অবসর ভাবনায় যা বললেন সাকিব
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ভালো কাটেনি সাকিব আল হাসানের। ব্যাটে-বলে মলিন ছিল তার পারফরম্যান্স। এরপরই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের অবসর নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। যদিও এমন কোনো চিন্তা ভাবনাই নেই তার। আপাতত ছোট ছোট পরিকল্পনা করে এগোনোর ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন সাকিব। মঙ্গলবার (২ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) খেলতে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি। সামনে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপর ২০২৬ বিশ্বকাপ। দুই টুর্নামেন্ট ঘিরে ভাবনার প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘নিজের নিয়ে তেমন পরিকল্পনা নাই। আপাতত পরিকল্পনা হচ্ছে যে দুইটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে আমার সামনে। একটা হচ্ছে এমএলসি, যেটার জন্য এখন যাচ্ছি। এরপরই থাকবে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ, যেটা কানাডাতে। পর পর এই দুইটা টুর্নামেন্ট খেলি, এরপর দেখি নিজের কী অবস্থা।’ দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শেষে পাকিস্তান সফরে যাবেন সাকিব। তখনই জাতীয় দলের হয়ে ব্যস্ততা শুরু হবে তার। সাকিব বলছেন তার পরিকল্পনা ছোট ছোট, ‘দেশের জন্য তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যেটা আছে পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ। আপাতত পরিকল্পনা এতটুকুই। খুব বেশি আসলে পরিকল্পনা করিনি। নিজের বোঝার দরকার আছে এবং এখন আসলে ওরকম সময় নেই ৩-৪ বছর পরিকল্পনা করার। আমার মনে হয় তিন মাস, ছয় মাস পরিকল্পনা করাটাই ভালো। আপাতত পাকিস্তান সিরিজ পর্যন্ত পরিকল্পনা আছে।’
০২ জুলাই, ২০২৪

অবসর নিয়ে ভাবনা জানালেন সাকিব
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ভালো কাটেনি সাকিব আল হাসানের। ব্যাটে-বলে মলিন ছিল তার পারফরম্যান্স। এরপরই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের অবসর নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। যদিও এমন কোনো চিন্তা ভাবনাই নেই তার। আপাতত ছোট ছোট পরিকল্পনা করে এগোনোর ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন সাকিব।  মঙ্গলবার (২ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) খেলতে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপর ২০২৫ বিশ্বকাপ। দুই টুর্নামেন্ট ঘিরে ভাবনার প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘নিজের নিয়ে তেমন পরিকল্পনা নাই। আপাতত পরিকল্পনা হচ্ছে যে দুইটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে আমার সামনে। একটা হচ্ছে এমএলসি, যেটার জন্য এখন যাচ্ছি। এরপরই থাকবে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ, যেটা কানাডাতে। পরপর এই দুইটা টুর্নামেন্ট খেলি, এরপর দেখি নিজের কী অবস্থা।’ দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শেষে পাকিস্তান সফরে যাবেন সাকিব। তখনই জাতীয় দলের হয়ে ব্যস্ততা শুরু হবে তার। সাকিব বলছেন তার পরিকল্পনা ছোট ছোট, ‘দেশের জন্য তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যেটা আছে পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ। আপাতত পরিকল্পনা এতটুকুই। খুব বেশি আসলে পরিকল্পনা করিনি। নিজের বোঝার দরকার আছে এবং এখন আসলে ওরকম সময় নেই ৩-৪ বছর পরিকল্পনা করার। আমার মনে হয় তিন মাস, ছয় মাস পরিকল্পনা করাটাই ভালো। আপাতত পাকিস্তান সিরিজ পর্যন্ত পরিকল্পনা আছে।’ 
০২ জুলাই, ২০২৪

