তারেকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি, আলোচনার প্রশ্নই আসে না : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি এখন চূড়ান্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের রূপ ধারণ করছে। তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না।’ সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু ৭ম খণ্ড’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাজনৈতিক সংলাপ বিষয়ে প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন। পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এবং কর্মকর্তা ও গবেষকরা মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এখন আর রাজনৈতিক দলে নেই, বিএনপি এখন সন্ত্রাসীদের দলে। যারা রাষ্ট্রের বেদিমূলে আঘাত হানে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে যারা হামলা চালায় অর্থাৎ বিচার ব্যবস্থার ওপর হামলা চালায়, যারা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয় ভাঙচুর করে, যারা পুলিশ হত্যা করে, তারা কখনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। তাই বিএনপি এখন কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি এখন চূড়ান্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের রূপ ধারণ করছে। তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না।’ তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আলোচনা হবে অবশ্যই, আওয়ামী লীগ যে কারও সাথে আলোচনা করতে পারে রাজনৈতিক দল হিসেবে। যারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে, যারা দেশের সংবিধান মানে, আইন ব্যবস্থাকে মানে, বিচার ব্যবস্থাকে মানে তাদের সাথে আলোচনা হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘২৮ অক্টোবর বিএনপি সারা দেশে হরতাল ডেকে সেই হরতালকে সফল করার জন্য সেই আগের পুরোনো ঘৃণ্য আগুনসন্ত্রাসের তাণ্ডবে ফিরে গেছে। আপনাদের মনে আছে, ২০১৩-১৪-১৫ সালে কীভাবে গাড়িচালকদের হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাতেও সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর ডেমরায় একটি বাস দাঁড়িয়েছিল, বাসের হেলপার ঘুমাচ্ছিলেন, সেই বাসে আগুন দিয়েছে। সে আগুনে বাসও পুড়ে গেছে, হেলপারও পুড়ে গেছে। বিএনপির আবার সেই নৃশংসতা জঘন্যতায় ফিরে গেছে।’  মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ২৮ অক্টোবর সারা দেশে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছিলাম। ঢাকা শহরে কমপক্ষে দেড় দুই লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে আমাদের, সবাই আমাদের নেতাকর্মী। এত উস্কানির মধ্যেও আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো উস্কানিতে পা দেয়নি। বরং তারা আমাদের মহিলাকর্মী থেকে শুরু করে অনেককে মারধর করেছে, মহিলাদের কাপড় ধরে টানাটানি করেছে। তারা দেড় কিলোমিটার দূরে এত তাণ্ডব চালালেও আমাদের নেতাকর্মীরা কিন্তু সেখানে যায়নি। আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি, রেখেছিলাম।’ হাছান মাহমুদ বলেন, ‘লালমনিরহাটে আমাদের নেতাকর্মীরা শান্তি সমাবেশ করছিল, সেখানে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একজন শ্রমিক লীগ কর্মীকে কুপিয়ে তারা হত্যা করেছে। আবার ঢাকায় মোহাম্মদপুর বাসে আগুন দিতে গিয়ে জনতার ধাওয়া খেয়ে এক বিএনপির কর্মীর বিল্ডিং থেকে লাফ দিতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ একজন দুষ্কৃতকারী মারা গেছে, আর বিএনপির ভাষায় ‘শহীদ’ হয়েছে। এ হচ্ছে বিএনপি।’ মঙ্গলবার থেকে বিএনপির তিন দিনের অবরোধ নিয়ে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা স্পষ্টত এ নৈরাজ্য সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই তিন দিনের অবরোধ ডেকেছে। তাদের উদ্দেশ্য অবরোধ করা নয়, তারা জানে তাদের পক্ষে দেশে অবরোধ কার্যকর করা সম্ভবপর নয়। কিন্তু চোরাগোপ্তা হামলা, নৈরাজ্য সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে তারা অবরোধ ডেকেছে। মানুষ চোর-ডাকাত ধরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। আর যারা মানুষের ও সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেবে, ধ্বংস করবে তারা চোর-ডাকাতের চেয়েও খারাপ। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধেও জনগণ যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ বিএনপি ‘ভার্চুয়ালি’ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি নেতারা কতটুকু ভীতু। ২৮ তারিখ কর্মীরা যাওয়ার আগে নেতারা পালিয়ে গেছেন। নেতারা পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরাও পালিয়ে গেছে। আমরা সারাজীবন বিরোধী দলের কর্মী ছিলাম। আমরা রক্তাক্ত হয়েছি, কিন্তু আমরা পালিয়ে যাইনি কখনো। বিএনপি নেতারা সামনে আসতেই ভয় পায়, সে জন্য তারা ভার্চুয়ালি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।’ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতার নিন্দা জানানো প্রসঙ্গে প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি তাদের এ নিন্দা সহিংসতা বন্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়ক। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে এ সহিংসতার প্রেক্ষিতে তারা ভিসানীতি নিয়েও ভাববে। আমরা আশা করব, যারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, পুলিশ হত্যা করেছে, পুলিশ আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে, জনগণের সম্পত্তি পুড়িয়েছে, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সেই ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবে, আমরা দেখার অপেক্ষায় আছি।’ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং বিদেশি চিকিৎসকরা ফিরে গেছেন- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বলছিল যে, খালেদা জিয়াকে বিদেশ না নিলে তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি, তাকে রক্ষা করা যাবে না। আমেরিকান চিকিৎসকরা এসে এখন বলেছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি আগের তুলনায় ভালো আছেন। এ জন্য আমিও স্বস্তি প্রকাশ করছি এবং প্রার্থনা করি তিনি যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। মার্কিন চিকিৎসকদের আসার ব্যবস্থা সরকারই করে দিয়েছে। বিএনপির বক্তব্যে প্রমাণিত হয় তারা খালেদা জিয়াকে রাজনীতির গুটি বানিয়েছে এবং তার স্বাস্থ্যকে নিয়ে রাজনীতিটাই করে, মিথ্যাচার করে, আসলে স্বাস্থ্য ভালো করার চেষ্টাটা করে না।’
৩০ অক্টোবর, ২০২৩

বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন। কানাডার আদালত বিএনপিকে ছয়বার সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেছেন। দলটি ২০১৩-১৪ সালে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। বিএনপি ফের একইভাবে আসন্ন নির্বাচন ভণ্ডুল করতে ধ্বংসাত্মক ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তাদের তথাকথিত সমাবেশের নামে জনমনের আতঙ্ক আজকের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তা সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করছে। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। তাই তারা এ ধরনের বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। নৃশংস হামলা চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবন এবং পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। ফিরে এসেছে। আমরা কারও সঙ্গে সংঘাতে যাব না। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। তবে আমাদের ওপর কেউ হামলা চালালে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেব। তাদের প্রতি আমাদের আহ্বানÑএই সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফিরে আসুন। ক্ষমতা পরিবর্তনে নির্বাচনের বিকল্প নেই। আমরা একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে বিএনপি অনেক দিন ধরেই গোপনে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা পুরোনো চেহারায় ফিরে আসার জন্য সময় নিচ্ছিল। শনিবার তারা পরিকল্পনা করেই হামলা চালিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের হাতে নিরাপদ নয়। বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়ে তারা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে অপমান করেছে। দলটি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, ফারুক খান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
৩০ অক্টোবর, ২০২৩

