অবসরের বয়সসীমায় সংশোধনী আসবে
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ নিয়ে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে ‘প্রত্যয়’ স্কিম চালু করার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে, সেগুলো দূর করতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাখ্যাসংবলিত আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রদান এবং অধিকতর স্পষ্টীকরণ জারি হয়েছে। সেইসঙ্গে গত ১ জুলাই থেকেই প্রত্যয় স্কিম যাত্রা শুরু হয়েছে জানিয়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় নিয়ে আসার দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, অন্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত এবং তার অঙ্গসংগঠন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সর্বজনীন পেনশনের এই ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রবর্তন করা হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা স্পষ্টীকরণ বিবৃতিতে বলা হয়, ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত যেসব শিক্ষক/কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত আছেন তারা পূর্বের ন্যায় সকল পেনশন সুবিধাপ্রাপ্য হবেন। তবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনে ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশনপ্রাপ্তির উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছর থেকে অবসরে যাবেন বিধায় ৬৫ বছর থেকেই তারা আজীবন পেনশনপ্রাপ্ত হবেন, তা নিশ্চিত করতে সরকার আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে বলেও স্পষ্ট করেছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, লাম্পগ্রান্ট, পিআরএল ও প্রভিডেন্ট ফান্ড বর্তমান ব্যবস্থায় বহাল থাকবে। এতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ)-এর আওতাধীন। সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিকপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন, কোনো পেনশন পান না। তা ছাড়া সরকারি, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের বিপুলসংখ্যক জনসাধারণ একটি সুগঠিত পেনশনের আওতাবহির্ভূত থাকায় সরকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে একটি সুগঠিত পেনশন কাঠামো গড়ে তোলার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রবর্তন করেছে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩-এর ১৪(২) ধারা অনুযায়ী দেশের সকল মানুষের জন্য পেনশন স্কিম প্রবর্তনের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই ২০২৪ বা তৎপরবর্তী সময়ে যোগদানকারী সব কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন। অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, ১ জুলাই ২০২৫ বা তৎপরবর্তী সময়ে যোগদানকারী সরকারি কর্মচারীরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্পষ্টীকরণ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বর্তমানে সরকারি পেনশনে আনফান্ডেড ডিফাইনড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। ফলে, পেনশনের যাবতীয় ব্যয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদত্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে মেটানো হয়। ১ জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে সেখানে ফান্ডেড ডিফাইনড কন্ট্রিবিউটরি সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা চালু হবে বিধায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক জমার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০% বা সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা যাহা কম হয় তাহা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন থেকে কেটে রাখা হবে এবং তার সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে। অতঃপর উভয় অর্থ ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর কর্পাস অ্যাকাউন্টে জমা হবে। স্পষ্টীকরণ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আনফান্ডেড ডিফাইনড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় যা দীর্ঘমেয়াদে কোনোক্রমেই টেকসই ব্যবস্থা নয়। অন্যদিকে ফান্ডেড ডিফাইনড বেনিফিট সিস্টেমের প্রাপ্ত কন্ট্রিবিউশন এবং বিনিয়োগ মুনাফার ভিত্তিতে একটি ফান্ড গঠিত হবে বিধায় এটি দীর্ঘমেয়াদে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। এতে আরও বলা হয়, নতুন পেনশন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর মধ্যে আনা সম্ভব হবে। এতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বা উচ্চতর কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি সার্ভিস প্রটেকশন ও পে প্রটেকশন প্রাপ্ত হন বিধায় এটিকে নতুন নিয়োগ হিসেবে গণ্য করা হয় না। সেক্ষেত্রে তার বিদ্যমান পেনশন সুবিধার আওতায় থাকার সুযোগ থাকবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী যারা ২০২৪ সালের ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন কেবল তারা প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে দাবি করা হয়, কন্ট্রিবিউটরি পেনশন সিস্টেমে অংশগ্রহণকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এককালীন নয়; বরং মাসিক পেনশনের যুক্তিসংগত পরিমাণ নির্ধারণ করাই অগ্রগণ্য বিধায় এক্ষেত্রে আনুতোষিকের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বরং বিদ্যমান মাসিক পেনশনের কয়েকগুণ বেশি মাসিক পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে মাসিক ৫০০০ টাকা বেতন থেকে কেটে রাখা হলে একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান জমা প্রদান করলে ৩০ বছর পর একজন পেনশনার প্রতি মাসে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা হারে আজীবন পেনশন পাবেন। তার নিজ আয়ের মোট জমাকৃত অর্থের পরিমাণ হবে ১৮ লাখ টাকা। তিনি যদি ১৫ বছর ধরে পেনশন পান সেক্ষেত্রে তার মোট প্রাপ্তি হবে ২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা, যা তার জমার প্রায় ১২.৫ গুণ। পেনশনার পেনশনের যাওয়ার পর ৩০ বছর জীবিত থাকলে তার জমার প্রায় ২৫ গুণ অর্থ পেনশন পাবেন। এ ছাড়া বিদ্যমান ব্যবস্থায় পেনশনার আজীবন পেনশন পান। তার অবর্তমানে পেনশনারের স্পাউস এবং প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পেনশন পান। নতুন পেনশন ব্যবস্থায়ও পেনশনার আজীবন পেনশন পাবেন। পেনশনারের অবর্তমানে তার স্পাউস বা নমিনি পেনশনারের পেনশন শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছর হিসাবে যে সময় অবশিষ্ট থাকবে সে পর্যন্ত পেনশনপ্রাপ্য হবেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন পেনশনার অবসরে যাওয়ার পর পেনশন ভোগরত অবস্থায় পাঁচ বছর পেনশন পেয়ে তারপর মারা গেলেন। এক্ষেত্রে তার স্পাউস বা নমিনি আরও ১০ বছর পেনশন পাবেন।
০৩ জুলাই, ২০২৪

ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে সংশোধনী পাস
ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। এ প্রশাসক নিয়োগ হবে কেবল এক মেয়াদ বা ১২০ দিনের জন্য। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল–২০২৪ পাস হয়। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলে বলা হয়, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশাসক নিয়োগ হবে কেবল এক মেয়াদে ১২০ দিনের জন্য। কোনো দৈবদুর্বিপাক, অতিমারি বা মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাচিত পরিষদ গঠন সম্ভব না হলে মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে। বিলে আরও বলা হয়, কোনো চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তরে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। আগের আইনে যা ছিল ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদটির নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য এবং চৌকিদার দফাদারদের সম্মানী বাড়ানোর দাবি জানান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথ। আরেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার বলেন, সরকারি টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নিজের আয় থেকে মিলিয়ে চেয়ারম্যানের ভাতা ১০ হাজার আর সদস্যদের ৫ হাজার। এটি দ্বিগুণ করা উচিত। তিনি আরও বলেন, প্রশাসক নিয়োগের সুবিধাও যেমন আছে সরকারের স্বেচ্ছাচারের আশঙ্কাও আছে। বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচনে অনেক টাকা খরচ হয়। সে টাকা তুলতে দুর্নীতি করে। টিআর কাবিখা বিক্রি করে দেয়। দুর্নীতি কমাতে তাদের ভাতা বাড়ানো উচিত। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসক নিয়োগ সাংঘর্ষিক নয়। এটা সাময়িক। আইনি জটিলতা সৃষ্টি করেও পদে থেকে যাওয়ার উদাহরণ আছে। ভাতা বৃদ্ধির যৌক্তিকতা আছে বলে সহমত প্রকাশ করেন তিনি।
০২ জুলাই, ২০২৪

ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে আইনের সংশোধনী পাস
ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। এ প্রশাসক নিয়োগ হবে কেবল এক মেয়াদে ১২০ দিনের জন্য। সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় সংসদে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল-২০২৪’ পাস হয়। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাইবাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলে বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশাসক নিয়োগ হবে কেবল এক মেয়াদে ১২০ দিনের জন্য। কোনো দৈবদুর্বিপাক, অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার ওই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে। বিলে বলা হয়েছে, কোনো চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। বিদ্যমান আইনে এটি ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদটির নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে পংকজ নাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য এবং চৌকিদার দফাদারদের সম্মানী বাড়ানোর দাবি জানান। হামিদুল হক খন্দকার বলেন, সম্মানিটা সম্মানজনক হওয়া উচিত। এখন সরকারি টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নিজের আয় থেকে মিলিয়ে চেয়ারম্যানের ভাতা ১০ হাজার টাকা আর সদস্যদের ভাতা ৫ হাজার টাকা। বর্তমান বাস্তবাতায় এটি দ্বিগুণ করা উচিত।  