মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১
ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
বিল বকেয়া থাকায় বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গত ২২ মে বিদ্যুৎ বিভাগের অভিযানে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও বিষয়টি গতকাল রোববার জানাজানি হয়। পরে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) তোপখানা জোনের কর্মকর্তারাও কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা যায়, বর্তমানে তোপখানা রোডের ৩১/এফ ভবনের পঞ্চম তলায় রাশেদ খান মেননের দল বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। সম্প্রতি সেখানে ৮ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হয়। দীর্ঘদিন বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ডিপিডিসি। এ ছাড়া ভবনটির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকার কথাও জানা গেছে। অভিযানের সময় ভবনের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি কেউ। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ভবনের লিফট চলাচলও বন্ধ। পানি তোলাও যাচ্ছে না। গত বুধবার থেকে নেতাকর্মীরাও যাচ্ছেন না। কিন্তু কার্যালয়ে থাকা লোকজন কষ্টে আছেন বলে জানা গেছে। অন্য একটি সূত্র জানায়, ভবনের মালিক বিদেশে থাকায় সমিতির মাধ্যমে ভাড়া তোলা হয়। ভাড়াটিয়াদের নিয়ে গঠিত সমিতি পরিচালনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির এক নেতা। সঠিক সময়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার পরিপ্রেক্ষিতে ভবনের আরও কয়েকটি ফ্ল্যাটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। জানতে চাইলে দলের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন কালবেলাকে বলেন, একজনের গাফিলতির কারণে এই সমস্যা হয়েছে। দ্রুতই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।
২৭ মে, ২০২৪

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দোকানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তিন নম্বর ফটকের দোকানগুলোয় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন জড়িতরা। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে নেওয়া অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর ২১ মে থেকে জড়িতরা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেন। জানতে চাইলে এক দোকানি বলেন, নিউজ হওয়ার পর যারা বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিত, তারা লাইন কেটে দিয়েছে। এখন সব দোকানেই নিজেদের ব্যবস্থাপনায় বাতি জ্বালানো হয়। কেউ কেউ চার্জার লাইট ব্যবহার করছেন। আরেক দোকানি বলেন, বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেওয়ায় জুস বানাতে ব্লেন্ডার মেশিনের জন্য আমরা মিনি জেনারেটর ব্যবহার করছি। সঙ্গে লাইটও জ্বলছে। এর আগে ২১ মে কালবেলায় ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিদ্যুৎ সংযোগে লাখ টাকার বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্রলীগ নেতার উন্মুক্ত লাইব্রেরির তিন কেয়ারটেকার মফিজ, সা’দ আলী ও রিয়াদ অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মাসে লাখ টাকার বাণিজ্য করছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি সংলগ্ন ফটকের একটি পিলার থেকে সংযোগ নিয়ে তারা আশপাশের ৬৫টি দোকানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিলেন। বাতিপ্রতি বিল তোলা হতো ৩০ টাকা, একসঙ্গে দুই বাতির বিল ৫০ টাকা। এ ছাড়া ফটকের পাশের ফুটপাতে অবস্থিত একটি বাক্স থেকে অবৈধভাবে উন্মুক্ত লাইব্রেরিতেও বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছিল। উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে তানভীর হাসান সৈকত কালবেলাকে বলেন, লাইব্রেরিতে এখন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ আছে। মিটারের জন্য আবেদন করা হয়েছে, সেটার কার্যক্রম চলমান। এখনই বিষয়টি ঠিকঠাক করে নিচ্ছি। এটা নিয়ে আমার আরও আগেই সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।
২৬ মে, ২০২৪

সাভারে ৫ শতাধিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
রাজধানীর আশুলিয়া থানার কাশিমপুরের কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। অভিযানে প্রায় এক কিলোমিটারে ৫ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে সংস্থাটি। সোমবার (১৩ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আশুলিয়ার আওতাধীন গাজীপুরের কাশিমপুরের কাজি মার্কেট, সুরাবাড়ি ও কাশিমপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া মমিন। আশুলিয়া তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ খাদেমুদ্দীন কালবেলাকে বলেন, কাশিমপুর থানা ও গাজীপুর জেলা পুলিশের সহযোগিতায় কাশিমপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৪টি পয়েন্ট সিলগালা করে পাঁচ শতাধিক অবৈধ আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অভিযানের সময় প্রায় ৩০০ মিটার পাইপ উদ্ধার করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া মমিন, উপব্যবস্থাপক আনিসুজ্জামান, মো. আব্দুল মান্নান, উপব্যবস্থাপক মো. সাকিব বিন আব্দুল হান্নান, সহকারী প্রকৌশলী মো. আসোয়াত হোসেন ও উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সুমন আলী প্রমুখ।
