ঋণ সংকট থেকে বেরিয়ে আসছে শ্রীলঙ্কা
বিদেশি ঋণ পরিশোধ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। সব মিলিয়ে ৫৮০ কোটি বা ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি ঋণ পুনর্গঠনে সক্ষম হয়েছে দেশটি। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গত বুধবার এই ঋণ পুনর্গঠন-সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে। এর মাধ্যমে ঋণ সংকট থেকে বেরিয়ে আসছে শ্রীলঙ্কা। ভারত, জাপান ও ফ্রান্সের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এই চুক্তির পর শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী শিহান সেমাসিংহে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, শ্রীলঙ্কার ঋণ সংকট সমাধানে এ চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে। শ্রীলঙ্কার দ্বিপক্ষীয় বিদেশি ঋণের বড় উৎস চীন। দেশটির অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, চীনের এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া ৪ বিলিয়ন বা ৪০০ কোটি ডলারের ঋণও পুনর্গঠন হওয়ার পথে। শিগগির এ বিষয়ে চুক্তি হবে।
২৮ জুন, ২০২৪

পয়েন্ট টেবিল বদলে দিল শ্রীলঙ্কা
সিলেটের পর চট্টগ্রামে দাপটের সঙ্গে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট তালিকার ৪ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দল। তবে সিরিজ শুরুর আগে ৪-এ থাকা বাংলাদেশ নেমে গেছে পয়েন্ট তালিকার ৭ নম্বরে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রে বাংলাদেশ খেলেছে ৪টি টেস্ট। একটিতে জিতলেও বাকি তিনটিতে হেরেছে তারা। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলা লঙ্কানদের দুটি জয় ও দুটি হার রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ সিরিজের আগে পয়েন্টশূন্য ছিল তারা। টানা দুই টেস্ট জিতে তাদের পয়েন্ট এখন ৫০ শতাংশ। লঙ্কানদের উত্থানে পেছনে পড়ে গেল পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জিতেছে তারা, হেরেছে তিনটিতে। তালিকার সপ্তম স্থানে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে আছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। তবে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান ইংল্যান্ডের। এখন পর্যন্ত খেলা ১০ টেস্টের মধ্যে জিতেছে মাত্র ৩টি। ৭ ম্যাচের একটিতে করে ড্র, বাকিগুলোতে হার। ১৭.৫০ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছেন বেন স্টোকসরা।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই শ্রীলঙ্কায় চান্ডিমাল
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা। এ ম্যাচের একাদশে আছেন দিনেশ চান্ডিমাল। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয় পারিবারিক কারণে চট্টগ্রাম টেস্ট শেষ না করেই দেশ ফিরেছেন তিনি। এ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন তিনি। ১০৪ বলে করেন ৫৯ রান। আর দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ৯ রান। তবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে ছাড়াই বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলবে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট, তার সতীর্থ এবং কোচিং স্টাফের সদস্যরা এ সময়ে দীনেশ চান্ডিমালকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে। তার এবং তার পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করতে অনুরোধ করছে।’ চট্টগ্রাম টেস্টে চালকের আসনে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করে তারা জবাবে ১৭৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। পরে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১১ রান।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

টস জয়ের ফায়দা তুলল শ্রীলঙ্কা
