দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিলেন সরকারি কর্মকর্তা
দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জ প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) ইনস্ট্রাক্টর রবিউল আউয়ালের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাবে স্বামীর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী পাপিয়া আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে পাপিয়া আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমরা ভালোবেসে ২০১৭ সালে বিয়ে করেছি। বিয়ের ১০ মাস পর স্বামীর চাকরি হয় পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর পদে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে আমাদের এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। তিনি প্রথমে ফেনীতে যোগদান করেন। ২০২০ সালে ফুলগাজী পশ্চিম বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা আক্তারের সঙ্গে এক ঘটনার পর তাকে পটিয়াতে বদলি করা হয়। তিনি বলেন, পটিয়াতে যাওয়ার পর ওই নারী শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যায়। এ সম্পর্ক জানার পর তাকে সংশোধনের চেষ্টা করলে সে আমার ওপর অত্যাচার শুরু করে। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করা হয়। ওই নারীর কাছ থেকে একটি মুচলেকা নেওয়া হয় যাতে আর কোনো সম্পর্কে না জড়ান।  রবিউল আউয়ালের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী ও ওই নারীর মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর থেকে সে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতির জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে। ২০২২ সালের ২০ আগস্ট দ্বিতীয় বিয়ের জন্য একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও করতে বলে। স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর না দেওয়ার কারণে নির্যাতনের মাত্র আরও বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।  তিনি আরও বলেন, এরপর ২০২৩ সালে জুলাই মাসে স্বামীকে মানিকগঞ্জ পিটিআইতে বদলি করা হয়। এখানে আসার পর থেকে আমার ওপর নির্যাতনের মাত্র আরও বাড়িয়ে দেন। তারপর ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আমাকে তালাক দেন তিনি। এ ঘটনায় আমি মানিকগঞ্জ সদর থানায় নারী নির্যাতনের একটি অভিযোগ দেই। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় আমাদের পুনরায় বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ে হলেও আমার স্বামী গোপনে ওই নারীকে নিয়ে ঢাকায় হোটেলে রাত্রীযাপন করেন। সেই সঙ্গে ওই নারীকে গোপনে বিয়ে করেছেন।  পাপিয়া আক্তার বলেন, এখন দ্বিতীয় বিয়ে অনুমতি না দিলে তার চাকরি চলে যাবে। এর জন্য সে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চাচ্ছে। দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় গত মাস থেকে তিনি সন্তান ও আমার কোনো ভরণপোষণ দিচ্ছেন না। বাবার বাড়িতে যাওয়ায় মানিকগঞ্জের ভাড়াটিয়া বাসায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি স্বামীকে সংশোধন করার জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে সংশোধন হয়নি। সে একজন নারী লোভী নরপশু। পিটিআইতে চাকরি করার কারণে অনেক শিক্ষিকার সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। এখন আমার একটাই দাবি, আমার সন্তান যেন তার বাবা ও পরিবার না হারায়। এ ব্যাপারে পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর রবিউল আওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কালবেলাকে তিনি বলেন, পাপিয়া আক্তার এখন আমার স্ত্রী নয়। সে অবাধ্য হওয়ার কারণে গত মাসে তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ার কারণে তালাক দিয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন আর দ্বিতীয় বিয়ের প্রয়োজন নেই।  তিনি বলেন, পাপিয়া একজন সন্দেহপ্রবণ নারী। সে অফিসে এসে আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। এ ধরনের মানুষের সঙ্গে সংসার করা যায় না। তবে তিনি ওই নারীকে বিয়ে করেননি বলে দাবি করেছেন।
০৩ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / সিরাজগঞ্জে প্রচারে সরকারি কর্মকর্তা
