রোদ-বৃষ্টিতে পচে নষ্ট মূল্যবান সরকারি গাছ
বন বিভাগের উদাসীনতাসহ সংরক্ষণের অভাবে দিনাজপুর জেলা পরিষদের ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে স্তূপাকারে পড়ে থাকা মূল্যবান বিভিন্ন গাছের গোলাই রোদ-বৃষ্টি ভিজে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। জানা যায়, কয়েক বছর ধরে মূল্যবান গাছের গোলাইগুলো ডাকবাংলা চত্বরে ছিটিয়ে ছড়িয়ে পড়ে থাকালেও জেলা পরিষদ থেকে গাছের গোলাইগুলো সংরক্ষণের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে পচে ৯৫ ভাগই গোলাইগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। অথচ গাছগুলো দরপত্রের (টেন্ডার) মাধ্যমে বিক্রি করা হলে সরকার বিপুল অঙ্কের অর্থ রাজস্ব পেতো। কিন্তু সেটি করা হয়নি। দিনাজপুর জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদের ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে কর্তনকৃত সংরক্ষিত ভূত কড়াই গাছের ১৩ খণ্ড, আকাশমির ৩ খণ্ড, অর্জুন ১৩ খণ্ড, কড়াই ১ খণ্ড, শিশু ৯ খণ্ড ও চম্পা গাছের ১ খণ্ড গোলাই গাছের মূল্য নির্ধারণসহ মতামত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর তারিখে ১৪১৫নং স্মারকে জেলা পরিষদ থেকে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দিনাজপুরকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে ওইসব কাঠের মূল্য নির্ধারণসহ মতামত প্রতিবেদন জরুরি ভিত্তিতে জেলা পরিষদ দিনাজপুর এর কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলেও আজও সেই চিঠির উত্তর পায়নি জেলা পরিষদ। ফলে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে পুনরায় চিঠি দিয়েছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। সরেজমিনের ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে দিয়ে দেখা যায়, ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ে জেলা পরিষদের রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনার গাছগুলো কর্তন করে গাছের গোলাইগুলো জেলা পরিষদের ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে খোলা আকাশের নিচে ছিটিয়ে ছড়িয়ে রাখা হয়। জেলা পরিষদ থেকে এসব গাছের গোলাই সংরক্ষণের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে বছরজুড়ে গাছের গোলাইগুলোর ওপর দিয়ে রোদ-বৃষ্টি বয়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই গোলাইগুলোর ৯৫ ভাগই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সরকার রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকলে সরকার রাজস্ব বিপুল অংকের অর্থ রাজস্ব পেত। স্থানীয় কয়েকজন কাঠ ব্যবসায়ী ও স’মিল মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে পড়ে থাকা মূল্যবান গাছের গোলাইগুলো এখন মূল্যহীন হয়ে গেছে। পড়ে থাকা গোলাইগুলো জ্বালানি খড়ি ছাড়া অন্য কিছুই হবে না। এগুলো কেনার জন্য ক্রেতা পাওয়াও কঠিন হবে। ফুলবাড়ী ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার ইস্রাফিল হোসেন বলেন, তিন বছর আগে জেলা পরিষদের বিভিন্ন রাস্তা ও স্থাপনায় থাকা আকাশমনি, শিশু, মেহগনি, আম, ইউক্যালিপটাস, ভুত কড়াইসহ বিভিন্ন গাছ কর্তন করে গাছের গোলাইগুরো ডাকবাংলো চত্বরে রাখা হয়েছে। শুনেছেন গাছের গোলাইগুলো টেন্ডার দিয়ে বিক্রি করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত সেটি হয়নি বলেই সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জেলা পরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, বন বিভাগ থেকে গাছের মূল্য নির্ধারণ না হলে জেলা পরিষদ সেগুলো বিক্রি করতে পারে না। বন বিভাগের জন্যই এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, জেলা পরিষদ থেকে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর তারিখের ১৪১৫ স্মারকের পাঠানো কোনো চিঠি দপ্তরে পাওয়া যায়নি। তবে গত ২ জুলাই