হামাস সন্ত্রাসী সংগঠন নয় স্বাধীনতাকামী- এরদোয়ান
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে লড়াই করে আসা গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাসকে পশ্চিমারা ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে দেখায় এর তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, হামাস সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, বরং এটি একটি স্বাধীনতাকামী সংগঠন, যার সদস্যরা নিজেদের ভূমি রক্ষার জন্য লড়াই করছেন। বুধবার আঙ্কারায় তুরস্কের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল একে পার্টির নেতাকর্মীদের এক সমাবেশে এই মন্তব্য করেন এরদোয়ান। খবর আলজাজিরার। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের নিন্দাও জানান তিনি। এ সময় তার আসন্ন ইসরায়েল সফরের পরিকল্পনা বাতিলের ঘোষণা দেন এরদোয়ান। আঙ্কারায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইসরায়েল হামাসকে পশ্চিমাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখতে পারে। পশ্চিমারা ইসরায়েলের কাছে অনেক ঋণী। কিন্তু তুরস্ক ইসরায়েলের কাছে কোনো কিছুর জন্যই ঋণী নয়। হামাসের যোদ্ধাদের প্রতি দাঁড়িয়ে সম্মান জানিয়ে তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। এটা মুজাহিদীনদের একটি সংগঠন, যারা নিজেদের ভূমিকে রক্ষা করছে। গাজায় ‘অমানবিক’ যুদ্ধের কারণে ইসরায়েল সফরের পরিকল্পনা বাতিল করছেন বলেও জানান তিনি। এরদোয়ান বলেন, আমাদের ইসরায়েল সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেটা বাতিল হয়ে গেছে, আমরা যাব না। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনা করতে বর্তমানে কাতার সফরে রয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। সেখানে তিনি গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানিকে পাশে নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে হাকান ফিদান বলেন, শিশু, রোগী, বয়স্ক মানুষসহ আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের ওপর এমনকি স্কুল, হাসপাতাল ও মসজিদে হামলা চালানোর এ ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধ।
২৬ অক্টোবর, ২০২৩

ওয়াগনারকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করবে যুক্তরাজ্য
রাশিয়ান ভাড়াটে সংগঠন ওয়াগনারকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে ঘোষণা করবে যুক্তরাজ্য সরকার। যার দ্বারা এই সংস্থার সদস্য বা সমর্থন করা অবৈধ হবে। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেছেন, যে ওয়াগনার ‘হিংসাত্মক এবং ধ্বংসাত্মক... ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ার একটি সামরিক হাতিয়ার’। ইউক্রেন এবং আফ্রিকায় এর কাজ ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি’। যোগ করে তিনি বলেন, ‘ওয়াগনারের অব্যাহত অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড ক্রেমলিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্য অব্যাহত রয়েছে। তারা সন্ত্রাসী- এই নিষেধাজ্ঞার আদেশটি যুক্তরাজ্যের আইনে এটি পরিষ্কার করে।’ সম্প্রতি ওয়াগনার ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পাশাপাশি সিরিয়া এবং লিবিয়া ও মালিসহ আফ্রিকার দেশগুলোতে কাজ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতনসহ একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। বিবিসির নিরাপত্তা প্রতিবেদক ফ্রাঙ্ক গার্ডনার লিখেছেন, রাশিয়ার জেনারেলদের বিরুদ্ধে জুনে তার ব্যর্থ বিদ্রোহ এবং সেইসাথে তার শীর্ষ নেতৃত্বের বিমান দুর্ঘটনায় সাম্প্রতিক মৃত্যুতে ওয়াগনার গ্রুপ গুরুতরভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলেননি কানাডার আদালত - রিজভী