তিনি বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিধান আগে আইনে ছিল না। এটার সুবিধা যেমন আছে সরকারের স্বেচ্ছাচারের আশঙ্কাও আছে। বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচনে অনেক টাকা খরচ হয়। তারা এ টাকা কীভাবে তুলবে। তখন দুর্নীতি করে। টিআর কাবিখা বিক্রি করে দেয়। এজন্য দুর্নীতি কমাতে তাদের ভাতা বাড়ানো উচিত। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসক নিয়োগ সাংঘর্ষিক নয়। এটা সাময়িক। নতুন ইউপি গঠনের পর এটা করতে হয়, এখানে আইনের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিক নয়। আইনি জটিলতা সৃষ্টি করেও পদে থেকে যাওয়ার উদাহরণ আছে। এই বিধান এ ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। ভাতা বৃদ্ধির যৌক্তিকতা আছে।
০১ জুলাই, ২০২৪

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি নারী এমপিদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ বিনির্মাণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছেন তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের সদস্যরা। বুধবার (২৬ জুন) নারী মৈত্রী আয়োজিত রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ফোরামভুক্ত নারী সংসদ সদস্যরা এ দাবি জানান। তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য শবনম জাহান শিলা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মাহফুজা সুলতানা (নারী আসন-৬), জারা জাবিন মাহবুব (নারী আসন-৭), মাসুদা সিদ্দিক রোজী (নারী আসন-৩৪), নাজমা আকতার (নারী আসন-৩৭), অনিমা মুক্তি গোমেজ (নারী আসন ২৯), শেখ আনার কলি পুতুল (নারী আসন-৩০), মাহফুজা সুলতানা (নারী আসন-৬), আশরাফুন্নেছা (নারী আসন-৪৪), কানন আরা বেগম (নারী আসন-৪১), লাইলা পারভীন (নারী আসন-১৩), সানজিদা খানম (নারী আসন-৩২), সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়ছমীন (নারী আসন-৩৫) এবং হাসিনা বারি চৌধুরী (নারী আসন-৩১)। তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন ফোরামের আহ্বায়ক শবনম জাহান শিলা। তিনি বলেন, তামাকের কারণে প্রতিবছর এক লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃত্যুর হার হ্রাস করার লক্ষ্যে তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরাম এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা আইন সংশোধনী পাশের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী বরাবর স্বাক্ষরকৃত চিঠি প্রেরণ করেছি। এছাড়াও আমরা পার্লামেন্টে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি অধিকতর জনমত সৃষ্টির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে তামাক বিরোধী বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাসের দাবি জানান ফোরামের অন্যান্য সদস্যরাও। তারা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। তরুণদের ধূমপানের অভ্যাস দেশের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয়। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা তামাকবিরোধী আন্দোলনে অনেকাংশে সহায়ক হতে পারে। তামাকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার ও কথা ব্যক্ত করেন তারা। এছাড়াও ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের প্রতিনিধি মিসেস অ্যাড্রিয়েন পিজাটেলা, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর দক্ষিণ এশীয় কর্মসূচির পরিচালক ড. মাহিন মালিক এবং নারী মৈত্রীর সভাপতি মাসুমা আলম সভায় উপস্থিত ছিলেন। তারা নারী সংসদ সদস্যদের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী প্রস্তাব সমর্থন করার জন্য ফোরাম সদস্যদের অনুরোধ জানান।
২৬ জুন, ২০২৪

বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে ভুল নাম, সংশোধনী
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে সমন্বয় ও কিছু নেতাকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) নতুন করে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে সংশোধনী দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিএনপি।  দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে  বলা হয়েছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ভুলবশত ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহর নামটি লেখা হয়েছে। মূলত সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়েছে ডা. মো. নজরুল ইসলামকে।  এ ছাড়াও স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির ১১ নম্বর সদস্য শেখ রবিউল আলম রবির নাম ভুলবশত খান রবিউল ইসলাম রবি লেখা হয়েছে। মূলত এই কমিটির ১১ নম্বর সদস্যের নামটি হবে শেখ রবিউল আলম রবি।
