সংসদে দীপু মনি / গ্রামীণ ব্যাংক আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতিষ্ঠান
গ্রামীণ ব্যাংক সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের লাইন্সেসধারী প্রতিষ্ঠান নয় জানিয়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এটি এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। এটি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতিষ্ঠান।  তিনি বলেন, এটি ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যদিও এরপরে নানা রকম ব্যবসায় প্রসারিত করেছে তার চার্টারের বাইরে গিয়ে। এই ব্যাংককে যেভাবে বিশ্বে পরিচয় দেওয়া হয়, তা সঠিক নয়। রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর  ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সমাজকল্যাণে নিবন্ধিত কোনো এনজিও বেআইনি কাজ করলে তার বিরুদ্ধে তথ্য দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী।  তিনি বলেন, পাবলিক মানি যেটা এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের জন্য এ অর্থের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা করবার যখনই সরকার কোনো উদ্যোগ নিয়েছে তখনই ‍বিদেশিদের নিয়ে সরকারের ঘাড়ের ওপর চড়াও হয়েছে। বলা হয়েছে পাবলিক স্পেস সোশ্যাল সেক্টরের জন্য কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৩০ জুন, ২০২৪

পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, পথশিশুদের স্বাভাবিক জীবন যাপন নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে।  সোমবার (১৮ মার্চ) শিল্পকলা একাডেমি চাইল্ড সেনসেটিভ সোশ্যাল প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের অধীনে পথশিশুদের পরিস্থিতিবিষয়ক গবেষণা পত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক  প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)। মন্ত্রী বলেন, যারা পথেই থাকে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। তাদের অসহায়ত্ব অনেক বেশি রকমের। তারা হয়তোবা সমস্যার সম্মুখীন হয়, অনেক রকমের নির্যাতনেরও শিকার হয়। রাতের অন্ধকারে খুবই অনিরাপদ একটা অবস্থার মধ্যে থাকে। আর যারা রাতে পরিবারের কাছে ফিরে, এদেরও নানা সমস্যা থাকে। নানা কারণে পথশিশু হয়। পরিবার ভেঙে যাওয়া, অতিদারিদ্র্য ও নানাবিধ সমস্যার কারণে শিশুরা পথে থাকে। মন্ত্রী পথশিশুদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ও সহানুভব হওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, পথ চলতি মানুষ কীভাবে তাদের সঙ্গে আচরণ করে তার প্রভাব তাদের উপরে পড়ে। আমাদের প্রত্যেককে তাদের প্রতি এমপ্যাথি দেখাতে হবে। আমরা কতজন এ শিশুদেরকে একবার ভালো করে দেখি? এবং আমরা হয়তো জীবন বদলে ফেলতে পারব না, কিন্তু যে কয়েক সেকেন্ডের জন্য তাদের সঙ্গে আমাদের একটা যোগাযোগ ঘটল, সেই কয়েকটা সেকেন্ডে তাদের  প্রতি যদি আমাদের সহমর্মিতা থাকে, তার প্রতি আচরণে, আমাদের কথায় তার জীবনে একটা পরিবর্তন এনে দিতে পারে।  আমরা যেভাবে আচরণটা করি সাধারণত তার কারণে তাদের মধ্যে একটা হীন মনোভাব তৈরি হয়। সে মনে করে নিজে কোনো একটা অপরাধ করছে, মনে করে সে ভীষণ রকম খারাপ কিছু বা তুচ্ছ।  আমরা যদি এই বাচ্চাগুলোকে স্বপ্ন দেখাতে পারি, তাহলে তারা স্বপ্নের দিকে নিজেদের নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে যাবে। যদি তাদের প্রতি আচরণটাই সেই রকম ইতিবাচক না হয় তাহলে কিন্তু তারা স্বপ্ন দেখতে সক্ষম হবে না। মন্ত্রী সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও পথশিশুদেরকে সমাজের মূলধারায় আনতে কাজ করার আহ্বান জানান। মন্ত্রী পথশিশুদের উপর উন্মোচিত গবেষণা পত্রটি সম্পর্কে তার মূল্যায়নে বলেন, এ বিষয়টিতে যদিও সরকার অত্যন্ত সজাগ এবং ইতোমধ্যে সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পথশিশুদের আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনে অনেক কাজ চলমান রয়েছে। তারপরও এ গবেষণায় তাদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেল যা ভবিষ্যতে নীতিনির্ধারণী বিষয়ে কাজ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। মন্ত্রী গবেষণাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী  সিমিন হেসেন (রিমি) বলেন, এই গবেষণা ভবিষ্যতে পথ শিশুদের জন্য কাজ করতে সহায়তা করবে। শিশুদের জন্য একটি সহনশীল সমাজ করতে হবে। অনগ্রসর শিশুদের জন্য পুনর্বাসন, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য তার মন্ত্রণালয় ৬টি কেন্দ্র পরিচালনা করছে। এর আগে মন্ত্রী পথশিশুদের পরিস্থিতিবিষয়ক গবেষণাপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন। 
১৮ মার্চ, ২০২৪

