সারা বছরই মিলবে আম-কাঁঠাল : কৃষি সচিব
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ সয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে ফল উৎপাদনেও সয়ংসম্পূর্ণ হবে। আগামী পাঁচ বছর পর আম ও কাঁঠাল ৩৬৫ দিনই পাওয়া যাবে। সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।  শনিবার (৬ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ফল উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদ এবং রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান। বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার ও সিনিয়র সদস্য রফিকুল ইসলাম রতন। ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (মিজান রহমান)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সততা ও সাহসিকতার প্রসংশা করে কৃষি সচিব আরও বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের অধিক দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সাংবাদিকরা সব সময় গঠনমূলক সমালোচনা ও তথ্য ভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। তারা দেশকে এগিয়ে নিতে কৃষির উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।  ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই ফল উৎসব চলে। সুস্বাদু ও রসালো ফলের জমজমাট এ উৎসবে ছিল আম, কাঁঠাল, আনারস, বরই, করমচা, জাম্বুরা, কলা, কামরাঙ্গা, আমড়া, পেয়ারা, লটকন, তেঁতুলসহ ১৯ পদের বাহারি ফল। এসময় ডিআরইউ’র অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লা, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, মুহিববুল্লাহ মুহিব, রফিক মৃধা, দেলোয়ার হোসেন মহিন ও মো. শরীফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ফল উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, শাহেদ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবসহ সংগঠনের সদস্যরা।
০৬ জুলাই, ২০২৪

সচিব সভায় সরকারি দপ্তরে ভোগান্তিহীন সেবা নিশ্চিতে জোর
প্রতিটি মন্ত্রণালয়-বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর সংস্থায় সেবাপ্রত্যাশীরা যেন সহজে এবং ভোগান্তিহীন সেবা পেতে পারে, তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তি হিসেবে সচিব বা সিনিয়র সচিবদের এ আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নসহ অন্তত ৮ থেকে ৯টি বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। প্রায় ২ ঘণ্টার সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, প্রশাসনে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় আমরা সবসময় সচেষ্ট থাকি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ সংশোধন হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংও শেষ। দ্রুত আপনারা এ বিষয়ে জানতে পারবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে গুরত্বারোপ করা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা রক্ষার বিষয়ে সচিবদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারি অফিসগুলোয় সেবা কার্যক্রম তদারকি (মনিটর) করতে বলা হয়েছে। সেবাপ্রত্যাশীরা যেন সহজে এবং কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া সেবা পেতে পারে সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে। গত সচিব সভার আলোচ্যসূচি এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুশাসন বাস্তবায়নের বিষয়েও কথা হয়েছে। সভা শেষে তিনজন সচিব এই প্রতিবেদককে বলেন, আলোচ্যসূচিতে যা ছিল তার বাইরে কিছু আলোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীও কোনো নির্দেশনা পাঠাননি। সভায় অর্থ সচিবও উপস্থিত ছিলেন। অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তারা বলেন, কোনো ধরনের অর্থনৈতিক সংকট আলোচনায় স্থান পায়নি। একজন সচিব জানান, সরকারের বড় বড় কর্মকর্তার সীমাহীন দুর্নীতির বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে সচিবদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। ফলে সচিব সভায় নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার জন্য সচিবদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর সংস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিবদের সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং মুখ্য সচিব। প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু গতকালের সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
০৫ জুলাই, ২০২৪

