিবারে চলে গেছে। যাওয়ার আগে তার অ্যাকাউন্টগুলো খালি করে গেছে। পত্রিকায় এসেছে, ফিক্সড ডিপোজিটের অ্যাকাউন্টগুলোতে ৬০ কোটি টাকার মতো ছিল, হয়তো আরও বেশিও হতে পারে। আমার প্রশ্ন, সে কীভাবে গেল? এই যে তারা (সরকার) বলল—তার সম্পত্তি আমরা ক্রোক করছি, আদালত থেকে বলল, দুদক মামলা করেছে, তাকে কোথাও যেতে দেওয়া হবে না—এসব বলা হলো। তাহলে ৪ তারিখ সপরিবারে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে করে কীভাবে চলে গেল সরকারের নাকের ওপর দিয়ে। আপনারা কি বাংলাদেশের সবাইকে আহম্মক মনে করেছেন? সবাই বুঝে, এগুলো সব আপনাদের লোক দেখানো, প্রতারণা। এখন পর্যন্ত প্রতারণা করে আপনারা দেশ শাসন করেছেন। মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু বেনজীর নয়, আজিজ (আজিজ আহমেদ) নয়, অসংখ্য আজিজ আর বেনজীর তারা তৈরি করেছে। মনে রাখতে হবে, এরা বাংলাদেশকে একটা লুটের সাম্রাজ্যে পরিণত করেছে। বর্গীর দেশে পরিণত করেছে। এখান থেকে দেশটাকে রক্ষা করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের সরকার, গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে। বিএসপিপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ড. এনামুল হক চৌধুরী, মাসুম আহমেদ তালুকদার, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শহীদুল ইসলাম, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডা. রফিকুল ইসলাম, শামীমুর রহমান, অধ্যাপক ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ পেশাজীবীরা বক্তব্য দেন। গাজীপুরের কর্মসূচিতে মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার।
০২ জুন, ২০২৪

আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার দোয়া
বিপদ বা সমস্যা কখনো বলে আসে না। যে কোনো সময়ে মানুষ বিপদে পড়তে পারে। এ সময় অনেকেই ভেঙে পড়েন। কী করবে কিছু বুঝতে পারেন না। ধৈর্য হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েন।  বিপদে আবার কারও কারও জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পায়। তবে এমন অবস্থা থেকে রেহাই পেতে সাহায্য কামনা করুন আল্লাহর কাছে। তিনি নিশ্চয়ই সমস্যামুক্ত করে দেন। বিপদ থেকে মুক্তি দান করেন।  এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমরা নামাজ ও সবরের (ধৈর্য) মাধ্যমে আমার (আল্লাহর) সাহায্য কামনা করো। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩) আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার দোয়া-  لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ  উচ্চারণ : লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। অর্থ : আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারও (ভালো কর্মের দিকে) এগিয়ে যাওয়া এবং (খারাপ কর্ম থেকে) ফিরে আসার সামর্থ্য নেই। আবু মুসা (রা.) বলেন, আমরা কোনো এক সফরে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন মানুষ উচ্চস্বরে তাকবির পাঠ করছিলেন। রাসুল (সা.) বলেন, হে মানবজাতি, তোমরা জীবনের ওপর সদয় হও। কেননা তোমরা তো কোনো বধির অথবা অনুপস্থিত সত্তাকে ডাকছ না। নিশ্চয়ই তোমরা ডাকছ সর্বশ্রোতা, নিকটবর্তী সত্তাকে, যিনি তোমাদের সঙ্গেই আছেন। আবু মুসা (রা.) বলেন, আমি তার পেছনে ছিলাম। তখন আমি বলছিলাম, আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কোনো ভালো কাজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এবং মন্দ কর্ম থেকে ফিরে আসার সামর্থ্য নেই। তখন (সা.) বলেন, হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়েস, আমি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের মধ্যে কোনো একটি গুপ্তধনের কথা জানিয়ে দেব? আমি বললাম, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসুল, অতঃপর তিনি বলেন, তুমি এই (উপরোক্ত) দোয়া পড়ো। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭৫৫) حسبُنا اللَّهُ ونعمَ الوَكيلُ على اللَّهِ توَكَّلنا উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল, আলাল্লাহি তাওয়াক্কালনা। অর্থ : মহান আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধানকারী। আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, কিয়ামতের বর্ণনা শুনে সাহাবারা ভীত হলে রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তে বলেন। (বুখারি, হাদিস : ২৪৩১; তিরমিজি, হাদিস : ২৪৩১)  