চট্টগ্রামের উইকেট রানপ্রসবার জন্য বিখ্যাত। এ মাঠে আগে ব্যাটিংয়ের চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে! তাই তো সকালে সিদ্ধান্তটা নিতে একটুও ভাবতে হয়নি শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার। টস জেতার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রথম দিনের স্কোর বোর্ড নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি দেবে লঙ্কানদের—৪ উইকেটে ৩১৪ রান। ৩৪ রানে অপরাজিত দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গে আজ দ্বিতীয় দিনের শুরু করবেন ১৫ রানে অপরাজিত ধনাঞ্জয়া। সিলেট টেস্টে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। বিপরীতে কী হয়েছিল, সেটা হারের ব্যবধানই বলে দেয়। ৩২৮ রানে হেরেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে চট্টগ্রামে নাজমুলের মতো ভুল করেননি ধনাঞ্জয়া। আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নেন তিনি। দিনের প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৮ রান তোলেন দুই লঙ্কান ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও নিশান মাদুস্কা। অবশ্য এর জন্য দায় নিতে হবে বাংলাদেশের ফিল্ডিংকে। ষষ্ঠ ওভারে মাদুস্কার তোলা সহজ ক্যাচ স্লিপে থেকেও ধরতে ব্যর্থ হন মাহমুদুল হাসান জয়। অভিষিক্ত হাসান মাহমুদের বলে ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন পান তিনি। এরপর ৫৭ রান করে হাসানের দারুণ থ্রোতে রানআউট হন মাদুস্কা। হাসানের অভিষেক হতে বিশ্রাম পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। জাতীয় দলের জার্সিতে টানা ১৫ ম্যাচ ও বিপিএল মিলিয়ে ২৭ ম্যাচ পর অবশেষে বিশ্রামের সুযোগ মিলেছে বাঁহাতি এই পেসারের। এখানেই শেষ নয়! প্রথম সেশনে আরও একবার ক্যাচ ফেলেছে বাংলাদেশ। এবার সাকিব আল হাসানের হাত ফসকে ছক্কা পেয়ে যান আরেক ওপেনার করুনারত্নে। দ্বিতীয় সেশনে গিয়ে ৮৬ রান করা এই ব্যাটার বোল্ড করে ফেরান হাসান। নিজের প্রথম টেস্ট উইকেটের দেখা পান ডানহাতি এই পেসার। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের অর্জন মাদুস্কা ও করুনারত্নের উইকেট। শেষ সেশনের প্রথম ঘণ্টা যেতে ব্রেক থ্রু আনেন সাকিব। ৯৩ রান করা কুশল মেন্ডিসকে মিরাজের দারুণ ক্যাচে ফেরান তিনি। প্রায় এক বছর পর লাল বলে কোনো উইকেটের দেখা পান সাকিব। এ সেশনে বাংলাদেশের আরেকটি প্রাপ্তি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের উইকেট। হাসানের বলেই মিরাজের ক্যাচে ফেরেন তিনি। তবে পুরো দিনজুড়েই সাবলীলভাবে রানের গতি এগিয়ে নিয়েছেন লঙ্কানরা।
৩১ মার্চ, ২০২৪

ধনঞ্জয়া-মেন্ডিসের কীর্তিতে রানের পাহাড়ে শ্রীলঙ্কা
সিলেট টেস্টে দলের বিপর্যয়ে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। এবার দ্বিতীয় ইনিংসেও শতক তুলে নেন এই ব্যাটার। এক টেস্টে একই দলে দুই ব্যাটারের জোড়া শতকের ঘটনা বিরল। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি তৃতীয় ঘটনা। আর এতে রানের পাহাড়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। ওয়েলিংটনে ১৯৭৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংসে জোড়া শতকের প্রথম কীর্তি গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই সহদোর ইয়ান চ্যাপেল ও গ্রেগ চ্যাপেল। আর ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিরল এই কীর্তি করেছিলেন পাকিস্তানের আজহার আলী ও মিসবাহ-উল হক। তৃতীয় এই কীর্তি গড়তে প্রথম ইনিংসে দুজনে গড়েছিলেন ২০২ রানের জুটি। আর দ্বিতীয় ইনিংসে দুই ব্যাটার মিলে যোগ করেন ১৭৩ রান। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি ধনঞ্জয়ার উইকেট। ক্যারিয়ারের ১২তম শতক করে ১০৮ রানে মিরাজের শিকার হন তিনি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক পূর্ণ করেন কামিন্দু মেন্ডিস। ১০০ রানে অপরাজিত থেকে চা বিরতিতে যান তিনি। তৃতীয় দিনের চা বিরতিতে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৩৮ রান। আর লিড ৪৩০ রানের। চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ৪১৩ রান। ফলে এ ম্যাচ জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে স্বাগতিকদের।
২৪ মার্চ, ২০২৪

জয়ের পর দিপুর বিদায়, ধুঁকছে স্বাগতিকরা
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। আগের দিনের অপরাজিত থাকা মাহমুদুল হাসান জয়ের পর সাজঘরে ফিরেছেন শাহাদাত হোসেন দিপু।  ফলে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে লিড পেতে লড়ছে স্বাগতিক ব্যাটাররা। শনিবার (২৩ মার্চ) ৩ উইকেট ৩২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১২ রানে লাহিরু কুমারার শিকার হন ওপেনার জয়। এরপর নাইট ওয়াচম্যান তাইজুল ইসলামকে নিয়ে লড়াই করেন দিপু। তবে ১৮ রানে কুমারার দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। এর আগে শুক্রবার টেস্টের প্রথম দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। যদিও খালেদ আহমেদের বোলিং তোপে ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে লঙ্কানরা। কিন্তু কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সেঞ্চুরিতে এই স্কোর পায় সফরকারিরা। দুজনেরই ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ১০২ রান করেন।
