এইচএসসি পরীক্ষায় অসদুপায় / আবারো একই কেন্দ্রে প্রভাষকসহ ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ময়মনসিংহের ভালুকায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সিট বদল করা ও নকল সঙ্গে রাখার দায়ে এক শিক্ষক ও ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  রোববার (৭ জুলাই) সকালে উপজেলার উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের মাহমুদপুর সাহেরা সাফায়েত কলেজের কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।  বহিষ্কৃত ৮ শিক্ষার্থী হলেন উপজেলার মেজর ভিটা এলাকার মর্নিং সান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। বহিষ্কৃত শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান হলেন সায়েরা সাফায়েত স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক। ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলি নূর খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সাহেরা সাফায়েত কলেজে শিক্ষার্থীরা বসার সিট বদল করা ও সঙ্গে নকল রাখার দায়ে সাহেরা সাফায়েত কলেজের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান ও উপজেলার মেজর ভিটা এলাকার মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ইউএনও আরও বলেন, মর্নিং সান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নিয়ে আগে থেকেই আলোচনা ছিল। গত বছরও পরীক্ষাতেও অসদুপায়ের অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। তারা শিক্ষকদের সঙ্গে চুক্তি করে পরীক্ষা দিতে আসেন।  শিক্ষক ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রের সচিবসহ সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সায়েরা সাফায়েত স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ব্যাপক গাফিলতি লক্ষ করেছি। আমাদের নজরদারিও বাড়ানো হবে। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ জুন মাহমুদপুর সাহেরা সাফায়েত কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অসদুপায়ে সহযোগিতা করায় শিক্ষক সাদিকুর রহমান ও মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
২১ ঘণ্টা আগে

এইচএসসি পরীক্ষায় অসদুপায়, প্রভাষকসহ ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ময়মনসিংহের ভালুকায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অসদুপায়ে সহযোগিতা করায় এক প্রভাষকসহ ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) সকাল সোয়া ১০টার দিকে মাহমুদপুর সাহেরা সাফায়েত কলেজের কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।  ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলিনূর খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষায় অসদুপায়ে সহযোগিতা করায় প্রভাষক সাদিকুর রহমান এবং উপজেলার মেজর ভিটা এলাকার মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার জেলায় ২৯৪টি প্রতিষ্ঠানের ৯৯টি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর ৭৮ হাজার ৩৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। যা গতবারের চেয়ে ১১ হাজার ৯৭৫ জন বেশি।  এবারের পরীক্ষায় ময়মনসিংহ জেলার ২৯ হাজার ৬৮২ জন, জামালপুরের ১২ হাজার ৩৪৬ জন, নেত্রকোনার ১০ হাজার ৬৬৬ জন ও শেরপুরের ৬ হাজার ৪৩২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। রোববার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় কড়া নজরদারির মধ্য দিয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হয়।
৩০ জুন, ২০২৪

শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় প্রদীপ বিশ্বাস নামে এক শিক্ষককে মারধর করার ঘটনায় স্কুলের সাত শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশতিয়াক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে আড়াইহাজার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউএনও ইশতিয়াক আহমেদের সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ের জরুরি সভায় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের অপরাধে ওই ৭ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। আড়াইহাজার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বহিষ্কারকৃত শিক্ষার্থীরা হলেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আকিব তার বন্ধু সিফাত, আকরাম মেহেদী, মারুফ, সানপ্রিয়া, নাহিদ, সজীব। এ ব্যাপারে ইউএনও ইশতিয়াক আহমেদ জানান, শিক্ষকরা অত্যন্ত সম্মাননীয়। সুলতানসাদী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রদীপ বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
২৯ জুন, ২০২৪