৩০ মে, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্টের সন্ধানে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, সাহায্য করতে চায় ইরাক
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানসহ অন্যদের এখনো খোঁজ মেলেনি। জানা যায়নি হেলিকপ্টারটির কী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সর্ব শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সহযোগিতার প্রস্তাব এসেছে ইরাকের কাছ থেকে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি এক নির্দেশ জারি করেছেন। তিনি সেনাবাহিনী, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এবং আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য বাহিনীকে হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার জন্য সব সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা ব্যবহার করতে বলেছেন। হেলিকপ্টারটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন। বাগেরি তাসনিম নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী, সেনাবাহিনী, আইআরজিসি এবং পুলিশ কমান্ডোদের তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ এদিকে সন্ধান অভিযানে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরাক। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সংস্থাকে ইরাক বলেছে, তারা প্রতিবেশীকে সাহায্য করতে চায়। প্রেসিডেন্ট রাইসির নিখোঁজ হেলিকপ্টারের সন্ধানে কাজ করতে চায়। ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জরুরিভিত্তিতে সেটি ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ওই অঞ্চলে একটি বাঁধের উদ্বোধন শেষে রাইসি ফিরছিলেন। সন্ধান অভিযানে অন্তত ৪০টি অনুসন্ধান দল মোতায়েন করা হয়েছে। এতে ৮টি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং এলাকার দুর্গমতা অনুসন্ধান অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা বলছে, দুর্ঘটনায় হতাহত বা মৃত্যুর বিষয়টি এখনই বলা যাবে না। বিস্তারিত জানতে হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
১৯ মে, ২০২৪

প্রকাশ্যেই গাজার যোদ্ধাদের সাহায্য করছেন এরদোয়ান
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে বেশ কয়েক দফায় তলানিতে পৌঁছেছে ইসরায়েল-তুরস্কের সম্পর্ক। সবশেষ গাজা যুদ্ধ নিয়ে এ সম্পর্ক এবার চূড়ান্ত অবনতির পথে হেটেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধ করা হয়েছে সবধরনের তুর্কি বাণিজ্য। এমন পরিস্থিতিতে হামাসকে সন্ত্রাসী নয় বরং তুর্কি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের সঙ্গে তুলনা করে প্রশংসায় ভাসেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এবার আর সমর্থন নয় প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিলেন হামাসকে দেওয়া তুর্কি সহায়তার।  গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিসের সঙ্গে সোমবার আঙ্কারায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের এরদোয়ান আবার হামাসের প্রতি নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জানান, হামাসকে তিনি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করেন না। বরং তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও জনগণের অধিকার রক্ষার সৈনিকের দায়িত্ব পালন করছে।  তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, তুরস্ক তার সাধ্যমতো হামাসকে সব সময় সহায়তা করে যাবে। এ সময় তুরস্কের হাসপাতালগুলোতে কয়েক হাজার হামাস যোদ্ধা আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।  রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, যখন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা হবে তখন তুরস্কের আপত্তি থাকবে। আমি কখনোই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করি না। আমি এখন পর্যন্ত হামাসকে ধাপে ধাপে অনুসরণ করছি। আমার দেশে, আমাদের হাসপাতালে হামাসের এক হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছে। তারা সবাই চিকিৎসাধীন এবং আমরা এভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। অবশ্য এরদোয়ানের এমন বক্তব্যের ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন তুরস্কের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, এখানে শুধু হামাস সদস্য নয় বরং হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকা থেকে আসা আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার কথা উল্লেখ করা হয়ছে। গেল বছরের নভেম্বরে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের পর আঙ্কারা আহত বা অসুস্থ গাজাবাসী, প্রধানত উপত্যকার ক্যান্সার রোগীদের তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।  