মিতু হত্যা মামলা : শেষ হলো ৫২ জনের সাক্ষ্য
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা মামলায় ৫২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্য দেন চট্টগ্রামের সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক সহকারী কমিশনার (অবসরপ্রাপ্ত) মো.কামরুজ্জামান। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. আবদুর রশিদ কালবেলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক সহকারী কমিশনার (অবসরপ্রাপ্ত) মো.কামরুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলেও জেরা সম্পন্ন হয়নি। এ নিয়ে মোট ৫২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। আদালত আগামী ২ জুলাই এই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।’ সোমবার (১ জুলাই) আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য দিনে আসামি বাবুল আক্তার উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৯৭ জন। গত বছরের ৯ এপ্রিল মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যের মধ্যে দিয়ে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরইমধ্যে মিতু মা শাহেদা মোশাররফসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সে সময়কার চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
০১ জুলাই, ২০২৪

তারেকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা : নানক
বিএনপি শুধু দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে লন্ডনে তারেক জিয়া পালিয়ে আছে। বাংলাদেশের আদালতে এসে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা দেশ থেকে অর্থ পাচারের মামলায় তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে। সেই মামলায় তার (তারেক রহমান) সাজা হয়েছে। এরপরও তাদের লজ্জা হয় না, এরা নির্লজ্জ।  মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।   আপনারা শুধু শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন উল্লেখ করে নানক বলেন, আপনাদের আস্থার কারণেই গত ৭ জানুয়ারি ভোটে শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিএনপি দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল। ওদের বড় নেতা লন্ডনে বিরাট বাড়িতে আরাম-আয়েশে থাকে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন উল্লেখ করে নানক আরও বলেন, এখানে আসার আগে আমরা যখন নেত্রীর কাছে যাই। তখন নেত্রী আমাদের বলেছেন, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে অবশ্যই যাবে। এখানে এসে পরিস্থিতি দেখে আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ছেঁড়া কাপড় আর স্যান্ডেলবিহীন অবস্থায় কেউ বসবাস করে না। বর্ষা চলে যাওয়ার পর আমরা আবার পরিস্থিতি দেখতে এখানে আসব।  পরে তাহিরপুর সদরে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. রনজিত চন্দ্র সরকারের উদ্যোগে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়মী লীগের সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. রনজিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাশ, আসাদুজ্জামান সেন্টু, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর।
২৫ জুন, ২০২৪

আ.লীগ নেতা টিপু হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে মামলার বাদী ফারহানা ইসলাম ডলি সাক্ষ্য দেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তবে আসামিপক্ষে জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত ১৮ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। গত বছরের ৫ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এ ছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।
২১ জুন, ২০২৪

মামলায় ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য ময়নাতদন্ত চিকিৎসকের
পুরান ঢাকায় জামিল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ভার্চুয়ালি সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষী হলেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৎকালীন চিকিৎসক এলিজা খান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করায় গতকাল বুধবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালত তার সাক্ষ্য ভার্চুয়ালি গ্রহণ করেন। জানা গেছে, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সাক্ষ্যে মামলাটি আটকে ছিল। সাক্ষ্য দিতে আদালত থেকে কয়েক দফা তাকে সমন পাঠানো হয়। তবে স্বামীকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করায় ওই চিকিৎসক সাক্ষ্য দিতে পারেননি। পরে বিচারক ভার্চুয়ালি তার সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।
৩০ মে, ২০২৪

মিতু হত্যা মামলা / সাক্ষ্য দিলেন সাবেক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন। বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জসিম উদ্দিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এর আগে সোমবার (১৩ মে) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। এদিন শুনানিতে এসে অসুস্থ বোধ করেন পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। এ ছাড়া দুজন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির না হওয়ায় ওইদিন সাক্ষ্যগ্রহণও হয়নি।   আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ কালবেলাকে বলেন, বুধবার শুনানির সময় বাবুল আক্তার সুস্থ শরীরে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুর রশীদ বলেন, বুধবার একজন সাক্ষীর জেরাও শেষ হয়েছে। আগামী ১ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হলো। এ মামলায় সাক্ষী রয়েছে ৯৭ জন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সে সময়কার চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসপি বাবুল ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে বদলি হন। তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সাড়ে তিন বছর তদন্ত করেও ডিবি পুলিশ কোনো কূলকিনারা করতে না পারার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই। এরপর ২০২১ সালের মে মাসে পিবিআই জানায়, স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায়। আর এজন্য খুনিদের লোক মারফত তিন লাখ টাকাও দিয়েছিলেন বাবুল। পরে বাবুলের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর মিতুর বাবা আরেকটি মামলা করেন। তবে সেই মামলা আদালতে না টেকার পর বাবুলের মামলাটিই পুনরুজ্জীবিত হয়। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। তাতে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়। এরপর গত বছরের ১০ অক্টোবর সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।
১৫ মে, ২০২৪

তানভীরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আরও সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত
হল মার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হল মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার পর্যায় থেকে তা ফের সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাসেম এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ আলী সালাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, তানভীরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল আজ (গতকাল বুধবার)। কিন্তু দুদকের পক্ষ থেকে আরও দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আদালত আগামী ৪ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন তানভীরের স্ত্রী ও হল মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা হল মার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিযা, প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক, সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার, সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন (বর্তমান ইন্টারকন্টিনেন্টাল) শাখার সাবেক সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি, প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক ননী গোপাল নাথ, মীর মহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইনুল হক, উপমহাব্যবস্থাপক শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজউদ্দিন, এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডি / পাঁচ বছরেও কারও সাক্ষ্য শেষ হয়নি
পাঁচ বছর আগে রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন নিহত হন। তিন বছর তদন্ত শেষে ২০২২ সালে ভবনের মালিক দুই ভাইসহ আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এ মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলেও ১৬৭ সাক্ষীর কারোই সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়নি। এতে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। বাদী আসিফ কালবেলাকে বলেন, পাঁচ বছর হয়ে গেলেও ন্যায়বিচার পেলাম না। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। যেভাবে বিচার চলছে এভাবে ন্যায় পাব কি না, শঙ্কা রয়েছে। আদালত যে বিচার করবেন, আমরা সেটা মেনে নেব। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। গত ২৯ জানুয়ারি এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও হয়নি। ওই দিন আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২১ মার্চ দিন ধার্য করেন। আসামিরা হলেন—রাসায়নিকের গুদামের মালিক ইমতিয়াজ আহমেদ, পরিচালক মোজাম্মেল ইকবাল, ম্যানেজার মোজাফফর উদ্দিন, মোহাম্মদ জাওয়াদ আতিক, মো. নাবিল ও মোহাম্মদ কাশিফ। এ মামলায় আসামিরা জামিনে রয়েছেন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৭১ জন নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে। এ ঘটনায় আসিফ চকবাজার মডেল থানায় ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের দুই ছেলে সোহেল ওরফে শহীদ ও হাসানসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, আসামিরা তাদের চারতলা বাড়ির বিভিন্ন ফ্লোর দাহ্য পদার্থের গুদাম হিসেবে ভাড়া দেয়। দাহ্য পদার্থের কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাইয়ুম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪, ৪২৭, ৩৩৬ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলাটি বিচারের জন্য ওই বছরের ২৮ মার্চ মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। পরে একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি হয়। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মোস্তফা পাঠান ফারুক কালবেলাকে বলেন, অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেছিলাম। কিন্তু আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আমরা মামলার ট্রায়ালে প্রমাণ করব তারা নির্দোষ। আশা করছি, বিচার শেষ হলে তারা খালাস পাবেন। তিনি আরও বলেন, এ মামলার ঘটনায় আসামিরা জড়িত নয়। তারা নিজেরাই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা দ্রুত বিচার শেষ করার জন্য আদালতকে বলেছি। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, দ্রুত মামলার বিচার শেষ হওয়া উচিত ছিল। সমন দেওয়া হলে সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হন না। সাক্ষীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা করা হবে। তাদের গ্রেপ্তার করে হলেও আদালতে হাজিরের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সাফাই সাক্ষ্য দিলেন মির্জা আব্বাস
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। গতকাল রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। তবে সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আদালত আগামী ১৫ নভেম্বর সাফাই সাক্ষ্যের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। একই দিন শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল সাফাই সাক্ষ্য দেন। আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী তথ্য জানিয়েছেন। গত ৫ নভেম্বর এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত। ওইদিন মামলার যুক্তিতর্ক থেকে ফিরিয়ে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করেন আব্বাসের আইনজীবী। আদালত সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণে ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নুরুল হোসেন খান মির্জা আব্বাসের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন। মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ৫৭ লাখ ২৬ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
১৩ নভেম্বর, ২০২৩

নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিলেন মির্জা আব্বাস
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় নিজের পক্ষে নিজেই সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।  রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে তিনি এ সাক্ষ্য দেন। তবে মির্জা আব্বাসের সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আদালত আগামী ১৫ নভেম্বর সাফাই সাক্ষ্যের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।  একই দিন শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল সাফাই সাক্ষ্য দেন। আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।  এর আগে গত ৫ নভেম্বর এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত। ওইদিন মামলাটির যুক্তিতর্ক থেকে ফিরিয়ে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করেন আব্বাসের আইনজীবী। আবেদনের পর আদালত সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউনন্টেট নুরুল হোসেন খান মির্জা আব্বাসের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন। মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
১২ নভেম্বর, ২০২৩

মির্জা আব্বাসের পক্ষে আইনজীবীসহ দুজনের সাফাই সাক্ষ্য
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একেএম শাহজাহানসহ দুজন আদালতে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। অপর সাক্ষী হলেন- নুরুল হোসেন খান।  বুধবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর তাদের জেরা করেন। জেরা শেষ হলে আগামী ১২ নভেম্বর আদালত পরবর্তী সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।  এর আগে গত ৫ নভেম্বর এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত। ওইদিন মামলাটির যুক্তিতর্ক থেকে ফিরিয়ে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করেন আব্বাসের আইনজীবী। আবেদনের পর আদালত সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গত ১ নভেম্বর এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
০৮ নভেম্বর, ২০২৩
X