পবিপ্রবিতে চতুর্থ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টায় টানা ৪র্থ দিনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কৃষি অনুষদের সামনে অবস্থা কর্মসূচি পালন করছে।  অপরদিকে একই সময়ে কর্মচারী পরিষদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থা কর্মসূচি পালন করছে। অবস্থান কর্মসূচি পালন না করলেও কর্মবিরতি পালন করছেন পবিপ্রবি কর্মকর্তা পরিষদ।  এ সময় শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের এ সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। স্থবির হয়ে পড়েছে পবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের দাবি জানান। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুন্না বলেন, ‘শিক্ষকদের এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা পেশাকে রক্ষা করার, ভবিষ্যতে যেন ভালো শিক্ষার্থীরা শিক্ষক পেশায় আসতে পারে, বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশকে রক্ষা করার আন্দোলন। সবার জানা উচিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবহেলা করে কোনো জাতি কোনোদিন টেকসই উন্নয়ন সাধন করতে পারে না।’
২১ ঘণ্টা আগে

দ্বিতীয় দিনের সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচিতে অচল পাবিপ্রবি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষররা। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।  অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে এ আন্দোলন করছেন তারা। কর্মবিরতি কারণে প্রথম দিনের ন্যায় আজও  ক্লাস, পরীক্ষা, ল্যাব কার্যক্রম, দাপ্তরিক কাজ ও গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রমসহ সবকিছু বন্ধ রয়েছে।
০২ জুলাই, ২০২৪

সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচিতে অচল যবিপ্রবি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সোমবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। দাবি আদায় না হওয়া সর্বাত্মক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাস, পরীক্ষা বা দাপ্তরিক কার্যক্রম সবকিছুই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। সোমবার যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি ভবনের নিচতলায় শিক্ষকরা অবস্থান করে দাবির পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেন। রোববার (৩০ জুন) যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১লা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের তথ্য জানানো হয়েছিল। এ কর্মসূচির ফলে যবিপ্রবিতে আজ কোনো ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। অনেক শিক্ষার্থীকে বাড়ি চলে যেতে দেখা গেছে। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘমেয়াদে এমন স্থবিরতা চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন। শিক্ষক সমিতির পাশাপাশি কর্মকর্তারা এবং কর্মচারী সমিতিও পেনশন প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে বাদ দেওয়ার দাবিতে আলাদাভাবে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছে।
০১ জুলাই, ২০২৪

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবি পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।  সোমবার (১ জুলাই) জবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে এ কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন তারা।  এ সময় পেনশন স্কিম বাতিলের আন্দোলনকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের আন্দোলন উল্লেখ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, পেনশন স্কিম বাতিলে আমাদের যে আন্দোলন, এটা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্যই। নতুন পেনশন স্কিমে আমাদের বর্তমান শিক্ষকদের কোনো ক্ষতি হবে না, যেসব মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবেন তাদেরই ক্ষতি হবে। আমরা তাদের আর্থিক স্বচ্ছতা ও স্বকীয়তা রক্ষায় আন্দোলন করছি। ড. শেখ মাশরিক হাসান আরও বলেন, আমরা আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। আন্দোলনের ফলে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক কোনো ক্ষতি হলে আমরা পরবর্তীতে রুটিন সমন্বয় করে সে ঘাটতি পুষিয়ে দেব।  কর্মসূচিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লাইফ অ্যান্ড আর্থ-সাইন্স অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, এটা পেনশন না, নামে মাত্র পেনশন । এটা একটি ষড়যন্ত্র। যারা এটা ড্রাফটিং করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। এটা প্রভিডেন্ড ফান্ডের মতই হচ্ছে। এসব পদ্ধতি দেখে মনে হচ্ছে  এটা একটা ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থা। এটা দ্রুত বাতিল করা হোক। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অধ্যাপক ড. হোসেন আরা বেগম, শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মো. মমিন উদ্দীনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির নেতারাসহ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।  এ ছাড়াও এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অ্যাকডেমিক ভবনের সামনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
০১ জুলাই, ২০২৪