এ সময় এরদোয়ান ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবকে তুলে ধরে, জোর দিয়ে জানান- একটি স্থায়ী সমাধানের চাবিকাঠি ১৯৬৭ সালের সীমানার ওপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে নিহিত। যার রাজধানী হিসেবে ‘পূর্ব জেরুজালেম’ শহরকে মেনে নিতে হবে।  
১৫ মে, ২০২৪

নানা সুবিধাসহ আকর্ষণীয় বেতনে মানবিক সাহায্য সংস্থায় চাকরি
জনবল নিয়োগ দেবে স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস)। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘এরিয়া ম্যানেজার’ পদে ১০ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন আগামী ০২ জুন পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস) পদের নাম : এরিয়া ম্যানেজার পদসংখ্যা : ১০টি  বয়স : কমপক্ষে ৪২ বছর কর্মস্থল : বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে বেতন : ৩৮,০০০-৪৪, ৩০০ টাকা (মাসিক) অভিজ্ঞতা : ১ থেকে ৮ বছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ৬ মে, ২০২৪ কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদনের শেষ তারিখ : ২ জুন, ২০২৪ শিক্ষাগত যোগ্যতা : যে কোনো বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর/সমমান ডিগ্রি। অন্যান্য সুবিধা : উৎসব ভাতা, মোবাইল বিল, বার্ষিক বেতনভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচ্যুইটি, কর্মী নিরাপত্তা তহবিল, মোটরসাইকেলের জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)/ ভ্রমণ ভাতা। চিকিৎসা অনুদান, মৃত্যু/দুর্ঘটনাজনিত (বিমা সুবিধার ন্যায়) আর্থিক সহায়তা ও সন্তানদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি, বাইসাইকেল/ মোটরসাইকেল ক্রয় বাবদ সুদবিহীন ঋণ সুবিধাসহ সংস্থার বিধি মোতাবেক অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রযোজ্য হবে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ঠিকানা : এসইএল সেন্টার (৩য় তলা), ২৯, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা- ১২০৫
০৬ মে, ২০২৪

ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর ইরানকে সাহায্য করেছে চীন
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরান এপ্রিল মাসে ৩০০-এর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। এর পর পরই ইরানের তেল রপ্তানির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনায় আসে। যে তেলের ওপর নির্ভর করছে দেশটির অর্থনীতি।  ইরান তাদের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পেরেছে একটি কৌশলে। এ ক্ষেত্রে তেহরানের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন তাদের সাহায্য করেছে। ইরানের মোট তেল রপ্তানির ৮০ ভাগই যায় চীনে, ইউএস হাউস ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কমিটির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিদিন ইরান প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল চীনে রপ্তানি করে থাকে। ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যের যথেষ্ট ঝুঁকি আছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নানা নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করতে হয়।কিন্তু তারপরও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন কেন ইরান থেকে তেল কিনে? কারণটা খুবই সহজ, ইরানের তেল মানে ভালো এবং দামে সস্তা। নানা আন্তর্জাতিক সংঘর্ষের কারণে বিশ্বে তেলের দাম বেড়েই চলেছে, কিন্তু নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান যেহেতু তাদের তেল বিক্রিতে মরিয়া, তারা অন্যদের চেয়ে কম দাম অফার করে থাকে। ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে চীন অন্তত ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বাঁচিয়েছে ইরানের। অপরিশোধিত তেলের যে বৈশ্বিক মানদণ্ড তা পরিবর্তিত হয়, তবে সাধারণ প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের নিচে থাকে। এ বিষয়ে ডেটা ও অ্যানালেটিক্স ফার্ম কেপিএলআরের সিনিয়র অ্যানালিস্ট হুমায়ুন ফালাকশাহি বলেন, ইরান তাদের ক্রুড তেল ব্যারেল প্রতি ৫ ডলার কমে বিক্রি করে। গত বছর ব্যারেলপ্রতি যেটার দাম সর্বোচ্চ ১৩ ইউএস ডলার পর্যন্ত কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুরো বিষয়টির ভূরাজনৈতিক দিক আছে বলে মনে করেন ফালাকশাহি। কারণ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বিরাট খেলা চলছে ইরান তার একটা অংশ। ইরানের অর্থনীতিকে সহায়তার মাধ্যমে চীন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে একটা ভূরাজনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে, বিশেষ করে যখন ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা চলমান। বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, ইরান ও চীন কয়েক বছর ধরে একটা সূক্ষ্ণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে তেহরানের নিষিদ্ধ তেল আমদানি-রপ্তানির জন্য। এই বাণিজ্য কৌশলের প্রধান উপকরণ হলো চাইনিজ চায়ের পাত্র অর্থাৎ ছোট স্বাধীন রিফাইনারিজ। এই ছোট রিফাইনারিগুলোতে চীনের জন্য কম ঝুঁকি থাকে, কারণ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং এতে ইউএস ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমের প্রবেশাধিকার থাকে। ছোট প্রাইভেট রিফাইনারিগুলো দেশের বাইরে চালিত হয় না, ডলারেও লেনদেন করে না এবং বিদেশি ফান্ডিংয়ের দরকার পড়ে না। তেলের ট্যাংকারগুলো বিশ্বজুড়ে সমুদ্রে ট্র্যাক করা হয়, বিভিন্ন সফটওয়্যার তাদের অবস্থান, গতি ও রুট পর্যবেক্ষণ করে। এই ট্র্যাকিং এড়ানোর জন্য ইরান ও চীন একটা অস্পষ্ট মালিকানা ধরনের ট্যাংকার্স নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে, যেটা সঠিক অবস্থান দেখায় না। তারা খুব সহজেই পশ্চিমা ট্যাংকার্স, নানা শিপিং সার্ভিস সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যেতে পারে। ফলে তাদের পশ্চিমা নীতি, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়তে হয় না।
০৫ মে, ২০২৪

রোহিঙ্গাদের কাছে সাহায্য চাইছে সামরিক জান্তা
বছরের পর বছর ধরে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আসছে দেশটির সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গারা। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গণধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও শিশুহত্যাসহ সব ধরনের মানবিক অপরাধ চালানো হয়েছে তাদের ওপর। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো হয় গণহত্যা। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও পুলিশ হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করে এবং জীবন বাঁচাতে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।  ২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। তবে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে মিয়ানমারের জনগণ। বহু উপজাতির দেশটিতে এরপর শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীকে হটিয়ে দেশটিতে বিভিন্ন অঞ্চল ও শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। রাখাইনে জান্তা বাহিনী পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের সহায়তা চাইছে দেশটির সামরিক জান্তা।  মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে বিবিসির সাংবাদিকরা জানতে পেরেছেন, জান্তা বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করতে রোহিঙ্গাদের নিজেদের দলে নিচ্ছেন সেনারা।  নিজ উদ্যোগে সেনা দলে যোগদান না করলে জোরপূর্বক সেনাবাহিনীর দলে নেওয়া হচ্ছে তাদের। বিবিসি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অন্তত ১০০ জন রোহিঙ্গাকে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিবিসি এমন সাতজন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের আসল নাম প্রকাশ করেনি বিবিসি। মোহাম্মদ (ছদ্মনাম) নামের এক রোহিঙ্গা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি ভীত ছিলাম, কিন্তু আমাকে যেতে হয়েছিল।’ তিনি রাখাইনের রাজধানী সিত্তওয়ের কাছে বাও দু ফা ক্যাম্পে থাকেন। গত এক দশক ধরে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা আইডিপি ক্যাম্পে থাকতে বাধ্য হয়েছে। তিন সন্তানের জনক ৩১ বছর বয়সি মোহাম্মদ জানান, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ক্যাম্পের নেতা গভীর রাতে আমার কাছে আসেন। তিনি বলেছিলেন, আমাকে সামরিক প্রশিক্ষণে যেতে হবে, এটি সেনাবাহিনীর আদেশ। আদেশ না মানলে আমার পরিবারের ক্ষতি করা হবে বলে তারা হুমকি দিয়েছিল।  মোহাম্মদের মতো রোহিঙ্গা পুরুষদের জন্য চরম পরিহাসের বিষয় হলো- মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা এখনো নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত। আর নিজস্ব সম্প্রদায়ের বাইরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মতো বৈষম্যমূলক বিধিনিষেধের একটি ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার তারা। ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যের মিশ্র সম্প্রদায় থেকে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। আর তাদের নির্ধারিত এসব শিবিরে বসবাস করতে বাধ্য করা হয়েছিল। পাঁচ বছর পর ২০১৭ সালের আগস্টে সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে নৃশংস জাতিগত নিধন অপারেশন শুরু করে। সেই নিধন অপারেশনে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়। ধর্ষণ করা হয় তাদের নারীদের। এ ছাড়া জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাদের গ্রাম। ওই সময় অন্তত ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তা সত্ত্বেও এখনো প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে টিকে আছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলার কার্যক্রম এখনো চলছে। সম্প্রতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কাছে রাখাইন অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূখণ্ডে দখল হারানোর পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের অন্যান্য অংশেও ক্ষতির শিকার হয়েছে দেশটির সামরিক জান্তা। শনিবার পূর্বাঞ্চলে থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ শহর মায়াবতীর দখল হারিয়েছে ক্ষমতাসীন জান্তা। বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে এই স্থলবন্দরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  সাম্প্রতিক সংঘর্ষগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সেনাও হারিয়েছে তারা। বিদ্রোহীদের হামলায় অনেক সেনা নিহত  হয়েছে, আত্মসমর্পণ করেছে কেউ কেউ। ফলে নতুন সেনা খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে জান্তা। সেনাবাহিনীতে সদস্য বাড়াতে এখন রোহিঙ্গাদের শরণাপন্ন হচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। 
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

শিশু আবদুল্লাহকে বাঁচাতে সাহায্য প্রয়োজন
পটুয়াখালীর বাউফলে শিশু আবদুল্লাহ (৭) জন্ম থেকেই হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত। তার হৃৎপিণ্ডে ছিদ্রসহ ব্লাড সার্কুলেশনের ডান পাশের শিরা বা পাশের শিরার সঙ্গে যুক্ত। এরই মধ্যে তার হাত-পায়ের নখ নীল রং ধারণ করেছে। ওজন মাত্র ১১ কেজি। সামান্য হাঁটা চলা বা খেলাধুলা করলেই হাঁপিয়ে ওঠে, শ্বাসকষ্ট হয়। ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠিসহ তার চিকিৎসা করেছেন। আবদুল্লাহর বাবা আলী আক্কাস পটুয়াখালী শহরের আলাউদ্দিন শিশু পার্ক এলাকায় ছোট খেলনার দোকান দিয়ে সংসার চালান। মা মুসলিমা বেগম গৃহিণী। তাদের বাড়ি উপজেলার নওমালা গ্রামে। দুই সন্তানের মধ্যে আবদুল্লাহ বড়। দরিদ্র পরিবারটি সম্বল হারিয়ে কয়েক লাখ টাকা দিয়ে এ পর্যন্ত আবদুল্লাহর চিকিৎসা করালেও এখন আর করাতে পারছে না। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার চিকিৎসায় আরও ৬ লাখ টাকা দরকার। কিন্তু এত টাকার জোগাড় না থাকায় মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছে শিশুটি। আবদুল্লাহকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বাউফল ইউএনও বশির গাজী ও পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা—মো. আলী আক্কাস, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, পটুয়াখালী শাখা, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর: ০১৪৪১২২০০০২১৭০৯ (বিকাশ ও নগদ) ০১৮৪২৭৯৯৯৭৯।
১৫ মার্চ, ২০২৪
X