২৩ মার্চ, ২০২৪

সেঞ্চুরি না পাওয়াতে আক্ষেপ, যা বললেন হৃদয়
শেষ ওভারের ৫ বল খেলার সুযোগ পেয়েছিল তাওহীদ হৃদয়। ৯৮ বলে ৮৩ রান নিয়ে তখন ব্যাটিংয়ে তিনি। লাহিরু কুমারার করা দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেন তিনি। পরের বলে আবারও তাসকিন আহমেদ সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইক পেয়ে যান হৃদয়। পরের বলটি স্কুপ করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে ব্যর্থ হন। শেষ দুই বলে দুই ছক্কায় ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। স্কুপটা ঠিকঠাক হলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও পেয়ে যেতে পারতেন তিনি। এমন কাছে গিয়েও সেঞ্চুরি না পাওয়ার কোনো আক্ষেপ আছে কী! এমন প্রশ্নে হৃদয়ের উত্তর, আমার কোনো আক্ষেপ নেই। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা তরুণ এই ব্যাটার সেঞ্চুরি না পাওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেখেন, আমার কোনো আক্ষেপ নেই। যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এখন বলতে পারেন, ৯৬ আর একটা বল থাকলে হয়তোবা অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে। কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয়, সব থেকে যেটা গুরুত্বপূর্ণ যে, আমি তো প্রথম বলে আউট হয়ে যেতে পারতাম। সর্বশেষ ম্যাচে রান করতে পারিনি, টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়ে গিয়েছি। আমার সব সময় পরিকল্পনা থাকে একটা শুরু যখন পেয়েছি, যতটুকু পারব দিনটাতে যেন ক্যারি করতে পারি।’ ৭৪ বলে প্রথম ফিফটির দেখা পান হৃদয়। পরের ৩২ বলে করেন ৪৬ রান। ব্যাটিংয়ে পরিকল্পনা কি ছিল, সেটা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, যেটা বললেন যে স্লো ছিল! আপনার এটাও বুঝতে হবে, পরিস্থিতিটা কি ছিল আজকে। আমার ব্যাক টু ব্যাক একটু পর পর উইকেট পড়তেছিল। ওই সময় আমার মাথায় যতটুকু কাজ করেছিল, আমি চেষ্টা করেছিলাম শেষ করব ওই জায়গা থেকে।  আরও ব্যাটসম্যান যদি থাকত, তাহলে হয়তোবা খেলার দৃশ্যটা ভিন্ন হতো। আমি প্রথম থেকে যখন দেখতেছিলাম আমাদের একটু পর পর উইকেট হারাচ্ছি, তখন আমার লক্ষ্য ছিল আমি খেলাটুকু শেষ করব। যেহেতু আমি সেট ব্যাটসম্যান, আমি যদি খেলাটুকু শেষ করি তাহলে হয়তোবা আরও ভালো কিছু হবে।’ নিজে শেষ করতে পারলেও দলের জয় দেখা হয়নি হৃদয়ের।
১৬ মার্চ, ২০২৪

মুশফিক-শান্তর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা
মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হাসান শান্তর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ ইউকেটে হারাল বাংলাদেশ। মুশফিকের ৮৪ বলে ৭৩ রান এবং শান্তর ১২৯ বলে অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংসে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।  তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে সফরকারী শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৫৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বুধবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২৫৫ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা। ব্যাট হাতে দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন দলের কাপ্তান নাজমুল হাসান শান্ত। চাপের মুখে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১২৯ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১২২ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। অভিজ্ঞ মুশকির রহিমও নট আউট ছিলেন। ৯১ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৮২ রান করেছেন তিনি।  