পেনশন স্কিম / রাবিতে চলছে শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষকরা। সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে তাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ ঘণ্টা অবস্থান করেন। রাবি শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা যায়, আজ শুরু হওয়া এ কর্মবিরতির কর্মসূচিতে সব বিভাগ/ইনস্টিটিউটের নিয়মিত ব্যাচের পাশাপাশি অনলাইন, সান্ধ্যকালীন, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস ও সব ধরনের লিখিত, মৌখিক ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সব পরীক্ষা বন্ধ থাকবে; বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ থাকবে; অ্যাকাডেমিক ও পরিকল্পনা কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় ও অন্যান্য সভা বন্ধ, ভর্তি পরীক্ষাসহ ডিন অফিসের সব কার্যক্রম বন্ধ ছাড়াও কোনো সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না; দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষক প্রশাসনিক কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না। এ ছাড়াও, শিক্ষকরা ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা সিনেট ভবনের মূল ফটকে অবস্থান করে এই আন্দোলনকে বেগবান করবেন। এ সময় রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষকে জানাতে চাই আমরা রাস্তায় নেমেছি। কর্মবিরতি মানে ঘরে বসে থাকা নয় আমরা রাস্তায় বসেছি। আমাদের আহ্বানে উপাচার্য স্যার একাত্মতা পোষণ করছেন। প্রত্যয় স্কিমের এ দায়িত্ব অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যতীত কেউ নিচ্ছে না। এই মন্ত্রণালয়ে যারা বসে আছেন তারাই কি সব? আমাদের কি স্পেশালিস্ট নেই? আমাদের এর পরিবর্তে নতুন কিছু চিন্তা ভাবনা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আলাদা বেতন কাঠামো উন্নত বিশ্ব সব জায়গায় আছে কিন্তু বাংলাদেশে নেই। পরিশেষে বলতে চাই এটা কোনো আন্দোলন নয় এটা আমাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তিনি আরও বলেন, একটু খেয়াল করলে এখানের বৈষম্য দেখা যাবে। আপনি যদি আজ চাকরিতে জয়েন করেন আপনার বেতন থেকে ৫ হাজার টাকা কাটা হবে। যা আগে যারা জয়েন করেছে তাদের ক্ষেত্রে হবে না। তাহলে আর্থিক ক্ষতিটা কোথায় বোঝা গেল। এ ছাড়াও আজ যিনি পেনশন পান তিনি আমৃত্যু পাবেন তার মৃত্যু হলেও তার স্ত্রী পাবে যেটা তার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। তবে, এই নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সুতরাং আমরা চাই না এই প্রত্যয় স্কিম থাকুক।  কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেন, আমরা দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক তারতম্য থাকে। আপনারা জানেন- উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি ঠিকঠাক মতো না চলে তাহলে জাতির জন্য অশনি সংকেত অপেক্ষা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি মেধাবী শিক্ষার্থী না পায় তাহলে তারা কীভাবে শিক্ষা দান করবে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনতে তাদের এই পেশায় আকর্ষণ করাতে হবে। আর এ আকর্ষণ করতে আর্থিকভাবে সুবিধা প্রদান করতে হবে। আরও যত বেশি সুবিধা দেওয়া যায় সে চেষ্টা করতে হবে।  উল্লেখ্য, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকারের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাংগুয়েজের ইনস্টিটিউটে পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম। এ সময় অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের প্রায় ৫০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
০১ জুলাই, ২০২৪

সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলছে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে আজ সোমবার থেকে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।  রোববার (৩০ জুন) এমন সর্বাত্মক কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, কর্মসূচি চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রম তো নয়ই, অনলাইন মাধ্যমেও পাঠদান ও পরীক্ষা নেওয়া হবে না। বন্ধ থাকবে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম। গ্রন্থাগার খুলবে না, একাডেমিক কোনো সভা হবে না। হবে না সেমিনার, সম্মেলন কিংবা কর্মশালা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনের মূল ফটকে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন ফেডারেশনের নেতারা। প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি চলাকালীন পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডাকে ফেডারেশন। কলা ভবনের মূল ফটকে ফেডারেশনের সঙ্গে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি কর্মবিরতি পালন করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। তাদের আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো—প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল। কর্মসূচির বিষয়ে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে। কিন্তু এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাস্তবায়ন করা হলে যারা আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে আগ্রহী, তারাও ভুক্তভোগী হবেন। কাজেই এ আন্দোলন আগামী দিনের তরুণ সমাজের স্বার্থরক্ষার পক্ষে এবং উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্তের বিরুদ্ধে। এখনো আশা করি, সরকার অনতিবিলম্বে এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন। অন্যথায় ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে। দেশের ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করা হবে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে। একযোগে তারাও এ কর্মসূচি পালন করবেন। ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া গতকাল কালবেলাকে বলেন, ১ জুলাই (সোমবার) থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনিক ভবনের কাজও বন্ধ থাকবে, বন্ধ থাকবে গ্রন্থাগারও। এক কথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাইনি। সে কারণে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য সেবক নামে আরেকটি স্কিম আসছে। প্রত্যয় স্কিম বাদ দিয়ে সেবক স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু একটি পক্ষ সেটি না করে শিক্ষকদের মাঠে নামাচ্ছে। তবু প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব হওয়ায় আশা করছি, দ্রুত ইতিবাচক সাড়া পাব। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি মো. আখতারুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন। রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় সংগঠনের সভাপতি মীর মো. মোর্শেদুর রহমান এবং মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম মিয়াসহ কর্মকর্তারা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে, সংবাদ সম্মেলন করে ৯টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সব ক্লাস বন্ধ থাকবে, অনলাইন-সন্ধ্যাকালীন ক্লাস ও শুক্র-শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে, সব পরীক্ষা বর্জন করা হবে, বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগীয় অফিস-সেমিনার-কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন, একাডেমিক কমিটি-সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি ও প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে না, অনুষদের ডিনরা তাদের কার্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন, নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে না, কোনো বাছাই বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা ইনস্টিটিউটের কার্যালয়, ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখবেন, সন্ধ্যাকালীন, শুক্র ও শনিবারের ক্লাস বন্ধ থাকবে, বিভিন্ন গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালকরা কোনো সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষরা প্রাধ্যক্ষ কার্যালয় বন্ধ রাখবেন এবং প্রধান গ্রন্থাগারিক কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বন্ধ রাখবেন। এ সময় জিনাত হুদা বলেন, বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিমকে শিক্ষক সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে। ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এটি আমাদের অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের দিন। কিন্তু শিক্ষকদের ওপর প্রত্যয় স্কিম চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কোনো কর্মসূচিতে শিক্ষকরা যাবেন না। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, কারিগরি কর্মচারী ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছে। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তারা প্রতিবাদ সমাবেশও করেছে। সোমবার থেকে শিক্ষকদের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদও অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এটিকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে সরব হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিছু কর্মসূচি পালনের পর ৪ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এর পরও দাবির বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত সপ্তাহে টানা তিন দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রত্যয় স্কিমের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটেও শিক্ষক নেতারা জোরালো বক্তব্য দেন। এতদিন কর্মবিরতি পালিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষাগুলো এর আওতার বাইরে ছিল। কিন্তু সোমবার থেকে যে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হচ্ছে, সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ দাপ্তরিক সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন শিক্ষকরা। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
০১ জুলাই, ২০২৪

কাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি
গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পেনশন (প্রত্যয় স্কিম) সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মাঝে এবার দেশব্যাপী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকেই এই কর্মবিরতি শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।  শিক্ষকদের এই সংগঠনটি জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।  এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে। গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, প্রতীকী কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচি মতো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হয় এবং আজ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।  এতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত প্রত্যয় স্কিম বাস্তবায়ন করা হলে বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, যাঁরা আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় আসতে আগ্রহী, তারাও এর ভুক্তভোগী হবেন। কাজেই আমাদের এ আন্দোলন আগামী দিনের তরুণ সমাজের স্বার্থরক্ষার পক্ষে এবং উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন। আমরা এখনো আশা করি, সরকার অনতিবিলম্বে এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন যাতে আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে পারি। অন্যথায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।
৩০ জুন, ২০২৪
X