ময়মনসিংহে তরুণদের প্রশংসায় ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের অষ্টম সংস্করণের প্রথম বিভাগীয় সভা অনুষ্ঠিত হলো ময়মনসিংহে। সেই সঙ্গে এই সভায় এই অঞ্চলের সব উদ্যমী তরুণদের দারুণ সারা মিলেছে এই বিভাগীয় সভার মাধ্যমে যার প্রমাণ হিসেবে অসংখ্য তরুণ আবেদন করেছেন জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড অর্জনের জন্য। এ অঞ্চলের তরুণ সুপার অ্যাচিভারদের ১০০ জনের বেশি সংগঠক উপস্থিত হয়ে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। সভায় আয়োজকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার সুযোগ পেয়েছিলেন এই অঞ্চলের তরুণ অংশগ্রহণকারীরা। সভার মাধ্যমে তৃণমূলে কাজ করে যাওয়া তরুণ সংগঠকরা নিজেদের উৎসাহ ও কার্যক্রমের কথা ব্যক্ত করেছেন। সংগঠকদের মধ্যে ছিলেন জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী, প্রাথমিক বাছাই ও নতুন আবেদন করা সংগঠনগুলোর নেতৃত্বদানকারী তরুণরা। সভায় তরুণ সংগঠকেরা তাদের নেওয়া উদ্যোগগুলোর ক্ষেত্রে সাগর সম বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অসংখ্য সাহসী ও গৌরবের অবিশ্বাস্য সব গল্প শুনিয়েছে সবাইকে। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইয়ুথ এনগেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক ড. রশিদুল হাসান জানান, এই সভায় আগে যারা জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার অর্জন করেছে তাদের সঙ্গে আলোচনা সুযোগ হয়েছে। যেখানে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নতুন সব চ্যালেঞ্জের কথা জানতে পেরেছি আমার। ইয়াং বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই সভার বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করে লেখা হয়, ইয়াং বাংলা টিম তৃণমূল থেকে তরুণদের কার্যক্রমের অবিশ্বাস্য সব গল্প শুনতে পেরে অনুপ্রাণিত হয়েছে। যা তাদের এ কার্যক্রম সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারনা প্রদান করেছে। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের অষ্টম আসরের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই দারুণ সাড়া মিলেছে তরুণ প্রজন্মের কাছ থেকে। তরুণরা https://jbya.youngbangla.org লিংকে প্রবেশ করে আবেদন করছেন। ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা, গাজীপুর ও টাঙ্গাইলের যুব সংগঠনগুলো এই বিভাগীয় সভায় অংশ নেয়। ইয়াং বাংলা জুলাই মাস জুড়ে সাতটি বিভাগে এই বিভাগীয় সভা আয়োজন করবে। বিভাগীয় সভা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইয়াং বাংলার ফেসবুক পেজে চোখ রাখতে বলা হয়েছে।  রশিদুল হাসান জানান, পূর্ববর্তী পুরস্কারপ্রাপ্তদের কাছ থেকে তাদের কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা শোনার পাশাপাশি এই ইন্টারেক্টিভ অধিবেশনটি আমাদেরকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মুখোমুখি বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলি শোনার সুযোগ দিয়েছে। বিগত ছয় বছরের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের নেতৃত্বে যে সব সংগঠন সামাজিক অন্তর্ভুক্তি; সৃজনশীল সংস্কৃতি, ক্রীড়া এবং সুস্থতা; শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান; পরিবেশ এবং জলবায়ু; উদ্ভাবন এবং যোগাযোগের বিষয়ে কাজ করেছে তাদের এই পুরষ্কার প্রদান করা হবে। এই প্রতিটি বিভাগ থেকে দুটি করে মোট ১২টি পুরস্কার দেওয়া হবে। নারীর ক্ষমতায়ন, শিশুদের অধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, সুবিধাবঞ্চিত, কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং বিনোদন, জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়ন, অত্যন্ত দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং জরুরী পরিষেবাগুলি জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করার যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানানো হয় ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে। যে সংস্থাগুলি বা প্রতিষ্ঠানগুলো কমপক্ষে ১৮ মাস ধরে এই পরিষেবা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত তারা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের বয়স অবশ্যই নূন্যতম দুই বছর হতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে

কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সম্পর্কিত জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে পররাষ্ট্র সচিব ও জাতীয় টাস্কফোর্সের সভাপতি মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। টাস্কফোর্সের সদস্য বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় ছিলেন। সভায় কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, কক্সবাজার ও ভাসানচর ক্যাম্পের সমস্যা, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য বিশ্বব্যাংকের ৭০০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়নসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় এলপিজি, খাদ্য, চিকিৎসা, পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন সেক্টরে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে অধিকতর ও কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া, রাখাইনে প্রত্যাবাসন সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ সময় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সভার আগে পররাষ্ট্র সচিব কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
