মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১
এমপি আনার হত্যা / আসামিদের খুঁজতে পাহাড়ে ডিবির সাঁড়াশি অভিযান
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় ঘাতক দলের অন্যতম দুই পলাতক আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে ধরতে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে ডিবি পুলিশের একাধিক দল। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে চলমান অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে এমপি আনার হত্যা মামলার আসামি কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবুকে নিয়ে আলামত উদ্ধারে ঝিনাইদহ শহরের দুটি পুকুরে এই অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আযমের নেতৃত্বে ওই অভিযান শুরু হয়। জানা গেছে, অভিযানিক দল ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বর এলাকার পিপীলিকা মার্কেটের পেছনের মার্কেটে ও স্টেডিয়ামের পিছনের পুকুরে পৃথক অভিযান পরিচালনা চালানো হচ্ছে। গ্রেপ্তার বাবু আদালতের জবানবন্দিতে জানান, আলামত নষ্ট করতে শহরের ওই পুকুর দুটিতে তিনটি মোবাইল ফেলে দেন তিনি। পরে মঙ্গলবার মোবাইল উদ্ধারের উদ্দেশ্য বাবুকে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ কারাগারে আনা হয় এবং বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আযমের নেতৃত্বে বাবুকে নিয়ে ডিবির প্রতিনিধি দল ও ঝিনাইদহ পুলিশের একটি দল ওই মোবাইল উদ্ধারে ডুবুরি ও জেলেদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এর আগে ঝিনাইদহে আসেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ। ডিবি প্রধান পুকুর দুটি পরিদর্শন করেন এবং মোবাইল উদ্ধারের সময় নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা অভিযান পরিচালিত হয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত মোবাইল পাওয়ার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি।
২৬ জুন, ২০২৪

রাজশাহীর হাসপাতালে র‌্যাবের সাঁড়াশি অভিযান
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে গ্রেপ্তারের পর তাদের বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই দিনে পৃথক অভিযানে মহানগরীর বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়। দালাল চক্রের দণ্ডপ্রাপ্ত সদস্যরা হলেন- নগরীর রাজপাড়া থানার সিপাইপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. জামাল হোসেন (৪০), রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর এলাকার মৃত ইব্রাহিম খলিলের ছেলে মো. সাবজাল হক (৫২), বহরমপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. মোতাসসিম ওরফে রূপক (৩২), বগুড়ার আদমদিঘি উপজেলার চাঁপাপুর এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে মো. রনি শেখ (২৫), সিপাইপাড়া এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মো. সজল (৪২), চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরগিডাঙ্গা এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে মো. শাহিন আলম পিয়াস (২৪), সিপাইপাড়া এলাকার মৈরুদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে মো. আব্দুল জলিল (৫৫), নগরীর বোয়ালিয়া থানার হোসনীগঞ্জ এলাকার নিমরোজ আলীর ছেলে মো. রাজন আলী (৩৫), রাজপাড়া থানার কেশবপুর এলাকার মৃত লিটনের ছেলে মো. মুরসালিন (২৪), রাজপাড়া থানার ডাঁশপুকুর এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আহমদ আলী (৩০), কাশিয়াডাঙ্গা থানার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার মো. সামসুদ্দিনের ছেলে রয়েল হোসেন অপু (৩২) এবং নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার আকেজীগঞ্জ এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে মো. সোহেল রানা (২৪)। তাদের তিন থেকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। র‌্যাব জানায়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে রামেক হাসপাতালে এবং হাসপাতালের আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে নানাভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন। হাসপাতালের এবং ডাক্তারদের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে রোগীদের উন্নত চিকিৎসার লোভ দেখিয়ে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডসহ রোগী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে অর্থ নিতেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি- ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাব। এ ছাড়া একটি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আল শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. ডাবলুকে ৫০ হাজার, রাজশাহী কিডনি ডায়ালাইসিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. বাচ্চু রহমানকে  ২০ হাজার ও মেডিকো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক উম্মে মনিরেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে সানবিম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
০৭ মার্চ, ২০২৪

ঢাকার অনিরাপদ রেস্তোরাঁয় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান
বেইলি রোডে ট্র্যাজেডির পর নড়েচড়ে বসেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকা শহরে গড়ে ওঠা অনিরাপদ রেস্তোরাঁগুলোতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে। গতকাল রোববার রাতে উত্তরা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ধানমন্ডি, খিলগাঁও, পুরান ঢাকা, নিউমার্কেটসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না থাকায় কয়েকটি রেস্তোরাঁর মালিক-ম্যানেজারসহ ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান আরও দুদিন চলবে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় নিউমার্কেট, কাঁচাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়েছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, নিউমার্কেট এলাকায় অসংখ্য ক্রেতার সমাগম হয়। কিন্তু দেখা যায়, ফুটপাতে কড়াই রেখে, সিলিন্ডার রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন কিছু ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এ ছাড়া যেসব হকার রাস্তা বন্ধ করে ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা ১২ জনকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপি অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সাত মসজিদ এলাকায় অন্তত ১৫টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, যারা বিপজ্জনকভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রেখে সিঁড়িতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ পর্যন্ত ১৮-১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের আগুন লাগে। ভয়াবহ এই আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬ জন। ভবনটিতে ১৪টি রেস্তোরাঁ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এই রেস্তোরাঁগুলো কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই রান্নার কাজে গ্যাসের সিলিন্ডার ও চুলা ব্যবহার করত। যেগুলো রাখা হতো নিচতলার গেটে ও সিঁড়িতে। রেস্তোরাঁগুলো বিপুল পরিমাণ গ্যাস সিলিন্ডার নিচতলায় মজুত করেছিল। নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে অবহেলা, অসাবধানতা, বেপরোয়া, তাচ্ছিল্যপূর্ণ ও বিপজ্জনকভাবে এই গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলার ব্যবহার করে আসছিল।
০৪ মার্চ, ২০২৪
X