ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ
দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার ( ২৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।  পুলিশ ও আন্দোলনরত শ্রমিকদের থেকে জানা গেছে, টঙ্গীর ভাদাম এলাকায় অবস্থিত ক্রসলাইন নিট ফেব্রিকস লিমিটেড নামক পোশাক কারখানার কয়েকশ শ্রমিকের দুই মাসের বেতন বকেয়া আছে। মালিক কর্তৃপক্ষ কয়েকবার তারিখ দিয়ে বেতন পরিশোধ করেনি। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে শ্রমিকরা স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বাসার সামনে বিক্ষোভ করে। সেখান থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেরাগআলী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এ বিষয়ে কারখানার মালিক সিরাজুল ইসলাম খাজার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।  গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোশাররফ হোসেন কালবেলাকে বলেন, শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

তিন দফা দাবিতে মঙ্গলবার রেলের অস্থায়ী শ্রমিকদের কর্মবিরতি
রেলের অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, ছয় মাসের বাজেট বরাদ্দের চিঠি আকারে প্রকাশসহ বিগত দিনে অব্যাহতি প্রাপ্ত সব শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) কর্মবিরতি পালন করবে রেলের অস্থায়ী শ্রমিকরা।  সোমবার (২৮ আগস্ট) রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক পশ্চিম বরাবর লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এতে মঙ্গলবার ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।  বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মরত সব অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীদের পক্ষে মামুনুর রশিদ, জামিউল ও শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আবেদনে বলা হয়েছে, কর্মবিরতি পালনকালে কোনো প্রকার ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হলে বা বন্ধ হলে এজন্য কোনো শ্রমিককে দায়ী করা যাবে না। সম্পূর্ণভাবে দায়ী থাকবে রেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে রেলওয়ে পশ্চিম মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার কালবেলাকে বলেন, অস্থায়ী শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কর্মবিরতির লিখিত আবেদন পেলেও তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো বৈঠক হয়নি। লিখিত আবেদনে বলা হয়, গত ১৬ জুন ও আট আগস্ট রেলমন্ত্রী, সচিব, মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টিএলআর খাতে ছয় মাসের বাজেট বরাদ্দ, অব্যাহতিপ্রাপ্ত শ্রমিকদের দ্রুত পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত হয়। অস্থায়ী শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী খাতে পূর্বের ন্যায় বাজেট বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও অর্থ মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে বাজেট ও পুনর্বহালের চিঠি এখনো পাঠানো হয়নি।  এসব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠি গত ১০ আগস্ট সচিবের মাধমে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আউটসোর্সিং সেবা কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। অথচ অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীরা বারবার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সবার দারস্থ হলেও কোনো সমাধান পাচ্ছে না। সারা দেশে রেলের অস্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা সাত হাজারের বেশি।
২৮ আগস্ট, ২০২৩
X