০৬ জুলাই, ২০২৪

অল্টারনেটিভ মেডিসিনকে ট্র্যাডিশনাল অভিহিত করার দাবি
বাংলাদেশে ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতিকে ‘অল্টারনেটিভ মেডিসিন’-এর পরিবর্তে ‘ট্রাডিশনাল মেডিসিন’ বলে অভিহিত করার দাবি জানিয়েছে প্রাচীন চিকিৎসা উন্নয়ন প্রচেষ্টা (প্রাচি)। একই সঙ্গে ৫ জুলাই জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা ও উপস্থিত চিকিৎসকরা। প্রাচির জাতীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের জাতীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি ডা. সালেহ মোহাম্মদ আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাকীম মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও কবিরাজ আবদুল মোতালেব মতিন প্রমুখ। চিরায়ত চিকিৎসাব্যবস্থার বিশ্লেষণ ও বাস্তবায়নের দিক নির্দেশনা সংবলিত প্রাচির কার্যপত্র উপস্থাপন করেন সংগঠনটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং মুখপাত্র মোখলেসুর রহমান। মতবিনিময়কালে চিকিৎসকগণ বলেন, ইউনানী ও আয়ুর্বেদ কলেজসমূহের সঙ্গে ১০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন করা জরুরি। হাসপাতাল না থাকার কারণে বিশাল জনগোষ্ঠী এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের ইন্টার্নশিপ করতে হয় এলোপ্যাথিক হাসপাতালে। এ বিষয়ে সরকারের কোনো নজর নেই, পৃষ্ঠপোষকতা নেই, রয়েছে চরম অবহেলা। আমাদের এ ধরনের হাসপাতাল না থাকলেও পাশের দেশ ভারতেই বিশ্বমানের চক্ষু, দাঁত ও ক্যানসারের বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। প্রাচি মনে করে বাংলাদেশে অন্তত একটি পাবলিক ইউনানী ও আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয় থাকা উচিত। সেইসঙ্গে এই শিক্ষার মান নির্ধারণও জরুরি। চিকিৎসকগণ দাবি করেন বাংলাদেশ ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক অ্যাক্ট ২০২৩ এলোপ্যাথি চিকিৎসার জন্য সঠিক হলেও ইউনানী ও আয়ুর্বেদের জন্য এটি প্রযোজ্য হতে পারে না। আলোচ্য আইনটি পাশের পূর্বে এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির মৌলিক রীতিনীতি মেনে তা চূড়ান্ত করা একান্ত আবশ্যক। একইসঙ্গে জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ ফর্মুলারি নতুন করে প্রণয়নের দাবি জানায় সংগঠনটি।
০৫ জুলাই, ২০২৪

কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের সভা
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সম্পর্কিত জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কক্সবাজারে পররাষ্ট্র সচিব ও জাতীয় টাস্কফোর্সের সভাপতি মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাতীয় টাস্কফোর্সের সদস্য বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।  সভায় কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থানরত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, যেমন- কক্সবাজার ও ভাসানচর ক্যাম্পের সমস্যা, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগনের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের ৭০০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়নসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সভাপতি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন যে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসন এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। সভায় এলপিজি, খাদ্য, চিকিৎসা, পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন সেক্টরে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে অধিকতর ও কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানানো হয়। সভায় রাখাইনে প্রত্যাবাসন-সহায়ক পরিবেশ তৈরী করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের চলমান কর্মসূচী সম্পর্কে সংস্থাটির প্রতিনিধিগণ অবহিত করেন। এ সময় জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। উল্লেখ্য, ৪৫তম জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় যোগদানের পূর্বে পররাষ্ট্র সচিব কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেন। তিনি সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি, দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মকান্ড, প্রত্যাবাসন কেন্দ্র ইত্যাদি পরিদর্শন করেন।
০৫ জুলাই, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের জন্য এনআইডি কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা
মালয়েশিয়ায় বহুল প্রতীক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৩ জুলাই) কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে অবস্থিত আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিঃ এর অফিসে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।  মত বিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিশেষ অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় অনেকে এনআইডি করতে পারেননি। এনআইডি না থাকায় তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের কথা বিবেচনা করে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী প্রবাসীদের জন্য এনআইডি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে ।  তিনি বলেন, বিশ্বের ৪০ টি দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের। এর ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু হলো। সভায় অশোক কুমার দেবনাথ প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।  সভাপতির বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।এনআইডি সে মর্যাদার পরিচয় বহন করে। এনআইডি কার্যক্রম মালয়েশিয়ায় শুরু করার জন্য হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।  তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম সফলভাবে নিষ্পন্ন করার লক্ষ্যে ‘কারিগরি যন্ত্রপাতি স্থাপন ও প্রশিক্ষণ’ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাইকমিশনের কর্মকর্তা -কর্মচারীগণ এনআইডি কার্যক্রম বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছে। হাইকমিশন এনআইডি সেবা দিতে এখন সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। এ কার্যক্রমকে সফল করতে প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন হাইকমিশনার।  হাইকমিশনার মালয়েশিয়ায় সুচারুরূপে এনআইডি কার্যক্রম সম্পন্ন করার দৃঢ় অংগীকার ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভায় ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি, সামাজিক -সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী সাংবাদিক, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রতিনিধিদল এবং হাইকমিশন ও এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিঃ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
০৪ জুলাই, ২০২৪

চট্টগ্রাম নগর আ.লীগের নির্বাহী কমিটির সভা ঘিরে শঙ্কা তৃণমূলে
চট্টগ্রাম মহনগর আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে মতবিরোধ ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এ অবস্থায় পুরোনো কমিটি ভেঙে নতুন নেতৃত্বের খবর যতই চাউড় হচ্ছে, ততই বাড়ছে উত্তেজনা। খোদ বর্ধিত সভায় নেতাকর্মীদের সামনেই নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। এসবের মাঝেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা। এসব ঘিরে নতুন শঙ্কা ভর করেছে দলটির তৃণমূলে।  মূলত গত জুনে বর্ধিত সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং বর্তমান মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিমের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যর জের ধরেই ছাই চাপা বিরোধ নতুন করে সামনে এসেছে।  এ অবস্থায় বৃহস্পতিবারের (৪ জুলাই) বর্ধিত সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতারা। হাই কমান্ডের সামনে এ দুই নেতা কিংবা দুই পক্ষে সক্রিয় থাকা নেতাকর্মীরা কী বক্তব্য উপস্থাপন করেন তা ঘিরে চলছে নানা আলোচনা।  নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক কালবেলাকে বলেন, আশা করছি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোনো আশঙ্কা না থাকলে নির্দিষ্ট সময়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শুরু হবে।  নির্বাহী কমিটিতে পক্ষে বিপক্ষে শঙ্কার  প্রশ্নে তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাহী কমিটির সভা সেই ক্ষেত্রে খোলামেলা কিছু আলোচনা তো হতেই পারে। এখানে বাদনুবাদ কিংবা শঙ্কার কিছু নেই। তবে কেন্দ্রীয় নেতাসহ নগরের দায়িত্বশীলরা যেহেতু থাকবে সেহেতু নেতাকর্মীরা প্রত্যাশার কথা জানাতেই পারেন এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেক আলোচনা হতে পারে। শঙ্কার প্রশ্নের নগর আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দ্বিধা বিভক্ত। ফলে প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড এবং ইউনিট পর্যায়ে বিরোধ প্রকট আকার ধারণ করছে। তৃণমূলের সেই ক্ষোভ, রেশের জেরে নির্বাহী কমিটির সভায় উঠে আসতে পারে।  এর আগেও বর্ধিত সভা ও নির্বাহী কমিটির সভায় হট্টগোলের নজির আছে। গত ২০ জুন সদস্য সংগ্রহ, তৃণমূলের সম্মেলন এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের দলে ‘ঠাঁই না হওয়ার’ বিষয় নিয়ে বধির্ত সভায় বিতণ্ডায় জড়ান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দলীয় কার্যালয় দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার নোটিশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।  সভায় প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আল মাহমুদ স্বপন। গত জুনে বর্ধিত সভায় নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উতপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর এবারের কার্যনির্বাহী সভায় এসব বিষয় নতুন করে আলোচনা হতে পারে।  