ইনিংসের প্রথম বলেই বিদায় নেন লিটন দাস। দিলশান মাদুশাঙ্কার করা প্রথম বলেই বোল্ড হন তিনি। যার ফলে রানের খাতা খোলার আগেই নেই বাংলাদেশের এক উইকেট। লিটনের পর বেশিক্ষণ টেকেননি আরেক ওপেনার সৌম্যও। মাদুশঙ্কার শর্ট লেংথের বলে পুল করতে গিয়েছিলেন সৌম্য, টপ-এজে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে ফেরেন তিনি। ১৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকেই হারায় বাংলাদেশ। এরপর হৃদয় ও অধিনায়ক শান্ত মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা চালালেও ভুল শট খেলে প্রমোদ মাদুশানের বলে বোল্ড হন হৃদয়। এরপর শান্তর সঙ্গে জুটি গড়ে অনবদ্য ৩৭ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ৯২ রানে কুমারার বলে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলনে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ।  মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৬২ বলে ৬৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে চাপমুক্ত করেন শান্ত। মাহমুদউল্লাহ আউট হলে মুশফিকের সাথে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক শান্ত। এরপর শান্ত-মুশফিকের ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার পক্ষে দিলশান মাদুশঙ্কা ৪৪ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পান প্রমোদ মাদুশান ও লাহিরু কুমারা। এদিন টস জিতে দারুণ শুরু পায় সফরকারীরা। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৭১ রান তুলে ফেলা লঙ্কানরা ম্যাচে বড় রানের দিকেই এগোচ্ছিল। তবে তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবের মনে ছিল অন্য ভাবনা। নিজের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই উইকেটের খোজে থাকা দলকে কাঙ্খিত সাফল্য এনে দেন তিনি। আভিস্কা ফার্নান্ডোকে (৩৩) কট বিহাইন্ড বানান তরুণ এই পেসার। আভিস্কার বিদায়ের পর আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাও ফেরেন দ্রুতই। তিনিও তরুণ পেসার তানজিম সাকিবের পরের ওভারের প্রথম বলেই সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেন। ২৮ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৬ রান করেন তিনি। চমক বাকি ছিল আরও। ত্রাস হয়ে ওঠা সাকিব নিজের করা পরের ওভারে ফেরান সাদিরা সামারাবিক্রমাকে। মাত্র ৩ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সামারাবিক্রমা। টানা তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া লঙ্কানরা আসালাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিসের সতর্ক ব্যাটিংয়ে চাপ সামাল দেন। তাদের দুজনের ৪৪ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ যখন আবার লঙ্কানদের হাতে যেতে থাকে তখনই মিরাজের আঘাত। ৩৭ বলে ১৮ রান করা আসালাঙ্কাকে বোল্ড করেন তিনি। এদিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর সেরা খেলোয়াড় কুশাল মেন্ডিস ওয়ানডেতেও ভালো করেন। অর্ধশতক করা এই লঙ্কান অধিনায়ক ক্রমেই ভয়ঙ্কর হচ্ছিলেন। লিয়ানাগের সঙ্গে জুটি পৌঁছে যায় অর্ধশতকে। তবে সময়মত জ্বলে ওঠেন তাসকিন। ৭৫ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৯ রান করে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন কুশাল মেন্ডিস। উইকেটে এসেই তাসকিন আহমেদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। তবে ১৩ রান করেই ফিরেন লঙ্কান অলরাউন্ডার। পরের ওভারে মাহেশ থিকসানাকেও ফেরান তাসকিন। আর ৬৯ বলে ৩ চার ২ ছয়ে ৬৭ রান করে শরিফুলের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন লিয়ানাগে। শেষ দুই ব্যাটার হিসেবে প্রমোদ মাদুশান ও দিলশান মাদুশাঙ্কার উইকেটও নেন শরিফুল। তানজিম সাকিব ৮.৪ ওভারে ৪৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। ১০ ওভারে ৬০ রান ও ৯.৫ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন ও শরিফুলও। বাকি উইকেটটি মেহেদী মিরাজের দখলে যায়।
১৩ মার্চ, ২০২৪

সিরিজে টিকে থাকতে বাংলাদেশের দরকার ১৬৬ রান