১৩ মে, ২০২৪

আশুলিয়ায় অভিযানে অবৈধ ৫ শতাধিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
আশুলিয়া তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির আওতাধীন কাশিমপুরের সুলতান মার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে দেওয়া প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। এ সময় বার্নারগুলো খুলে নেওয়া হয়। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাশিমপুর থানার সুলতান মার্কেট এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন আশুলিয়া তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক প্রকৌশল আবু সাদাৎ মো. সায়েম। তিনি বলেন, একটি অসাধু চক্র ওই এলাকায় নিম্নমানের পাইপ ও ফিটিংস ব্যবহার করে তিতাসের মূল সঞ্চালন পাইপ থেকে অবৈধভাবে আবাসিক সংযোগ দিয়েছিল। খবর পেয়ে আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় চারটি সঞ্চালন পাইপের প্রধান পয়েন্ট বন্ধ করে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার ৫ শতাধিক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি। খুলে নেওয়া হয় অন্তত ৫ শতাধিক বার্নার। এ ছাড়া প্রায় ৪০০ মিটার নিম্নমানের পাইপ জব্দ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির উপব্যবস্থাপক আনিসুজ্জামান, সাভার তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির উপব্যবস্থাপক মো. সাকিব বিন আব্দুল হান্নান, আশুলিয়া তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির সহকারী প্রকৌশলী আসোয়াত হোসেন, মো. সুমন আলী, সাভার তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির সহকারী প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল ইসলাম ও আশুলিয়া তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ারসহ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আবারও দিনাজপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দিনাজপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ আবারও বিচ্ছিন্ন করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিক্রয় ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নেসকো। অন্যদিকে দিনাজপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জেনারেটর চালিয়ে সবধরনের সেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে পৌরসভার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় নেসকো। এর ফলে গত চার দিন ধরে পৌর কর্তৃপক্ষ জেনারেটর চালিয়ে জনসেবা অব্যাহত রেখেছেন। দিনাজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাড়ে ২২ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল বলছেন, কোনো নোটিশ না দিয়েই লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অপরদিকে পিডিবির বিক্রয় ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নেসকো দিনাজপুর প্রকৌশলী ফজলুর রহমান বলছেন, নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  জানা যায়, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন প্যানেল মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল। অপরদিকে নেসকো দিনাজপুর-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বিদেশে থাকায় দায়িত্বে রয়েছেন দিনাজপুর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুর রহমান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুর রহমান বলেন, প্রায় সাড়ে ২২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত মেয়রের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছিল, তারা প্রতি মাসের চলমান বিল পরিশোধ করবেন। কিন্তু এতেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন। তাই বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।   পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল বলেন, কোনো নোটিশ না দিয়েই লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমি গত ১০ অক্টোবর-২৩ ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। এ সময় নেসকো দিনাজপুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়। তাদের আমি জানিয়েছি, প্রতি মাসের চলমান বিল পরিশোধ করব। সেই কথা অনুযায়ী নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছি।  