১৫ জুন, ২০২৪

বিয়ে করতে দিতে হবে নতুন তথ্য, সংশোধনী আসছে কাবিননামায়
উচ্চ আদালতের নির্দেশে মুসলিমদের বিয়ের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের ফরম সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী নিকাহনামার ফরম থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে নারীর জন্য অবমাননাকর ‘কুমারী’ শব্দটি। এ ছাড়া বরের কতজন স্ত্রী বর্তমান আছে, তাও জানাতে হবে সংশোধিত ফরমে। আইন মন্ত্রণালয় মুসলিম বিয়ে নিবন্ধন ফরম বা কাবিননামা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি মাসেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। এরই মধ্যে খসড়া (সংশোধিত) ফরম প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া নিকাহ রেজিস্ট্রারদের (কাজি) শিক্ষাগত যোগ্যতা আলিম থেকে বাড়িয়ে ফাজিল এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সুবিধাজনক স্থানে নিজ খরচে একাধিক অফিস স্থাপনের পরিবর্তে একটি কাজি অফিস করতে বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে।  মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪-এর আলোকে ২০০৯ সালে বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। নিকাহনামা ফরমে ২৫ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়। ফরমের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে তথ্য চাওয়া হয় ‘কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কিনা?’ ২০২২ সালে এক রায়ে এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন ও সংশোধন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। খসড়া ফরমে এটি সংশোধন করে ‘কন্যা অবিবাহিত, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কিনা?’ লেখা হয়েছে। বর্তমান নিকাহনামা ফরমের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে জানতে চাওয়া হয়, ‘বরের কোনো স্ত্রী বর্তমানে আছে কিনা এবং থাকিলে অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিশি কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কিনা?’ খসড়া ফরমে এই অনুচ্ছেদে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘বর বিবাহিত, অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত, বিপত্নীক কিনা? স্ত্রী থাকিলে কতটি এবং অন্য বিবাহে আবদ্ধ হইবার জন্য বর ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ মোতাবেক সালিশি কাউন্সিলের অনুমতি লইয়াছে কিনা?’ এ ছাড়া যে ক’জন স্ত্রী বর্তমান থাকবে, তাদের বিষয়েও তথ্য দিতে হবে নতুন ফরমে। প্রসঙ্গত, কাবিননামা ফরম সংশোধন চেয়ে ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নারীপক্ষ ও মহিলা পরিষদ। এর প্রেক্ষিতে ওই বছরই সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট রায়ে মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে কাবিননামায় ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে থাকা ‘কুমারী’ শব্দটি লেখা বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করেন। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে নিকাহনামা ফরম থেকে ‘কুমারী’ শব্দ বাদ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাবিননামার ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে বরের বর্তমান বৈবাহিক অবস্থা উল্লেখ করারও নির্দেশ দেন আদালত। 
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী ঈদের পরে
চলতি বছরের শুরুতে পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন বিষয়বস্তু নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি বানান ও তথ্যগত কিছু ভুলও ধরা পড়ে। তখন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে জানানো হয়, মার্চে এসব সংশোধনী দেওয়া হবে। তবে সেটি সম্ভব হয়নি। এখন তারা বলছে, বিভিন্ন কারণে তারা সংশোধনী দিতে পারেনি। তবে ঈদের পরপরই সংশোধনীগুলো স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ নামক একটি অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নামে একটি গল্প যুক্ত করা হয়। ১৬ পৃষ্ঠার এ অধ্যায়ে শরীফার গল্প আছে দুই পাতাজুড়ে। এ গল্প ঘিরে সারা দেশে বিশেষত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বিতর্কের ঝড় ওঠে। এর মধ্যে ২৩ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের শরীফার গল্পে বিভ্রান্তি বা বিতর্ক থাকলে তা পরিবর্তনের কথা বলেন। পরদিনই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি এনসিটিবিকে গল্পটি পর্যালোচনায় সার্বিক সহায়তা করবে। এ কমিটির আহ্বায়ক ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রশীদ। অন্য সদস্যরা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ। এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান কালবেলাকে বলেন, শরীফার গল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন লেখা হচ্ছে। এরপর কমিটির