তারিখে পাঠানো একটি চিঠি পাওয়া গেছে, সেটির বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ফুলবাড়ী ডাকবাংলো চত্বরে সংরক্ষিত গাছের গোলাইগুলোর মূল্য নির্ধারণসহ মতামত প্রতিবেদনের জন্য দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর তারিখে ১৪১৫নং স্মারকে চিঠি দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত সেই চিঠির কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি বলেই গাছের গোলাইগুলো বিক্রির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। তবে গত ২ জুলাই জেপদি/এক-০৭ (বিরামপুর)/২০২৪-২৫/৫১৯ নং স্মারকে গাছের গোলাইয়ের মূল্য নির্ধারণসহ মতামত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দিনাজপর বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে পুনরায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে গাছের মূল্যনির্ধারণসহ মতামত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে গাছগুলো বিক্রির বিষয়ে আগামীতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
০৫ জুলাই, ২০২৪

সরকারি গাছ কেটে নিলেন যুবলীগ নেতা
বগুড়ার আদমদীঘিতে সড়কের পাশে লাগানো সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে মো. টুকু নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে বিহিগ্রাম-বন্তইর সড়ক থেকে অনুমোদন ছাড়াই গাছটি কাটেন তিনি। মো. টুকু উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসম্পাদক।  জানা গেছে, উপজেলার বিহিগ্রাম বাজার থেকে বন্তইর গ্রামের সড়কের দুপাশে তিন কিলোমিটারজুড়ে বনবিভাগের আওতায় স্থানীয় উপকারভোগীদের মাধ্যমে তিন হাজার শিশু ও ইউক্যালিপটাসসহ নানা ধরনের গাছ রোপণ করা হয়। তারা এসব গাছগুলো দেখাশোনা করতেন।  বেশ কিছুদিন আগে দরপত্রের মাধ্যমে কিছু গাছ কেটে বিক্রি করা হয়। এরপর থেকে নানা অজুহাতে স্থানীয়রা গাছগুলো কাটতে শুরু করেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসম্পাদক টুকু একটি বড় ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেলেন।  চাঁপাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসম্পাদক টুকু বলেন, যে গাছটি কেটেছি ওটা আমার শ্বশুড়ের জমির সঙ্গে লাগানো। বাড়ির কাজের জন্য গাছটি কাটা হয়েছে। আমি একা নই, অনেক মানুষই এরকম গাছ কাটেন।  দুপচাঁচিয়া বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, গাছকাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের লোক পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। গাছকাটার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে থানায় মামলা করা হবে।  আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আফরোজ কালবেলাকে বলেন, গাছগুলো কোন বিভাগের সেটি জেনে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানাতে হবে। তারাই এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩০ জুন, ২০২৪

দিনদুপুরে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় কাটা হচ্ছে সরকারি গাছ
শতবর্ষী গাছও ছাড় পাচ্ছে না প্রভাবশালীদের হাত থেকে। অবাধে ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক এসব শতবর্ষী সরকারি গাছ কাটছে একদল চোর। সাধারণ মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে সরকারি জায়গার এসব গাছ কেটে বিক্রি করছে চক্রটি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদদে চোরেরা দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কালিছলি এলাকায় সরকারি জমি থেকে অবৈধভাবে বিশাল একটি গর্জন গাছ কেটে ফেলে চোর চক্র। কৌশলে গাছটি সরাতে কয়েকটি টুকরো করে তারা। এভাবে কয়েক খণ্ড সরাতে পারলেও শেষ খণ্ড সরাতে গিয়ে ধরা পরে চক্রটি। পাচারের সময় বনবিট কর্মকর্তারা গাছসহ একটি ট্রাক আটক করে।  