বাঙালি নদীতে গোসলে নেমে শিশুর মৃত্যু, দুই শিশু উদ্ধার
বগুড়ার শেরপুরে বাঙ্গালী নদীতে গোসল করতে নেমে সিয়াম প্রামানিক (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এসময় নদীর পানিতে ভেসে যাওয়া অপর দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।  নিহত সিয়াম প্রামানিক স্থানীয় বিনোদপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী সিজাব প্রামাণিকের ছেলে। আর পানিতে ভেসে যাওয়ার সময় উদ্ধার হওয়া দুই শিশু একই গ্রামের ইসমত আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৮) ও হোসেন আলীর ছেলে শরিফ উদ্দিন (৯)।  সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জিন্নাহ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ওই তিন শিশু বাঙ্গালী নদীর তীরে খেলা করছিল। একপর্যায়ে তারা নদীতে গোসল করার জন্য নামে। নদীর কিনার থেকে হেঁটে গোসল করতে পানিতে নামতেই স্রোতে তিনজন ভেসে যেতে থাকে। এসময় ইসমাইল ও শরীফকে উদ্ধার করা গেলেও শিশু সিয়াম প্রামানিক নদীর মধ্যে তলিয়ে যায়। পরে নদীতে শিশু নিখোঁজ হওয়ার খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। তাক্ষণিক অনেক অভিভাবক ছুটে আসেন নদীর তীরে। একপর্যায়ে মাছ ধরার জাল ফেলে সিয়ামকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া অপর দুই শিশুকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে। ঈদ পরবর্তী ওই ঘটনায় বিনোদপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

অপহরণের দুই দিন পর শিশু উদ্ধার
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অপহৃত এক বছর বয়সী শিশুকে দুই দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অপহরণকারী ও ক্রেতাকে গ্রেপ্তার করার পর শুক্রবার (৩ নভেম্বর) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম লাবিব। সে গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন মাঝিরখোলা এলাকার সুজন মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তার হওয়া নারী নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার বাউশী দশাদার গ্রামের সুলতান মিয়ার স্ত্রী মোসা. সুলতানা খাতুন (২৬)। তিনি গাজীপুর সদর থানার ভোড়ার সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া। অপরজন ভোলা জেলার মনপুরা থানাধীন হাজীরহাট গ্রামের আনসার মীরের মেয়ে মোসা. ফারজানা আক্তার (১৯)। শুক্রবার এসব তথ্য জানান জিএমপির সদর থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে সদর থানায় সুজন মিয়ার স্ত্রী হামিদা আক্তার (২২) অভিযোগ করেন, তিনি তার স্বামী ও দুই ছেলে হাবিব (৭) ও লাবিবকে নিয়ে মহানগরীর সদর থানার মাঝিরখোলা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। দেড় মাস আগে তার বড় ছেল হাবিব হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ায় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক তার ছেলের ডান পায়ে প্লাস্টার করে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় তিনি, তার স্বামী ও আত্মীয়স্বজন মিলে হাবিবকে দেখাশোনা করে আসছিলেন। হাসপাতালে থাকার সময় গত ১ নভেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে বড় ছেলেকে দেখাশোনা করাকালে বোরকা পরিহিত অজ্ঞাতানামা এক নারী শিশু লাবিবকে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ড থেকে চুরি করে নিয়ে যান। পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশের কয়েকটি টিম বিভিন্নভাবে ভিকটিমকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সোর্সের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে অপহৃত ভিকটিম শিশু লাবিবকে উদ্ধারে পুবাইল থানা এলাকায় এবং ভোড়া এলাকার চৌকিদার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এতে শিশু লাবিবকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
০৩ নভেম্বর, ২০২৩

ভারতে পাচারের সময় আনসারের হাতে শিশু উদ্ধার
বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় সজিবুর রহমান (১২) নামে এক শিশুকে উদ্ধার করেছে আনসার সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া শিশু সজিবুর রহমান নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার কুঁড়েরপাড় গ্রামের শাহিনের ছেলে। সে কুঁড়েরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে। সনজয় কুমার সাহা, জেলা কমান্ড্যান্ট, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, যশোর এ বিষয় বলেন, সকালে পাচারকারীরা সজিবুর রহমান নামের এক শিশুকে সুকৌশলে ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন‍্য বেনাপোল সীমান্তে নিয়ে আসে। দায়িত্বরত আনসার সদস‍্যরা পাচারকারীদের সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে ধাওয়া করলে শিশুটিকে ফেলে পাচারকারীরা দৌঁড়ে পালায়। পরবর্তীতে শিশুটিকে উদ্ধার করে বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঈদে হারানো ২১ শিশু উদ্ধার করল ট্যুরিস্ট পুলিশ
ঈদে পাঁচ দিনের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া ২১ শিশুকে উদ্ধার করে তাদের স্বজনের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এ সময় দেশি-বিদেশি পর্যটকের নিরাপত্তায় ৪০টি ট্যুরিস্ট স্পটে কাজ করেছে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত এ ইউনিট। গতকাল মঙ্গলবার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) নাদিয়া ফারজানা জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ দিনের সরকারি ছুটিতে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ১০ লাখ ৯১ হাজার ৮০৪ দেশি ও ২২৫ জন বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে যান। পর্যটকের নিরাপত্তায় কাজ করে গেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। এ সময় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে হারিয়ে যাওয়া ২১ শিশুকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ফারজানা আরও জানান, ঈদের তৃতীয় দিন ১ জুলাই কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণে আসা রাজীব সরদারকে মারধরের ঘটনায় মহিপুর থানায় মামলা হয়। এ মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে ট্যুরিস্ট পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মামলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন তদন্ত করছে।
০৫ জুলাই, ২০২৩
X