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নামার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার মেছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাত আলী মুন্সীর নির্বাচনী সভায় তিনি বক্তব্য দেন। সেইসঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটও চান। উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ মোতাবেক সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার বা নির্বাচনী কার্যক্রম করতে পারবেন না। তবে এলাকার ভোটার হলে ভোট দিতে পারবেন। এ বিষয়ে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি মেছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। নৌকা প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারে। নির্বাচনের প্রচারে কোনো আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে না। সিরাজগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী এলাকায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোট চাওয়াসহ প্রার্থীর পক্ষে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না। কেউ এমনটা করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

মেহেরপুরে শোকজের জবাব দিলেন সরকারি কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান
মেহেরপুরে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে করা শোকজের উত্তর দিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস এবং ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা। আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা এবং দুপুর ১২টার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধানী কমিটিতে হাজির হন। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেনের কাছে তারা শোকজের উত্তর দেন।  নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শোকজে উল্লেখিত ভোট চওয়ার ঘটনাটি ডা. অলোক কুমার দাস অস্বীকার করেছেন। ‘প্রফেসর আব্দুল মান্নানকে’ ভারতের দালাল বলেছেন এ কথাটাও তিনি অস্বীকার করেছেন। প্রফেসর মান্নানের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী এ সময় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণাদি দাখিল করেন।  অপরদিকে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের খাস কামরায় নৌকার পক্ষে ভোট করার গোপন সভার বিষয়টি অস্বীকার করেন। একই সঙ্গে তার কথা বলার ক্ষেত্রে কোনো ভুল থাকলে সেজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ডা. অলোক কুমার দাসের উত্তর এবং প্রফেসর মান্নানের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মিয়াজন আলীর প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে সেগুলো নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। ইউপি চেয়ারম্যান সেলিমের জবাবের সপক্ষে দাখিল করা সিসিটিভি ফুটেজের অংশটি কম্পিউটারের মনিটর থেকে মোবাইল ফোনে ধারণ করা। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি সরজমিনে সেখানে সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজটি দেখার পর নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠাবে।  গত ২৭ ডিসেম্বর (বুধবার) নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ না করায় একজন নারী মেম্বারকে লাঞ্ছিত করার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজাকে শোকজ করে। অপরদিকে সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন, নৌকার প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানকে ভারতের দালাল বলার লিখিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ডা. অলোক কুমার দাসকে শোকজ করা হয়।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিক বিয়ে, কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ভুয়া সরকারি কর্মকর্তা
রাজবাড়ীতে সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে মানবপাচার, ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি. এম. আবুল কালাম আজাদ জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম শাহরিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল (৩৫)। তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে নাটোরের লালপুর উপজেলার হাজী মার্কেট এলাকা থেকে পুলিশ ও র‍্যাব-৫ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সুপার জানান, আসামি শাহারিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল তার পরিচয় গোপন করে সরকারি চাকরিজীবী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জেলার নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিয়ে করতো। এ পর্যন্ত সে ৬ টি বিয়ে করেছে। পরে তার শশুর বাড়ির আত্মীয় স্বজনদের সরকারি চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতো।  আসামি নিজেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সরকারি অডিট অফিসার রাজবাড়ী, ফরিদপুর, যশোর, পাবনা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন উপজেলার সরকারি অফিসের দায়িত্বে আছে বলে পরিচয় দিয়ে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আশা (১৭) নামের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে আসামি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণামূলক বিয়ে করে ধর্ষণ করে এবং গত ২৭ আগস্ট তাকে ফরিদপুরে যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টা করে। সেই সাথে ভিকটিমের বাড়ি থেকে নগদ ৮ লাখ টাকা ও ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যে স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায়। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.ইফতেখারুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, ডিআইও-১ বিপ্লব দত্ত চৌধুরী সহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