রাজকান্দি রেঞ্জের কামারছড়ার বনবিট কর্মকর্তারা উপজেলার শমশেরনগর-ভানুগাছ সড়কের হালিমা বাজার এলাকা থেকে গাছের খণ্ডাংশটি পাচারের সময় দুজনকে আটক করে।  আটককৃতরা হলেন- কমলগঞ্জ পৌরসভা এলাকার ইলিয়াস মিয়ার ছেলে মো. জলিল মিয়া ও মনর মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন। পরে তাদের শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কমলেন্দু ভট্টাচার্য্য বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার রইছ আল রেজুয়ান। গাছ চুরির বিষয়ে কমলগঞ্জ বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন কালবেলা প্রতিনিধি। ঊধ্বর্তন কর্মকর্তার দোহাই দিয়ে ক্যামেরার সামনে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি। এদিকে গাছ চুরির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান কমলগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল আলম। দুর্বৃত্তরা সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে গাছ কাটতে যেন না পারে সেজন্য কিছুদিন পরপর বন কর্মকর্তাদের অভিযান চললেও কাউকে তোয়াক্কা করেন না প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এভাবেই দিন কিংবা রাতের আঁধারে কেটে নিচ্ছেন বনের শতবর্ষী পুরোনো গাছ। এভাবেই সরকারি জমির শতবর্ষী গাছগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে। তবে এর আগে গাছ কাটা হলেও অদৃশ্য শক্তির কারণে কিছুই হয়নি চোরচক্রের।
০৪ জুন, ২০২৪

সরকারি গাছ কেটে মামলা খেলেন বিএনপি নেতা!
বগুড়ার গাবতলীতে সড়কের পাশের সরকারি ১০টি ফলজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগে বিএনপি নেতা আহম্মেদ সুমন ও তার চাচার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।  রোববার (১২ মে) মধ্যরাতে গাবতলী মডেল থানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অফিসের নায়েব আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ওই বিএনপি নেতা ও তার চাচার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।  মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে গত সোমবার (১৩ মে) পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।  আহম্মেদ সুমন গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নেপালতলী ইউনিয়নের শাহাবাজপুর কালুডাঙ্গা গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে। তিনি দুর্বা গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় নিজের পরিচয় দিয়ে থাকেন। এরআগে শনিবার দুপুরে প্রায় শতাধিক লোকজন নিয়ে উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের শাহাবাজপুর কালুডাঙ্গা গ্রামে বুরুজ ভিটাপাড়া সড়কের ধারে ১০টি গাছ কেটে ফেলেন সুমন।  গ্রামবাসীরা বলছেন, দূর থেকে ওই নেতার হেলিপ্যাডসহ বিলাসবহুল বহুতল বাড়ির আলোকসজ্জা দেখা যায় না। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল নিয়ে সুমনের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছিল গাছগুলো। এজন্য দলবল নিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলেছেন তিনি। গাছ কাটতে বাধা দিতে গেলে গ্রামবাসীদের হেনস্তাও করা হয়। গাবতলী পৌর এলাকা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটর দূরে শাহাবাজপুর কালুডাঙ্গা গ্রামে বুরুজ ভিটাপাড়া সড়ক। প্রায় ২০ বছর আগে ওই সড়কে নিজ বাড়ির সামনে স্কুল শিক্ষক আব্দুর রহমান প্রামানিক ১০টি ফলজ গাছ রোপণ করেছিলেন। বছর পাঁচেক আগে গাছগুলো রেখেই বিএনপি নেতা সুমনের বাড়ি পর্যন্ত পাকা সড়ক নির্মাণ করে দেয় এলজিইডি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালুডাঙ্গা গ্রামে বুরুজ ভিটাপাড়ায় আট ফিট পাকা সড়কের ধারে ১০টি ফলজ গাছ কেটে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে আম, বেল, চালতা ও জলপাই গাছ আছে। পাঁচটি গাছে অসংখ্য আম ধরেছিল।  