চাকরিপ্রার্থীকে অপহরণ ও শিক্ষার্থীকে মারধর, যবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
চাকরিপ্রার্থীকে অপহরণ এবং আবাসিক শিক্ষার্থীকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ৯ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ৯ জন ও বর্তমানে ছাত্রত্ব না থাকায় এবং অপরাধে জড়িত থাকায় আরও চারজনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০০তম (বিশেষ) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং সশরীরে সভায় অংশ নেন। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনের পর তা নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। পরে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সুপারিশ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় উপস্থাপন করার পর তা ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহের বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি গত বছরের ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটর নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সময় উদ্ভূত ঘটনাসমূহ রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অবহিত করেন। এ ছাড়া গত ৪ জুন যবিপ্রবি শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনাও জানান। রিজেন্ট বোর্ডের সভায় গত বছরের ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটর পদে চাকরিপ্রার্থীদের অপহরণের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম রাইসুল হক, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্র নাথ রায়, মুশফিকুর রহমান, ফাহিম ফয়সাল ও মো. আবু বক্কারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়। তাদের মধ্যে ফাহিম ফয়সালের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই। তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ৪ জুন দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, রেদওয়ান আহমেদ জিসান, মো. বিপুল সেখ, ইছাদ হোসেন, মো. আশিকুজ্জামান (লিমন) ও মো. আমিনুল ইসলাম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. রায়হান রহমান রাব্বীকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।  তবে সোহেল রানা, ইছাদ হোসেন ও আশিকুজ্জামানের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই। তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। বেলাল হোসেনকে চাকরিপ্রার্থীদের অপহরণের ঘটনাতেও বহিষ্কার করা হয়েছে।   যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার, যুগ্ম সচিব ড. মোর্শেদা আক্তার, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ। আইসিসিডিআরবির বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. আসাদুলগনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম এ রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার। যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহিরয়ার জাহেদী। সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, যশোর সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম আহসান হাবিব, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব প্রমুখ।
২৬ জুন, ২০২৪

স্কুলে টিকটক করায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে স্কুল চলাকালীন হাতের ইশারায় ছাত্রীদের দেখিয়ে টিকটক করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের অপরাধে সিয়াম মিয়া নামে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ১০ মে সিয়ামকে মৌখিকভাবে বহিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। নির্দেশ দেওয়া হয়, স্কুল চলাকালীন যেন তাকে আশপাশে দেখা না যায়। যদিও এখনো চিঠির মাধ্যমে তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়নি। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী সিয়াম মিয়া শিবপাশা ইউনিয়নের যশকেশরী গ্রামের মন্নান মিয়ার ছেলে। সে উপজেলার শিবপাশা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিয়ামের একটি টিকটক গত ২৮ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে টিকটক করছে সিয়াম। এ সময় তার পাশ দিয়ে কয়েকজন ছাত্রী সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছে। সিয়াম হাতের মাধ্যমে তাদের ইঙ্গিত করে নারীদের নিয়ে একটি অশালীন মন্তব্যে ঠোঁট মেলায়। টিকটক ভিডিওটি ছড়িয়ে পরার পর সমালোচনার মুখে পড়ে সিয়াম। মন্তব্যের ঘরে অনেকেই তার বহিষ্কার দাবি করেন। গত ১০ মে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য সুমন চৌধুরী তার নিজ ফেসবুক আইডিতে ওই শিক্ষার্থী বহিষ্কারের বিষয় নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি উল্লেখ্য করেন, ‘শিবপাশা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে নবম শ্রেণির একজন ছাত্র টিকটক করে এবং সেটি যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সব সদস্যরা বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক টিকটককারী শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার অর্থাৎ ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে এবং স্কুল চলাকালীন সময়ে তাকে স্কুলের আশপাশে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থী সিয়াম ও তার অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ স্কুলের দাতা সদস্য সুমন চৌধুরী বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির সব সদস্য, শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তার অভিভাবকসহ এক বৈঠকে ওই শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও স্কুল চলাকালীন সময়ে ওই স্কুলের আশপাশে না আসার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তা রেজুলেশন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’ এ বিষয়ে শিবপাশা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, স্কুল পরিচালনা কমিটি ও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত তাকে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। লিখিতভাবে তাকে বহিষ্কার কারা হবে কি না সেটা পরবর্তীতে স্কুল কর্তৃপক্ষের সভায় সিদ্ধান্তের পর বলা যাবে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী সিয়ামের পরিবারের কারও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে বহিষ্কার করবে। ওই শিক্ষার্থীকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে স্কুলে না আসার জন্য। এখন পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে চিঠি দিয়ে জানানো হয়নি।
১৮ মে, ২০২৪

