ঢাকায় ডিবিইডিসির উদ্যোগে ফুটপাথ প্রযুক্তিবিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ (গ্রুপ) কোং লিমিটেডের অধীনে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ডিবিইডিসি)-এর উদ্যোগে ফুটপাথ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকার রেডিসন হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী। এ ছাড়া প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ (গ্রুপ) কোং লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার লিউ জিয়াওবোসহ ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আক্তার হোসেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির মহাপরিচালক মো. আবুল বাশার। বাংলাদেশে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন চীনা ও বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান, এন্টারপ্রাইজ এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কনফারেন্সে ডিবিইডিসি আধা-অনমনীয় ফুটপাথ প্রযুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে, যার মধ্যে নকশা ধারণা, নির্মাণের বৈশিষ্ট্য, গুণগতমান, উপাদান নির্বাচন এবং কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান ও বিশেষ অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরি এই প্রযুক্তিটি চালু করার জন্য সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ (গ্রুপ) কোং লিমিটেডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এটি বাংলাদেশের পারিপার্শিক অবস্থার সঙ্গে অত্যন্ত মানানসই একটি উদ্যোগ।  তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাধারণত ফুটপাথ কাঠামো স্তরের জন্য নদীর তলদেশ থেকে সংগৃহীত বালি ব্যবহার করা হয়, যাতে করে ফুটপাতগুলো কিছুটা দুর্বল মানের, কম ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ও কম টেকসই হয়ে থাকে। একইসঙ্গে এটি রাস্তা নির্মাণের জন্য চূর্ণ পাথরের মতো আমদানি করা উপকরণের ওপর দেশের নির্ভরতা হ্রাস করে, নির্মাণ ব্যয় কমায় এবং ব্যাপকহারে ইট ব্যবহারের কারণে যে পরিবেশগত ক্ষতি হয়, তা হ্রাস করে। তিনি আরও বলেন, ঢাকা বাইপাস রোডে আধা-অনমনীয় ফুটপাথ প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ করা হলে এটি একটি টেকসই উন্নয়নের সমাধান প্রদান করবে, যা মাটি ও পানি সংরক্ষণ এবং পরিবেশগত সুরক্ষার সুবিধা দেবে। এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সড়ক নির্মাণের জন্য একটি নতুন বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগসহ অন্যান্য প্রকল্পেও এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার অব্যাহত রাখবে। তদুপরি, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আরও চীনা কোম্পানিকে স্বাগত জানান এবং দেশের অবস্থার সঙ্গে উপযোগী অতিরিক্ত নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তন এবং এর টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আরএইচডি ও এলজিইডি-এর একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের সিইও ও পরিচালক জিয়াও ঝিমিং। এ সময় স্থানীয় শেয়ারহোল্ডার ও এসইএল (শামীম এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল হক শামীম এবং ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কালাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিওও মো. শফিকুল ইসলাম আলকান্দ। 
০৪ জুলাই, ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক ‘কালবেলা’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা বলেছেন, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ করা হয়েছে সনাতন ধর্মের মানুষের কল্যাণের জন্য। সনাতনী হিন্দু মানেই হলো আদি-অনন্ত। সনাতনী মানেই হলো জ্ঞানী ও বিনয়ী, সনাতনী হলো যত মত, তত পথ। শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক মত থাকতে পারে। আমরা কেউ রামকৃষ্ণ মিশনের শিষ্য, কেউ ইস্কনের ভক্ত, কেউ সৎসঙ্গের শিষ্য কেউবা স্বামী স্বরূপানন্দের বা রামঠাকুরের শিষ্য। আমাদের মধ্যে অনেক মত থাকবে কিন্তু আমরা সবাই সনাতনী।  তিনি বলেন, পূজা পরিষদ কেবল পূজা উদ্‌যাপনের জন্য করা হয় না, পূজা পরিষদ করা হয় সব মন্দির এবং মন্দিরের সম্পদকে রক্ষা করার জন্য, মা-বোনরা কেউ যাতে ধর্মান্তরিত না হয় সেজন্য পূজা পরিষদ করি। আমাদের কোনো হিন্দু ছেলেমেয়ে যাতে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না থাকে, বিনা চিকিৎসায় যেন না মারা যায় সেজন্য পূজা পরিষদ করি। আমরা পদের লোভে পূজা পরিষদ করি না। ১৯৮৪ সাল থেকে নিঃস্বার্থভাবে পূজা পরিষদ করে আজ সেক্রেটারি হয়েছি।  তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, পদের লোভ ত্যাগ করে হিন্দুদের কল্যাণে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। যারা দুঃসময়ে সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছে আমরা তেমন নেতৃত্ব চাই। যাদের দৃঢ় নেতৃত্বে মন্দির রক্ষা পাবে, মা-বোনেরা নিরাপদ থাকবে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো দুর্ঘটনার খবর পাই এতে অনেক কষ্ট হয়।  