বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বগুড়ার ৪৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যার কারণে তিন উপজেলার ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় দুটি, একটি মাদ্রাসা ও ৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগই পাঠদান এখনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। এই তিন উপজেলার মধ্যে সারিয়াকান্দিতে ৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনাতলা উপজেলায় ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি মাদ্রাসা এবং ধুনটে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান সড়কটি পানিতে নিমজ্জিত। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় কোমর পর্যন্ত পানি। এতে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বালুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে পানি না উঠলেও বিদ্যালয়ের চারপাশে পানি উঠেছে। এতে করে ওই বিদ্যালয়ের পাঠদানও বন্ধ রয়েছে। বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের টিনের ঘরটি ডুবে গেছে। আর ভবনের  নিচতলা পানিতে নিমজ্জিত। বর্তমানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।  সোনাতলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনায়েতুর রশীদ জানান, ‘বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বিদ্যালয় পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বাকিগুলোতে এখনও পাঠদান চলছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই ওগুলোতেও দ্রুত পাঠদান শুরু করা হবে’। সোনাতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজমুল শেখ বলেন, ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে এখনও তেমন সমস্যা দেখা দেয়নি। তবে পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় তেকানী চুকাইনগরের পিএম দাখিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে’। এদিকে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডাবাড়ি ইউনিয়নে পানিতে নিমজ্জিত বিদ্যালয়গুলো হলো, উপজেলার কৈয়াগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে থাকে। পানি ঢুকে পড়ায় বিদ্যালয়ে পাঠদান করানো যাচ্ছে না। এ কারণে বিদ্যালয়ের আশপাশে উঁচু বাড়ি কিংবা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, উপজেলার চারটি বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করেছে। এ কারণে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান করানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শিক্ষকদের বিকল্প পদ্ধতিতে পাঠদান করাতে বলা হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির জানান, উপজেলার ৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এজন্য বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান করানো সম্ভব হচ্ছে না। শুক্র ও শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। ফলে রোববার থেকে শিক্ষকদের বিকল্প পদ্ধতিতে পাঠদান করাতে বলা হয়েছে। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা যেভাবে নির্দেশনা দিবেন পরবর্তীতে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বগুড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হয়রত আলী জানান, শুক্রবার পর্যন্ত জেলার দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার ওই দুটি বিদ্যালয় হচ্ছে উত্তর টেঙরা ও আউচারপাড়া উচ্চবিদ্যালয়। এই দুটি বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষা চলছে। পরিস্থিতি দেখে শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
০৬ জুলাই, ২০২৪

স্কুলবাস চালু না করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের হুঁশিয়ারি 
রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য নিজস্ব বাসসেবা চালুর তাগিদ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, যারা ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় স্কুল গড়ে তুলেছেন, আপনাদের কিন্তু সময় এসেছে স্কুলবাসে আসার। নইলে কিন্তু আমরা আপনাদের স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য থাকব। এইভাবে শিক্ষামন্ত্রীও আমাদের বলে গেছেন। সহযোগিতা করেন, নইলে আমাদের কঠোর হতে হবে।  বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকার বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যানজট নিরসনে বিভিন্ন স্কুলে বাসসেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন। সেজন্য বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে, ডিএমপির সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি স্কুলের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছে চালু হওয়ার পর তারা দেখতে চায়। আমরা তো চালু করে দিয়েছি। মেয়র বলেন, আপনারা একেকটি বাচ্চার কাছ থেকে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ফি নিচ্ছেন। কিন্তু কোনো স্কুলবাস চালু করছেন না। আপনারা আবাসিক এলাকায় স্কুল করেছেন, গাড়ির আধিক্যে ওই এলাকাবাসীর ভোগান্তি হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার সব স্কুলে বাস চালু করতে হবে। শুরুতে ৩টি রুটে চলবে দ্বিতল বাস। এক নম্বর রুটে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বসুন্ধরা গেইট, নদ্দা, নতুনবাজার, গুলশান হয়ে বনানী বিদ্যানিকেতন; দুই নম্বর রুটে ১০০ ফুট সড়কের বসুন্ধরা গেট, ছোলমাইদ, ফ্যামিলিবাজার, নতুনবাজার, বাঁশতলা, শাহজাদপুর, নতুনবাজার, গুলশান হয়ে বনানী বিদ্যানিকেতন এবং তিন নম্বর রুটে উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে হোসেন মার্কেট, বাড্ডা লিঙ্ক রোড, গুলশান ১ নম্বর, মহাখালী টিবিগেইট, ওয়্যারলেস গেট, আমতলী হয়ে বনানী বিদ্যানিকেতন এসব এলাকা দিয়ে বাসগুলো শিক্ষার্থীদের স্কেুলে আনা নেওয়া করবে। শিক্ষার্থীরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ই-বুকিং দিতে পারবে।   অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ঢাকার নামিদামি বিভিন্ন স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে। এতে যানজট তৈরি হচ্ছে। স্কুলগুলোকে বাস সেবা চালু করতে বাধ্য করতে হবে। পয়সা থাকেলই দামি গাড়িতে করে বাচ্চাদের স্কুলে আনতে হবে এমন মনোভাব থেকে অভিভাবকের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের সন্তানদের ভোগবাদী মানসিকতা থেকে দূরে রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শবনম জাহান শিলা, হাছিনা বারী চৌধুরী ও খালেদা বাহার বিউটি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।  অন্যদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, অন্যান্য কাউন্সিলর এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
০৩ জুলাই, ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ২০ দিনের যে ছুটি চলছে, তা কমিয়ে আনা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৬ জুন খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে এবার ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হয়েছে ১৩ জুন, যা চলার কথা ২ জুলাই পর্যন্ত। এর আগে মাধ্যমিক-১ শাখার একজন উপসচিব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বছরের শুরুতে তীব্র শীত ও মাঝামাঝি সময়ে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। নতুন কারিকুলামে জুলাই মাসে যে ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন হবে, তার প্রস্তুতি ভালো হয়নি। আমাদের কাছে খবর আছে, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সিলেবাস শেষ করতে পারেনি। তিনি আরও জানান, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ জুলাই পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৩ জুন পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে। অর্থাৎ, ২৪ জুন থেকে তারা ক্লাস নেবেন। ওইদিন অথবা একদিন আগে বা পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা আসতে পারে। এ নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে অফিস খুললে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া শনিবার পুনরায় ছুটি দেওয়া হতে পারে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরীও সেরকম ঈঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ঈদুল আজহার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এখন পর্যন্ত শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে। আমরা চেষ্টা করছি, শনিবার যে বন্ধ পূর্বে ছিল, সেটা যাতে করে বলবৎ রাখতে পারি। ইতোমধ্যে আমরা (শিক্ষাবর্ষের) ক্যালেন্ডারের হিসাব নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচিত হয়েছে, প্রায় চারশর মতো। সেখানে সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলোতে শনিবারও খোলা রাখতে হতে পারে। আবার সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল সেগুলোতেও বিশেষভাবে খোলা রাখার বিধান রেখে দেশের অন্যান্য জায়গায় পূর্বের মতো বহাল হাল রাখতে পারি তার ওয়ার্ক-আউট করা হচ্ছে। আমরা ঈদুল আজহার পর সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করব। তবে এ মুহূর্তে যেটা মনে হচ্ছে বন্ধ রাখাটা (শনিবার) সম্ভব হবে। বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুল এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি জানানো হয়। এটি ‘শিক্ষাপঞ্জি’ নামে পরিচিত।
২০ জুন, ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, সিদ্ধান্ত আজ
পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ২০ দিনের ছুটি চলছে। শৈত্যপ্রবাহ ও তাপপ্রবাহের কারণে বেশ কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় যে শিখন ঘাটতি হয়েছে, তা পূরণে ছুটি কমিয়ে এক সপ্তাহ আগেই খুলে দেওয়া হতে পারে সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা। সঙ্গে ফিরতে পারে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটিও। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সূত্র জানায়, ঈদের ছুটি ঠিক থাকলেও গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমিয়ে আনা এবং শনিবারে ছুটি ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে একটি সভা হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গতকাল বুধবার সকালে কালবেলাকে বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক শাখার এক উপসচিব জানান, চলতি বছরের শুরুতে তীব্র শীত এবং মাঝামাঝি সময়ে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। ফলে শিখন ঘাটতি সৃষ্টি হয়। আবার নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী যেসব শ্রেণিতে পাঠদান হচ্ছে, সেসব শ্রেণিতে জুলাই মাসের ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রস্তুতিও ভালো হয়নি। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সিলেবাস শেষ করতে পারেনি। এজন্য সভার মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুল এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি জানানো হয়, যা ‘শিক্ষাপঞ্জি’ নামেও পরিচিত।
