সাধারণ বীমার এফডিআর সফটওয়্যার উদ্বোধন
সাধারণ বীমা করপোরেশনের এফডিআর ব্যবস্থাপনা সহজীকরণের লক্ষ্যে SBC FDR Management System সফটওয়্যারটি উদ্বোধন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে করপোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব দুলাল কৃষ্ণ সাহা এটি উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠানটির আইটি বিভাগের সহকারী প্রোগ্রামার শেখ সাদিয়া হাসান সফটওয়্যারটি ডেভেলপ করেন। সাধারণ বীমা করপোরেশনের মানবসম্পদ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার এস এম শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদসহ (অতিরিক্ত সচিব) অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
০৯ জুন, ২০২৪

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নিচ্ছে হা-মীম গ্রুপ, পাবেন গাড়ি সুবিধা
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ২১ জুন পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : হা-মীম গ্রুপ পদের নাম : সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আবেদনের বয়সসীমা : নির্ধারিত নয় পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় কর্মস্থল : ঢাকা বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অভিজ্ঞতা : ১ থেকে ৩ বছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ২২ মে, ২০২৪ কর্মক্ষেত্র : অফিস কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদনের শেষ তারিখ : ২১ জুন, ২০২৪ শিক্ষাগত যোগ্যতা : কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যাচেলর অব সায়েন্স (বিএসসি) ডিগ্রি। অন্যান্য যোগ্যতা : গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, সফটওয়্যার ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে অন্যান্য সুবিধা : মোবাইল বিল, চিকিৎসা ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বিমা, গ্র্যাচুইটি, বার্ষিক বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, স্বাস্থ্য বিমা ছাড়াও ঢাকা শহরের মধ্যে পিক অ্যান্ড ড্রপ সুবিধা পাবেন। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ঠিকানা : ৩৮৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮
২২ মে, ২০২৪

তিনটি বাংলা সফটওয়্যার ও ফন্ট আনল বিসিসি
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অমর একুশের শহীদদের স্মরণে বাংলা ভাষায় নিজেদের তৈরি তিনটি সফটওয়্যার ও বাংলা ফন্ট উন্মুক্ত করেছে। গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ে কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘উচ্চারণ’, ‘কথা’ ও ‘বর্ণ’ সফটওয়্যারসহ ‘পূর্ণ’ নামের বাংলা ফন্ট উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর টেলিটকের ই-সিম সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য শোকের, আবার গর্বের দিনও। তরুণ শিক্ষার্থী ও বিজ্ঞানীরা একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ভবিষ্যতে আদিবাসী ভাষাগুলোকেও ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় আনা হবে। ‘উচ্চারণ’ নামের টেক্সট টু স্পিচ সফটওয়্যারটি ওয়েবসাইট বা যন্ত্রের পর্দায় থাকা সব তথ্য পড়ে শোনাতে পারে। ফলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও সহজেই বিভিন্ন ফাইল বা ওয়েবসাইটের তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা যাবে। ‘কথা’ সফটওয়্যারটি মুখের কথাকে লেখায় রূপান্তর করবে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বার্তা মুখে উচ্চারণ করে সহজেই লিখিত আকারে সংরক্ষণ করা যাবে। এই ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা যাবে। আর ‘বর্ণ’ হলো বাংলা ওসিআর সফটওয়্যার। পিডিএফ বা ছবিতে থাকা বার্তা লেখায় রূপান্তরের সুযোগ থাকায় সহজেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তির তথ্য লিখিত আকারে সংরক্ষণ করা যাবে। এই ওয়েবসাইট থেকে ব্যবহার করা যাবে সফটওয়্যারটি। ‘পূর্ণ’ ফন্টটি মূলত ইউনিকোডভিত্তিক ফন্ট। স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ, বিরাম চিহ্ন, ইংরেজি বর্ণ, গাণিতিক চিহ্নসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধা আছে এতে। এই ওয়েবসাইট থেকে ফন্টটি নামিয়ে ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ প্রমুখ।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নোবিপ্রবিতে আইডি কার্ড জেনারেশন সফটওয়্যার উদ্বোধন
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘NSTU ID Card Express’ নামক অটোমেটেড আইডি কার্ড জেনারেশন সফটওয়্যারের উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপাচার্য আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। সাইবার সেন্টার পরিচালক এ আর এম মাহমুদুল হাসান রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আশিকুর রহমান খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান ভূঞা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান ও রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া (সম্রাট) ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইবনে ওয়াজিদ ইসলাম ইমন।  অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাইবার সেন্টারের সহকারী পরিচালক মো. ইফতেখারুল আলম ইফাত। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাইবার সেন্টার কর্তৃক উদ্ভাবিত এই আইডি কার্ড জেনারেশন সফটওয়্যারটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রাতিষ্ঠানিক আইডি কার্ড যথা সময়ে পেয়ে যাবেন। যদিও এই সেবা পেতে পূর্বে শিক্ষার্থীদের বেগ পেতে হতো, তবে আশা করছি, এখন থেকে আর সমস্যা হবে না। উপাচার্য আরও বলেন, ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নোবিপ্রবি বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে প্রধানযোগ্য কিছু হলো, ডি নথি সেবা বাস্তবায়ন, স্মার্ট সেমিনার লাইব্রেরি ওয়েবসাইট চালু ও আইডি কার্ড জেনারেশন সফটওয়্যার সেবার যাত্রা। এসব উদ্ভাবনে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।    উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, এই আইডি কার্ড জেনারেশন সফটওয়্যার উদ্ভাবনের মাধ্যমে নোবিপ্রবি সাইবার সেন্টার তাদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। আগে যে আইডি কার্ড আমরা সরবরাহ করতাম তাতে কোনো জোরালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সহজেই তা নকল করার সুযোগ ছিল। কিন্তু সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেটেড এ আইডি কার্ড হবে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে উপাচার্যকে দ্বিতীয় মেয়াদে আমাদের মাঝে পাঠিয়েছেন তার উৎসাহে সাইবার সেন্টার যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। এমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াসের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাবে আমাদের প্রিয় নোবিপ্রবি। উল্লেখ্য, অটোমেটেড আইডি কার্ড জেনারেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে নোবিপ্রবির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা স্বল্প সময়ের মধ্যে আইডি কার্ড সেবা পাবেন যা পূর্বে সময়সাপেক্ষ ছিল।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