‘১৫ বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেটের আকার ১২ গুণ বেড়েছ’
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ জানিয়েছেন, গত ১৫ বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন জনকল্যাণমূলক সেবাখাতে বাজেটের আকার ১২ গুণ বাড়ানো হয়েছে। বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি, অর্জন ও কার্যক্রম অবহিতকরণ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান।  সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সেমিনারের আয়োজন করে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বাজেট ছিল ১ হাজার ১৩ কোটি ৩১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেট ১২ হাজার ২১৬ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২০ লক্ষ প্রবীণব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০০ কোটি টাকা। জনপ্রতি ৬০০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৮ লক্ষ প্রবীণ ব্যক্তির জন্য বার্ষিক বাজেট উন্নীত হয়েছে ৪ হাজার ২০৫ কোটি টাকায়। তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের দরিদ্রপ্রবণ ১১২টি উপজেলাকে শতভাগ বয়ষ্কভাতা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আরো ১৫০টি উপজেলাকে শতভাগ বয়ষ্ক ভাতার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ২৬টি উপজেলায় ভাতা পাওয়ার উপযোগী শতভাগ লোক ভাতার আওতায় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত সময়ে প্রতিটি কর্মসূচিতে বাজটে, উপকারভোগীর সংখা কয়েকগুণ বেড়েছে। নুরুজ্জামান বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ৯ লক্ষ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিলো ২৭০ কোটি টাকা। তা মাথাপিছু মাসিক ৫৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৫ লক্ষ ৭৫ হাজার জনের জন্য বাজেট বরাদ্দ ১৭১১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।  সমাজকল্যাণমন্ত্রী জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিলো ৬০ কোটি টাকা। বর্তমানে মাথাপিছু ভাতা মাসিক ৮৫০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ লক্ষ জনের জন্য বাজেট ২৯৭৮ কোটি টাকা করা হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী শিক্ষা-উপবৃত্তিখাতে ১৩ হাজার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিলো ৬ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ লক্ষ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ১১২ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। মন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ভাতা ভোগীদের পাশ বইয়ের মাধ্যমে দেওয়া হতো বলে অনেক ভাতাগ্রহীতা প্রাপ্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হতো। এ প্রেক্ষিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সকল ভাতা ভাতাভোগীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে দেয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে বলে ভাতাভোগীদের প্রাপ্য হিস্যা নিশ্চিত হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে জিটুপি পদ্ধতিতে ভাতা দেয়ার পাইলট প্রোগ্রাম শুরু করা হয়। ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি ভাতাভোগীদের হাতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা বিতরণ শুভ উদ্বোধন করেন। বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য এটি ছিল একটি মাইলফলক অর্জন। যার ফলে বর্তমানে শতভাগ ভাতাভোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে ঘরে বসে নিয়মিতভাবে ভাতা পাচ্ছেন। জিটুপি পদ্ধতিতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রায় এক কোটি ৫ লাখ ভাতাভোগী ভাতা পেয়েছেন।  সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ এবং সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
১১ অক্টোবর, ২০২৩

বিএনপির বক্তব্যে আমরা ভীত নই - সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচন হবে। বিএনপির বক্তব্যে আমরা ভীত নই। জনগণ প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের সঙ্গে আছে। তারা (বিএনপি) ভোট নস্যাৎ বা প্রতিরোধ করার জন্য যে বক্তব্য দিচ্ছে, তা সাংগঠনিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। গতকাল রোববার দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে আয়োজিত অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি উসিলা নিয়ে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে অগ্নিসন্ত্রাস করছে। দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে নস্যাৎ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের রুখে দিতে হবে। দেশ পরিচালনায় ও শাসনে সবক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। ১৭ কোটি জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য শান্তিতে আছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরী। এ সময় বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল।
১৪ আগস্ট, ২০২৩
X