নারায়ণগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশু নিহত
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে দুই শিশু নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী ও হাইজাদী ইউনিয়নের বড়ইকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন রামচন্দ্রদী গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে জোনায়েদ (৮) ও বড়ইকান্দি গ্রামের নাসির মিয়ার ছেলে নাজমুল ইসলাম (১১)। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ১১ বছরের শিশু নাজমুল দুপুর ১২টার দিকে তার চাচা ভাইদের সঙ্গে উপজেলার বড়ইকান্দি গ্রামের একটি পুকুরে গোসল করতে নামে। চাচাতো ভাইদের সঙ্গে পুকুরে নামার কিছুক্ষণ পর পানি থেকে নাজমুল উঠতে না দেখে বাড়িতে এসে তার ডুবে যাওয়ার বিষয়টি জানায়। পরে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, দুপুর ১২ টার দিকে গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী গ্রামে মায়ের সঙ্গে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ৮ বছরের শিশু জোনায়েদ। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, উপজেলায় পৃথক দুটি স্থানে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে দুই শিশু নিহত হয়েছে। পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
০২ মে, ২০২৪

স্কুলবাস উল্টে ৬ শিশু নিহত, চালক মাদকাসক্তের অভিযোগ
ঈদের ছুটির মধ্যেই খোলা ছিল স্কুল। আর সেই স্কুলের বাস মাদকাসক্ত চালকের হাতে পড়েছে। এরপর এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছয় শিশু নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে করে ছয় শিশু নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। আর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের নারনাউল জেলার উহানি গ্রামের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসটি জিএল পাবলিক স্কুলের বাস। স্কুলটি ঈদুল ফিতরের ছুটির সময়েও খোলা ছিল। সকালে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আহত ১২ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের দুজনকে রোহতাক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।  কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। কাগজপত্র থেকে দেখা যাচ্ছে, বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেট আরও ছয় বছর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।  নারনাউল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অজিত সিং সাওয়ান হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। ধারণা করা হচ্ছে বাসের চালক মাতাল ছিলেন।   
১১ এপ্রিল, ২০২৪

সিরিয়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৭ শিশু নিহত
সিরিয়ায় বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণে অন্তত ৭ শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও দুজন। শনিবার (৬ এপ্রিল) দক্ষিণাঞ্চলীয় দারা প্রদেশে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  পুলিশের বরাতে সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, দারা প্রদেশের সানামাইন শহরে জঙ্গিদের একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়েছে। অঞ্চলটিতে এটি পুঁতে রাখা হয়েছিল। এতে করে সাত শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন।  অন্যদিকে ব্রিটিশ মানবাধিকার বিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বিভিন্ন বয়সের আট শিশু এ বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে। এ ছাড়া এতে আহত হয়েছে আরও একজন। সেখানকার অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা ডিভাইসটি পুঁতে রেখেছিল বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি।  সিরিয়ায় ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধী অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল। এ অভ্যুত্থানের কেন্দ্রবিন্দু ছিল দারা প্রদেশ। তবে ২০১৮ সালে রাশিয়ার সমর্থনে অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়। এরপর পুনরায় দারায় বাশার আল- আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তখকার সময় থেকেই দারা প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। প্রদেশটিতে ক্রমাগত হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রায় ভয়াবহ সংকট নেমে এসেছে।  সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠী ও সামরিক বাহিনী এতে অংশ নেয়। কয়েব বছরের এ যুদ্ধে পাঁচ লাখের বেশি বেসামরিত লোক নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছন। এমনকি টানা সংঘাতের কারণে দেশটির বিভিন্ন অবকাঠামো ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।   
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

ট্রলির গাড়িচাপায় শিশু নিহত
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ট্রলি গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে পারভেজ (৮) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই শিশু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের বিপুল মণ্ডলের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের মজিদ মণ্ডল একই গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ট্রলি ভাড়া করে ওই গ্রামের চরের মাঠে জৈব সার নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন রাস্তার পাশেই বন্ধুদের সাথে খেলা করছিলেন শিশু পারভেজ। মাঠ থেকে গাড়ি ফেরার পথে বন্ধুদের সাথে ওই ট্রলি গাড়িতে ওঠে পারভেজ। কিছুদুর চলার পর বামপাশের সামনের চাকা সড়কের খাদে পড়ে গেলে গাড়ি থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায় পারভেজ। এ সময় তার পড়ে যাওয়া খেয়াল না করে চালক গাড়ি সামনের দিকে এগোলে পেছনের চাকায় পিষ্ট হয় শিশু পারভেজ। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত পারভেজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হরিণাকুণ্ড থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, ট্রলি গাড়ির চাপায় পারভেজ নামে এক ছোট শিশু নিহত হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ দুর্ঘটনার থানায় সড়ক আইনে মামলা হবে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় শিশু নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় মায়ের সঙ্গে রাস্তা পার হওয়ার সময় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (৮ এপিবিএন) গাড়ির ধাক্কায় এক শিশু নিহত হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) রাতে উপজেলার কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের তুতুরবির এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু মো. সাজ্জাদ রহমান উখিযার রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল এলাকার রফিক আলমের ছেলে। উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মূলত শিশুটি অসাবধানতার কারণে দৌড় দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সাজ্জাদ নামের শিশুটি মায়ের সঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিল। ওই সময়ে দ্রুত গতির একটি মাইক্রোবাস শিশুটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সাজ্জাদ গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