গত ৩০ জানুয়ারি আমি বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে রংপুরে মিটিংয়ে থাকায় পরদিন ৩১ জানুয়ারি সকালে জানুয়ারি মাসের বিলের চেক প্রদান করি। কিন্তু তারা কোনো নোটিশ ছাড়াই ভোরে গোপনে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করেন। এতে করে সব ধরনের সেবা যেমন জন্ম, মৃত্যু নিবন্ধন, অনলাইনে ট্রেড লাইনেন্স নবায়ন, পানির বিল প্রদানসহ ডিজিটাল সেবা এবং পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের ফ্রিজে থাকা শিশুদের বিভিন্ন প্রকার টিকার অ্যাম্পুল নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।  আমি এবং আমার প্রকৌশলীরা তাদের সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাতে দেখা করে জানুয়ারি মাসের বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৩১ জানুয়ারি ইস্যু করা ১১ লাখ টাকার চেকটি গ্রহণ করার জন্য বলি। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে চেকটিও গ্রহণ করছে না এবং বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হচ্ছে না। এতে বাধ্য হয়ে জেনারেটর চালিয়ে পৌরসভায় জনসেবা সচল রেখেছি। অথচ বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে নেসকো দিনাজপুর-২ এর অফিসের জায়গার ভাড়া বাবদ ৩৩ কোটি টাকা পাবে দিনাজপুর পৌরসভা। সেটি তারা পরিশোধ করছে না। কই আমরা তো তাদের অফিস বন্ধ করে দেই নাই।  তিনি আরও বলেন, দিনাজপুর পৌরসভার কাছে সাড়ে ২২ কোটি টাকার যে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে এটি আমার দায়িত্ব গ্রহণ করার আগের। প্রায় ২৫ বছর ধরে এই বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। এর আগে ২০ বছরের বিল বকেয়া ছিল। ১৮-১৯ বছর আগে যখন বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল হক ছুটু মেয়র ছিলেন, সে সময় বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে পৌরসভার জায়গার ভাড়া নিয়ে বৈঠক হয়। সে সময় পৌরসভার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) জায়গার ভাড়া পরিশোধ করবেন বলে অঙ্গীকার করেন। কিন্তু তারা এখনো সেই ভাড়া পরিশোধ করেননি। যদি বকেয়া বিদ্যুৎ বিল এবং বকেয়া জায়গার ভাড়া যোগবিয়োগ করা হয় তাহলে পৌর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে সাড়ে ১১ কোটি টাকা পাবেন। 
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কাশিমপুরে ৫ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ঢাকার সাভারে আশুলিয়ার আওতাধীন কাশিমপুর ভুঁইয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে দেওয়া প্রায় ৫ শতাধিক আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে আশুলিয়া তিতাসগ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাশিমপুরের ভুঁইয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন আশুলিয়া তিতাসগ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম। এসময় তিনি বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ওই এলাকায় অবৈধভাবে দেওয়া ৫ শতাধিক আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। একটি প্রভাবশালী মহল নিম্নমানের পাইপ ও ফিটিংস ব্যবহার করে এসব সংযোগ দিয়েছিলেন। ফলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা ছিল। তিনি আরও বলেন, অভিযানে ৫টি মূল পয়েন্টের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সিলগালা করা হয়েছে। এসময় অবৈধভাবে বিতরণের ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৫০০টি বার্নার ও ১৫০ মিটার পাইপ অপসারণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া তিতাসগ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপব্যবস্থাপক আনিসুজ্জামান, সাভার তিতাসগ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপব্যবস্থাপক সাকিব বিন আব্দুল হান্নান ও আশুলিয়া তিতাসগ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী প্রকৌশলী মো. আসোয়াত হোসেনসহ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

গজারিয়ায় ৫ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় তিতাসের অভিযানে ৫ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী বাসস্ট্যান্ড থেকে হোসেন্দী ইকোনমিক জোন পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার বিস্তৃত ৫ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এলাকাগুলো হলো জামালদী, লস্করদী, ভবানীপুর, নতুন চর, হোসেন্দী বাজারসহ আরও কয়েকটি স্থানে এসব অবৈধ লাইন ছিল। এ সময় তিতাসের পক্ষ থেকে সর্বসাধারণের মধ্যে সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।  তিতাস গ্যাসের মেঘনা ঘাট আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান পলাশ বলেন, জনগণকে অনুরোধ করব অবৈধ গ্যাস সংযোগ এভাবে না নেওয়ার জন্য। রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এটি রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের সবার।  তিনি আরও বলেন, আমরা আপাতত বৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছি না। তবে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে, যেসব এলাকায় বৈধ লাইন থেকে অবৈধ লাইন বেশি আছে, সেসব এলাকায় বৈধ-অবৈধ সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে।
২১ জুলাই, ২০২৩
X