সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশের জন্য ৬৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৭.৫১ টাকা ধরে)। বে-টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়নের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে এই ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। গতকাল শনিবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এ তথ্য জানায়। ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বোর্ড এ অর্থ অনুমোদন করে। বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশকে গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগে সহায়তা হিসেবে ৬৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হচ্ছে; যা দেশটির বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করবে এবং বন্দর বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি খরচ কমিয়ে আনবে। আর্থিক সংস্থাটি আরও জানায়, বে-টার্মিনাল সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে। আধুনিক এ টার্মিনাল আন্তর্জাতিক অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হবে। সেখানে প্যানাম্যাক্সের মতো বড় আকারের জাহাজের সুযোগ বাড়াবে এবং টার্ন অ্যারাউন্ড সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে কমাবে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯০ শতাংশ কনটেইনার প্রবেশ করে। বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর বেশি নির্ভরশীল। যেটি উল্লেখযোগ্য সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়। বে-টার্মিনাল সেক্ষেত্রে গেম চেঞ্জার হবে। এটি বন্দর সক্ষমতা বাড়ানো এবং পরিবহন খরচ ও সময় কমানোর মাধ্যমে রপ্তানি প্রতিযোগিতার উন্নয়ন ঘটাবে। এর মাধ্যমে মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি কনটেইনার টার্মিনালগুলোর উন্নয়নের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকে একত্রিত করবে। সরকারি অর্থায়নের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং সামগ্রিক বে-টার্মিনাল উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখবে। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্প প্রধান হুয়া টান বলেছেন, বে-টার্মিনাল দেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারের সংযোগ উন্নত করতে অবদান রাখবে। এটি চট্টগ্রাম বন্দরের পশ্চিমে আনন্দনগর/সন্দ্বীপ চ্যানেলে অবস্থিত এবং ঢাকার সঙ্গে বিদ্যমান সড়ক ও রেল যোগাযোগের কাছাকাছি। সেজন্য বাংলাদেশের কনটেইনারের পরিমাণের ৩৬ শতাংশ পরিচালনা করবে। শিপিং কোম্পানি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং মালবাহী ফরওয়ার্ডারসহ টেকসই পরিবহন পরিষেবাগুলোতে উন্নত অ্যাক্সেসের মাধ্যমে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৩০ জুন, ২০২৪

গাজায় এবার মার্কিন সেনা, তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী সমুদ্রবন্দর
ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর নির্মাণ শুরু করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। যুদ্ধে বিপর্যস্ত গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ সরবরাহে এ বন্দর ব্যবহার করার কথা রয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ান ও ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত ১ হাজার মার্কিন সেনা কাজ শুরু করেছে। যুদ্ধজাহাজে করে নির্মাণসামগ্রী নেওয়া হয়েছে। ত্রাণবাহী জাহাজ থেকে খাদ্য ও মানবিক সহায়তা খালাসে ভূমধ্যসাগর থেকে উপকূলে যাওয়ার একটি রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। বিষয়টি পেন্টাগন সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, অস্থায়ী বন্দর নির্মাণে সেনা পাঠালেও তাদের গাজার মাটিতে পা ফেলতে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে স্থল অংশের কাজ করা হবে।  আরও জানা গেছে, আগামী মে মাসেই সেটি প্রস্তুত হয়ে যাবে। এরপরই এটি ব্যবহার শুরু করতে পারবে বিভিন্ন পক্ষ। ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের কারণে স্থলপথে গাজায় ত্রাণ পাঠানো দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। ইসরায়েলি চৌকিতে তল্লাশির নামে দীর্ঘক্ষণ ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে রাখা হচ্ছে। এতে অনেক খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন ত্রাণকর্মীরা। পেন্টাগন জানিয়েছে, অস্থায়ী বন্দরটি চালু হলে গাজার প্রায় ২৩ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। প্রাথমিকভাবে ৯০টি ট্রাক সেখান থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারবে৷ কাজ পুরোপুরি শেষ হলে ১৫০টি ট্রাক সেই বন্দরে ভেড়া জাহাজ থেকে ত্রাণ খালাস করবে। তবে এতেও ইসরায়েলি তল্লাশি চৌকির ঝামেলা থাকছে। ইসরায়েলি সেনারা ত্রাণসামগ্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর উপযুক্ত মনে করলেই তা খালাসের অনুমতি মিলবে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ইসরায়েল চায় না হামাস ত্রাণ পাক। আবার ত্রাণের নামে অস্ত্র যেন গাজায় না ঢুকে সে ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) বেশ সতর্ক। এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা কমার কোনো লক্ষণ নেই। ছোট্ট এই উপত্যকার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে দিনরাত বোমা ও স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

