শিক্ষকের মর্যাদা-বেতন বাড়ানো নিয়ে কাজ চলছে : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শনিবার (৪ মে) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পার করেছে, তারা যেন মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত আসতে পারে এবং তারা যেন ঝরে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আর শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পোস্টে শিক্ষক ও অভিভাবকরা ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরনের মন্তব্যই করেছেন। আসাদুজ্জামান আসাদ নামে এক শিক্ষক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, দয়া করে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন ভাতা নিয়ে একটু কাজ করুন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পরিবার খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে। আমজাদ হোসেন ভুইয়া নামে একজন শিক্ষক লিখেছেন, প্রশংসনীয় উদ্যোগ, তবে শিক্ষকদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাবাদী অতি দ্রুত বৃদ্ধি করার জোর দাবি জানাচ্ছি। শরিফুল ইসলাম নামে একজন শিক্ষক লিখেছেন, শিক্ষকদের নিয়ে আগে ভাবতে হবে, তবেই শিক্ষার মান আপনা আপনি ভালোর দিকে চলে যাবে, শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার হার কমবে। বিজয় রহমান নামে এক অভিভাবক মন্তব্য করেছেন, পঞ্চম শ্রেণির পরে কেউ ঝরে পড়ে না, ঝরে পড়ে স্কুল থেকে কলেজে ওঠার সময়। আর কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়। মো. মুশফিকুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, শিক্ষকদের মর্যাদা এবং বেতনের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী মহোদয় এবং মন্ত্রণালয় কাজ করছেন। আশা করা যায়, এ কাজ অনন্ত কালব্যাপী চলতে থাকবে। মো. মশিউর রহমান নামে একজন লিখেছেন, শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে আর কত গবেষণা করতে হবে মন্ত্রণালয়কে?
০৪ মে, ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোথায় কখন বন্ধ থাকবে জানালেন মন্ত্রী
তীব্র তাপপ্রবাহ আর হিট অ্যালার্টের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, যে জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে যাবে সে জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে। রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু হলেই প্রথমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে, এ ধারণা রাখা চলবে না। আমাদের নতুন কারিকুলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক; তাই শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে আসা জরুরি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস করা যেতে পারে। মন্ত্রণালয়ের এতে কোনো সমস্যা নেই।   তিনি বলেন, শনিবার স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গরমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে করা হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে গেলে, পরে আবারও মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।  এর আগে তাপদাহের মধ্যেই রোববার বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা খুলেছে। তবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শ্রেণি কার্যক্রম। চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানা হয়েছে, এক সপ্তাহ ছুটির পর রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও খুলছে। তবে ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্লাস হবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯.৪৫ থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

নতুন শিক্ষাক্রম বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থান জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
সমালোচনা নেওয়ার সক্ষমতা রাজনীতিবিদদের থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পরে তিনি বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলামের সমালোচনা হলেও এর বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সমালোচিত হবো- এই ভয়ে যে সিদ্ধান্ত যথার্থ এবং সঠিক সেটা নেব না; তা হতে দেওয়া যায় না। দৃঢ়ভাবে কিছু সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন আমাদের অবশ্যই করতে হবে। এটার কোনো বিকল্প নেই।আমি রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আছি। আমাদের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা তারা তাদের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষা পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।  তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে অনেক অবকাঠামো তিনি করে দিয়েছেন। সুদূর টেকনাফ থেকে ফেনী পর্যন্ত নানা ধরনের আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়ন এখানে হয়েছে। অর্থনীতির সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক সৃষ্টির বিষয়ে কাজ করার পকিল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে যারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আছেন, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের যে নেতৃত্ব আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে 'ইকোনমিক ইকো সিস্টেম' তৈরি করতে এবং অর্থনীতির সঙ্গে শিক্ষার একটা সম্পর্ক সেটা যাতে আমরা সৃষ্টি করতে পারি সে বিষয়ে কাজ করব। সেই সঙ্গে জলাবদ্ধতা প্রকল্পসহ চট্টগ্রামে যে প্রকল্পগুলোর কাজ চলমান রয়েছে সেগুলো দ্রুত সময়ে শেষ করতে তিনি কাজ করবেন বলেও জানান।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪
X