স্কুল শিক্ষক আব্দুর রহমান জানান, গেলো বেশ কিছুদিন ধরেই গাছগুলো কেটে ফেলতে নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছিলো সুমন। শনিবার দুপুরে বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলে রেখে চলে যান তিনি। আব্দুর রহমান বলেন, গাছগুলো আমি লাগিয়েছিলাম ঠিকই তবে গাছের ফল গ্রামের সবাই যার যার ইচ্ছে মতো নিয়ে যায়। সড়কের পাশে গাছ হওয়ায় সবাই সুবিধা পেতো। জানতে চাইলে বিএনপি নেতা আহম্মেদ সুমন বলেন, গ্রামের ওই সড়কটি আমার বাবা হারুনুর রশিদ মাস্টারের নামে করা। পরিচিতদের মাধ্যমে গ্রামের ওই সড়কটির বরাদ্দও আমি এনেছিলাম। সম্প্রতি আবারও সড়কটি সংস্কার ও প্রসস্ত করতে একটি বরাদ্দ এসেছে। তাই সড়ক সংস্কারের জন্য গ্রামবাসীরা গাছগুলো কেটেছেন। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম।  তিনি আরও বলেন, আমার ও চাচার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে শুনেছি। এখন আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করা হবে।  গাবতলী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, গাছগুলো যেহেতু সড়কের ধারে ছিল তাই এর মালিকানাও সরকারের। এজন্য ইউএনও অফিসের নায়েব বাদী হয়ে মামলা করেছেন। গাছগুলো সেখানে ইউপি সদস্যর জিম্মায় রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৪ মে, ২০২৪

সরকারি গাছ বিক্রি করলেন শিক্ষক!
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে টিএনটি (বিটিসিএল) ভবনের সামনের কয়েক লাখ টাকা মূল্যের ১০টি গাছ কর্তৃপক্ষের কোনো রকমের অনুমতি ছাড়াই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের হাজী আব্দুল হেকিম ভূঁইয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আকছির মিয়া এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের টিএনটির (বিএটিসিএল) পরিত্যক্ত পুরাতন ভবনের সামনের ১টি কদম ও ৯টি আকাশমনি জাতের বড় আকৃতির গাছ মো. আকছির মিয়া স্থানীয় মুসা মিয়ার কাছে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। পরে মুসা গাছগুলো বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী মো. আসাদুজ্জামান ওরফে হুমায়ুন মিয়ার কাছে বিক্রি করে।  সরেজমিনে দেখা যায়, টিএন্ডটি ভবনের সামনে সদ্য কাটা গাছগুলোর গোড়া পড়ে রয়েছে। এ ছাড়াও স্থানীয় বাজারের একটি করাতমিলের সামনে গাছগুলো কেটে মজুদ করে রাখা হয়েছে।  এ বিষয়ে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মুসা মিয়া হাজী আব্দুল হেকিম ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আকছির মিয়ার কাছ থেকে গাছগুলো ক্রয় করে। পরে আমি তার কাছ থেকে কিনে নেই। কাকাইলছেও টিএনটির (বিএটিসিএল) পরিত্যক্ত ভবনে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী হেলেনা আক্তার জানান, প্রায় ১০ দিন আগে মুসা মিয়া নামের এক ব্যক্তি এ গাছগুলো কেটে নিয়ে যান।  এ বিষয়ে মুসা মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুটোফোনে একাধিকবার কল দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।   আর হাজী আব্দুল হেকিম ভূঁইয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মো. আকছির মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গাছ বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।  হবিগঞ্জ জেলা বিটিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক শিরীষ চন্দ্র দাস বলেন, আকছির মিয়া নামে এক শিক্ষক ওই গাছগুলো বিক্রি করেছেন বলে আমাদের স্থানীয় দপ্তর কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। ঈদের ছুটির পর এ বিষয়ে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে আজমিরীগঞ্জ থানাকে জানানো হবে।  এদিকে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনোরকম দরপত্র আহ্বান না করেই স্থানীয় এক ব্যক্তির নিকট গাছগুলো বিক্রি করে দেওয়ায় এলাকার সচেতন মহলের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