উদ্বোধন হলো উইডেভস একাডেমির
বাংলাদেশের সুপরিচিত সফটওয়্যার কোম্পানি উইডেভসের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করল উইডেভস একাডেমি। গত ৩ নভেম্বর শুক্রবার ঢাকার মিরপুরে উইডেভস একাডেমির অফিসে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  সেখানে উপস্থিত ছিলেন উইডেভসের সিইও নিজাম উদ্দিন, সিটিও তারেক হাসান, সিএমও আতিকুর রহমান, লার্ন উইথ হাসিন হায়দার এর প্রতিষ্ঠাতা হাসিন হায়দার, উইডেভস একাডেমির সিইও নাজির হোসাইন, ব্রেইন স্টেশন ২৩ এর  ফাউন্ডার রাইসুল কবির, বিকাশের ভিপি অব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং জিয়াউল হক, ডব্লিউপি ডেভেলপারের ফাউন্ডার এম. আসিফ রহমান, এক্সপ্রিড স্টুডিও এর ফাউন্ডার এম. আতাউর রহমান, হ্যাপি মনস্টার এর কো- ফাউন্ডার দুলাল খান, লার্ণ উইথ সুমিতের ফাউন্ডার সুমিত শাহাসহ অন্যান্য আইটি সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উইডেভসের সোস্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট রাদ নাহিয়ান সিরাজ।   স্বাগত বক্তব্যে উইডেভসের সিইও নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা উইডেভস, আমরা শুরু করতে যাচ্ছি উইডেভস একাডেমি। যেখানে ব্যবসায়িক চিন্তাচেতনার উর্দ্ধে উঠে একটি দক্ষ জেনারেশন গড়তে আমরা স্বপ্ন দেখছি। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ শুধু সফটওয়্যার তৈরিতেই এগিয়ে যাবে না পাশাপাশি বাংলাদেশি দক্ষ তরুণরা একেকটি দক্ষ রিসোর্স হয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে এসেট হিসেবে কাজ করবে। উইডেভসের সিটিও তারেক হাসান বলেন, একজন ফ্রেশার তার গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে কি করবে তার দিকনির্দেশনা খুঁজে পায়না, তাদেরকে ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড স্কিলড পিপল হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা।  উইডেভস একাডেমির সিইও নাজির হোসাইন বলেন, আমাদের এই একাডেমিতে ভর্তি হতে হলেও নূন্যতম একটি এসেসমেন্ট পাশ কর‍তে হবে। সেখান থেকে বাছাই করে আমরা প্রতিটি লার্নারকে এক একটি রিসোর্স হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।  তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে চাকরিপ্রার্থী অনেক কিন্তু দক্ষ জনবলের প্রচুর অভাব। প্রতিটি সফটওয়ার কোম্পানির এইচ আর ম্যানেজারই দক্ষ কর্মী খুঁজতে মরিয়া। কিন্তু গ্র্যাজুয়েট হওয়াই জব পাওয়ার একমাত্র মাপকাঠি নয়। সেজন্য উইডেভস চিন্তা করেছে ভিন্নভাবে। জব মার্কেটে যেসব স্কিলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেগুলোর উপর জোড় দিয়ে একটি একাডেমি তৈরি করা।  আমন্ত্রিত অতিথিরা উইডেভস একাডেমির সাফল্য কামনা করেন ও দোয়া করার মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
০৬ নভেম্বর, ২০২৩