পৃথক কর্তৃপক্ষের অধীনে যাচ্ছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর
মোংলা, পায়রা ও বাংলাদেশ স্থলবন্দরের মতো পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন করা হচ্ছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে। এরই মধ্যে হয়েছে আইনের একটি খসড়া, যা নীতিগত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে খসড়া আইনটি পাস হলেই দেশের ষষ্ঠ সমুদ্রবন্দর হতে যাচ্ছে মাতারবাড়ী। এতে গতি বাড়বে পণ্য খালাসে, কমবে দুর্ভোগের পাশাপাশি সময়ও। কর্মসংস্থান হবে হাজার হাজার মানুষের, এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে এরই মধ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠিত হলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে সেখানে আর করতে হবে না অর্থায়ন। এরই মধ্যে যে টাকা ব্যয় হয়েছে, তা মাতারবাড়ী বন্দরের কাছে ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে। গত ১১ নভেম্বর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন করতে গিয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরকে আলাদা কর্তৃপক্ষ করার চিন্তাভাবনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর যাতে সম্পূর্ণরূপে ডিপ সি পোর্ট হয় সেই পদক্ষেপ নেব। এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা আছে। চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে হলেও এটাকে আমরা আলাদা একটা আইন করে, আলাদা কর্তৃপক্ষ করে দেব। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আলাদা আইনের খসড়া তৈরির উদ্যোগ নেয়। খসড়া আইন হওয়ার পর তা পর্যালোচনার জন্য গত সপ্তাহে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নীতিগত অনুমোদন পাওয়ার পর এটি কেবিনেটে উঠবে। এরপর সংসদীয় উপকমিটিতে আলোচনা হবে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করার পর এটি সংসদে তোলা হবে। সেখানে অনুমোদন পেলে এটি আইন হিসেবে গণ্য হবে। এরপর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (চবক ও বাস্থবক) মুন্সি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আলাদা মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইনটি চূড়ান্ত হলে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। বর্তমানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন পাঁচটি কর্তৃপক্ষ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে—চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ষষ্ঠ কর্তৃপক্ষ হিসেবে মাতারবাড়ী গভীর বন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন হতে যাচ্ছে। এদিকে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে এরই মধ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। নতুন কর্তৃপক্ষ গঠিত হলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে আর অর্থায়ন করতে হবে না। যে টাকা ব্যয় হয়েছে, সেটি মাতারবাড়ী বন্দরের কাছে ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এতে কমে আসবে পরিচালন ব্যয় ও সময়। সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থান। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটি গঠিত হলে নতুন জনবল নিয়োগের মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বন্দর উন্নয়ন কাজ শুরুর টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্তের পথে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরকে আলাদা কর্তৃপক্ষ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এটি একটি সুদূরপ্রসারী চিন্তা। মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর আলাদা কর্তৃপক্ষ হলে সেখানে কাজের গতি অনেক বাড়বে। বন্দরের কার্যক্রম অনেক সহজ হবে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত কোনো গভীর সমুদ্রবন্দর নেই। আলাদা কর্তৃপক্ষ হলেও বহির্বিশ্বে এটিও ব্র্যান্ডিং হবে। একই ধরনের মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন। কালবেলাকে তিনি বলেন, মাতারবাড়ীতেই পৃথক সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন হলে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ কমবে অনেকাংশেই। কারণ পণ্য খালাসের সিদ্ধান্ত মাতারবাড়ী থেকেই নেওয়া যাবে। এতে পণ্য খালাসের গতি যেমন বাড়বে, তেমনি কমবে সময়ও। নতুন করে সৃষ্টি হবে হাজার হাজার কর্মসংস্থান। তিনি আরও বলেন, মাতারবাড়ী আমাদের একটি মেগা প্রজেক্ট। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে এ সমুদ্রবন্দরকে যুক্ত করে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলেই সাফল্য পাওয়া যাবে। তবে আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠনের আগেই মাতারবাড়ীর সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে জটিলতা দেখা দেবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী আজ কক্সবাজার যাচ্ছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজার সফর করবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তার মধ্যে রেলসহ ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। উদ্বোধন হতে যাওয়া প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন, মাতারবাড়ীর আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল, বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মিত সেতু, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তকরণ, উখিয়ার বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, রামু উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চকরিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নকাজ, কুতুবদিয়া ঠান্ডা চৌকিদার পাড়া আরসিসি গার্ডার ব্রিজ, মহেশখালীর গোরকঘাটা-শাপলাপুরের জনতাবাজার সড়ক, বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমি ভরাট, বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প, ঈদগাঁও জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মহেশখালীর ইউনুছখালীর উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়ার রত্না ও মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন। অন্যদিকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে যাওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলের প্রথম টার্মিনাল, টেকনাফের মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রেসিডেন্ট শেল্টার কাম আইসোলেশন সেন্টার, রামুর জোয়ারিয়ানালার নন্দা খালী সড়কে আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ প্রকল্প। এ ছাড়াও ওই দিন সকালে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে সুধী সমাবেশ, ট্রেনে চড়ে রামু পর্যন্ত রেললাইন পরিদর্শন এবং পরে মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বেলা ১১টার দিকে রেলস্টেশন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। বিকেলে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী রেলস্টেশনসহ ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এসব প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৮৮ হাজার কোটি টাকা। ১৫ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- মাতারবাড়ীর ১২শ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযুক্ত, বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটে ৫৯৫ মিটার পিসি বক্স গার্ডার ব্রিজ, কক্সবাজার সদরের খাল লাইনিং অ্যাপ্রোচ রোড ও ব্রিজ। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের চিত্রও পালটে গেছে। বিশেষ করে সাগরছোঁয়া রানওয়ে, মুক্তার রঙে ঝিনুকের মতো রেলস্টেশন, মেরিন ড্রাইভ, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ নানারকম প্রকল্প নিয়ে কক্সবাজারে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চোখে পড়ার মতো। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের এই জেলায় ছোট-বড় ৭৭টি উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে কক্সবাজার জেলাজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে মাতারবাড়ীর জনসভাস্থল। আইকনিক রেলস্টেশনসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
১১ নভেম্বর, ২০২৩

সাগরে গভীর নিম্নচাপ / পায়রাসহ সব বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর সামান্য উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় এলাকার অনেক স্থানে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপটি দুপুর ১২টা পর্যন্ত পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার ও মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। তাই দেশের সব সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। নিন্মচাপের প্রভাবে জেলায় সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে নদ-নদী নীবর রয়েছে। স্থানীয়রা জেলে ও নদীর পাড়ের বাসিন্দারা জানান, উপকূলীয় এলাকায় ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় গভীর সমুদ্রে বা নদ-নদীতে কোনো মাছ ধরার নৌকা বা টলারের অবস্থান নেই। বর্তমানে জাল নৌকা মেরামতে সময় পার করছেন তারা। আবহাওয়া খারাপ হলে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে জানান স্থানীয়রা। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ জানিয়েছেন যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থায়ী নির্দেশনাবলি (এসওডি) অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসনের হাতে যথেষ্ট খাদ্য ও নগদ টাকা মজুদ আছে। সংকেত বৃদ্ধি হলে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থপনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩
X