তিনি আরও বলেন, যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। কিছু লোক ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে হিন্দুধর্ম নিয়ে উপহাস করে, অথচ সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। কিন্তু কোথাকার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নাসিরনগরের হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। আমি চারবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি কত কষ্ট, কত বেদনা। এমন ঘটনা যারা রোধ করতে পারবে তারাই নেতৃত্বে আসবে।  তিনি জেলা পর্যায়ের নেতাদের পদের লোভ ত্যাগ করে সব বিভেদ ভুলে গিয়ে নতুন নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে আহ্বান জানান।  এদিকে দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ। সকাল থেকে জেলার ৯টি উপজেলার পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের নেতারা আনন্দমিছিল নিয়ে শহরের হালদারপাড়াস্থ শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি নাটমন্দির চত্বরে সম্মেলনস্থলে সমবেত হন। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। পরে শিশু নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শ্রী বাসুদের ধর।  সম্মিলনী সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল চন্দ্র দেবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী রবীন্দ্রনাথ বসু, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী অ্যাড. কিশোর কুমার রায় চৌধুরী পিন্টু, কার্যকরী সদস্য ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রী ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী। এ ছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি সোমেশ রঞ্জন রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মিন্টু ভৌমিক, সুভাষ চন্দ্র পাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ নাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক পরিমল রায়, অ্যাড. প্রণব কুমার দাস উত্তম, প্রদ্যুৎ রঞ্জন নাগ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সদস্য সচিব সঞ্জীব চন্দ্র সাহা বাপ্পী।  পরে বিকেলে দ্বিতীয় অধিবেশনে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা আংশিক জেলা কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটিতে সভাপতি হন- আদেশ চন্দ্র দেব ও সাধারণ সম্পাদক হন- সুজন দত্ত। এ ছাড়াও সঞ্জীব সাহা বাপ্পী ও খোকন কান্তি আচার্য্যকে সহসভাপতি এবং হরিপদ ভৌমিক দুলাল ও অ্যাড. রঞ্জিত মালাকারকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে সম্মেলনে জানানো হয়।
৩০ জুন, ২০২৪

স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
লাইফ অ্যান্ড হেলথ এবং থাইল্যান্ডের পায়াথাই পাহোলিওথিন হসপিটালের উদ্যোগে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন পায়াথাই পাহোলিওথিন হসপিটালের পরিচালক ও সহকারী অধ্যাপক ডা. ভিরায়া পাওচেরন। এ সময় ছিলেন হসপিটালের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের ডিভিশনাল ব্যবস্থাপক পাসিনি পাতানাসিরি, আন্তর্জাতিক বিপণন ব্যবস্থাপক জ মিন উ এবং লাইফ অ্যান্ড হেলথের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. নীলাঞ্জন সেন, অপারেশন অ্যান্ড মার্কেটিং পরিচালক মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ ও এম ফয়সাল আনোয়ার। লাইফ অ্যান্ড হেলথ হসপিটালটি পায়াথাই হসপিটাল গ্রুপের একটি অংশ, যা থাইল্যান্ডজুড়ে বেশ কয়েকটি শীর্ষ স্তরের হসপিটাল পরিচালনা করে। প্রতিটি হসপিটালই উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পায়াথাই পাহোলিওথিন হসপিটাল থাইল্যান্ডের প্রথম বেসরকারি হসপিটালগুলোর অন্যতম। এখানে কর্মরত ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিস্ট, বিশেষজ্ঞদের দল দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং নৈতিকতার সঙ্গে পরামর্শ, যত্ন এবং চিকিৎসাসেবা দেন। বাংলাদেশে লাইফ অ্যান্ড হেলথ লিমিটেডের ধানমন্ডিস্থ সুবাস্তু ইত্তেহাদ স্কয়ার ছাড়াও বনানী এবং চট্টগ্রাম অফিস রোগীদের সব ক্লিনিক্যাল অনুসন্ধানের পাশাপাশি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং, পাসপোর্ট জমা, ভিসা, ভ্রমণের বুকিং, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন সহায়তা দেয়। এই অফিসের চিকিৎসা সহায়তায় কোনো সার্ভিস চার্জ নেই। তাই যে কোনো চিকিৎসাসেবা পেতে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে ০১৯৫১১১১৮০৫ নম্বরে।
৩০ জুন, ২০২৪

ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন
ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত স্মারক ও চুক্তিসমূহকে ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণকারী ও অসম’ উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে আগামী ৫ জুলাই ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।  বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর তোপখানা রোডে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে এসব স্মারক ও চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী বক্তব্য দেন। সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতার বিরোধিতা করে গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে হওয়া এসব চুক্তির কোনোটাই বাংলাদেশকে লাভবান করবে না, বরং বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে।  অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে বলা হয়, পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বহু বছর কথাবার্তা হচ্ছে। একমাত্র গঙ্গা চুক্তি ছাড়া আরও যে ৫৩টি যৌথ নদী আছে, সেগুলোর কোনোটা নিয়ে আমরা চুক্তি করতে পারিনি। তিস্তার চুক্তি ২০১১ সালে প্রস্তুত হলেও তা স্বাক্ষর হয়নি। এই চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি। এর সঙ্গে আমাদের উত্তরাঞ্চলের দুই কোটি মানুষের ভাগ্য জড়িত। এ চুক্তির বিষয়ে ভারতের দিক থেকেও অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু এবার ঘোষণায় এ চুক্তি নিয়ে কোনো কিছু উল্লেখ নেই।  সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আবু ইউসুফ সেলিম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন, গণসংহতি আন্দোলনের মনির উদ্দিন পাপ্পু, জেএসডির কে এম জাবের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজ্জাক সজীব প্রমুখ নেতারা। 
২৭ জুন, ২০২৪

সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে বের হয়ে আসতে হবে : পরিকল্পনা সচিব
সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে আমাদের বের হয়ে শুদ্ধাচারী মনোভব পোষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার। তিনি বলেন, গণমাধ্যম এখন সৎ মানুষ সেজে থাকা দুর্নীতিবাজদের বের করে আনছে।  কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সর্বগ্রাসী মনোভব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সম্মানের থেকে কেন আমরা বিচ্যুত হচ্ছি। শুধু নিজে সৎ থাকলে হবে না। আশপাশের সবাইকে সৎ রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৪-২৫ স্বাক্ষর ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার এসব কথা বলেন।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আব্দুল বাকী, আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য রেহানা খাতুন ও বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। সত্যজিত কর্মকার বলেন, আমরা সর্বগ্রাসী হয়ে গেছি। আমাদের চাই চাই আরও লাগবে কেন? সরকার আমাদের কি দেয়নি, আমরা কেন নীতিবহির্ভূত কাজ করছি। এই দেশ তো আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। সর্বগ্রাসী ক্ষুধা এমন পর্যায়ে গেছে প্রধানমন্ত্রী আমাদের শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়ে নিবৃত করছে। আমাদের সবাইকে সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে বের হতে হবে।  তিনি বলেন, এখানে আজ অনেকেই অনুপস্থিত, যা খুবই দুঃখজনক এটা শুদ্ধাচারের পরিপন্থি। এটা সরকারের অন্যতম কর্মসূচি অথচ অনেকে নেই। আমার মনে হয় আয়োজকদের কারণে আজ অনেক চেয়ার ফাঁকা। আমাদের সময়ের প্রতি, দায়িত্বের প্রতি আরও যত্নবান হওয়া দরকার। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, অনাচার দিয়ে কোনো সমাজ চলতে পারে না। শুদ্ধাচার এর বিপরীত শব্দ কি অনাচার। সামাজিক অনাচার দূর করে মানবসভ্যতা রচনা করাই কাজ। মানুষের কাজই হচ্ছে অনাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।  তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন বিলবোর্ডে জাতির পিতার কথা বলা আছে সেই অনুসারে আমাদের চলতে হবে। মানুষকে সম্মান জানাতে হবে। শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জীবনের প্রতি পদক্ষেপ শুদ্ধাচার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। শুদ্ধাচার অর্জন করবার জন্য জাতির পিতাকে অনুসরণ করে জীবন পরিচালনা করতে হবে।
২৭ জুন, ২০২৪