তাছাড়া গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম দিবসের (৭৫ বছর পূর্তি) শোভাযাত্রা ঘিরে নানা অসংগতির অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা পাল্টাপাল্টি পোষ্ট দিয়েছেন। ওই দিন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শোভযাত্রার আয়োজন করে নগর আওয়ামী লীগ। একইভাবে চান্দগাঁও ওয়ার্ডসহ নগরের কয়েকটি ওয়ার্ডে পৃথকভাবে শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল। শোভাযাত্রার আয়োজকরা নগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।  আ জ ম  নাছির উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার কার্য নির্বাহী কমিটির সভার বিষয়ে প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন  আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আল মাহমুদ স্বপন। তাছাড়া নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। আশা করছি সবার উপস্থিতিতে সভাটি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে শেষ হবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে নভেম্বরে  নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নেতাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও হট্টগোল হয়েছে। নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বিদ্যমান কমিটিকে ‘অবৈধ’ বলার পর বাদানুবাদে জড়ান নেতারা।  মূলত তৃণমূলের বিভিন্ন ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন নিয়ে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিভেদ দীর্ঘদিনের। এর আগেও একাধিকবার নগর কমিটির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পরও তা হয়নি। বিরোধের বিষয় নিয়ে গত বছর দুই পক্ষ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেছিল। সম্প্রতি আবার নগর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অস্বস্তিতে আছেন।
০৩ জুলাই, ২০২৪

ঢাকায় সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকায় সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।  দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক (SEARN) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলির জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে কাজ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সমাবেশে বক্তব্য দেওয়াটা আমার জন্য সম্মানের বিষয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এই সমাবেশ আমাদের জন্য একত্রিত হয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং আমাদের অঞ্চলে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা সবাই জানি যে ওষুধের নিরাপত্তা কার্যকারিতা এবং গুণমান নিশ্চিত করা আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নমানের এবং ভেজাল ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি আমাদের জন্য বিরাট একটি চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাউথ ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করে আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের যৌথ দক্ষতা, সম্পদ এবং অভিজ্ঞতাতে কাজে লাগাতে পারি। তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসেবার এই উদীয়মান হুমকিগুলো মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর।  সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর-লেস্তে এর প্রতিনিধিরা ও পর্যবেক্ষকরা সভায় অংশগ্রহণ করেন। 
০৩ জুলাই, ২০২৪

রাজধানীতে এলকপের দুর্নীতিবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনাসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বেসরকারি গবেষণা ও মানবাধিকার সংস্থা এম্পাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ)। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।  অনুষ্ঠানের শুরুতে এলকপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি আমাদের সমাজের মূল ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়। রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচারের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করে দেয়। এই মহামারি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।  তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে তার এক ভাষণে বলেছিলেন ‘এই বাংলার কৃষক ও শ্রমিকরা দুর্নীতি করে না, দুর্নীতি করে শিক্ষিত ব্যক্তিরা।’ আমরাই এই শিক্ষিত সমাজের অংশ। সুতরাং আমাদের উচিত দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করে তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করা, তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে তাদেরকে শাস্তির সম্মুখীন করা। এতে করে আইনের সুশাসন যেমন প্রতিষ্ঠা হবে তেমনি বাংলার খেঁটে খাওয়া কৃষক, চাষি ও শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা যাবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এ দুর্নীতিবাজদের জায়গা হতে পারে না ।’ সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘দুর্নীতি শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেই বাধাগ্রস্ত করে না, বৈষম্য ও দারিদ্র্যকেও বাড়িয়ে দেয়। দুর্নীতির প্রধান কারণ নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়। দুর্নীতি রোধে আমাদের নীতি আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই। আমরা বলার সময় ঠিকই বলছি যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে কিন্তু কাজের বেলায় তার প্রয়োগ নেই। ফলে একজন দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাকে দেখে আরেকজন দুর্নীতি করার সাহস পেয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই আজ দুর্নীতি এতো পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুর্নীতিবাজদের রুখতে সরকারকে দুষ্টচক্রকে (সিন্ডিকেট) চিহ্নিত করে তাদেরকে শাস্তির আওয়াত আনতে হবে। সব নাগরিকদের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও দেশের ন্যায়সঙ্গত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই শক্তিশালী অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে’।   বিশেষ বক্তা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে শক্তিশালী আইনি কাঠামো ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও নীতিনির্ধারকদের এগিয়ে আসতে হবে যাতে করে প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্নীতি রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।  অনুষ্ঠান শেষে মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। যেখানে সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এবং মানবাধিকার কর্মীরা প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেন। পরিশেষে এলকপের নির্বাহী পরিচালক, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, জাতি, গোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাসের জন্য একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে সেমিনারে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। 
০২ জুলাই, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে লৌহজংয়ে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু এলাকা পরিদর্শন উপলক্ষে মাওয়ায় আগমন কেন্দ্র করে লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশেষ বর্ধিত সভা হয়েছে। গতকাল সোমবার ঘোড়াদৌড় বাজার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান গনি তালুকদারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক মেহেদি হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বি এম শোয়েব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ শিকদার, সহসভাপতি সামসুল হক বেপারি, মো. সিরাজুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোপাজ্জল হোসেন তপন, মো. জাকির হোসেন বেপারি, শেখ মো. জয়নাল হোসেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান খান সাজু, শেখ মো. জামাল হোসেন, মো. শফিকুল ইসলাম মাদবর প্রমুখ। সভায় ৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সব প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
০২ জুলাই, ২০২৪

নবীন এসএসএলটি সদস্যদের নবীন বরণ ও মতবিনিময় সভা
স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি চিকিৎসকদের একমাত্র পেশাজীবী সংগঠন সোসাইটি অব স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্টসের (এসএসএলটি) নবীন সদস্যদের বরণ এবং সদস্য নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) এ সনদ বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের সদস্য ফিদা আল শামস এবং এসএসএলটির সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা সুলতানা ৩০ জন নবীন সদস্যের মাঝে এ সনদ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮ এর ৪র্থ তপশিল অনুযায়ী সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশন্স ইন্সটিটিউট (বিএইচপিআই)। রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইনের ১ম তপসিল অনুযায়ী ৫ বছর মেয়াদী বিএসসি ইন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি স্নাতক সম্পন্ন করেন নবীন এসএলটি চিকিৎসকরা। তারা এসএসএলটির গঠনতন্ত্র ও নিয়ম কানুন মেনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।  অনুষ্ঠানে এসএসএলটির নির্বাহী সদস্যরা নবীন সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন এবং সুস্বাগতম জানিয়ে সাফল্য কামনা করেন। তারা বলেন, নবীন এসএলটি চিকিৎসকরা দেশ ও জাতির কল্যাণে, বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তি এবং প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ ভূমিকা পালন করবেন। সেই সঙ্গে পেশার মৌলিকত্ব রক্ষা, প্র্যাকটিস ও পেশাজীবিদের সুরক্ষা এবং ম্যালপ্র্যাকটিস রোধে সব সদস্যের সম্মিলিত প্র‍য়াসে এসএসএলটির আগামীর পথচলা সুগম এবং সফল হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
০১ জুলাই, ২০২৪
X