তাসকিনের ঘুম কাণ্ডে সাকিবের ব্যাখ্যা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ একাদশে ছিলেন না তাসকিন আহমেদ। প্রশ্ন ওঠে দারুণ ছন্দে থাকার পরও কেন একাদশে নেই দলের সহঅধিনায়ক? তখন বিস্তারিত কিছু জানা না গেলেও একের একে বেড়িয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর খবর। ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিব) সূত্র দিয়ে জানায় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দিন ঘুম ভাঙেনি ডানহাতি এই টাইগার পেসারের। এ কারণ ধরতে পারেননি টিম বাস। পরে তাকে ছাড়াই একাদশ সাজাতে বাধ্য হয় বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এর সত্যতা স্বীকার করেন সাকিব আল হাসান। দলের এ সিনিয়র ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি জানি না এটা কী জন্য হইছে। মনে হয় কোনো ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হইছে কী না, জানি না। যে কী কারণে খেলেনি সে তো দলের সহ-অধিনায়ক। বলতে গেলে অটোমেটিক চয়েস। যখন সে না খেলবে স্বাভাবিকভাবে মানুষের মনে প্রশ্ন আসবে, এখন সেটার ব্যাখ্যা তো দিতেই হবে। এখন সে কারণে বলেছে কী না, কে বলেছে আমি তো জানি না।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘যেটা হয়েছিল টিমের বাস তো একটা নির্দিষ্ট সময় ছাড়ে। আমরা যারা ক্রিকেটার তাদের জন্য নিয়ম একটা। সাধারণত বাস এ রকম কখনো অপেক্ষা করে না।’ ঘুম থেকে দেরি করে উঠায় তাকে খেলানো হয়নি না কি অন্য কোনো কারণ রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘তাসকিন টস হওয়ার ৫-১০ মিনিট আগে মাঠে গিয়েছে। তখন হয়তো খেলানোর সুযোগ ছিল না। এ ছাড়া অন্য কারণও থাকতে পারে আমি তা জানি না।’ তার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ দেওয়া হয় জাকের আলি অনিককে। ডানহাতি ফাস্ট বোলারকে বাইরে রেখে একজন বাড়তি ব্যাটার খেলানোয় সমালোচনার মুখে পড়ে টিম ম্যানেজমেন্ট। ভারতের বিপক্ষে সে ম্যাচে বেশ বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ দল।
০২ জুলাই, ২০২৪

পারফর্ম করেই দলে থাকতে হবে সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্য এলেও থেকে গেছে অনেক আক্ষেপ। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে ব্যর্থ ছিলেন দলের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ। তাদের ছন্দহীনতার প্রভাব পড়েছে দলের সাফল্যেও। দুজনের অবসর নিয়েও চারদিকে হচ্ছে আলাপ-আলোচনা। যদিও বিসিবি বলছে, পারফরম্যান্স করলেই তবে দলে থাকতে পারবেন। সেটা সাকিব কিংবা মাহমুদউল্লাহ বলে কথা নয়। যে কাউকেই দলে থাকতে হলে পারফর্ম করতে হবে। আজ শনিবার (২৯ জুন) বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এ কথা বলেন। সাকিব-রিয়াদের অবসর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাকিব-মাহমুদউল্লাহ আমি কারোর নাম বলছি না। যারা পারফর্ম করে সামনে আসবে, তারাই খেলবে। এখন যারা এই দলের মধ্যে খেলছে, আমি মনে করি তারা নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে এসেছে। তাদের আমরা ওইভাবে (পারফর্ম দিয়ে) মূল্যায়ন করতে চাই।’ সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিভাগ ছিল ব্যর্থ। ৭ ম্যাচে খুব একটা ছন্দময় দেখা যায়নি কাউকেই। যদিও দলে সুযোগ পেতে সবাইকে পারফর্ম করেই আসতে হয়েছে জানিয়ে জালাল বলেন, ‘যারা এখানে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) গেছে, প্রত্যেকেই কিন্তু তাদের সামর্থ্য দেখিয়ে দলে সুযোগ পেয়েছিল। আশা করি সামনে যে দলগুলো হবে, সামর্থ্য দিয়েই তারা আসবে।’
২৯ জুন, ২০২৪

ব্যর্থতার বিশ্বকাপে অর্জন ‘রিশাদ’