সরকারি গাছ কেটে সাবাড় করলেন মেম্বার
ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গায় সরকারি খাল পাড়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের পাকুড়িয়ায় প্রধান সড়কের পাশে সরকারি খাল। এর উত্তর-পশ্চিম পাশে খাল পাড়ে অবস্থিত দুটি বড় রেন্ট্রি গাছ অবৈধভাবে ক্ষমতার জোরে স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার মিটু মোল্যা লেবার দিয়ে কাটাচ্ছিলেন। গাছের বাজার মূল্য আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা। এই গাছ দুটি কাটার জন্য খালের পাড় ধ্বসে যাবার সম্ভাবনা আছে। সরকারি খাল পাড়ের গাছ কাটার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে মিটু মোল্যা কালবেলাকে বলেন, আমি আমার রেকর্ডিয় সম্পত্তির গাছ কাটাচ্ছি। এখানে কারও কিছু বলার নেই। অনুমতি নেওয়ারও কিছু নেই। কিছু শুনতে হলে আমার ভাই সৈয়দ বাশার তার থেকে শুনে নিবেন। খালও আমার রেকর্ডিয় সম্পত্তির মধ্যে দিয়ে কাটা হয়েছে। বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু কালবেলাকে বলেন, বিষয়টা আমি জানি না। তবে সরকারি জায়গায় এই খাল। ওয়াপদার জায়গা থেকে কারও এভাবে গাছ কাটার সুযোগ নেই। আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল কালবেলাকে ফোনে জানান, গাছ কাটার খবর আমি পেয়েছি। সহকারী ভূমি কমিশনারকে আমি বিষয়টি অবগত করেছি, জায়গাটা সরকারি না মালিকানা সেটা মেপে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১২ জানুয়ারি, ২০২৪

হাতীবান্ধায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় রাস্তার শতবর্ষী সরকারি কড়াইগাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে গাছ ব্যবসায়ী রেয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার উপজেলার টংভাঙ্গা ইউপির টিঅ্যান্ডটি পাড়া এলাকা থেকে গাছগুলো কাটা হয়। অভিযুক্ত রেয়াজ উদ্দিন উপজেলার বাড়াই পাড়ার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় করাত মিল ব্যবসায়ী। জানা গেছে, টিঅ্যান্ডটি পাড়ায় অবস্থিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ড্রাইভার হাবিবের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার শতবর্ষী কয়েকটি গাছ কাটেন রেয়াজ উদ্দিন। পরে স্থানীয়রা বাধা দিলে গাছ রেখে পালিয়ে যান রেয়াজ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেয়াজ উদ্দিন বলেন, গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ তাই কেটে নিতে বলেন বাড়ির মালিক হাবিব। জীবিত ও সরকারি গাছ কাটার অনুমতি কোথায় পেলেন—এমন প্রশ্ন করা হলে, ফোনটি কেটে দেন রেয়াজ উদ্দিন। এ বিষয়ে টংভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটু বাইরে কাজে ব্যস্ত আছি। এ নিয়ে পরে কথা হবে।
২৬ নভেম্বর, ২০২৩

পৌর কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ
ভোলার দৌলতখানে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। তিনি সরকারি জমি ও কালভার্ট দখল করে ভবন নির্মাণ করেন। অভিযুক্ত মামুন পৌরসভার পানি সরবরাহের বিল ক্লার্কের দায়িত্বে রয়েছেন। পরে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাঠান মো. সাইদুজ্জামানের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাছটি জব্দ করেন। দৌলতখান বাংলাবাজার সড়কের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে একটি সরকারি গাছ কোনো অনুমতি ছাড়া কেটে নিয়ে সরকারি জমি ও কালভার্ট দখল করে ভবন নির্মাণ করেন বলে স্থানীয়রা জানান। তারা জানান, পৌরসভার মামুন তার নির্মাণাধীন ফাঁকা ভবনের সামনে থেকে গাছটি কেটে নিয়ে যায়। তবে অভিযুক্ত মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।  দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাঠান মো. সাইদুজ্জামান বলেন, গাছ জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৩
X