নোবেল পুরস্কারে আমার আকাঙ্ক্ষা নেই : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নোবেলের বিভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে কোনো ঈর্ষা নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পর অনেক নোবেলজয়ী আমার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমার নোবেলের কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে কর ফাঁকি দিয়েছেন, তা আদালতে প্রমাণিত। যারা তার পক্ষে নানা কথা বলছেন তাদের কাছে জানতে চাই, কর ফাঁকি দিলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়? গণমাধ্যমে ড. ইউনূসকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি চাইলে ডিবেটে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে ডক্টর ইউনুসের পক্ষ অবলম্বনকারী দেশ আমেরিকায় যেভাবে ডিবেট হয় সেভাবেই ডিবেট হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সরকারপ্রধান বলেন, ড. ইউনূস রাজনৈতিক দল গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দল গঠন করতে পারেনি। তিনি যদি গ্রামের মানুষকে এত কিছুই দিয়ে থাকেন, তাহলে তো সেই মানুষগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা। কই, কেউ তো ঝাঁপিয়ে পড়েনি। তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকার মামলা করেনি। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। শেখ হাসিনা বলেন, পুরস্কার নিয়ে আমার কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। এর জন্য লবিস্ট নিয়োগ করার টাকাও নেই আমার। তবে হ্যাঁ, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পর অনেক নোবেলজয়ী আমার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন।  
২৫ জুন, ২০২৪

ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন মঙ্গলবার
ভারত সফর নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এদিন সকাল ১১টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১ জুন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর ভারতে কোনো সরকারপ্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।  এ ছাড়াও এই সফরটি ছিল ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। তিনি ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা ও নয়াদিল্লি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়নসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে। 
২৪ জুন, ২০২৪

ব্রাসেলস সম্মেলন / ধর্মীয়-মৌলবাদের উত্থান ঠেকাতে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান প্রেস ক্লাবে ‘মৌলবাদের উত্থান: প্রভাব, চ্যালেঞ্জ এবং হুমকি’বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রোববার (২৩ জুন) অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়া ও এর বাইরে ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা। তারা বলেন, ‘মৌলবাদীরা হচ্ছে জনসংখ্যার সেই অংশ যারা আক্রমণাত্মকভাবে ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নিজস্ব ধর্মীয় অনুশাসন বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করে। যার যার অবস্থান থেকে অবশ্যই যে কোনো ধরনের চরমপন্থার বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে। বিশেষ করে ধর্মীয় উগ্রতার বিরুদ্ধে। কারণ ধর্মীয় উগ্রতা খুব সংবেদনশীল এবং এর অপব্যবহার করে খুব দ্রুত উগ্র জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে দিতে পারে। বক্তারা এ ধরনের মৌলবাদী-উগ্রতা অতীতে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে গণহত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের নৃশংসতার জন্ম দিয়েছে বলে মতামত প্রকাশ করেন।    বেলজিয়ামভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা গ্লোবাল সলিডারিটি ফর পিস এবং সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইউরোপভিত্তিক সংগঠন, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) এ সম্মেলনের আয়োজন করে।  ইবিএফই যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি ড. আনসার আহমদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ডাচ পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য হ্যারি ফান বোমেল, ডাচ পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য নিলস ফান ডেন বের্গ, ব্রাসেলসের ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ কোঅপারেশনের পরিচালক প্রফেসর ড. তাজিন মুর্শিদ, বেলজিয়ামস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি মিশনপ্রধান প্রীতি রহমান, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতন। এ ছাড়া ডব্লিউ জেড বি বার্লিন সোশ্যাল সায়েন্স সেন্টার ও জার্মানির পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ ফেলো ড. টমাসো ভার্জিলি, ব্রিটিশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন,  বাংলাদেশ থেকে আগত ‘আমরা একাত্তরের’ প্রদীপ কুমার দত্ত, বেলজিয়ামের ওয়ার্ল্ড কাউন্সিল ফর পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি অ্যান্ড কমিউনিটি ডায়ালগের সভাপতি অ্যান্ডি ভারমাউট, গ্লোবাল সলিডারিটি ফর পিসের চেয়ারম্যান এম এম মুর্শেদ, ইন্টারন্যাশনাল হিউমান রাইটস কমিশন সুইজারল্যান্ডের সভাপতি খলিলুর রহমান মামুন,  নেদারল্যান্ডস