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পররাষ্ট্র সচিব
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০-এর এম-৩৯ ব্লকে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) কর্তৃক পরিচালিত ইনোভ্যাশন ভ্যালি পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা আইওএমের নবনির্মিত রোহিঙ্গা শেল্টারও ঘুরে দেখেন। প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮-এর এম-১২ ব্লকে অবস্থিত এনজিও সংস্থা স্কাস কর্তৃক পরিচালিত একটি লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় ওই লার্নিং সেন্টারে অধ্যায়নরত রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং লার্নিং সেন্টারের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত হন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮-এম-১২ ব্লকে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শন করেন। এর পরে একে একে প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২-এর এ-২ ব্লকে অবস্থিত ইউএনএইচসিআর কর্তৃক পরিচালিত প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরে ঘুমধুম বিওপিসংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন। দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত প্রতিনিধি দলটি কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ডি ব্লকে অবস্থিত এনজিও ফোরাম কর্তৃক পরিচালিত স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলটি দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ক্যাম্প এলাকা ত্যাগ করেন। পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদলের হয়ে সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (দ্বিপাক্ষিক পূর্ব ও পশ্চিম) মো. নজরুল ইসলাম, জাতিসংঘ অণুবিভাগের ফাইয়াজ মুর্শিদ কাজী, মহাপরিচালক (মিয়ানমার অণুবিভাগ) মিয়া মোহাম্মদ মাইনুল কবির, মো. জোবায়েদ হোসেন (পরিচালক পররাষ্ট্র সচিবের দপ্তর), সিনিয়র সহকারী সচিব (মিয়ানমার অণুবিভাগ) বিশ্বজিৎ দেবনাথ, সহকারী সচিব সাজ্জাদ হোসেন, পিও টু ডিজি জাকির হোসেন ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশনার মিজানুর রহমান।
০৪ জুলাই, ২০২৪

সচিব সভা অনুষ্ঠিত / সরকারি দপ্তরে ভোগান্তিহীন সেবা নিশ্চিতে জোর
প্রতিটি মন্ত্রণালয়-বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর সংস্থায় সেবাপ্রত্যাশীরা যেন সহজে এবং ভোগান্তিহীন সেবা পেতে পারে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন। প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তি হিসেবে সচিব/সিনিয়র সচিবদের তারা এ নির্দেশনা দেন।  এ ছাড়া বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নসহ অন্তত ৮-৯টি বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। প্রায় ২ ঘণ্টার সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।  তিনি বলেন, প্রশাসনে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি। বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ সংশোধন হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংও শেষ হয়েছে। দ্রুত আপনারা এ বিষয়ে জানতে পারবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে গুরত্বারোপ করা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা রক্ষার বিষয়ে সচিবদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাহবুব বলেন, সরকারি অফিসগুলোতে সেবা কার্যক্রম তদারকি (মনিটর) করতে বলা হয়েছে। সেবাপ্রত্যাশীরা যেন সহজে এবং কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া সেবা পেতে পারে সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, গত সচিব সভার আলোচ্যসূচি এবং প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুশাসন বাস্তবায়নের বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। সভা শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন সচিব এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, সভার আলোচ্যসূচিতে যা ছিল তার বাইরে কিছু আলোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীও কোনো নির্দেশনা পাঠাননি। সভায় অর্থ সচিবও উপস্থিত ছিলেন। অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তারা বলেন, কোনো ধরনের অর্থনৈতিক সংকট আলোচনায় স্থান পায়নি। একজন সচিব জানান, সরকারের বড় বড় কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতির বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তি সচিবদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। ফলে সচিব সভায় নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার জন্য সচিবদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর সংস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিবদের সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং মুখ্য সচিব।  প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।  
০৪ জুলাই, ২০২৪