পরীক্ষায় নকল করায় ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় দাখিল পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে দুই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) উপজেলার চান্দলা ইসলামিয়া গাউছিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, ইয়াসিন আরাফাত ষাইটশালা দারু সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও একরামুল হাসান রাব্বী চান্দলা ইসলামিয়া গাউছিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও চান্দলা ইসলামিয়া গাউছিয়া দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু ছালেহ নূর মোহাম্মদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ইউএনও স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, চলমান এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনকালীন নকলের প্রচেষ্টা ও নকল সামগ্রী বহনের দায়ে দুজন  শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ও পরীক্ষা নকলমুক্ত করার জন্য এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
০৬ মার্চ, ২০২৪

ঢাবিসহ অধিভুক্ত কলেজের ৬৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং এর অধিভুক্ত কলেজগুলোর ৬০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁদাবাজি ও অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে এবং ফেসবুকে গ্রুপ খুলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের গালাগাল করায় আরেকজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এর বাইরে ক্যাম্পাসে ভাসমান দোকান বসিয়ে চাঁদা নেওয়ায় প্রক্টরিয়াল টিমের এক সদস্যকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং ছয়জনকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত রোববার সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের মিটিংয়ের সুপারিশ অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। ঢাবির সাময়িক বহিষ্কৃতরা হচ্ছেন—মৃৎশিল্প বিভাগের জাহিদ শেখ ও মো. শাহরিন ইসলাম, ফলিত গণিত বিভাগের মো. আযহা ইসলাম, সংগীত বিভাগের মর্তুজা হাসান খান, ইতিহাস বিভাগের মো. আজিম মাহমুদ তওসিফ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মো. রিয়াদ মাল এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মো. আব্দুল ওহেদ। তাদের মধ্যে জাহিদ ও শাহরিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে টাকা ছিনিয়ে নেওয়া ও মুক্তিপণ দাবি করায়; আযহা ইসলাম, মর্তুজা হাসান, আজিম মাহমুদ তওসিফ, মো. রিয়াদকে শিখা চিরন্তনে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ায় বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া আব্দুল ওহেদকে ফেসবুকে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে গ্রুপ খুলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের গালাগাল করায় বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সাময়িক বহিষ্কারের চিঠি সংশ্লিষ্ট থানা, শিক্ষার্থীর স্থানীয় অভিভাবক এবং স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানো হবে। বহিষ্কৃত সাত শিক্ষার্থী বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় হলে অবস্থান করতে পারবে না। তাদের কৃত অপরাধের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার কারণ দর্শিয়ে সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত ৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুজনকে পরীক্ষাসহ তিন সেমিস্টার, ৪০ জনকে পরীক্ষাসহ দুই সেমিস্টার এবং ১৮ জনকে পরীক্ষাসহ ১ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রক্টর অফিসের মো. শামীম হোসেনকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে তদন্ত করে সত্যতা পায় কমিটি। এর বাইরে শামীমের সহযোগী কিষান চন্দ্র দাস, অমিত সরকার, শুদর্শন হালদার, মো. মাসুম শেখ, মো. রফিক গাজী এবং মো. মিঠু মীরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সহযোগিতা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের শোকজ করা হবে। বিষয়টি আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে আরেকটি তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার উপস্থিত ছিলেন।
০৬ মার্চ, ২০২৪

