এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ
চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানাযায়, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা কবে শুরু হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে, ৩০ জুন পরীক্ষা শুরু হতে পারে। এর আগে ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণের তারিখ ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ড। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার অনলাইনের ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, বিলম্ব ফিসহ আবেদন ২৯ এপ্রিল শুরু হয়ে চলবে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন। ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
২৫ মার্চ, ২০২৪

২৬ সালের এসএসসি নিয়ে ধোঁয়াশায় শিক্ষাবোর্ড
নতুন শিক্ষাক্রমে নতুন আঙ্গিকে ২০২৬ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা পদ্ধতি কেমন হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ওই বছর শুধু দশম শ্রেণির সিলেবাসের ওপরই পরীক্ষা হবে বলে জানিয়ে আসছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।  বিষয়টি নিয়ে শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক নয় ধোঁয়াশায় রয়েছেন খোদ শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারাও।  শিক্ষা বোর্ড বলছে, পরীক্ষা পদ্ধতি, সিলেবাস কেমন হবে— তা ঠিক করে দেবে এনসিটিবি। সেগুলো চূড়ান্ত কাঠামো পেলে প্রশ্নপত্র প্রণেতা ও পরীক্ষকসহ পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এনসিটিবি কাঠামো চূড়ান্ত করে দিলে আমরা প্রস্তুতি শুরু করবো। নতুন পদ্ধতিতে অভ্যস্ত করতে পরীক্ষা সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ১১টি শিক্ষা বোর্ড নিজ নিজ উদ্যোগে এটা করবে।’ এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নতুন পদ্ধতির এসএসসি পরীক্ষার খসড়া মডেল আমরা প্রস্তুত করেছি। সেটা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রী শিক্ষা বোর্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশনা দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মার্চ মাস থেকে বোর্ডগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে আমরা বসব। খসড়া মডেলটি উপস্থাপন করে তাদের মতামত চাওয়া হবে। সব ঠিক থাকলে তা চূড়ান্ত করা হবে।’ জানা গেছে, চলতি বছর নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। ২০২৫ সালে তারা দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পড়বে। এরপর ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় শুধু দশম শ্রেণির ১০টি বিষয়ের ওপর মূল্যায়ন বা পরীক্ষায় অংশ নেবে। ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১’-এর রূপরেখা অনুযায়ী- নতুন শিক্ষাক্রমে প্রতিটি বিষয়ের ৫০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়ন ও ৫০ শতাংশ সামষ্টিক মূল্যায়ন বা পরীক্ষার মাধ্যমে হবে।  
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

এইচএসসির প্রবেশপত্র বিতরণের সময় জানাল শিক্ষাবোর্ড
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৭ আগস্ট। এর আগে ৮ ও ৯ আগস্ট এ পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ করা হবে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বোর্ড থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে পরদিন বা সুবিধামতো সময়ে পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রবেশপত্র তুলে দিতে পারবেন। সোমবার (৩১ জুলাই) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, ৮ আগস্ট ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রবেশপত্র পাবে। ৯ আগস্ট টাঙ্গাইল, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে। এতে বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজে অথবা তার প্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষককে স্বাক্ষর সত্যায়িতসহ কেন্দ্রের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপত্র অফিস চলাকালে গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। কোনো অবস্থাতেই শিক্ষক ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তিকে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হলে, আবেদনপত্রে গভর্নিং বডির সভাপতি, জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি স্বাক্ষর থাকতে হবে। আরও পড়ুন : এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রবেশপত্র যাচাই করে কোনো ধরনের ত্রুটি/কম/বেশি হলে সংশোধন করিয়ে নেওয়ার জন্য অবশ্যই ১০ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে নির্দিষ্ট ছক অনুযায়ী আবেদনপত্র জমা দিয়ে সংশোধন করিয়ে নিতে পারবেন। অন্যথায় পরীক্ষায় কোনো ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানই দায়ী থাকবেন। অন্যদিকে, কারও প্রবেশপত্র ভুল হলে তা সংশোধন করার জন্য নির্দিষ্ট ছকে পরীক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ভুলের বিবরণ এবং সঠিকটা যা হবে, তা পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
৩১ জুলাই, ২০২৩

অনুপস্থিত শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দিল শিক্ষাবোর্ড
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পর এবার আন্দোলনরত অনুপস্থিত শিক্ষকদের নিয়ে কঠোর নির্দেশনা দিল ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবোর্ড। নির্দেশনায় অনুপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাপারে গভর্নিং বডি ও প্রধান শিক্ষককে কঠোর হতে বলা হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে’ এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার অধীন স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ নিয়মিত ক্লাস এবং নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষক-কর্মচারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থেকে পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কঠোরভাবে নজরদারি করার অনুরোধ করা যাচ্ছে। আরও পড়ুন : স্কুলে অনুপস্থিত ৩৪ শিক্ষককে শোকজ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার বৃহত্তর স্বার্থে বিষয়টি ‘অতীব জরুরি’। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার সব দায়ভার সংশ্লিষ্ট গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সদস্যদের ওপর বর্তাবে। এ ব্যাপারে সবার একান্ত সহযোগিতা কাম্য। এর আগে মাউশি থেকে শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি নিশ্চিতে একাধিকবার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এমনকি দৈনিক অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশনাও দিয়েছে মাউশি। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন- শোকজ বা যত ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক না কেন, দাবি আদায় না করে তারা ক্লাসে ফিরবেন না। প্রসঙ্গত, গত ১১ জুলাই থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বুধবার টানা ১৬ দিনের মতো তারা অবস্থান করছেন।
২৬ জুলাই, ২০২৩

বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে বকশিবাজার শিক্ষাবোর্ড এলাকা
রাজধানীর বকশিবাজার শিক্ষাবোর্ড আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ময়লার ভাগাড় নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও বাসিন্দারা। ময়লার বিকট দুর্গন্ধ আর মশা-মাছির উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। নাক চেপে পথ চলতে হয় তাদের। বাড়ছে ডেঙ্গুসহ নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এছাড়া ময়লার ভাগাড়কে কেন্দ্র করে বেশ সংখ্যক ময়লার ভ্যান গাড়ি রেখে দেয়া ও টোকাইদের তৎপরতায় সরু রাস্তা দিয়ে পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। সব মিলিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই আবাসিক এলাকায় মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ। জরুরি ভিত্তিতে ময়লার ভাগাড় অপসারণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।  আরও পড়ুন : সামাজিক ও আইনি সমস্যায় ব্লকচেইন টেকসই সমাধান : পলক এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আলহাব্ব ওয়ালী উল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের এখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড, সরকারি আলীয়া মাদ্রাসা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো আবাসিক ভবন বিদ্যমান। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এই এলাকায় আসা-যাওয়া করেন। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই আবাসিক এলাকার রাস্তা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। গত কয়েক মাস যাবত ছোট পরিসরে ময়লা-আবর্জনা রাখা হলেও দিন দিন এটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরইমধ্যে আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম যে, এখানে ময়লার বড় ধরনের একটি ডিপো করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। যদি এটা করা হয়, তা হবে আত্মঘাতী ও অমানবিক একটি সিদ্ধান্ত। কারণ এখানে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এটা একটা আবাসিক এলাকা। বিদ্যাপিঠ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। এখানে ময়লার ডিপো করলে মানুষের জন্য খুব কষ্টকর ও বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।  তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় উন্মুক্তভাবে ময়লা রাখার কারণে মশা-মাছির বিস্তারের পাশাপাশি বিকট দুর্গন্ধ ও মানুষের নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির কারণে বাসা-বাড়িতেও থাকা যাচ্ছে না। সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এই অবস্থায় অতি দ্রুত এখান থেকে ময়লার ভাগাড় না সরালে মানুষের বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।  আরও পড়ুন : বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে না শিক্ষাবোর্ড ভবনের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তার বাসার পাশেই ময়লার ভাগাড়। যে কারণে বাচ্চাদের নিয়ে বসবাস করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অসম্ভব কষ্টের মধ্যে আছেন বলেও জানান তিনি। নাসিমা সুলতানা নামের একজন অভিভাবক জানান, তার সন্তান স্থানীয় মোত্তালিব স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করতে হয় তাকে। এ সময় শিক্ষাবোর্ডর পাশের ময়লার ভাগাড়ের কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। স্কুল শিক্ষার্থী শিশুদের জন্য হলেও এই এলাকা থেকে ময়লার স্তূপ সরানো জরুরি। বুয়েটের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, আবাসিক এলাকা থেকে প্রতিদিন বুয়েট অফিসে যাওয়া-আসার সময় বোর্ড এলাকার ময়লার ভাগাড় এখন গলার কাটা হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বোর্ড অফিসে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও দুর্ভোগের কথা জানিয়ে বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই শিক্ষাবোর্ড এলাকায় ময়লার ভাগাড় স্থাপনের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এতে বোর্ডে আগত মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা শহরের পরিচ্ছন্নতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।  আরও পড়ুন : আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এলাকাবাসী জানান, বর্তমানে যেখানে ময়লার ভাগাড় বানানো হয়েছে সেখানে কিছুদিন আগেও একটি কমিউনিটি সেন্টার ছিল। হাজী গোলাম মোর্শেদ নামের ওই কমিউনিটি সেন্টারে প্রায় সময় নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে এলাকাবাসীর জমজমাট পদচারণা থাকতো। কিন্তু সেটি ভেঙে ফেলে ময়লার ভাগাড় বানানোতে এলাকাবাসী বিস্মিত হয়েছে। দুই পাশে দুটি শিক্ষাবোর্ডের মাঝখানের গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় ময়লার ভাগাড় বানানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। তাই অবিলম্বে ময়লার ভাগাড়টি সরিয়ে এলাকাবাসীর চলাচল ও বসবাসের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বিন আব্দাল আজিজ কালবেলাকে বলেন, সেখানে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ করা হচ্ছে। এখন যে খোলা ময়লাটি দেখা যাচ্ছে এসটিএস নির্মিত হলে সেগুলো আর থাকবে না।  
২৬ জুলাই, ২০২৩
X