২০ জুন, ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার
পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ২০ দিনের ছুটি চলছে। তবে বিগত সময়ে শৈত্যপ্রবাহ ও তাপপ্রবাহের কারণে বেশ কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় যে শিখন ঘাটতি দেখা দিয়েছে, তা পূরণে এই ছুটি কমিয়ে এনে এক সপ্তাহ আগেই খুলে দেওয়া হতে পারে সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা। একইসঙ্গে ঈদুল আজহার পর শনিবারে পুনরায় সাপ্তাহিক ছুটি ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে।  শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলছে, ঈদের ছুটি ঠিক থাকলেও গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমিয়ে আনা ও শনিবারে ছুটি ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। এন্সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল মন্ত্রণালয়ে একটি সভা হবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, আগামীকাল আলোচনা করে এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক শাখার একজন উপ-সচিব জানান, চলতি বছরের শুরুতে তীব্র শীত এবং মাঝামাঝি সময়ে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এর ফলে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আবার নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী যেসব শ্রেণিতে পাঠদান হচ্ছে, সেসব শ্রেণিতে জুলাই মাসে অনুষ্ঠিতব্য ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রস্তুতিও ভালো হয়নি। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সিলেবাস শেষ করতে পারেনি। এজন্য একটি সভার মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুল এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি জানানো হয়। এটি ‘শিক্ষাপঞ্জি’ নামে পরিচিত।
১৯ জুন, ২০২৪

ঈদের পর শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে কি না, জানালেন মন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা নাকি বন্ধ রাখা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত পবিত্র ঈদুল আজহার পর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল ইসলাম চৌধুরী।   বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর বকশিবাজারে আলেয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ আয়োজিত কর্মসূচিতে তিনি এ কথা জানান। এর আগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বেশ কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়। পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবারেও ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।  শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘ঈদুল আজহার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এখন পর্যন্ত শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে। আমরা চেষ্টা করছি, শনিবার যে বন্ধ পূর্বে ছিল, সেটা যাতে করে বলবৎ রাখতে পারি। ইতোমধ্যে আমরা (শিক্ষাবর্ষের) ক্যালেন্ডারের হিসাব নিয়েছি।  তিনি আরও বলেন, আমাদের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচিত হয়েছে, প্রায় চারশর মতো। সেখানে সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলোতে শনিবার খোলা রাখতে হতে পারে। আবার সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল সেগুলোতেও বিশেষভাবে খোলা রাখার বিধান রেখে দেশের অন্যান্য জায়গায় পূর্বের মতো বহাল হাল রাখতে পারি তার ওয়ার্ক-আউট করা হচ্ছে। আমরা ঈদুল আজহার পর সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করব। তবে এ মুহূর্তে যেটা মনে হচ্ছে বন্ধ রাখাটা (শনিবার) সম্ভব হবে।  কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার জন্য বিশেষ সেল গঠন করারও পরামর্শ দেন মহিবুল হাসান।  তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাদের বিশেষভাবে বলব—কিছু‍ু কিছু রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে তাদের ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দল পরিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম করার পাশাপাশি ছাত্র সংগঠন নিয়েও কাজ করছে। কওমি মাদ্রাসার সন্তানরাও আমাদের সন্তান, তারাও এ দেশের নাগরিক। রাজনৈতিকভাবে মতাদর্শের দিক থেকে তারা দেশের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে যাতে বিচ্যুত না হয়। আমি বলব, তাদের (শিক্ষার্থীদের) কাউন্সেলিং করার জন্য বিশেষ সেল গঠন করা উচিত। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠনকে বলতে চাই—আমাদের অনেক প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন আছে তারাও যাতে করে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা, সংবিধানে যে চার মূলনীতি সেগুলোর বিষয়ে তাদের কাউন্সেলিং করান। দেশপ্রেম, দেশের প্রতি আনুগত্য এবং সমাজে ধর্মনিরপেক্ষ একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ তৈরির কাজে অবশ্যই তাদের আনতে এবং তারা যেন বিচ্যুত না হয় অপপ্রচারকারীদের মাধ্যমে।    
১৪ জুন, ২০২৪

১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