ঢাবি ও অধিভুক্ত কলেজের ৬৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও এর অধিভুক্ত কলেজসমূহের ৬০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া চাঁদাবাজি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে এবং ফেসবুকে গালিগালাজ করায় আরেক শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এর বাইরে, ক্যাম্পাসে ভাসমান দোকান বসিয়ে চাঁদা নেওয়ায় প্রক্টরিয়াল টিমের এক সদস্যকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ছয়জনকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (০৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের মিটিংয়ের সুপারিশ অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- মৃৎশিল্প বিভাগের জাহিদ শেখ ও মো. শাহরিন ইসলাম, ফলিত গণিত বিভাগের মো. আযহা ইসলাম, সংগীত বিভাগের মর্তুজা হাসান খান, ইতিহাস বিভাগের মো. আজিম মাহমুদ তওসিফ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মো. রিয়াদ মাল এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মো. আব্দুল ওহেদ। জানা যায়, মৃৎশিল্প বিভাগের সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী জাহিদ শেখ ও মো. শাহরিন ইসলাম শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে আটক রেখে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় ভিকটিম শিক্ষার্থীর পিতা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের নামে লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের এই সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সাময়িক বহিষ্কৃত ফলিত গণিত বিভাগের মো. আযহা ইসলাম, সংগীত বিভাগের মর্তুজা হাসান খান, ইতিহাস বিভাগের মো. আজিম মাহমুদ তওসিফ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মো, রিয়াদ মাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে ঘুরতে আসা দুজন দর্শনার্থীর গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে ৫ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ভিকটিম শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত এই চার শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গালিগালাজ করে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী আব্দুল ওহেদ এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে একটি গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বরে নির্মাণাধীন শতবার্ষিক মনুমেন্ট নিয়ে এক ভিডিও আপলোড করেন। সেখানে অশ্রাব্য ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের গালিগালাজ করায় তাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এ সময়ে তাকে টিএসসির ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরে নিয়মিত কাউন্সেলিং নিতে হবে এবং তার মানসিক মূল্যায়ন বিবেচনায় শাস্তি কমানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত ৬০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই জনকে পরীক্ষাসহ তিন সেমিস্টার, ৪০ জনকে পরীক্ষাসহ দুই সেমিস্টার এবং ১৮ জনকে পরীক্ষাসহ ১ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চাঁদা গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রক্টর অফিসের মো. শামীম হোসেনকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে, শামীম হোসেনের সহযোগী কিষান চন্দ্র দাস, অমিত সরকার, শ্রী শুদর্শন হালদার, মো. মাসুম শেখ, মো. রফিক গাজী এবং মো. মিঠু মীরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সহযোগিতার প্রমাণিত হওয়ায় তাদের শোকজ করা হবে। বিষয়টি আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে আরেকটি তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সাময়িক বহিষ্কারের চিঠি সংশ্লিষ্ট থানা, শিক্ষার্থীর স্থানীয় অভিভাবক এবং স্থায়ী ঠিকানায় প্রেরণ করা হবে। বহিষ্কৃত ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় হলে অবস্থান করতে পারবে না। তাদের কৃত অপরাধের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না’ মর্মে কারণ দর্শানো এবং ৭ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
০৫ মার্চ, ২০২৪

ইবিতে র‍্যাগিং ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিং ও মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় একজন স্থায়ীসহ ৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক ছয়টি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজের শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার হাসান, শেখ সালা উদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব। এদের ১ম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে মধ্যরাতে চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী তার বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে র‍্যাগিংয়ের লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই পাঁচজনকে প্রথম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ১৯ ডিসেম্বর ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১২তম সভায় তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। এদিকে গত বছরের ১০ জুলাই মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে চিকিৎসাকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জুলাই কাব্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে ৫ নভেম্বর রেজওয়ানকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকেছিল কর্তৃপক্ষ, তবে তিনি উপস্থিত হননি। পরে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১২তম সভায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, কুয়েটে ২১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সংঘর্ষে ৪ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। আহতরা হলেন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ ব্যাচের তাহমিদুল হক ইশরাক, ১৮ ব্যাচের যোবায়ের হোসেন নাইম, মেকানিক্যাল ১৭ ব্যাচের সাফায়েত সাইমুম, ১৮ ব্যাচের নিলান খালেক পারাবার। গুরুতর আহত অবস্থায় ইশরাককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিকে আহত ছাত্রলীগ কর্মী তাহমিদুল হক ইশরাক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নিল সিংহসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। বহিষ্কৃতরা হলেন- সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইযাসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথ, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)। আহত ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় গত ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হল ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতাকর্মী আনন্দ মিছিল করেছিল। একইসঙ্গে তারা আসনটিতে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেনকে স্বাগত জানায়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্র নীল সিংহ ওই ছাত্রদের হল থেকে বের করে দেন। তখন থেকে আসনটির নতুন সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেনের অনুসারীরা হলের বাইরে ছিলেন। এরই মধ্যে তাদের পরীক্ষা শুরু হয়। রোববার রাতে তারা হলে প্রবেশ করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগর সভাপতি অনুসারীরা বহিরাগতদের নিয়ে তাদের বাধা দেন। এ সময় প্রথমে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি এবং পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে চারজন আহত হন। এ বিষয়ে কুয়েটের উপাচার্য ড. মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। মামলার বিষয়ে কিছু জানা নেই।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪
X