কানাডার আদালত বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ উল্লেখ করে কোনো রায় দেননি বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। রিজভী বলেন, কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে আখ্যায়িত করেছেন—এই মর্মে সরকার মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার করতে গণমাধ্যমের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। কিন্তু সত্য হলো, বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে রায় দেননি কানাডার আদালত। ২৬ পৃষ্ঠার সম্পূর্ণ রায়ের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার ৩ নম্বর সেকশনে বলা হয়েছে, ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট এমন কোনো যুক্তিসংগত কারণ পায়নি, যাতে প্রতীয়মান হয়, বিএনপি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত কোনো সংগঠন। সম্পূর্ণ রায় কানাডার ফেডারেল কোর্টের ওয়েবসাইটে এখনো আছে। কিছু কিছু গণমাধ্যম প্রকৃত বিষয়টি যাচাই না করে সরকারের হুকুমে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা সত্যানুসন্ধানী গণমাধ্যমের মূলনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন। তিনি বলেন, পদে পদে ব্যর্থতায় আওয়ামী সরকার এখন দিশেহারা। অন্য দেশের আদালতের রায়কেও বিকৃত করতে তারা দ্বিধা করেনি।
০২ আগস্ট, ২০২৩

বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন তাদের লজ্জা নেই- তথ্যমন্ত্রী
পরপর পাঁচবার কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরও তাদের লজ্জা নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এবারও কানাডার আদালত বলেছে, বিএনপি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাচ্ছে। তারা গাড়ি পোড়াচ্ছে, ভাঙচুর করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। তাই তাদের দলের কাউকেই রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রংপুর নগরীর আর কে রোড এলাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি অন্য দলের রাজনৈতিক শিষ্টাচার বোঝে না। আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার আছে বলেই আপ্যায়ন হয়, ডিভিশন দেওয়া হয়। গয়েশ্বর রায়কে খাবার দেওয়া আর আমান উল্লাহ আমানকে প্রধানমন্ত্রীর ফলমূল পাঠানো রাজনৈতিক শিষ্টাচার। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এই শিষ্টাচার মেনে চলেন। এখন তারা অন্য কথা বললেও দেশের জনগণ তাদের কথা বিশ্বাস করে না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেত্রী মতিয়া চৌধুরী ও মো. নাসিমকে কীভাবে রাস্তায় ফেলে লাঠিপেটা করা হয়েছে, সেটাও দেশের মানুষ দেখেছে। হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি খেলা শুরুর আগেই বোল্ড আউট হয়েছে। তারা ঢাকা দখল নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের নেতাকর্মী পালিয়ে গেছে। এ সময় রংপুর উপকেন্দ্রে বৃক্ষরোপণ করেন মন্ত্রী। তার সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কর্মকর্তারা ছিলেন।
০২ আগস্ট, ২০২৩

আবারও বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলল কানাডার আদালত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে আবারও সন্ত্রাসী সংগঠন বলল কানাডার আদালত। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলল দেশটির আদালত। মোহাম্মদ জিপসেদ ইবনে হক নামে একজন বিএনপি কর্মী কানাডায় আশ্রয় প্রার্থনা করলে তা নাকচ করে দিয়ে এ রায় দেন দেশটির ফেডারেল কোর্ট।  রায়ে বলা হয়, আশ্রয়প্রার্থী ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবী দলের সদস্য ছিলেন। যেই সংগঠন সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে। আবেদনকারীকে কানাডার অভিবাসন এবং উদ্বাস্তু সুরক্ষা আইন ৩৪ ধারায় আবেদনকারীকে দেশটিতে বসবাসের অযোগ্য হিসেবে রায় দেওয়া হয়। ধারায় উল্লেখ রয়েছে, যারা সরকারের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের সঙ্গে সরাসরি কিংবা প্ররোচনায় জড়িত বা একটি গণতান্ত্রিক সরকার, প্রতিষ্ঠান বা প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কাজে জড়িত এবং সরাসরি সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তারা কানাডায় বাস করতে পারবে না। এর আগে ২০১৮ সালে মাসুদ রানা ও ২০২২ সালে সেলিম নামে বিএনপির অপর দুই কর্মীর আশ্রয় প্রার্থনা নাকচ করে দেয় দেশটি। সেসময়েও বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে কানাডার আদালত। আারও পড়ুন : এবার মাঠে নামছে ১৪ দল ২০১৭ সালে মোহাম্মাদ জুয়েল হোসেন গাজী নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন কর্মী কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করলে তা নাকচ করে দেওয়া হয়। 
৩১ জুলাই, ২০২৩
X