সাফল্যের বিচারে এটিই হয়তো বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দল ব্যর্থ হয়েছে। ব্যাটিংয়ে ৭ ম্যাচেই সুবিধা করতে পারেননি কোনো ব্যাটার। ধারাবাহিক এই ব্যর্থতার পরও একটা অর্জন ঠিকই আছে। সেটা হচ্ছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। প্রথমবার সাহস নিয়ে বিশ্বকাপে কোনো বিশেষজ্ঞ লেগ স্পিনারকে খেলিয়েছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টজুড়ে তার ফলও মিলেছে। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল পর্যন্ত সেরা উইকেট সংগ্রাহক আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকি। ৮ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ১৭। এই তালিকার চতুর্থস্থানে বাংলাদেশের রিশাদ। ৭ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ইতিহাসেও তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। তার সঙ্গে আছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিবও। নিজের প্রথম বিশ্বকাপে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে কোনো বিশ্বকাপ আসরে সর্বোচ্চ ১১ উইকেট ছিল সাকিব আল হাসানের। এতদিন ধরে রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখেছিলেন বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। এবার সেটা ভেঙে সবার ওপরে রিশাদ। বিষয়টিতে ইতিবাচক মনে করেন সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদও। দেশে ফেরার পর শুক্রবার (২৮ জুন) বলেন, ‘তানজিম সাকিব, রিশাদ ওরা সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের মধ্যে ছিল, সেরা পাঁচে ছিল। রিশাদ এখনও আছে। সব মিলিয়ে ভালো করেছে। এটা খুবই ইতিবাচক যে বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের তারকারা উঠে আসবে।’
২৮ জুন, ২০২৪

আরও পেছালেন সাকিব সিংহাসনে হেড
প্রায় এক যুগ ধরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান আঁকড়ে রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এবার পুরো টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়ে সেটা তো হারালেনই; নেমে গেছেন ৬ নম্বরে। ২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের পর এবার প্রথম এত নিচে নেমে গেছেন বাংলাদেশি এ অলরাউন্ডার। ব্যাটারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্রাভিড হেড। ভারতের সূর্যকুমার যাদবকে সরিয়ে সিংহাসনের দখল নিয়েছেন হেড। টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলেন মার্কাস স্টয়নিস। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন ধাপ পিছিয়ে চারে নেমে গেছেন তিনি। অন্যদের হোঁচটে শীর্ষে ফিরেছেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আর বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ। বাংলাদেশের রিশাদ হোসেনও তিন ধাপ এগিয়ে এখন ২৬তম স্থানে। বুধবার প্রকাশিত সাপ্তাহিক হালনাগাদে চার ধাপ এগিয়েছে অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের তিনে জায়গা করে নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে তিনি। তার পুরস্কারও মিলেছে র‌্যাঙ্কিংয়ে। ব্যাটারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ পিছিয়েছেন ইংল্যান্ডের ফিল স্লটও। এ ছাড়াও পাকিস্তানের বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান পিছিয়েছেন এক ধাপ করে।
২৭ জুন, ২০২৪

আমাদের দক্ষতা ও শক্তির ঘাটতি আছে: সাকিব
গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটিতে জয়। এরপর সুপার এইটে পরপর দুই ম্যাচে হার। ছয় ম্যাচের মধ্যে একবারও দায়িত্ব নিতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। যে কয়টা জয়ের দেখা মিলেছে, সেটাও বোলারদের কল্যাণেই। একের পর এক ব্যাটিং ব্যর্থতার পর দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান স্বীকার করে নিলেন তাদের দক্ষতা ও শক্তির ঘাটতি। মৌলিক কাজগুলো ঠিকঠাক হচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা সাকিবের কথাগুলো কালবেলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো টস জেতার পর বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত আমার জন্য ব্যাখ্যা করা কঠিন। অধিনায়ক ও কোচ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন, কাকে বল করাবে। এটা ব্যাখ্যা করা কঠিন। উইকেট আরও ধীর হবে ভেবেছিলাম। উইকেট শুরুতে শুকনো ছিল। স্পিনারদের সহায়তা পাওয়া যাবে ভেবে অধিনায়ক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হয়ত। এটাকে ভালো ব্যাটিং উইকেট বলব আমি। ব্যক্তিগতভাবে বললে বলব, ক্যারিবিয়ানে একটি ম্যাচে ইংল্যান্ড ১৮০ তাড়া করল। এ ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে আগে ব্যাট করা দলই বেশি সফল। এই পরিসংখ্যান দেখলে হয়তো মনে হবে আগে ব্যাট করাই ভালো ছিল। অধিনায়ক ও কোচ হয়তো অন্যভাবে ভেবেছে, ওদের দ্রুত আটকে ফেললে টার্গেট অনুযায়ী খেলা যাবে। হয়তো এ কারণেই আগে ফিল্ডিং করা। ব্যাটিংয়ে বারবার ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়া, ভারতের মতো দলের বিপক্ষে খেললে সেরাটা দিতে হবে। আমার মনে হয়, আমাদের দক্ষতা ও শক্তিতে কিছুটা ঘাটতি আছে। আমরা মৌলিক কাজও যথেষ্ট করতে পারিনি, যাতে প্রতিপক্ষ চাপে পড়ে। বিশ্বকাপে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা নিজেদের মান অনুযায়ী খেলিনি। আমাদের বড় রান করার সামর্থ্য আছে। গত ২ ম্যাচে ভালো উইকেট ছিল। ১৭৫-১৮৫ রান পার করা স্কোর। আমরা অনেক কম রান করেছি। এই দুই ম্যাচ অনেক কিছু শেখাবে। এই শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে কাজে লাগাতে চাই, জয় দিয়ে ক্যারিবিয়ান ছাড়তে চাই। আমাদের রান কম হচ্ছে। যে স্বাধীনতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন ছিল, তা এখানে ছিল না। খেলা বোঝে এমন যে কেউ দেখলেই এটা বুঝবে। এই জায়গাতেই আমাদের ঘাটতি ছিল। বোলিং বিভাগের পারফরম্যান্স আমরা যখন উইকেটে একটু সুবিধা পাই, তখন আমাদের বোলিং অ্যাটাক অনেক ভালো। ফ্ল্যাট ট্র্যাকে অনেক উন্নতির জায়গা আছে। যেহেতু এবার (গ্রুপ পর্বে) উইকেট পক্ষে ছিল, আমরা অসাধারণ বোলিং করেছি। বোলারদের অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হয়। ওই কৃতিত্ব কেড়ে নেওয়ার কারণ নেই। তবে ফ্ল্যাট ট্র্যাকে খেলা হলে আমরা সংগ্রাম করি একটু। ফ্ল্যাট ট্র্যাকে খেলা হলে ব্যাটিংয়েও পিছিয়ে যাই। আমরা ১৩০, ১৪০, ১৫০-এর গেম খুব ভালো জানি। কারণ আমরা ওই ধরনের গেম খেলেই অভ্যস্ত। এটার সঙ্গে আমরা পরিচিত। ১৮০-১৯০-২০০-তে চলে গেলে ওই পর্যায়ের চিন্তা আসে না। কোনো দিন বোলিং ইউনিট খারাপ করতেই পারে, সেদিন ব্যাটিং ইউনিটকে দাঁড়াতে হবে—যে জায়গায় আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে শেষ বিশ্বকাপ কি না শেষ কিনা জানি না। পৃথিবীতে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হওয়া সম্ভব। এটা তো সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড, আমারও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত থাকতে হবে। এগুলো এখানে আলোচনার বিষয় নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। বলেছিলাম তখন পর্যন্ত চিন্তা। চিন্তা পরিবর্তন হতেই পারে। এগুলো নিয়ে আমি চিন্তিত নই। সামনে অনেক বিরতি আছে। নিজের ওপর মনোযোগ দেওয়া যাবে। দলে প্রয়োজনীয়তা, দল যদি মনে করে দরকার আছে; আমি যদি মনে করি, আমাকে দলে দরকার আছে, আমারও সেভাবে ইচ্ছা আছে, সব ঠিকঠাক থাকলে এটা খেলার বিষয়। উপভোগ না করলে তো খেলার বিষয় নয়। এগুলো সময়ের ব্যাপার।
২৪ জুন, ২০২৪

সাকিব এখনো বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় : তামিম