আসন্ন ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ ছুটি শুরু হয়ে শেষ হবে ২৯ জুন। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এরই মধ্যে এ ছুটির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৩ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত ১৭ দিন ক্লাস ছুটি থাকবে। ৩০ জুন থেকে যথারীতি অর্ধদিবস ক্লাস চলবে। তবে ১ জুলাই থেকে পূর্ণ দিবস ক্লাস চলবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, গ্রীষ্মকালীন ছুটি সাধারণত জুন মাসে হয়ে থাকে। এখন ঈদুল আজহার ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেওয়া হয়েছে। এই ছুটি এক মাস হওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছর শীত ও তীব্র গরমের কারণে বেশ কিছুদিন স্কুল বন্ধ ছিল। তাই গ্রীষ্মকালীন ছুটি কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে ঈদের ছুটি ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি আলাদা করেও দিতে পারে।
১২ জুন, ২০২৪

দেশে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৬১৩টি : শিক্ষামন্ত্রী
বর্তমানে সারা দেশে ৪ হাজার ৬১৩টি এমপিওবিহীন তথা নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রোববার (৯ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর আলোকে কাম্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার, প্রাপ্যতা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এমপিওভুক্ত করার কাজটি বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অটোমেশনের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। সারা দেশে এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি অর্থবছরের আর একমাসেরও কম সময় রয়েছে। এ স্বল্প সময়ে নতুন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই। সংসদ সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান পটোয়ারীর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরভাতা ও কল্যাণভাতা প্রাপ্তিতে বিলম্বের সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিক। এ খাতে পর্যাপ্ত অর্থসংস্থান না থাকায় মূলত বেশি সময় লাগছে এবং সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে অবসর উত্তরকালে শিক্ষকদের প্রাপ্য অর্থ যেন দ্রুততম সময়ে পেতে পারেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সমস্যার উত্তরণে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং গঠিত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
০৯ জুন, ২০২৪

কাউখালীতে রিমালে বিধ্বস্ত ৩৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের কাউখালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে উপজেলার ৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের তথ্যমতে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬টি মাদ্রাসা, একটি কলেজ ও ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার শিয়ালকাটি ইউনিয়নের জোলাগাতি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসাটির শ্রেণিকক্ষ ভেঙে যাওয়ায় আকাশের নিচে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করছে। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম জানান, মাদ্রাসাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সদর ইউনিয়নের সপ্তগ্রাম সম্মিলিত ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা শহিদুল ইসলাম বলেন, সদর ইউনিয়নের নাঙ্গলী নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মতিন জানান, টিনশেড ও সেমিপাকাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কম্পিউটার, আসবাবসহ অন্যান্য মালপত্র নষ্ট হয়েছে। কাউখালী সদর ইউনিয়নের আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম মনির মোল্লা জানান, টিনশেড ঘরের ওয়াল ভেঙে আসবাবের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিবুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, সরেজমিন অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমি দেখেছি। উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে।
০৮ জুন, ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাস্তাঘাটসহ বসতবাড়ি প্লাবিত
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর প্রভাবে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে জোয়ারে অন্তত ৭ থেকে ৮ ফুট পানিতে তুলাতলী, পান্ডব, কারখানা, পায়রা, বিষখালী, শ্রীমন্ত নদীর চরাঞ্চলের প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার লোক পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। উপজেলা প্রশাসন পৌর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে। তাদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি দমকা হাওয়া থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উত্তাল হয়ে উঠেছে উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো। ইতোমধ্যে নদীর তীরবর্তী এলাকায় থাকা মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কোস্টগার্ড সতর্ক বার্তা প্রচার করেছে। এদিকে উপজেলার নদীর তীরবর্তী দুর্গম এলাকায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় শনিবার থেকে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেরায় ১৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের সদস্যরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মাঠে কাজ করছে। ৫টি কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, দুর্গম চরাঞ্চল এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আমার সার্বক্ষণিক আশ্রয়কেন্দ্রে আশা মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছি।
২৬ মে, ২০২৪
X