আহ্বায়ক যখন বলবেন, তখনই আরেকটি সভা করে সেটি মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। তবে মন্ত্রীর সময় পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কমিটির সদস্যরাও ব্যস্ত। যে কারণে সভা করা যাচ্ছে না। আশা করছি, ঈদের পরপরই সভা করে শরীফার গল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া যাবে। পরবর্তী সভা কবে হবে জানতে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুর রশীদের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। শুধু শরীফার গল্প নয়, বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারও পাঠ্যবইয়ে শতাধিক ভুল পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে বইয়ে বিভিন্ন সাইট বা ব্লগ থেকে কপি করা কনটেন্টও ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি ‘পাঠ্যবইয়ে এবারও ভুলের ছড়াছড়ি’ শিরোনামে প্রতিবেদন করে কালবেলা। মার্চের মাঝামাঝি এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, চলতি মাসের মধ্যেই তারা সংশোধনীগুলো উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেবেন। তবে তা বাস্তবায়ন হয়নি। অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, মার্চের মধ্যে সব সংশোধনী দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি বিভিন্ন কারণে সম্ভব হয়নি। যেহেতু ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রয়েছে, এর মাঝেই সংশোধনী দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই বাচ্চারা সংশোধনী পেতে পারে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বইয়ে বড় কোনো সংশোধনী আসবে না। একটি শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ে গাণিতিক মান ভুল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শরীফার গল্প নিয়ে যেহেতু আলোচনা বেশি হয়েছে, সেটির প্রতিবেদন পেলেই সংশোধনী দেওয়া হবে। আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও বসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অনেকেই ব্যস্ত। তাদের অনেকেই ঈদের পর সংশোধনী দিতে বলছেন। সেজন্য ঈদের পরই সংশোধনী দেওয়ার কথা ভাবছি।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

চিঠিপত্র / বিশেষ সংখ্যার সংশোধনী
সোমবার কালবেলার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ সংখ্যার প্রথম পর্বে অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ-এর সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ স্কাউটস, রোভার অঞ্চলের ‘সভাপতি’ হিসেবে দায়িত্বরত-এর স্থলে ‘সাবেক সভাপতি’ হবে। এ ছাড়া প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ‘২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যে নির্বাচন আয়োজন করা হয়, সেখানে অংশগ্রহণ করে বিএনপি।’ এর স্থলে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যে নির্বাচন আয়োজন করা হয়, সেখানে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি।’ এবং ‘বিদেশিরাও তাদের মতপ্রকাশ করেছে যে, এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। তারা বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট।’-এ কথাটিও তিনি বলেননি। অসাবধানতাবশত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত
১৭ অক্টোবর, ২০২৩

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাসের দাবি
চলতি সংসদ অধিবেশনেই বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী পাসের দাবি জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার নারী মৈত্রী আয়োজিত ‘২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের গুরুত্ব’বিষয়ক অরিয়েন্টেশনে তারা এ দাবি জানান। আয়োজনে নারী মৈত্রীর সঙ্গে সার্বিক সহায়তায় ছিল ইউল্যাব রেডিও ক্যাম্পবাজ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউল্যাবের রেজিস্ট্রার লে. কর্নেল ফয়জুল ইসলাম (অব.)। আলোচক ছিলেন নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) প্রোগ্রামস অফিসার আব্দুস সালাম মিয়া, কমিউনিকেশন ম্যানেজার হুমাইরা সুলতানা ও অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার আতাউর রহমান।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের সংশোধনী বিল পাস
জামানতের পরিমাণ বাড়িয়ে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের সংশোধনী পাস হয়েছে। সংশোধনীতে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে। বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলে বলা হয়েছে, সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের জামানত হবে ২০ হাজার টাকা। বিদ্যমান আইনে সংরক্ষিত আসন শূন্য হলে ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান আছে। সেখানেও সংশোধনী আনা হয়েছে। বিলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া নারী আসন বণ্টন পদ্ধতিতেও সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X