ত্রিকেটে বাংলাদেশের বয়স ঠিক কম নয়। এই সময়ে বাংলাদেশে ক্রিকেটকে যে খুব বেশি কিছু দিয়েছে তা নয় তবে ঠিকই কয়েকজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার জন্ম নিয়েছে এই দেশে। যার মধ্যে অন্যতম দুই জন হলো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও ওপেনার তামিম ইকবাল।  দুজনই দেশের ক্রিকেটের লাইমলাইটে ছিলেন অনেক দিন। ছিলেন সবচেয়ে কাছের বন্ধুও। তবে সেই সম্পর্ক তাদের মধ্যে আর নেই। ব্যক্তিগত সম্পর্ক না থাকলেও সাকিবকে এক বাক্যে এখনও দেশের সেরা ক্রিকেটার বলে মানেন তামিম। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকইনফোর হয়ে বিশেষজ্ঞের ভূমিকায় আছেন তিনি। তাদেরই এক অনুষ্ঠানে তামিম জানান, টাইগারদের বাজে ব্যাটিং সমস্যা সমাধানে সাকিবের আরো উপরে ব্যাটিং করা উচিত। এছাড়া সাকিবকে এক দুই ওভার নয় চার ওভার ব্যাটিং করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগাররা সুপার এইটে উঠলেও। ব্যাট হাতে বিফল প্রায় সব ব্যাটাররা। সাকিবও পাঁচ ম্যাচ খেলে শুধু ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচেই ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন সাকিব। ৪৬ বলে খেলেছিলেন ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। তামিমের আশা সাকিব সুপার এইটের বাকি ম্যাচগুলোতেও ভালো করবেন। ইএসপিএনক্রিকইনফোর টাইমআউট অনুষ্ঠানে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় সাকিব। ওর অভিজ্ঞতাও সবার চেয়ে বেশি। বড় খেলোয়াড়দের কিন্তু বড় ম্যাচে পারফর্ম করতে হয়। বাংলাদেশের হয়ে ক্যারিয়ারজুড়ে অসাধারণ পারফর্ম করে আসছে সে। তবে এখন তার ব্যাটিংয়ে সেট হতে সময় লাগছে তাই তার উচিত উপরে ব্যাট করা। যাতে কিছু ওভার খেলে সে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে পারে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে সংগ্রাম করছে। সুতরাং সাকিবের উচিত তিন অথবা চার নম্বরে নেমে ব্যাট করে নিজেকে সেট করা। কারণ বিশ্বের সেরা বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে প্রতি আক্রমণ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।’ তবে বোলিংয়েও সাকিবের অভিজ্ঞতা দলের দরকার বলে মনে করেন তামিমের। চলতি বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে মাত্র ১০.২ ওভার বল করা সাকিবকে তিনি ৪ ওভারই বল করা দেখতে চান। টাইগারদের সাবেক এই ওয়ানডে অধিনায়ক সাকিবের বোলিং সম্পর্কে বলেন, ‘পেস বোলিং বিভাগ ভালো বল করছে। কিন্তু সাকিব আপনার সেরা বোলার। অনেক বছর ধরে সে এটা করছে। ভারতের জন্য রান করছে সূর্যকুমার যাদব। যদি আমি ভুল না করি, শেষ দুই দেখায় সাকিব তাকে আউট করেছিল। একবার অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরেকবার (গত বছর) ৫০ ওভারের এশিয়া কাপে। সুতরাং তার ৪ ওভার বল করা উচিত। কারণ সে আপনার সেরা বোলার।’ অবশ্য বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট তামিমের কথা কতটুকু শুনেছে তা শনিবার (২২ জুন) সুপার এইটে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রাত সাড়ে ৮টায় ভারতের মুখোমুখি হওয়ার সময় বোঝা যাবে ।  
২২ জুন, ২০২৪

রিভিউ নিতে কি ড্রেসিংরুমের অনুমতির প্রয়োজন টাইগারদের?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপাল-বাংলাদেশ ম্যাচের একটি দৃশ্য দৃষ্টি কেড়েছে অনেকের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয় পড়ে বাংলাদেশ। সাজঘরে ফিরে যান টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। লোয়ার অর্ডারে তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে ব্যাট করছিলেন জাকের আলী অনিক। নেপালের বিপক্ষে চাপে পড়া টাইগার ব্যাটার জাকের আলী অনিকের একটি আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের ইনিংসের ১৪তম ওভারের ঘটনা। সেই ঘটনা দ্রুত ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নেপালের