পতাকা অবমাননা নিয়ে সংঘর্ষ, শ্রমিকদের হামলায় দুই সরকারি কর্মকর্তা আহত
লক্ষ্মীপুরে বিজয় দিবসে পতাকার অবমানার প্রতিবাদ করায় ওমর ফারুক ও আরিফুর রহমান নামে দুই তহশিলদারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হোটেল শ্রমিকদের এ হামলায় আহত দুই সরকারি কর্মকর্তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় মোহাম্মদীয়া নাম হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা হোটেল বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৮ হোটেল কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। সদর থানার উপপরিদর্শক ওলি উল্ল্যাহ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহত ওমর ফারুক উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের তহশিলদার এবং আরিফুর রহমান রায়পুর উপজেলার চর বংশী ইউনিয়ন পরিষদের তহশিলদার। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিজয়ী দিবস উপলক্ষে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উত্তর তেমুহনী এলাকায় মোহাম্মদীয়া হোটেল কর্তৃপক্ষ বিকৃতভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। এ সময় ওই হোটেলে খাবার খেতে এসে পতাকার অবমানার প্রতিবাদ করেন তহশিলদার ফারুক। এ নিয়ে হোটেলের ম্যানেজার রাকিবের সঙ্গে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ফারুক। একপর্যায়ে রাকিবের গায়ে হাত তুলেন তিনি। এতে হোটেলের শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ফারুককে বাঁচাতে গেলে আরেক তহশিলদার আরিফুর রহমানও হামলার শিকার হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই হোটেলের ৮ কর্মচারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।  লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাম আরিফুর রহমান জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি ফৌজদারি অপরাধ। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা নিতে সদর থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

১৪১ জন সাবেক আমলার বিবৃতি / দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের আহ্বান
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৪১ জন বুধবার এক বিবৃতিতে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল বাতিল ও বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তি প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে একটি দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ খুঁজে বের করার জন্য তারা ঘোষিত তফসিল বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তারা অবিলম্বে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে একটি সুস্থ ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, দেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের দাবি উপেক্ষা করে সরকারি দল তথা আওয়ামী লীগের পরামর্শ ও নির্দেশনা মোতাবেক আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে দেশ ও জাতিকে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের একতরফা নির্বাচন আয়োজনে সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে তারা মনে করেন। সাবেক এই কর্মকর্তাগণ বলেন, সরকার জনআকাংক্ষা, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের দাবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, এমিকাস কিউরিদের বিশেষজ্ঞ মতামত, এমনকি নিজ দলের সংসদীয় কমিটির মূল সুপারিশ উপেক্ষা করে ১৯৯৬ সালে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে মীমাংসিত ও নন্দিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ২০১১ সনে বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ সৃষ্টি করে। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের পর ২০১৪ ও ২০১৮ সনে অনুষ্ঠিত ২ টি নির্বাচনে জনগণ আর ভোট দিতে পারেনি। বিশেষ করে ২০০৮ এর পর নতুনভাবে ভোটার হওয়া কোটি কোটি যুবক ভোটার এ পর্যন্ত একবারের জন্যও ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে নজিরবিহীনভাবে ১৫৩ জন সংসদ সদস্যকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করিয়ে নেওয়া হয়। আলোচনার মাধ্যমে সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেও ২০১৮ সনের নির্বাচনটি প্রহসনে পরিণত হয়। নির্বাচনের আগের দিন মধ্যরাতে ভোট হয়ে যাওয়ার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ ওঠে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে। তারা বলেন- দেখা যায় বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরাই বিজয়ী হয়েছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সরকার পরিবর্তিত হয়েছে। সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়েই আদালতের রায়ের অজুহাত দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বর্তমান সংকটের সৃষ্টি করেছে। দেশের বর্তমান সংবিধান এবং রুলস অব বিজনেস অনুসারে প্রধানমন্ত্রী সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যিনি একাধারে দলীয় প্রধান, সরকারের নির্বাহী প্রধান এবং সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান। সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন সরাসরি তাঁর নিয়ন্ত্রণে। এমনকি নির্বাচন কমিশনসহ কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগেও তাঁর পছন্দের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে দলীয় সরকারের ইচ্ছামত ঢেলে সাজানো হয়েছে। এমন বাস্তবতায় দেশের জনগণ, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের প্রত্যাশিত অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে সম্ভব নয়। সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তারা বিবৃতিতে আরও বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ এর ন্যায় আরও একটি একতরফা প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একের পর এক বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। ২৮ অক্টোবর পরবর্তী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গায়েবী মামলা দায়ের এবং নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। মৃত, গুম, বিদেশে অবস্থানরত, ইতোপূর্বে গ্রেফতার হয়ে কারান্তরীণ ব্যক্তিদেরও নতুন মিথ্যা মামলায় আসামী করা হচ্ছে। এমনকি মৃত ও গুমের শিকার অনেক নেতাকর্মীদের সাজানো মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। আইন বহির্ভূতভাবে পিতার পরিবর্তে পুত্রকে, পুত্রের পরিবর্তে পিতাকে, ভাইয়ের বদলে অন্য ভাই বা আত্মীয়-স্বজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আরও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে রাতের অন্ধকারে মুখোশধারী এবং হেলমেট বাহিনী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে বিরোধী দলের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করে চলেছে সরকার। তারা বলেন, রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের প্রস্তাবও নাকচ করে দিয়েছে সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন সরকারের একতরফা নির্বাচনে সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে আমরা মনে করি। সাবেক আমলারা বলেন, এদেশের ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে সংবিধানের বাইরে গিয়েও বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব। কারণ নিকট অতীতে অর্থাৎ ১৯৯১ সাল এবং ২০০৮ সালে সংবিধানের বাইরে যেয়ে এ কাজটি করার নজির রয়েছে। ১৯৯১ সালে ঘটনাত্তোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সে সময় ‘ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি’ প্রয়োগ করে সংবিধানের বাইরে গিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি পদে আসীন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর তাঁকে পুনরায় প্রধান বিচারপতি পদে ফেরৎ যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় যা পরবর্তী সংসদে ঘটনাত্তোর অনুমোদন এর মাধ্যমে সংবিধানসম্মত করা হয়। ২০০৭-০৮ সালের সেনা সমর্থিত জরুরী সরকার ৯০ দিনের স্থলে সংবিধানের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত প্রায় ২ বছরকাল ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন পরিচালনা করেন। উক্ত অতিরিক্ত মেয়াদকালকে সংবিধান (ত্রয়োদশ সংশোধন) আইন, ১৯৯৬ বাতিল করে প্রদত্ত রায়ে/আদেশে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক মার্জনা করা হয়। রায়ে বলা হয়, ২০০৭ সালের দ্বিতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ৯০ দিন মেয়াদ পরবর্তী অতিরিক্ত প্রায় দুই বছরের সময়কাল প্রশ্নবিদ্ধ বিধায় ওই অতিরিক্ত সময়কালের কার্যাবলী মার্জনা করা হইলো। মোদ্দা কথা রাজনৈতিক সমঝোতা হলে প্রয়োজনে ‘ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি’ প্রয়োগ করে যেকোনো প্রতিবন্ধকতাই সফলভাবে কাটিয়ে উঠা সম্ভব। ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল মামলার রায়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করলেও আদালত বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় উল্লেখ করে বিচারপতিদের সম্পৃক্ত না করে পরবর্তী ২ টি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় অনুষ্ঠানের পক্ষে রায় প্রদান করেন, যা সরকার সচেতনভাবে অমান্য করে। তারা বলেন, আরও একটি বিতর্কিত ও একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আরও ঘণীভূত হবে। দেশের ও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগকে উপেক্ষা করে আরও একটি একতরফা প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে অগ্রসর হলে এর সকল দায়-দায়িত্ব মূলত সরকারকে বহন করতে হবে বলে আমরা মনে করি। সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ ও যুগ্ম সচিব মো. আব্দুল বারী স্বাক্ষরিত বিবৃতিদাতা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা হলেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এএসএম আব্দুল হালিম, সাবেক আইজিপি মো. আবদুল কাউয়ুম, সাবেক সচিব সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আব্দুর রশীদ সরকার, আবু মোঃ মনিরুজ্জামান খান, এএমএম নাছির উদ্দিন, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ শরফুল আলম। এছাড়া এম সিরাজ উদ্দিন, ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, মকসুমুল হাকিম চৌধুরী, মোঃ আবদুজ জাহের, আফতাব হাসান, মোঃ আজিজুল ইসলাম, সাবেক এটর্নি জেনারেল ইকতেদার আহমেদ, মোঃ মনসুর আলম, এ কে এম মাহফুজুল হক, শেখ মোঃ সাজ্জাদ আলী, মোঃ মেজবাহুন্নবী, বাহারুল আলম, মোহাম্মদ মাজেদুল হক, মোঃ খান সাঈদ হাসান, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মোহাঃ আবুল কালাম আজাদ, এম আকবর আলী, ডাঃ এ জেড এম জাহীদ হোসেন, বিজন কান্তি সরকার, এ বি এম আব্দুস সাত্তার, তপন চন্দ্র মজুমদার, এ কে এম জাহাঙ্গীর, আখতার আহমেদ, এস এম শমসের জাকারিয়া, মুন্সি আলাউদ্দিন আল আজাদ, ড. মোঃ আব্দুস সবুর, মোঃ আতাউল হক মোল্লা, এ এইচ এম মোস্তাইন বিল্লাহ, মোঃ আব্দুল খালেক, এম এম সুলতান মাহমুদ, মোঃ ফিরোজ খান নুন, মোঃ ওয়াছিম জাব্বার, মোঃ এমদাদুল হক, খদকার মোঃ মোখলেছুর রহমান, মোঃ ফেরদৌস আলম, মোঃ ফজলুল করিম, মোঃ আবু তালেব মোঃ আমিনুল ইসলাম, ড. মোঃ ফেরদৌস হোসেন, মোঃ গিয়াস উদ্দিন মোগল, মোঃ আফজল হোসেন, মোঃ শেফাউল করিম, জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, শহীনুল ইসলাম, সৈয়দ লোকমান আহমেদ, এস এম মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, মোঃ মহিবুল হক, মোঃ ফজলুল হক, মোঃ আজহারুল ইসলাম, বশীর উদ্দীন আহমেদ, মোঃ নবীউল হক মোল্যা, ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী, কাজী মেরাজ হোসেন, মোহাম্মদ মসিউর রহমান, আব্দুর রহিম মোল্লা, মোঃ শফিক আনোয়ার, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আফতাব আলী, মোঃ তৌহিদুর রহমান, মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল-বাকী, মোঃ জামাল হোসেন মজুমদার প্রমুখ।
২৩ নভেম্বর, ২০২৩

প্রথম পোস্টিংয়েই ঘুষ নিতে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
মাত্র আট মাস সরকারি চাকরিতে জয়েন করে ঘুষ নিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন মিতালি শর্মা নামের এক সরকারি কর্মকর্তা। ভারতের ঝাড়খণ্ডের কোডারমার সমবায় বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। খবর ইন্ডিয়া টুডের।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগের দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (এসিবি) একটি দল ঘুষ গ্রহণের সময় সরকারি ওই কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। সরকারি এই কর্মকর্তার নাম মিতালি শর্মা। আট মাস আগে ঝাড়খণ্ডের কোডারমায় সমবায় বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। এটি ছিল তার প্রথম পোস্টিং।  মিতালি শর্মাকে গত ৭ জুলাই গ্রেপ্তার করে হাজারীবাগ এসিবি। তার ঘুষ গ্রহণের ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হয়েছে। প্রথম পোস্টিংয়ে ঘুষের দায়ে সরকারি কর্মকর্তার গ্রেপ্তারের এই ঘটনা দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। মিতালি শর্মাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক এসিবি কর্তা জানিয়েছেন, ওই কর্মকর্তা ‘কোডারমা ব্যাপার সহযোগ সমিতি’ নামে একটি স্থানীয় সংগঠনে আচমকা পরিদর্শন করেন। সেখানে বেশ কিছু অনিয়ম খুঁজে পান তিনি। সংগঠনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার শর্তে তিনি ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
১৯ জুলাই, ২০২৩
X