ইবিএফের প্রেসিডেন্ট বিকাশ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন তানিম চৌধুরী। বক্তারা আরও বলেন, উগ্র মৌলবাদীরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের ধর্মীয় আইনের ব্যাখ্যা কঠোরভাবে মেনে চলার দাবি করে। তাদের ব্যাখ্যা আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে এবং কখনও কখনও দেশের সংবিধানের সঙ্গেও মেলে না। যে আদর্শের জন্য আমাদের শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লড়াই করেছিলেন, সেই আদর্শের ভিত্তিতে একটি আধুনিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দেশের প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে তারা উল্লেখ করেন।   সিনিয়র ডাচ রাজনীতিবিদ হ্যারি ভ্যান বোমেল পাকিস্তানে ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ৯/১১ হামলার কারণগুলি শুধু আল-কায়েদা ও আফগানিস্তানের তালেবানদের দিকে তাকালে বোঝা যাবে না। পাকিস্তানে ইসলামী মৌলবাদের উত্থান এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল কারণ বলে তিনি মনে করেন।  প্রবীণ ডাচ সংসদ সদস্য হ্যারি ফান বোমেল পরামর্শ দিয়ে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থায় মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার উপর ভিত্তি করে নিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তান সরকারের উপর আরও চাপ দেওয়া দরকার। নানা কারণে পাকিস্তানের মুক্ত বিশ্বের প্রয়োজন।  তিনি আরও বলেন, একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তান বিশ্বের জন্য আরও নিরাপদ ও ভালো স্থান হতে পারত।   ব্রিটিশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন বলেন, জামায়াতের শক্তিশালী মিত্র রয়েছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা, ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) জামাতকে অর্থায়ন ও নানা সহায়তা করে থাকে এবং এক সময় তা সম্ভব হয়েছে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো, বিশেষ করে সৌদি আরবের পৃষ্ঠপোষকতায়।  আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, মানবাধিকার কর্মী এবং সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
২৪ জুন, ২০২৪

‘কক্সবাজার স্পেশাল’ ট্রেন ঘিরে চট্টগ্রামে অস্থিরতা
কোরবানি ঈদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চালু হওয়া ‘কক্সবাজার  স্পেশাল’  ট্রেনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ফের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধ করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ। অন্যদিকে এ ঘোষণার পরপরই  ট্রেনটি আরও এক মাসের জন্য চালু রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।  রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) সাইফুল ইসলাম কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি আরও এক মাস চালু রাখার বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত ট্রেনটি চালানোর কথা ছিল। ট্রেনটি আরও এক মাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হবে সেইভাবেই ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এর আগে সকালে ট্রেনটি বন্ধ হওয়ার খবরে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজ। এ সংবাদ সম্মেলন থেকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ সময় কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি বন্ধ হলে মঙ্গলবার (২৫ জুন) থেকে চট্টগ্রামে রেলপথ অচলের হুঁশিয়ারি দেন নাগরিক সমাজের নেতারা।  এ সময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন রেজা, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার এ কে এম সারয়ার কামাল, স্থপতি আশিক ইমরান ও নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো. ইদ্রিস, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরীসহ আরও অনেকেই। এ সময় বক্তারা বলেন, পর্যটন এক্সপ্রেস ও কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেন ঢাকা থেকে কক্সবাজার গন্তব্যে নিরাপদে ও নির্ভয়ে যাওয়া আসা করছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুবিধা হয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় একটি ট্রেন বহু অনুরোধে বিশেষ ট্রেন হিসেবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লাইনে চলাচল করছিল। এখন সেটা বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে। এর আগেও একবার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তারা আরও বলেন, প্রশাসনের দাবি, কক্সবাজারের ট্রেনে মাদক আনা-নেওয়া হয়। তাহলে সব ট্রেন বন্ধ করে দেন। যদি কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি বন্ধ করা হয় তাহলে চট্টগ্রাম থেকে কোনো ট্রেন চলতে দেওয়া হবে না।
২৩ জুন, ২০২৪
X