সচিব সভায় গুরুত্ব পাবে বাজেট ও দুর্নীতি
টানা চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পরপরই গত ফেব্রুয়ারিতে সচিব সভা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় সচিব সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ বুধবার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে ৪টায় সচিবালয়ে এ সভা হবে। এতে সরকারের ৮২ সচিব উপস্থিত থাকবেন। এবারের সভায় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকছেন না। ভার্চুয়ালিও তিনি যোগ দেবেন না। সভায় বাজেট বাস্তবায়ন ও প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে যাওয়া দুর্নীতি কমানো নিয়ে আলোচনা করবেন সচিবরা। সূত্র জানায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারির সচিব সভার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা, সারা দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি, শুদ্ধাচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন, বাজেট পর্যালোচনা ও বাস্তবায়নে করণীয়, কোটাবিরোধী আন্দোলন, প্রত্যয় স্কিমসহ আরও নানাবিধ বিষয় সচিব সভার আলোচ্যসূচিতে স্থান পেয়েছে। এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সরকারের বড় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তি সচিবদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। ফলে আজকের সচিব সভায় নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার জন্য সচিবদের নির্দেশ দেবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর সংস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিবদের সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেবেন প্রশাসনের শীর্ষ এ দুই কর্মকর্তা। সচিব সভায় সাধারণত সরকারের নেওয়া নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন, মন্ত্রণালয়-বিভাগগুলোর কাজের অগ্রগতি কিংবা নতুন পরিকল্পনা তুলে ধরেন সচিবরা। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন বিষয়ে অনুশাসন দেন। সূত্র বলছে, গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ইশতেহার বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেগুলো দূর করার বিষয়ে করণীয় নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হবে। এ ছাড়া সরকারি কর্মচারীদের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সর্বত্র সমালোচনা হচ্ছে। এ নিয়েও সচিবরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন। বাজেট বাস্তবায়নে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সদস্য ও সচিবদের আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সচিব সভায় বাজেট বাস্তবায়নের বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে। সারা দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষ একেবারেই বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দেশের নানা জায়গায় বিদ্যুৎ নিয়ে অসন্তুষ্ট মানুষ প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে। বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার কী করছে, তা বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হবে। তিনি তার বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে সভায় আলোচনা করবেন। সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে রয়েছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ভর্তি, সভা-সেমিনার, ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। এতে অচলাবস্থায় পড়েছে দেশের উচ্চ শিক্ষালয়গুলো। যদিও চলমান আন্দোলনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সচিব সভায় এ বিষয়টিও আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থ সচিব প্রত্যয় স্কিম নিয়ে তার ব্যাখ্যা তুলে ধরবেন। আজকের সভায় সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে চলমান আন্দোলন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণও আজকের সচিব সভায় স্থান পাবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না। বরং দিনকে দিন দাম আরও বাড়ছে। মধ্য ও নিম্নবিত্তরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার সরকারি কোনো পদক্ষেপও চোখে পড়ছে না। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ চরম ত্যক্ত-বিরক্ত। সচিব সভায় বাজার পরিস্থিতির ওপর বিশদ আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। আলোচনায় স্থান পাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও।
০৪ জুলাই, ২০২৪

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি নয় : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না বলে দাবি করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।  সোমবার (০১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে এলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরে সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নেই।’  উল্লেখ্য, সম্প্রতি কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদরা ও এনবিআরের ১ম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নাম ওঠে এসেছে। এর মধ্যেই এদের বিরদ্ধে তদন্তের কাজ শুরু করেছে দুদক।
০১ জুলাই, ২০২৪

আলী হোসেন আরও এক বছর বিজ্ঞান সচিব
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেনকে এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার তাকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামী ২ জুলাই নিয়মিত চাকরি শেষে অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল তার। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আইন অনুযায়ী আলী হোসেনকে তার অবসরোত্তর ছুটি ও তদসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে আগামী ৩ জুলাই বা যোগদানের তারিখ থেকে আগামী এক বছরের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো। মো. আলী হোসেন ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করেন। গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর পদোন্নতি পেয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব হন। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ ও এনটিএমসি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। তারও আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পারমাণবিক বিদ্যুৎ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
০১ জুলাই, ২০২৪

এক বছরের চুক্তিতে বিজ্ঞান সচিব আলী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেনকে এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।  রোববার (৩০ জুন) তাকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামী ২ জুলাই নিয়মিত চাকরি শেষে অবসর উত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল তার। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ধারা ৪৯ অনুযায়ী আলী হোসেনকে তার অবসর উত্তর ছুটি ও তদসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে আগামী ৩ জুলাই বা যোগদানের তারিখ থেকে আগামী এক বছরের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো। মো. আলী হোসেন ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করেন। গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর পদোন্নতি পেয়ে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব হন। সচিব হওয়ার আগে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ ও এনটিএমসি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পারমাণবিক বিদ্যুৎ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 
৩০ জুন, ২০২৪
X