পর্দা রক্ষায় বিশেষ সফটওয়্যার উদ্ভাবন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীর
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুসারে গায়রে মাহরাম বা নন-মাহরম নারী ও পুরুষের সামনে দৃষ্টি সংযত রাখা বাধ্যতামূলক। এইক্ষেত্রে যারা বিধানগুলো ভালোভাবে মেনে চলার চেষ্টা করেন তারা বিভিন্ন সময় নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হন। দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের এসব বিধান যত সহজভাবে মেনে চলা যায় প্রযুক্তির এই দুনিয়ায় অনলাইনে এসব মেনে চলা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ উদ্ভাবন করেছেন এক বিশেষ সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটি রিয়েল টাইম ডিভাইসের স্ক্রিন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিঙ্গ শনাক্ত করে নিজেই ডিভাইসের স্কিনে আশা নন-মাহরামের চেহারা এবং শরীর ঢেকে দেবে। যা একজন মুসলিমকে গায়রে মাহরামের পর্দার বিধান ডিভাইসে ব্যবহারের সময় পালন করতে সহায়তা করবে। তবে সফটওয়ারটি আপাতত মোবাইল, উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সফটওয়ারটি প্রাথমিক ধাপে থাকায় ডিটেকশনের ক্ষেত্রে ভুল হতে পারে (50%[email protected]) (অর্থাৎ মহিলার পরিবর্তে পুরুষকে অথবা অন্য বস্তুকে ডিটেক্ট করতে পারে)। এমনকি স্কিনে রেজুলেশনের কারণে অনেক সময়  ডিটেক্ট নাও করতে পারে। তবে এই সমস্যা সম্পূর্ণ সমাধান করা সম্ভব এবং এটাকে আরও আপডেট করা সম্ভব। যদি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা বা সহযোগিতা পাওয়া যায় তাহলে এটার উন্নতি করা সম্ভব বলে জানান সফটওয়্যারটি উদ্ভাবক আব্দুল্লাহ। এই বিষয়ে আব্দুল্লাহ বলেন, ‘যেহেতু এ কনসেপ্টের প্রজেক্ট আগে কেউ করেনি তাই অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল, সেই সাথে অন্যদের জন্য ব্যবহার উপযোগী করে তোলা আরও কঠিন।’
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

স্মার্ট সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘ভিশন-২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ‘ভিশন-২০২১ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’-এর পাশের ০.৪৭ একর জায়গায় সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও ইনোভেশন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন’ প্রকল্পের অধীনে এ টাওয়ার নির্মাণ হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, আইটি খাতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে স্পেসের ব্যাপক চাহিদা পূরণ এবং ব্র্যান্ডিংয়ের উপযুক্ত ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য এ টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হলো। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, স্মার্ট টাওয়ারের কার্যক্রম ডিজিটাল অর্থনীতি প্রসারে সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিল্পের প্রসার ঘটাবে। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ। এ সময় ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান, উপপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামসহ বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১০ আগস্ট, ২০২৩

এএমএমএস সফটওয়্যার বিষয়ে ইউজিসির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
‘অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম (এএমএমএস) ২.০’ সফটওয়্যার বিষয়ে সিলেট বিভাগের সাত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি জোরদার এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে ইউজিসি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবাগুলো দ্রুত অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা ইউজিসির অন্যতম লক্ষ্য।   শনিবার (২৯ জুলাই) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়। শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন ও আইআইসিটি পরিচালক অধ্যাপক ড. এম জহিরুল ইসলাম। প্রশিক্ষণে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রেজাউল করিম হাওলাদার, শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুনিল কুমার সিংহ এবং এএমএমএস সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মো. শরিফুল ইসলাম। অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি জোরদার এবং গতিশীলতা বাড়বে। অডিট প্রক্রিয়া আরও কম সময় ও কম খরচে করা সম্ভবপর হবে বলে তিনি মনে করেন।  অধ্যাপক আবু তাহের আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিকসহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে ইউজিসি বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা আর্থিক-অডিট পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন খুঁজে পাবেন বলে তিনি জানান। আরও পড়ুন : তরুণরাই স্মার্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রে থাকবে : শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে অডিটের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে অর্জিত জ্ঞান তাদের স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।  ইউজিসির উপপরিচালক (অডিট) মো.আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট শাখা, অডিট সেল প্রধান ও অডিট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
৩০ জুলাই, ২০২৩
X