তারকা লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানের করা সেই ওভারে ব্যাট করছিলেন তানজিম হাসান সাকিব আর ননস্টাইকে ছিলেন জাকের। ওভারের প্রথম বলটি ডানহাতি ব্যাটার তানজিমের প্যাডে লাগে। নেপালের এলবিডব্লিউ আবেদনে সাড়া দেন অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার স্যাম নোগাজস্কি। সাজঘরের দিকে হাঁটা শুরু করেছিলেন তানজিম। কিন্তু জাকের আলী অনিককে দেখা যায় সাজঘরের দিকে তাকিয়ে আছেন। হাত এবং ব্যাটের ইশারায় জানতে চাইছেন রিভিউ নেওয়া হবে কিনা? ড্রেসিংরুম থেকে সাড়া পেয়ে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নেন তানজিম।  এতে শেষ পর্যন্ত বেঁচে যান তিনি।   থার্ড আম্পায়ার ভারতের জয়রামন মদনগোপাল টেলিভিশন রিপ্লে দেখে জানান, আউট হননি তানজিম। যদিও এতে কোন লাভ হয়নি।  কারণ লামিচানের পরের বলেই বোল্ড হন  তানজিম। এই ঘটনায় দুটি প্রশ্ন সামনে এসেছে। জাকের কি ড্রেসিংরুমের সাহায্য নিয়ে রিভিউ নিয়েছেন? নাকি বাংলাদেশের ব্যাটারদের রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে? চাইলেও যে কেউ যে কোনো সময় রিভিউ নিতে পারবেন না, এমন নির্দেশনা রয়েছে ড্রেসিং রুম থেকে!   যেটি হোক না কেন, এটি ক্রিকেটের নিয়ম বহির্ভূত। ক্রিকেটের নিয়মে রয়েছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষেত্রে সাজঘর থেকে কোন পরামর্শ দেওয়া বা নেওয়া যাবে না। তাই জাকরের এই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নেপালের বিপক্ষে পাওয়া ২১ রানের জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। সুপার এইটে গ্রুপ-ওয়ানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান।   সেরা আটের লড়াইয়ে ২১ জুন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। ২২ জুন টাইগাররা লড়বে ভারতের বিপক্ষে। আর ২৫ জুন বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের।
১৭ জুন, ২০২৪

সাকিবের উদ্দেশ্যে যে চিঠি লিখলেন বড় মেয়ে আলাইনা
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি ঠিক মনমতো হচ্ছে না টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশ দলের মূল স্তম্ভ এই অলরাউন্ডার নেদারল্যান্ডের সঙ্গে টাইগারদের ম্যাচের আগ পর্যন্ত ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ডাচদের সঙ্গে অবশ্য ভালো খেলেছেন, করেছেন ফিফটি। বাংলাদেশও ম্যাচ জিতেছে, পরের ম্যাচেও বাংলাদেশ হারতে হারতে জয় তুলে আনতে পেরেছে। যে জয়ে অবদান আছে সাকিবেরও। সোমবার (১৭ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টে হওয়া গ্রুপ ‘ডি’ এ নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সুপার এইট নিশ্চিতের এই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাট হাতে হতশ্রী পারফরম্যান্সেও সর্বোচ্চ ১৭ রান করেছেন তিনি। বল হাতেও নিয়েছেন দুই উইকেট। ঈদের দিন বাংলাদেশের এমন জয়ে আনন্দিত সবাই। যার মধ্যে রয়েছেন সাকিব পত্নী উম্মে আল হাসান শিশিরও। বাংলাদেশের জয়ের পর ফেসবুকে সবাইকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন সাকিব-শিশির দম্পতির বড় সন্তান আলাইনার বাবা দিবস উপলক্ষে লেখা চিঠি। যে চিঠি মন জয় করেছে সবার। সাকিবের বড় মেয়ে আলাইনা বাবা দিবস উপলক্ষে সাকিব শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং সাকিবের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখেছেন। সাকিবকে লেখা চিঠিতে সাকিব কন্যা লেখেন, ‘আমি আশা করি তুমি তোমার পরবর্তী ম্যাচ জিতবে। শুভ কামনা, যদিও তুমি মাঝেমধ্যে হেরে যাও কিন্তু আমার মনে হয় তুমি পরবর্তী ম্যাচ জিতবে।’     সাকিব কন্যার কথা অনুযায়ী বাংলাদেশ ম্যাচ ঠিকই জিতে নিয়েছে। আশা করা যায় সুপার এইটের পরবর্তী ম্যাচও জিতবে।  
১৭ জুন, ২০২৪
X