চায়ের শহর সিলেটে চলমান বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগের ম্যাচেই বয়ে গিয়েছিল রানের বন্যা। মনে হচ্ছিল এই ম্যাচেও একই পরিমাণ রান হবে। তবে বাংলাদেশের বোলাররা এবার আর রান বন্যা হতে দিলেন না। লঙ্কানদের রান লাগামছাড়া হওয়ার আগেই আটকালো ১৬৫ রানে। সিরিজে সমতা আনতে বাংলাদেশের চাই ১৬৬ রান। বুধবার (৬ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং নিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে লঙ্কানদের ৫ উইকেটে ১৬৫ রানে আটকে ফেলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন, মুস্তাফিজ, সৌম্য ও মেহেদী নেন একটি করে উইকেট। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে প্রথম ম্যাচের মতোই বাজে শুরু করে লঙ্কানরা। ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার আভিষ্কার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। শরিফুলের প্রথম ওভারে মেইডেনের পর তাসকিনের করা দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ক্যাচ তুলে দেন এই ব্যাটার। ৭ বলে ০ রান করে ক্রিজে ফেরেন তিনি।   প্রথম তিন ওভারে রান মাত্র আট থাকলেও পাওয়া-প্লে শেষে শ্রীলঙ্কার সেই রান দাড়ায় ৪৯ রানে। দুই মেন্ডিস রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছেন তাসকিন-মেহেদীদের ওপর। এমন অবস্থায় ব্রেকথ্রুর জন্য শান্ত বোলিংয়ে আনেন সৌম্যকে এবং নিজের প্রথম ওভারেই সেই চাওয়া পূরণ করেন সৌম্য সরকার। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারিতে আগের ম্যাচে ফিফটি করা কুশল মেন্ডিস ধরা। লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে গড়া ৬৬ রানের জুটি ভাঙেন এই পার্ট টাইম বোলার। ফেরার আগে কুশল মেন্ডিস ২২ বলে ৩৬ রানে করেছেন। ৬৭ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় সফরকারীদের। জুটি ভাঙলেও ব্যাটিংয়ে ঝড় থামাননি কামিন্দু। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। পরের বলে পয়েন্টে বল ঠেলে রান নিতে গিয়েই ফাঁদে আটকান কামিন্দু। সেখানে থাকা শেখ মেহেদীর ছুঁড়ে দেওয়া বলে অনায়াসে স্টাম্প ভাঙেন রিশাদ। ১০ রানের ব্যবধানে টাইগার ভক্তরা দ্বিতীয়বার উল্লাসে মাতেন। ২৭ বল মোকাবিলায় কামিন্দু ৩৭ রান করেছেন ৩টি চার ও দুই ছক্কায়। এরপর আগের ম্যাচের আরেক ফিফটি করা সাদিরা মামারাবিক্রমাও ফেরে সল্প রানে। প্রথম ওভারে ১৫ রান দেওয়া মুস্তাফিজের দ্বিতীয় ওভারে ফিজের হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তবে তখনও ক্রিজে আগের ম্যাচে ঝড় তোলা আসালাঙ্কা রয়েছেন। মেহেদীর করা তৃতীয় ওভারে দুই ছয়ে সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন তিনি। তবে সেই ওভারেই লঙ্কান দলপতিকে বোল্ড করেন মেহেদী।     এরপর ম্যাথেউস ও শানাকা মিলে ৫৩ রান যোগ করলে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১৬৫ তে যায়।
০৬ মার্চ, ২০২৪

লঙ্কা সিরিজের আগে বাংলাদেশ দলে দুঃসংবাদ
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলে স্থান করে নিয়েছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে বিপিএল মাতানো স্পিনার আলিস আল ইসলাম। বিপিএলের এবারের আসরে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করে সাড়া ফেলে দেওয়া এই স্পিনার পুরো আসরজুড়েই ছিলেন দুর্দান্ত। চমৎকার এই পারফরম্যান্সে জাতীয় দলের নির্বাচকদের নজরেও চলে আসেন তরুণ এই স্পিনার। ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা করে নেন তিনি। তবে সিরিজ শুরুর দুই দিন আগে ভাগ্য বিপক্ষে গেল তার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন সিলেটে। দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগেই চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন এই লেগ স্পিনার। তাতে ঘরের মাঠের এই সিরিজ আর খেলা হচ্ছে না তার। বিপিএলে খেলার সময় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পান তিনি। আঙুলের সেই চোট কাটাতে দুই সপ্তাহের মতো লাগবে তার। তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই স্পিনারকে আর দেখা যাবে না। বিসিবির এক সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ খবরটি নিশ্চিত করেছে। বিসিবির ওই সূত্র ক্রিকবাজকে আরও জানায়, ‘আলিসের ফিট হতে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তাই দলের সঙ্গে সিলেটে যাচ্ছে না সে।’ এছাড়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘তার আঙুলে চোট আছে। খুব সম্ভবত শ্রীলঙ্কা সিরিজে তার খেলা হচ্ছে না।’ সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে দারুণ পারফরম্যান্সের স্বরূপ প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। চোটে পড়ার আগে কুমিল্লার হয়ে ৮ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
০২ মার্চ, ২০২৪
X