মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১
পরীকাণ্ডে চাকরি হারাচ্ছেন সাকলায়েন
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) জানানো মতামতে ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে পুলিশের এই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার জন্য বলেছে মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি পিএসসিতে পাঠানো এক চিঠিতে এ মতামত জানানো হয়েছে। নায়িকা পরীমণির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ার অভিযোগে সাকলায়েনকে এ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। ২০২১ সালের ৯ জুন রাতে সাভারে ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৪ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন পরীমণি। সেই মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ছিলেন ডিএমপি ডিবির গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার সাকলায়েন। মামলাটি তদারকি করার সময় বাদী পরীমণির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ান এই কর্মকর্তা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে বদলি করা হয়েছিল। গঠিত হয়েছিল তদন্ত কমিটি। বিভিন্ন ধাপে তদন্তের ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জুন সাকলায়েনকে গুরুদণ্ড দেওয়ার এই মতামত দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পিএসসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত পেয়েছি। এখন সেই মতামত যাচাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে মতামত দিয়েছে, তাতে কোনো ত্রুটি আছে কি না, তা যাচাই করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ যাবে, পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির আদেশ সাপেক্ষে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামতে ওর ওপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ সাকলায়েনের বিরুদ্ধে যেসব প্রমাণ পেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরীমণির করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তৎকালীন এডিসি সাকলায়েন অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে পিএসসিতে পাঠানো মতামতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, সাকলায়েন ঢাকায় কর্মরত থাকা অবস্থায় পরীমণির সঙ্গে ঘটনাক্রমে দেখা হয় এবং যোগাযোগ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি নায়িকা পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাতযাপন শুরু করেন। সাকলায়েনের সিডিআর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকা পরীমণির বাসায় অবস্থান করেছেন। নায়িকা পরীমণির মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট (মামলার আলামত হিসেবে জব্দ) পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাকলায়েন ও পরীমণির আদান-প্রদান করা মেসেজগুলো (২৯ জুলাই, ২০২১ তারিখ থেকে ৩ আগস্ট, ২০২১ তারিখ পর্যন্ত) এবং তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে (১১ জুলাই, ২০২১ তারিখ থেকে ৪ আগস্ট, ২০২১ তারিখ পর্যন্ত) কথোপকথন সাধারণ পরিচিতি বা পেশাগত প্রয়োজনে স্থাপিত কোনো সম্পর্কের নয়, বরং অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক। মন্ত্রণালয় তাদের চিঠিতে জানিয়েছে, গত ১ আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬টা থেকে ২ আগস্ট, ২০২১ রাত ৩টা পর্যন্ত রাজারবাগ মধুমতি পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টার্সে নায়িকা পরীমণির যাতায়াতের সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট বিশ্লেষণ ও সাক্ষীদের জবানবন্দি অনুযায়ী, গত ১ আগস্ট, ২০২১ সাকলায়েনের স্ত্রী না থাকা অবস্থায় নায়িকা পরীমণি তার রাজারবাগের সরকারি বাসায় যান এবং প্রায় ১৭ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে রাত দেড়টায় বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন। মন্ত্রণালয় মতামতে বলেছে, সাকলায়েন ও নায়িকা পরীমণির সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায়, টেলিভিশনে ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে জনমনে এ বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার জন্ম দেয়। গোলাম সাকলায়েন বাংলাদেশ পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে সরকারি দায়িত্বের বাইরে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তিনি বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক হওয়া সত্ত্বেও পরীমণির সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, পরীমণির সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন ও নিজের সরকারি বাসভবনে নিজ স্ত্রীর অবর্তমানে সময় কাটানোর মতো ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে। তা প্রচারিত হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। উল্লিখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। মামলাটির শুনানি ও তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) হায়াত-উদ-দৌলা খানকে। তদন্তে ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ কারণে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী কেন তাকে ‘চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ’ করা হবে না সে মর্মে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সাকলায়েন নোটিশের জবাব দেন এবং ‘চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ’ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি, অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক লিখিত জবাব, মৌখিক বক্তব্য ও অন্যান্য কাগজপত্র পুনরায় পর্যালোচনা করা হয়। সার্বিক পর্যালোচনা শেষে দ্বিতীয়বারের কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় বিধি মোতাবেক ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর’ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। বিধি অনুযায়ী এ বিষয়ে পিএসসির পরামর্শ চেয়েছে জননিরাপত্তা বিভাগ। পুলিশ সদর দপ্তর ও পিএসসির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাকলায়েনের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্তে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
২৬ জুন, ২০২৪

‘আমাকে রিমান্ডে কী করেছে বললে কী হবে জানি না’
চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক থাকার কারণে চাকরি হারাচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েন।  গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরীমণি বলেন, নিঃসন্দেহে সাকলায়েন একজন ট্যালেন্ট ও সফল মানুষ, ওর পেছনেও অনেকে হয়তো লেগেছিল। তার এখনকার বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। সাকলায়েনের প্রতি নিঃসন্দেহে অন্যায় হয়েছে। সাকলায়েনের সম্পর্কে পরীমণি বলেন, এটাও তো বলব না। এই সবকিছুই ২৭ দিনের মধ্যে পড়ে। আমাকে রিমান্ডে কী করেছে, এটাও কেউ কখনো জানতে চায়নি। তাই আমি এটা নিয়েও কথা বলব না। আমি জানি না, যখন বলব তখন যে কী হবে। তবে সাকলায়েনের জন্য খারাপ লাগছে, সে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার! প্রেম-ভালোবাসা যা-ই হোক না কেন, এটা শুধু একটা অদ্ভুত কারণ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। আবারও বলছি, আমার মনে হয়, সে অন্য কোথাও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার।  এক প্রশ্নের জবাবে পরী বলেন, আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা কী, তা নিয়ে তো কেউ এর আগে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। তার আগেই তো এত অপবাদ, এত কিছু...। যেখানে সম্পর্কটা ডিফাইন করার আগে এত অপবাদ নিয়ে ফেলছি, সেখানে এই সম্পর্কটা কী, তা নিয়ে কথা বলার জায়গাও তো জনগণ রাখেনি। সম্পর্কের বিষয় যদি আসে, এটা তো একজনের ব্যাপার না, দুজনের পক্ষ থেকেই আসে। এখন পর্যন্তও আমাদের সম্পর্কটা তো মানুষের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা প্রেমে ছিলাম, না কি কী করছি, কোনো কিছুই তো পরিষ্কার নয়। তবে যদি এ রকম মনে হয়, আমাকে নিয়ে কথা বলছে, আমাকে অপরাধী বানাচ্ছে, তারপর আমি কথা বলব। আমার মনে হয় না, সে কোনোরকম এ ধরনের কথা বলবে। কারণ, পুরো বিষয়টির মধ্যেই আমি নেই। কারও হয়তো কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সাকলায়েনের সঙ্গে এমনটা হচ্ছে, এটা হলে সে দোষ তো আর আমি নেব না। প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের এডিসি থাকাকালে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে পরিচয়, যোগাযোগ শুরু হয় গোলাম সাকলায়েনের। তিনি নায়িকা পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখা থেকে দেওয়া ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সাকলায়েন পরীমণির বাসায় অবস্থান করেছেন বলে মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণ পাওয়া গেছে। 
২৫ জুন, ২০২৪

মডেল পিয়াকেও ভুগিয়েছিলেন পরীকাণ্ডের সেই সাকলায়েন
আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কের জেরে এবার চাকরি হারাচ্ছেন সাবেক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনারের (এডিসি) দায়িত্বে থাকা গোলাম সাকলায়েন। পরীকাণ্ডে আলোচনা শুরুর পর প্রথমে সাকলায়েনকে ডিবি থেকে সরিয়ে মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়। গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-২ শাখার উপসচিব পারভীন জুঁই স্বাক্ষরিত এক স্মারকে তাকে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ করার বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) শৃঙ্খলা-২ শাখার স্মারকটি গণমাধ্যমের কাছে আসে। এবার সাকলায়েনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ‘চাকরি হারাচ্ছেন সাকলায়েন’ এমন খবর প্রকাশের পর ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এই সেই ব্যক্তি (গোলাম সাকলায়েন) যিনি আব্বার এফআর টাওয়ার মামলায় ডিবি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। প্রায় ৬-৭ দিন আমি আর আম্মা প্রতিদিনই আব্বাকে দেখতে ডিবি অফিসে যেতাম। এই সেই ব্যক্তি, যিনি প্রতারণামূলকভাবে এবং জোরপূর্বক সিআরপিসির ১৬৪ ধারার অধীনে জবানবন্দির জন্য জোরপূর্বক আব্বার সম্মতি নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পিয়া আরও লিখেছেন, আমি আব্বাকে সম্মতি না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম, কারণ তিনি এ ঘটনায় মোটেও জড়িত ছিলেন না। কিন্তু আমি ডিবি অফিসে পৌঁছার আগেই তিনি (সাকলায়েন) আব্বার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে পরদিন আদালতে জমা দেন। এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং আব্বাকে আর আমাকে চুপ থাকতে বলেন। অথচ তার জানা ছিল না, আমি চুপ থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি। তিনি লিখেছেন, যেদিন তিনি এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের জন্য জমির মালিক হিসেবে আব্বাকে গ্রেপ্তার করেছিলেন, আব্বা তখন এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। তখন আব্বার বয়স ছিল ৭৭ বছরের বেশি!’ যাই হোক, তিনি আমাদের বলেছিলেন, আজকে আমার ছেলের স্কুলের অনুষ্ঠান, এমন একটা বড় দিনেও এখানে এসেছি আমার দায়িত্ব পালনের জন্য। এই পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে পিয়া বলেন, আমার দেখা মতে, এই জনাব সাকলায়েন লোকটি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ, প্রতিভাবান এবং ধূর্ত। কিন্তু একটা ভুল তার সবকিছু তছনছ করে দিল! যদিও আমরা মানুষের অপকর্মের জন্য তাদের ক্ষমা করে দিই, কিন্তু প্রকৃতি এবং সর্বশক্তিমান সব সময় রয়েছেন সঠিক বিচার করার জন্য। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৩ জুন উত্তরা বোট ক্লাবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। পরদিন উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। এরপর পরীমণির সঙ্গে এডিসি গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েনের সম্পর্কের সূত্র ধরে এ মামলার তদন্ত। ওই সময় পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় গোয়েন্দা কার্যালয়ে। তখনই পরীর সঙ্গে প্রথম পরিচয় সাকলায়েনের। এরপর দ্রুতই সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। পরীমণিকাণ্ডের পর খবর বেরোয়- এই নায়িকার সঙ্গে প্রায়ই রাতে বিভিন্ন স্থানে দেখা যেত এডিসি সাকলায়েনকে। রাত গভীর হলে গাড়ি নিয়ে বের হতেন তারা। মাঝেমধ্যে পরীমণির বাসায়ও যেতেন সাকলায়েন।
২৫ জুন, ২০২৪

পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতেন সাকলায়েন
অভিনেত্রী পরীমণির বাসায় বিভিন্ন সময় রাত্রীযাপন করতেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন। মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্টে এমন প্রমাণ মিলেছে। গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের এডিসি থাকাকালে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে পরিচয়, যোগাযোগ শুরু হয় গোলাম সাকলায়েনের। তিনি নায়িকা পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখা থেকে দেওয়া ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকা পরীমণির বাসায় অবস্থান করেছেন তৎকালীন ডিবির এই কর্মকর্তা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ১ আগস্ট ভোর ৬টা থেকে ২ আগস্ট রাত ৩টা পর্যন্ত রাজারবাগ মধুমতি পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টার্সে পরীমণির যাতায়াতের ধারণকৃত সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে জানা যায়, ১ আগস্ট সাকলায়েনের পূর্ব পরিকল্পনা ও তার স্ত্রী না থাকা অবস্থায় পরীমণি তার রাজারবাগের সরকারি বাসায় যান। সেখানে প্রায় ১৭ ঘণ্টা অবস্থান করে ২ আগস্ট রাত ১টা ৩০ মিনিটে বাসা ত্যাগ করেন। এতে আরও বলা হয়, সাকলায়েন ও পরীমণির সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনমনে এ বিষয়ে নানারূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার জন্ম দেয়। সাকলায়েন বাংলাদেশ পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে সরকারি দায়িত্বের বাইরে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। সাকলায়েন বিবাহিত ও এক সন্তানের বাবা হওয়া সত্ত্বেও পরীমণির সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, পরীমণির সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন ও নিজের সরকারি বাসভবনে নিজ স্ত্রীর অবর্তমানে সময় কাটানোর মতো ঘটনা বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। উল্লিখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সাক্ষীদের জবানবন্দি, অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক লিখিত জবাব, মৌখিক বক্তব্য ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি পুনরায় বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। সার্বিক পর্যালোচনাস্তে ২য় কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‌‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনকে বিধি ৪ এর উপ-বিধি ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  প্রসঙ্গত, পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কের সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসির দায়িত্বে ছিলেন সাকলায়েন। পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসার পর প্রথমে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) বদলি করা হয়। পরে তাকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়।
২৫ জুন, ২০২৪

পরীমণি-সাকলায়েনের ফাঁস হওয়া ভিডিওতে যা ছিল
আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কের জেরে এবার চাকরি হারাচ্ছেন সাবেক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনারের (এডিসি) দায়িত্বে থাকা গোলাম সাকলায়েন। পরীকাণ্ডে আলোচনা শুরুর পর প্রথমে সাকলায়েনকে ডিবি থেকে সরিয়ে মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়। গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-২ শাখার উপসচিব পারভীন জুঁই স্বাক্ষরিত এক স্মারকে তাকে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ করার বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) শৃঙ্খলা-২ শাখার স্মারকটি গণমাধ্যমের কাছে আসে। চিত্রনায়িকা পরীমনি ও ডিবি পুলিশের সে সময়য়ের এডিশনাল এসপি গোলাম সাকলায়েনের যে গোপন ভিডিও ফাঁস হয়েছিল তার পরই তার বিরুদ্ধে একের পর এক তদন্ত শুরু হয়। যার ফলে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাচ্ছে সরকার।  সে সময় প্রকাশিত এক মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায় নীল ও কালো বেলুনে সুসজ্জিত একটি কক্ষ, যেখানে রোমান্সে মাতোয়ারা হয়ে আছেন পরীমণি ও গোলাম সাকলায়েন, দুজনে বেশ হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে ছিল। যেখানে সাকলাইনের হাত ধরে পরীমণি কেক কাটছেন এবং পরীমণি সাকলাইনকে উইশ করছেন হ্যাপি বার্থডে টু ইউ বলে। এক পর্যায়ে পরীমণি সাকলায়েনকে মুখে কেক তুলে দেন এবং সাকলায়েন পরীমণির মুখে কেক তুলে দেন। কেক খাইয়ে দেওয়া অবস্থায় পরীমণি সাকলাইনের ঠোঁটে চুমু দিতেও দেখা যায় পরীকে। ভিডিওর এক পর্যায়ে দেখা যায় কেক খাইয়ে দেওয়া অবস্থায় পরীমণি তার মুখে কেক নিয়ে সাকলাইনের মুখে ধরেন এবং দুজনে রোমাঞ্চকর ভাবে কেকের মধ্যে কামড় দেন।  ভিডিও শেষ পর্যায়ে পরীমণিকে হাত তুলে কোমর দুলিয়ে নাচতেও দেখা যায় যা উপভোগ করেন গোলাম সাকলায়েন। এ ভিডিও প্রকাশের পরই গোলাম সাকলায়েনকে ডিবির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে বদলি করা হয়। সে সময় ঘটনার তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে।   
২৫ জুন, ২০২৪

পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে চাকরি হারাচ্ছেন সেই সাকলায়েন
আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কের জেরে এবার চাকরি হারাচ্ছেন সাবেক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনারের (এডিসি) দায়িত্বে থাকা গোলাম সাকলায়েন। পরীকাণ্ডে আলোচনা শুরুর পর প্রথমে সাকলায়েনকে ডিবি থেকে সরিয়ে মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়। গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা-২ শাখার উপসচিব পারভীন জুঁই স্বাক্ষরিত এক স্মারকে তাকে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ করার বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) শৃঙ্খলা-২ শাখার স্মারকটি গণমাধ্যমের কাছে আসে। শৃঙ্খলা শাখার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাকলায়েন ধারাবাহিকভাবে নায়িকা পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাতযাপন করতে শুরু করেন।  বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকা পরীমণির বাসায় সাকলায়েন অবস্থান করেছেন বলে মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট দেখে প্রমাণ পাওয়া যায়।  রিপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা যায়, তার ও পরীমণির আদান-প্রদানকৃত মেসেজসমূহ (২৯ জুলাই, ২০২১ তারিখ হতে ৩ আগস্ট, ২০২১ তারিখ পর্যন্ত) সামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির ফেসবুক আইডি ও গোলাম সাকলায়েন সিথিল নামে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথোপকথন এবং তাদের হোয়াটসআ্যাপ নম্বরে (১১ জুলাই, ২০২১ তারিখ হতে ৪ আগস্ট, ২০২১ তারিখ পর্যন্ত) কথোপকথন সাধারণ পরিচিতি বা পেশাগত প্রয়োজনে স্থাপিত কোনো সম্পর্কের নয়। বরং অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ আগস্ট, ২০২১ তারিখ ভোর ৬টা থেকে ২ আগস্ট, ২০২১ তারিখ রাত ৩টা পর্যন্ত রাজারবাগ মধুমতি পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টার্সে নায়িকা পরীমণির যাতায়াতের ধারণকৃত সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ফরেনসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণেও প্রমাণ পাওয়া যায়।  সাকলায়েন বিবাহিত ও এক সন্তানের বাবা হওয়া সত্ত্বেও পরীমণির সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, পরীমণির সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন ও নিজের সরকারি বাসভবন নিজ স্ত্রীর অবর্তমানে সময় কাটানোর মতো ঘটনা বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে তা প্রচারিত হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। উল্লিখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।  তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি পর্যালোচনাপূর্বক অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী  ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত  হওয়ায় একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপবিধি ৩(ঘ) বিধি মোতাবেক গুরুদণ্ডের আওতায় কেন তাকে ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ করা হবে না সে মর্মে দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। অভিযুক্তের কারণ দর্শানোর নোটিশ স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় যথাযথ জারির প্রমাণ রয়েছে।  সাকলায়েন, দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব চাকরি হতে বরখাস্তকরণ মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রার্থনা করেন। সাকলায়েনের বিভাগীয় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি, অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক লিখিত জবাব, মৌখিক বক্তব্য ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি পুনরায় বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। সার্বিক পর্যালোচনাস্তে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‌‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনক বিধি ৪ এর উপবিধি ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি হতে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  উপসচিবের আবেদনের সর্বশেষ বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‌‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপবিধি ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি হতে ‌‌‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ দণ্ডের বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।  এডিসি গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েনের সাথে যেভাবে ঘনিষ্ঠতা পরীমণির সঙ্গে এডিসি গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েনের সম্পর্কের উপলক্ষ এক মামলার তদন্ত। ২০২১ সালের জুনে। ১৩ জুন উত্তরা বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। পরদিন উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ওই সময় পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় গোয়েন্দা কার্যালয়ে। তখনই পরীর সঙ্গে প্রথম পরিচয় সাকলায়েনের। এরপর দ্রুতই সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। পরীমণিকাণ্ডের পর খবর বেরোয়- এই নায়িকার সঙ্গে প্রায়ই রাতে বিভিন্ন স্থানে দেখা যেত এডিসি সাকলায়েনকে। রাত গভীর হলে গাড়ি নিয়ে বের হতেন তারা। মাঝেমধ্যে পরীমণির বাসায়ও যেতেন সাকলায়েন। সর্বশেষ পরীমণি সাকলায়েনের বাসায় গিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা সময় কাটান। এরপর জনসমক্ষে আসে তাদের ঘনিষ্ঠতার চিত্র। সিসি ক্যামেরার ফাঁস হওয়া দৃশ্য ২০২১ সালের ১ আগস্ট রাত আটটার দিকে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নিয়ে নিজ বাসায় অবস্থান করেন গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েন। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, রাত আটটার দিকে রাজারবাগের মধুমতি ভবনের সামনে থামে পরীমণির হ্যারিয়ার গাড়ি। ওই ভবনের ১০ তলায় সাকলায়েনের সরকারি বাসা। সাকলায়েন নিজে নেমে এসে রিসিভ করেন পরীমণিকে। এর কিছুক্ষণ পর সাকলায়েনের বাসায় প্রবেশ করেন পরীমণির খালাতো বোন ও তার স্বামী। পরে রাত দুইটার দিকে পরীমণিসহ তিনজনই বের হয়ে যান বাসা থেকে। ঘটনার বেশ কিছু দিন পর ফাঁস হয় এই ফুটেজ। এর আগে বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে বিপুল পরিমাণ মাদকদসহ গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
২৫ জুন, ২০২৪

এনবিএ সভাপতি সাকলায়েন সম্পাদক রাইসুল
বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনের সংবাদ উপস্থাপকদের সংগঠন নিউজ ব্রডকাস্টারস অ্যালায়েন্স সোসাইটি অব বাংলাদেশের (এনবিএ) কমিটির নির্বাচনে সভাপতি হয়েছেন সাকলায়েন রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক রাইসুল হক। গত শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ভোট গ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করা হয়। সহসভাপতি পদে চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, বৈশাখী টেলিভিশনের মেহের ই খোদা দ্বীপ, এনটিভির নাজনীন আহমেদ এবং নির্বাহী সদস্য পদে চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের শরীফ উল হক, এটিএন নিউজের বাবলি ইয়াসমিন, এসএ টিভির রুপা নূর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির মুজাহিদুল ইসলাম শিব্বির, কোষাধ্যক্ষ বাংলাভিশনের নাদিরা আশরাফ, সাংগঠনিক সম্পাদক চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের আশিক তমাল, দপ্তর সম্পাদক চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের মামুন উর রশীদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মাইটিভির হাফিজ খন্দকার, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক নিউজ টোয়েন্টিফোরের রঞ্জু ইফতেখার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক নিউজ টোয়েন্টিফোরের মাহমুদুল হাসান জাহিদ, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের আতিকুর রহমান আতিক, আইন সম্পাদক আরটিভির পারভিন মিতু, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন সম্পাদক জিটিভির তায়িব অনন্ত নির্বাচিত হয়েছেন।
২৬ মে, ২০২৪

এনবিএ সভাপতি সাকলায়েন ও সাধারণ সম্পাদক রাইসুল
বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনের সংবাদ উপস্থাপকদের সংগঠন নিউজ ব্রডকাস্টারস অ্যালায়েন্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এনবিএ) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি পদে সাকলায়েন রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক পদে রাইসুল হক চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ভোটগ্রহণ শেষে এ ফল ঘোষণা করা হয়। অন্যান্য পদের মধ্যে সহসভাপতি পদে চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, বৈশাখী টেলিভিশনের মেহের ই খোদা দ্বীপ, এনটিভির নাজনীন আহমেদ এবং নির্বাহী সদস্য পদে চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের শরীফ উল হক, এ টি নিউজের বাবলি ইয়াসমিন, এসএ টিভির রুপা নূর নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির মুজাহিদুল ইসলাম শিব্বির, কোষাধ্যক্ষ বাংলা ভিশনের নাদিরা আশরাফ, সাংগঠনিক সম্পাদক চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের আশিক তমাল, দপ্তর সম্পাদক চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের মামুন উর রশীদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মাই টিভির হাফিজ খন্দকার, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক নিউজ টোয়েন্টিফোরের রঞ্জু ইফতেখার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক নিউজ টোয়েন্টিফোরের মাহমুদুল হাসান জাহিদ, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের আতিকুর রহমান আতিক, আইন সম্পাদক আর টিভির পারভিন মিতু, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন সম্পাদক জিটিভির তায়িব অনন্ত নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহবুব হাসান (প্রধান নির্বাচন কমিশনার), হাসান শাহরিয়ার কল্লোল, লতিফুল মতিন মিঠু, সঙ্গীতা খান এবং লাবণ্য হাসান।
২৫ মে, ২০২৪
X