মাছ ধরা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে শিশু নিহত
নেত্রকোনার মদনের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৯ বছরের এক শিশু নিহত এবং তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ইছবঢালী খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে হাবুল মুন্সী ও ইব্রাহিম মুন্সীর লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় মাঝে পড়ে আশিক মিয়ার ছেলে শিশু সজীব নিহত হয়। আহত হন সুলেমান (৩১), গোলাম রাব্বানি (১৭) ও আব্দুল হেকিম (৪৯)। প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানকার চিকিৎসক ডা. মিরাজ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশু সজীবের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন। মদন থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৬ মার্চ, ২০২৪

মদনে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে শিশু নিহত
নেত্রকোনার মদনে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৯ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আরও তিনজন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পশ্চিম ফতেপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এলাকা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ইছবঢালী খালে মাছ ধরা কেন্দ্র করে হাবুল মুন্সীর এবং ইব্রাহিম মুন্সীর লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় আশিক মিয়ার ছেলে সজীব নিহত হয়। গুরুতর আহত হন সুলেমান (৩১), গোলাম রাব্বানি (১৭) ও আব্দুল হেকিম (৪৯)। প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিরাজ জানান, সজীবকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা এখনো চিকিৎসাধীন। মদন থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মার্চ, ২০২৪

ট্রাকের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে পড়ে শিশু নিহত
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে মো. রাফি বেপারি নামে তিন বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুর মা। তারা দুজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী ছিল। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে উজিরপুরের সানুহার বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। হতাহতরা বাবুগঞ্জ উপজেলার রমজানকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত মো. কাইয়ুম বেপারির স্ত্রী ও সন্তান। বর্তমানে তারা উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের ভরসাকাঠি গ্রামে বসবাস করেন। স্বজনরা জানান, রূপা বেগম তার তিন বছরের ছেলে রাফিকে নিয়ে সোমবার সকালে গৌরীপুর উপজেলার বাটাজোড় এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। সন্ধ্যা ৭টার দিকে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সানুহার বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে পেছন থেকে বরিশালগামী একটি ট্রাক অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। রাফি মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে। এতে শিশুটি মাথায় আঘাত পায়। তার মায়ের মুখ থেঁতলে যায়। গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম রসুল মোল্লা বলেন, স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই মা ও ছেলেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন। মা রূপা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি / মিরসরাইয়ে গাছের ডাল ভেঙে শিশু নিহত
মিরসরাইয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে সৃষ্ট দমকা বাতাসে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে সিদরাতুল মুনতাহা আরিয়া (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সোনাপাহাড় কাটাবিল এলাকার হাসমত আলী ভূঁইয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। মুনতাহা ওই বাড়ির আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার মেয়ে। মুনতাহার চাচা মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ঘরের সবার অগোচরে শুক্রবার বিকেলে বাড়ির সামনে গেলে একটি গাছ পড়ে আমার ভাতিজি গুরুতর আহত হয়। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।   মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মৌমিতা রায় বলেন, সিদরাতুল মুনতাহা আরিয়া নামের এক শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।    এদিকে মিধিলির প্রভাবে দমকা হাওয়ায় উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় গাছপালা ভেঙে গেছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। জমির পাকা আধাপাকা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। বিদ্যুতের কারণে বাসাবাড়িতে পানি না থাকায় কষ্ট রয়েছে মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ে দুপুরের পর থেকে মুসলধারে বৃষ্টির কারণে শীতকালীন সবজি ক্ষেতে পানি জমে রয়েছে। পানি না সরলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম সাইফুল আহমেদ জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আমবাড়িয়া এলাকায় তার ছিঁড়ে রেললাইনের ওপর পড়ে ছিল। আমি টিম নিয়ে গিয়ে তার সরিয়েছি। আমাদের কর্মীরা মাঠে কাজ করছে। এত বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ কখন স্বাভাবিক হবে বলা যাচ্ছে না।  মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে এক শিশু গাছ পড়ে মারা গেছে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে সতর্কতা সংকেত ৬ নম্বর থেকে ৩ নম্বরে নেমে এসেছে। আমরা বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে যাব।
১৭ নভেম্বর, ২০২৩
X